নয়াদিল্লি, ১৫ নভেম্বর ২০২২
নমস্কার!
কঠিন বিশ্ব পরিস্থিতির মধ্যে জি-২০-তে সুচারু নেতৃত্ব প্রদানের জন্য আমি আন্তরিকভাবে রাষ্ট্রপতি জোকো উইডোডো-কে অভিনন্দন জানাচ্ছি। জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড অতিমারী, ইউক্রেনের উদ্ভূত পরিস্থিতি এবং নানাবিধ সমস্যা বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির সঙ্গে জড়িত। এই সমস্যাসমূহ সারা বিশ্বজুড়ে এক সঙ্কটের বাতাবরণ তৈরি করেছে। বিশ্বের সরবরাহ শৃঙ্খল দীর্ণদশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। বিশ্বজুড়ে নিত্য প্রয়োজনীয় অত্যাবশ্যক পণ্যের সঙ্কট ঘনীভূত হয়েছে। প্রত্যেক দেশেরই দরিদ্র নাগরিকদের কাছে এই সঙ্কট আরও গুরুতর। এই দ্বৈত সঙ্কটের মোকাবিলা করার মতো তাঁদের আর্থিক সামর্থ্য নেই যার ফলে প্রাত্যহিক জীবনে তাঁদের বেঁচে থাকার সংগ্রাম কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠেছে। নিঃসংশয়ে আমাদের এটা স্বীকার করে নিতে হবে যে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মতো বহুমাত্রিক প্রতিষ্ঠান এই সমস্যার সমাধান করতে পারেনি এবং এই সমস্ত ক্ষেত্রেই আমরা প্রয়োজনীয় সংস্কার নিয়ে আসতে ব্যর্থ হয়েছি। ফলে, জি-২০-র কাছ থেকে বিশ্বের প্রত্যাশা এখন অনেক বেশি। আমাদের এই গোষ্ঠীর প্রাসঙ্গিকতা এখন আরও বেশি করে অনুধাবন করা যাচ্ছে।
মাননীয়গণ,
আমি বারংবার বলেছি যে ইউক্রেনে যুদ্ধ বিরতির পথে গিয়ে কূটনৈতিকভাবে সমাধানসূত্র খঁজতে হবে। গত শতাব্দী জুড়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পৃথিবীর বুকে এক বিপর্যয় ডেকে এনেছিল। তারপর নেতৃবৃন্দ শান্তির পথে ফিরতে গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা চালিয়েছে। এখন আমাদের সময়। কোভিড অতিমারী পরবর্তী সময়ে বিশ্বকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার দায় এখন আমাদের ওপর বর্তাচ্ছে। বিশ্বের শান্তি, সম্প্রীতি ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে অটল সঙ্ঘবদ্ধ সঙ্কল্প এখন সময়ের চাহিদা। আমি স্থির নিশ্চিত যে আগামী বছর বুদ্ধ এবং গান্ধীর পবিত্র ভূমিতে যখন জি-২০ শিখর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, আমরা ঐকমত্যের ভিত্তিতে সারা বিশ্বের কাছে শান্তির এক দৃঢ় বার্তা পৌঁছে দিতে পারব।
মাননীয়গণ,
অতিমারীর সময় ভারত ১৩০ কোটি দেশবাসীর খাদ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেছে। সেই সময়েই বিশ্বের অনেক দেশের প্রয়োজনের মুহূর্তে তাদের কাছে খাদ্যশস্য পৌঁছে দিতে পেরেছি আমরা। খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বর্তমানে সারের ঘাটতি এক বিরাট সঙ্কটের সৃষ্টি করেছে। আজকের দিনে সারের সঙ্কট আগামীদিনে খাদ্য সঙ্কট ডেকে নিয়ে আসবে। এক্ষেত্রে বিশ্বের কাছে কোনো সমাধানের পথ খোলা নেই। সার এবং খাদ্যশস্যের স্থায়িত্ব সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরবরাহ শৃঙ্খল বজায় রাখার জন্য আমাদের সহমত গড়ে তুলতে হবে। ভারতে সুস্থায়ী খাদ্য নিরাপত্তার জন্য আমরা প্রাকৃতিক কৃষি পদ্ধতি এবং বাজরার মতো পুষ্টিকর ও প্রথাগত খাদ্যশস্যকে পুনরায় জনপ্রিয় করছি। বাজরা বিশ্বের অপুষ্টি এবং ক্ষুধাকে দূর করতে পারে। আগামী বছর ‘আন্তর্জাতিক বাজরা বর্ষ’ আমরা উৎসাহের সঙ্গে উদযাপন করব।
মাননীয়গণ,
ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি হওয়ার সুবাদে ভারতের শক্তি নিরাপত্তা বিশ্বের আর্থিক বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য শক্তিক্ষেত্রের বাজারের স্থায়িত্ব সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে শক্তি সরবরাহের ক্ষেত্রে কোনো বিধি-নিষেধ আরোপ কোনভাবেই আমরা মেনে নিতে পারি না। ২০৩০-এর মধ্যে অর্ধেক বিদ্যুৎ পুনর্নবীকরণযোগ্য ক্ষেত্র থেকে উৎপাদিত হবে। অন্তর্ভুক্তিমূলক বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলিকে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি সহায়তা এবং সময়-ভিত্তিক ও সহজ শর্তে আর্থিক যোগান সুনিশ্চিত করতে হবে।
মাননীয়গণ,
ভারতের জি-২০ সভাপতিত্বকালে এই সমস্ত বিষয়ে আমরা বিশ্বজুড়ে ঐকমত্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করব।
ধন্যবাদ।
প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি ছিল হিন্দিতে
PG/AB/DM
At the @g20org Summit this morning, spoke at the session on Food and Energy Security. Highlighted India’s efforts to further food security for our citizens. Also spoke about the need to ensure adequate supply chains as far as food and fertilisers are concerned. pic.twitter.com/KmXkeVltQo
— Narendra Modi (@narendramodi) November 15, 2022
In India, in order to further sustainable food security, we are emphasising on natural farming and making millets, along with other traditional food grains, more popular. Also talked about India’s strides in renewable energy.
— Narendra Modi (@narendramodi) November 15, 2022