Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

বিকশিত ভারত যাত্রার অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেওয়া ভাষণের বঙ্গানুবাদ

বিকশিত ভারত যাত্রার অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেওয়া ভাষণের বঙ্গানুবাদ


নয়াদিল্লি, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

 

নমস্কার !

বিকশিত ভারতের সংকল্পকে সামনে রেখে যে অভিযান শুরু হয়েছে তা ক্রমশই ছড়িয়ে পড়ছে দূরবর্তী গ্রামগুলিতেও। এর মূল উদ্দেশ্য হল, দরিদ্রতম মানুষটির সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করা।  গ্রামের তরুণ, মহিলা বা বয়স্ক নাগরিক যেই হোন না কেন, সাগ্রহভরে অপেক্ষা করেন মোদীর গাড়ির এই অভিযানে সামিল হওয়ার জন্য। ফলে আমি সব নাগরিককে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি,বিশেষত মা ও বোনদের এই বৃহৎ কর্মযজ্ঞকে সফল রূপ দেওয়ার জন্য। তরুণের উদ্যম ও শক্তি এতে নিহিত। এই কর্মসূচিকে সফল রূপ দেওয়ায় তরুণ সম্প্রদায়কে অভিনন্দন। এমনও হয়েছে, কৃষকরা যেখানে মাঠে কাজ করছেন, বিকশিত ভারতের গাড়ি পৌঁছনোর খবর পেয়ে তাঁরা তাঁদের কাজ চার থেকে ছ’ ঘণ্টার জন্য ফেলে রেখেও এই অভিযানে সামিল হচ্ছেন। ফলে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে উন্নয়নের এই বৃহৎ কর্মযজ্ঞ ছড়িয়ে পড়ছে।

এখনও বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার ৫০ দিনও পূর্ণ হয়নি। কিন্তু ইতিমধ্যেই কয়েক লক্ষ গ্রামে তা পৌঁছে গেছে। ফলে এটাও এক রেকর্ড। বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার লক্ষ্য হল সেইসব মানুষের কাছে পৌঁছনো যারা এখনও পর্যন্ত ভারত সরকারের কোনো প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত। কখনও কখনও লোকেরা হয়তো ভাবছেন গ্রামের দু-একজন যখন এই সরকারি সুবিধা পেয়েছেন তখন তা নিশ্চয় তারা তাদের যোগাযোগবশত পেয়েছেন। যৌতুকের বিনিময়েও পেয়ে থাকতে পারেন। অথবা হয়তো তাদের কোনো আত্মীয়স্বজন এর সাথে জড়িত বলে তারা এই সুবিধা পেয়েছেন। ফলে আমি এই গাড়ি নিয়ে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে পৌঁছচ্ছি মানুষের কাছে এই বার্তায় পৌঁছে দিতে যে এর সঙ্গে কোনো দুর্নীতি, কোনো স্বজনপোষন বা কোনো পক্ষপাত জড়িত নেই। এই কাজ করা হচ্ছে সততার সঙ্গে এবং সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যপূরণের জন্য। আমি আপনাদের গ্রামে এসে পৌঁছেছি এটাই দেখতে যে কেউ সরকারি প্রকল্পের সুবিধা থেকে বাদ পড়েছেন কিনা। আমি সেই সমস্ত মানুষদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। তাদের খুঁজে পেলে আমি তাদের আশ্বস্ত করতে চাই এই বলে যে আগামীদিনে আপনারা কেউ এই সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন না। এটা আমার গ্যারেন্টি। যারা এখনও ঘর পাননি, অথবা যারা গ্যাসের সংযোগ পাননি বা যারা আয়ুষ্মান কার্ড পাননি তারা অচিরেই তা পাবেন। আপনাদের কল্যাণ নিশ্চিত করতেই এইসব প্রকল্পের রূপায়ন,ফলে সেই সুবিধা আপনাদের কাছে পৌঁছবেই। এই কারনেই দেশজুড়ে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

আমার ভাই-বোনেরা,

সাম্প্রতিক দিনগুলিতে যখনই আমার সুযোগ হয়েছে এই যাত্রার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আমি একটা জিনিস প্রত্যক্ষ করেছি। আমি যখন গরিবের কণ্ঠ শুনি, আমাদের কৃষক ভাই-বোন, তরুণ সম্প্রদায় এবং মহিলাদের আমি দেখছি কি আত্মপ্রত্যয়ের সঙ্গে তারা তাদের চিন্তা ব্যক্ত করছেন। তা শুনে আমি ভাবি “বাহ্ ! আমার দেশে কী অপরিমেয় শক্তিই না রয়েছে, যেখানে এই শক্তিশালী কণ্ঠ ধ্বনিত হয় ! এইসব মানুষরাই আমাদের দেশ গড়ে তুলতে চলেছেন।” এ এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। দেশজুড়ে প্রত্যক সুবিধাভোগীর সাহসিকতা, সন্তোষ এবং গত ১০ বছরে তাদের জীবনে যে পরিবর্তন এসেছে তা নিয়ে তাদের এক স্বপ্নের গল্প রয়েছে। এর থেকেও আনন্দদায়ক, তারা তাদের এই জীবনের যাত্রাপথ এবং অভিজ্ঞতার কথা রাষ্ট্রের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাইছেন। কিছু সময় আগে আমার সঙ্গে আলাপচারিতার সময় আমি আপনাদের বলা গল্পের মাঝে অনুভব করছিলাম যে তা কতটা  সমৃদ্ধ এবং আপনাদের কতোকিছুই না বলার আছে। নানা অসাধারণ অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ আপনারা  আপনাদের অভিজ্ঞতার কথা আমাদের শোনাতে চাইছেন।

আমার পরিবারের সদস্যরা,

আজ দেশজুড়ে লক্ষ লক্ষ সুবিধাভোগী সরকারি প্রকল্পগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্রিয় যোগদান করছেন। স্থায়ী বাড়ি, বিদ্যুৎ সংযোগ, জল, গ্যাস, সুস্বাস্থ্য এবং শিক্ষার সুযোগ, ন্যূনতম এই পাওয়ার মধ্যেই তারা নিজেদেরকে সীমিত রাখতে চান না। তারা এটা মনে করেন না যে তাদের যা কিছু পাওয়ার তা পেয়ে যাওয়ার মধ্যেই কাজ ফুরিয়ে গেছে তা নয়। সহায়তা পাওয়ার পরেও তারা থমকে নেই, বরং নতুন শক্তি, নতুন উদ্দীপনা নিয়ে তারা এগিয়ে আসছেন। তারা আরও কঠোর পরিশ্রম করছেন, আরও উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য। আমার কাছে এটাই পরম আনন্দের। মোদীর গ্যারান্টির প্রকৃত সারবত্তা লুকিয়ে রয়েছে এখানেই এবং তা ফলদায়ক হতে দেখা নিঃসন্দেহে আনন্দের এবং সন্তোষের। আমি যখন নিজের চোখে এসব প্রত্যক্ষ করছি, জীবনের সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। বিকশিত ভারতের চেতনা তখন এক উদ্দীপিত রূপ নেয়। 

বন্ধুগণ,
 মোদীর গ্যারান্টি গাড়ি যখনই যেখানে যাচ্ছে, তা মানুষের আস্থা বর্ধন করছে এবং তাদের প্রত্যাশা পূরণ করে চলেছে। প্রায় ৪ লক্ষ ৫০ হাজার নতুন আবেদনকারী এই যাত্রা শুরু হওয়ার পর উজ্জ্বলা গ্যাস সংযোগ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। তারা কেন এসেছেন? একথা তাদের কাছে আমি যখন জানতে চাই তখন তারা তার ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, তাদের পরিবার বৃদ্ধি পেয়েছে, তাদের সন্তান পৃথক বাড়িতে গেছে, নতুন ঘর-গৃহস্থালী তৈরি হয়েছে, ফলে নতুন গ্যাস সংযোগ প্রয়োজন। আমি বলি “ভালো, এটাই সদর্থক লক্ষণ যে সকলেরই উন্নতি হচ্ছে।”

ইতিমধ্যেই এই অভিযান শুরু হওয়া থেকে ১ কোটি আয়ুষ্মান কার্ড বিতরণ করা হয়ে গেছে। এই প্রথম দেশে সর্বত্র মানুষের সর্বাত্মক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রায় ১ কোটি ২৫ লক্ষ মানুষ তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছেন। যক্ষ্মা নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ৭০ লক্ষ মানুষের পরীক্ষা করা হয়েছে। সিকেল সেল অ্যানিমিয়ার ক্ষেত্রে ৫০ লক্ষ মানুষের পরীক্ষা করা হয়েছে এবং এখন আয়ুষ্মান ভারত কার্ড, আভা কার্ড দ্রুততার সঙ্গে বিতরণ করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ আধার কার্ডের সঙ্গে পরিচিত হলেও আভা কার্ডের সঙ্গে তাদের পরিচিতি সীমিত। আভা কার্ড অর্থাৎ আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য কার্ডের অনেক সুবিধা রয়েছে। এতে কোন ব্যক্তির যাবতীয় চিকিৎসা রিপোর্ট, প্রেসক্রিপসনের বিস্তারিত বিবরণ, ব্লাড গ্রুপ সংক্রান্ত তথ্য, যে চিকিৎসক তার পরীক্ষা করছেন তার পরিচিতি সংক্রান্ত এক সর্বাত্মক তথ্য সন্নিবেশিত থাকে। এর অর্থ হল এক বছর পরেও আপনি যদি একজন চিকিৎসককে দেখাতে যান এবং সে যদি আপনার চিকিৎসার বিস্তারিত তথ্য এবং ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এক লহমায় তিনি সেই সমস্তকিছু এই কার্ডের মধ্যে পেয়ে যাবেন। ফলে চিকিৎসার বিস্তারিত তথ্য জানা আর কষ্টদায়ক হবে না। আপনি যদি কখনও অসুস্থ হয়ে পড়েন চিকিৎসক অনায়াসে জেনে নিতে পারবেন কোন চিকিৎসককে এর আগে আপনি দেখিয়েছেন এবং কি ওষুধ খাচ্ছেন। এই উদ্যোগ দেশজুড়ে মানুষের মধ্যে এক স্বাস্থ্য সচেতনার বোধ গড়ে তুলেছে। 

বন্ধুগণ,

আমার অনেক সতীর্থ মোদী গ্যারান্টি গাড়ি থেকে উপকৃত হচ্ছেন। এমন অনেকে আছেন তিনি একজন ব্যক্তি হিসেবেও সম্যক অনুভব করছেন যে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা তিনিও পেতে পারেন। পুরনো অভ্যাস বশত তাদের এরকম মনেও হতে পারে তাদের প্রভাবশালী কোনো আত্মীয় নেই, সেরকম কোনো যোগাযোগ নেই ফলে তাদের জন্য আর এসবের কী প্রয়োজন? কিন্তু মনে রাখবেন মোদী হল আপনাদের পরিবারের একজন। এছাড়া আর অন্য কোনো পরিচিতির দরকার নেই। আপনারা আমার পরিবারের অংশ। এটা যদি ১০ বছর আগে হত, আপনাদের হয়তো সরকারি অফিসে ঘুরে বেড়াতে হত বা এই জাতীয় প্রক্রিয়ায় হতাশ হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও থাকতে পারতো।

আমি গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মী বা প্রতিনিধি বা অন্য স্থানীয় স্বশাসিত সংস্থাগুলির প্রতিনিধিদের জানাতে চাই যে আপনাদের দায়িত্ব অপরিসীম। আপনাদের গ্রামে অথবা শহরে, ওয়ার্ডে বা স্থানীয় এলাকার প্রত্যেকটি অভাবি মানুষকে চিহ্নিত করে সততার সঙ্গে তার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। এই তথ্য সুনিশ্চিত করতে হবে যে
 মোদীর গাড়ি যেসব মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছে সেখানেই যাতে তাদের কাছে  সুবিধা পৌঁছে দেওয়া নিশ্চিত করা যায়। এই প্রয়াসকে নিশ্চিত রূপ দিতে হবে। 

উদাহরণ স্বরূপ ধরুন গত চার বছরে ১১ কোটির বেশি নতুন গ্রামীণ পরিবার পাইপ বাহিত জলসংযোগ পেয়েছেন। আমাদের দায়বদ্ধতাকে এখানেই সীমিত রাখলে চলবে না যে যথেষ্ট পরিমান পাইপ বাহিত জলসংযোগ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর আমাদের লক্ষ্য স্থির করতে হবে উন্নত জল ব্যবস্থাপনার, জলের মান বর্ধন এবং আরও সংশ্লিষ্ট বিষয়ের দিক নিশ্চিত করার ওপর। গ্রামবাসীদের সমর্থনের মধ্য দিয়ে আমি এই দায়বদ্ধতার সাফল্য প্রত্যক্ষ করতে পারছি। আমি দেখছি গ্রামবাসী নিজেদের ওপর দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন। ফলে সরকারের আর বেশি চিন্তিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। খুব সুচারুভাবে কাজ এগিয়ে চলেছে। গ্রামে দ্রুত জল কমিটি গড়ে তুলতে হবে। প্রত্যেককে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে এবং এই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। আপনাদের উচিত এক্ষেত্রে আমাকে সাহায্য করা। 

বন্ধুগণ,

ভারত সরকার গ্রামাঞ্চলে মহিলাদের সশক্তিকরণে বিরাট লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছে। এর উদ্দেশ্য হল স্বনিযুক্তির সুযোগ বৃদ্ধি করে গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা। বিগত কয়েক বছরে প্রায় ১০ কোটি বোন, কন্যা এবং দিদি স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছেন। এইসব মহিলারা ব্যাঙ্ক মারফৎ ৫০ হাজার কোটি টাকা পেয়েছেন। খবরের কাগজে এই তথ্য আপনারা পাবেন না। প্রকৃত তথ্য হল সাড়ে ৭ লক্ষ কোটি টাকা এদেশের ব্যাঙ্ক মারফৎ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হাতে পৌঁছানোর অর্থ এক বিরাট বিপ্লবসাধন। কোটি কোটি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে যুক্ত থেকে এই অভিযানকে সার্থক রূপ দিচ্ছেন। আমি ইতিপূর্বেও বলেছি, ২ কোটি নতুন লাখপতি মহিলা আমি তৈরি করতে চাই। আমার বোনদের এবং স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর সক্রিয় সহযোগিতায় এই অভিযানকে আমি সার্থক রূপ দিতে চাই। যতই আপনারা এগিয়ে আসবেন এবং সক্রিয়ভাবে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হলে ২ কোটি লাখপতি দিদির লক্ষ্যপূরণ অনায়াসে সম্ভব হবে। বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা এই অভিযানকে এক ভিন্ন মাত্রা দিচ্ছে। 

বন্ধুগণ,

কৃষিক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহারকে উৎসাহ দিয়ে সরকার এক নতুন অভিযানের সূচনা করেছে। বোন, কন্যা ও দিদিদের এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে স্বশক্তি প্রদান করা হচ্ছে । মোদীর গাড়ির মূল আকর্ষণ এখানে। এটা কী? একে বলা হয় নমো ড্রোন দিদি। কিছু কিছু মানুষ বলেন, নমো দিদি। নমো ড্রোন দিদি এই প্রকল্পে ১৫০০০ ড্রোন স্বয়ংম্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত বোনেরা প্রথম দফায় পাবেন। বোনেদের হাতে এই ড্রোন পৌঁছোনোর ফলে কেউ আর এখন ট্রাক্টরের কথা বলছেন না। নমো ড্রোন দিদিদের প্রশিক্ষণের কাজ শুরু হয়ে গেছে। এই অভিযানের ফলে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলোর উপার্জন বাড়বে। গ্রামের বোনেরা নতুন আত্মবিশ্বাস লাভ করবেন ফলে তা আমাদের কৃষকদের উপকারসাধন করবে। কৃষিতে আধুনিকতা আসবে এবং তা আরও বেশি বিজ্ঞাননির্ভর হয়ে উঠবে। ফলে বর্জ্যের পরিমাণ করবে। অধিকন্তু এতে সঞ্চয় বৃদ্ধি পাবে।
আমার পরিবারের সদস্যবৃন্দ,
দেশজুড়ে ছোট কৃষকদের সংগঠিত করতে অভিযান চালানো হচ্ছে। আমাদের দেশে বেশিরভাগ কৃষকের জমি ছোটো আকারের। আশি থেকে পঁচাশি শতাংশ কৃষকের এক থেকে দু একর জমি রয়েছে। ফলে অনেক বেশি করে কৃষক এই গোষ্ঠীতে যোগ দিলে তাদের শক্তি বৃদ্ধি পাবে। ফলে কৃষক উৎপাদন সংগঠনগুলিকে মজবুত করা হচ্ছে। প্রাথমিক কৃষি ঋণ সমিতিগুলোকে এবং গ্রামে অন্য সমবায় উদ্যোগগুলোকে শক্তিশালী করা হচ্ছে।
ভারতের গ্রামজীবনে অনন্য নজির সৃষ্টিকারী সমবায়গুলোকে সম্মুখসারিতে নিয়ে আসা হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে দু লক্ষ গ্রামে আমরা নতুন প্যাকস স্থাপন করতে চলেছি। যেখানে দুধের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সমবায় নেই সেখানে এর প্রসার ঘটানো হবে। এরফলে দুগ্ধ কৃষকরা অনেক ভালো দাম পাবেন।
বন্ধুগণ,
আমাদের গ্রামাঞ্চলে মজুত ভান্ডারের অভাব এখন এক আলোচনার বিষয়। ছোটো কৃষকরা চটজলদি তাদের ফসল বিক্রি করে দেন। এরফলে তারা উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম পান না। কৃষকদের এই সমস্যা দুর করতে দেশজুড়ে বেশি করে মজুত ভান্ডার গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। লক্ষ লক্ষ মজুত ভান্ডার গড়ে তুলতে হবে। প্যাকসের মতো সমবায় সংস্থাগুলোর ওপর এই দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে।
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্রে দু’ লক্ষের বেশি অনুশিল্প সংস্থা গড়ে তোলার কাজ এগিয়ে চলেছে। এক জেলা এক পণ্যের প্রচারাভিযানের বিষয়টার সঙ্গে আপনারা সম্ভবত পরিচিত। এর উদ্দেশ্য হলো প্রত্যেকটি জেলা থেকে অন্তত একটি পণ্যকে আন্তর্জাতিক বাজারে তুলে ধরা। এই অভিযানের মধ্যে দিয়ে প্রত্যেকটি জেলাকে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করে তোলা যাবে।
আমার পরিবারের সদস্যবৃন্দ,
এই বিকশিত ভারত সংকল্পযাত্রায় আরও একটি বিষয়ের ওপর আমাদের নজর দিতে হবে তা হলো ভোকাল ফর লোকাল-এর বার্তা। প্রতিটি গ্রামে , প্রতিটি রাস্তায় এই বার্তা ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হবে। এইমাত্র কোটার এক বোনের কাছ থেকে এবং দেওসারের রুবিকাজীর কাছ থেকে আমরা শুনলাম। তাঁরাও ভোকাল ফর লোকাল-এর ওপর জোর দিচ্ছেন। কৃষকের ঘামের গন্ধ লেগে আছে, ভারতের তরুণ সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং ভারতের মৃত্তিকার সঙ্গে যুক্ত দ্রব্যসামগ্রী আমাদের কেনা দরকার। আমাদের গৃহের খেলনাদ্রব্যও শুরু থেকে ভারতে তৈরি হতে হবে। খাবার টেবিলে ভারতে উৎপাদিত খাদ্যসামগ্রী খাওয়ার অভ্যাস আমাদের গড়ে তোলা দরকার। উন্নত মানের দই ভালো মোড়কে দেখে আমাদের বিহ্বল হওয়ার কোন কারণ নেই।
আমি শুনলাম সংকল্প যাত্রা যেখানেই পৌঁছোচ্ছে সেখানকার  স্থানীয় পণ্য, স্টল,দোকান এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তৈরি দ্রব্য সামগ্রীর সম্পর্কে নানা তথ্য সেখানে দেওয়া হচ্ছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর পণ্যসামগ্রীও প্রদর্শন করা হচ্ছে। সরকারী আধিকারিকরাও তাদের জানিয়ে দিচ্ছেন জেম পোর্টালে কিভাবে সেইসব পণ্যসামগ্রী নথিভুক্ত করতে হয়। এই ছোটো ছোটো প্রয়াসের মধ্যে দিয়েই এবং প্রতিটি গ্রামের প্রতিটি পরিবারের প্রয়াসের মধ্যে দিয়েই দেশ বিকশিত ভারতের দৃঢ় সংকল্প পূরণ করতে পারবে।
মোদির গ্যারান্টি গাড়ি এগিয়ে চলবে এবং আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছোবে। আমার স্থির বিশ্বাস এই যাত্রা সফল হবে। অনেক বেশি করে মানুষের এতে যোগ দেওয়া দরকার। তাদের বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে হবে এবং এ’পর্যন্ত তাদের জন্য যে সুবিধা বরাদ্দ করা হয়েছে তা তাদের পাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হবে। এটা একটা বিরাট কাজ। আমি মনে করি যে যা পাওয়ার যোগ্য তাকে তা পেতে হবে। এই কারণেই এই যাত্রায় এত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর সুবিধা আপনারা নিন। যে বিশ্বাস ও আস্থা আপনারা দেখিয়েছেন এবং আপনাদের নিরন্তর সমর্থন আপনাদের জন্য নতুন কিছু করার আমার উদ্যমকে  আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আপনাদের আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে জানাতে চাই কোন কাজ থেকে আমি পিছিয়ে যাব না। আপনাদের উন্নতিকল্পে যা করণীয় তা করার ব্যাপারে আমি আপনাদের পূর্ণ নিশ্চয়তা দিচ্ছি। এই বিশ্বাসবশতই আমি আপনাদের শুভকামনা জানাই।
ধন্যবাদ !
প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি হিন্দীতে

    

PG/AB/NS…