Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

বালিতে জি২০ শিখর সম্মেলনে তৃতীয় পর্বে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণের বঙ্গানুবাদ: ডিজিটাল পরিবর্তন

বালিতে জি২০ শিখর সম্মেলনে তৃতীয় পর্বে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণের বঙ্গানুবাদ: ডিজিটাল পরিবর্তন


নয়াদিল্লি,  ১৬  নভেম্বর, ২০২২

 

মাননীয়,

আমাদের এই শতকে ডিজিটাল পরিবর্তন সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এক পরিবর্তন। ডিজিটাল প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে চলা সমগ্র বিশ্বের লড়াইকে সহজ করে দিতে পারে। ডিজিটাল সমাধান জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও সহায়ক হয়ে উঠতে পারে- আমরা কোভিডের সময় ইতিমধ্যেই দেখতে পেয়েছি দূর নিয়ন্ত্রিত কাজ বা কাগজহীন সবুজ অফিসে কাজের উদাহরণ। কিন্তু এই উপকারগুলি তখনই অনুভূত হবে যখন ডিজিটাল প্রযুক্তি ছড়িয়ে পড়বে ব্যাপকভাবে এবং সকলের কাছেই ডিজিটাল সুবিধা থাকবে। দুর্ভাগ্যবশত আমরা এখনও পর্যন্ত এই শক্তিশালী ব্যবহার কেবলমাত্র বাণিজ্য সরলীকরণের ক্ষেত্রেই দেখেছি। প্রতিটি দেশের প্রতি কোণায় ডিজিটাল পরিবর্তনের সুবিধা যেন পৌঁছে যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করা আমাদের জি২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির দায়িত্ব।

ভারত বিগত কয়েক বছর ধরে নিজের অভিজ্ঞতায় দেখেছে আমরা ডিজিটাল স্থাপত্য কীভাবে সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন আনতে পারে। ডিজিটাল ব্যবহার কাজে গতি আনে, শাসন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতাও আনা সম্ভব। ভারতে বর্তমানে ডিজিটাল বিপ্লব চলছে। উদাহরণ হিসেবে আমাদের ইউনিফায়েড পেমেন্ট ইন্টারফেস বা ইউপিআই ব্যবস্থার কথা বলা যায়।

বিগত বছরে বিশ্বের ৪০ শতাংশ আর্থিক লেনদেন ইউপিআই-এর মাধ্যমে হয়েছে। পাশাপাশি আমরা ৪৬ কোটি নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছি কেবলমাত্র ডিজিটাল পরিচয়ের ওপর ভিত্তি করে। আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণে ভারতকে অগ্রণী নেতা হিসেবে গড়ে তুলছি আমরা। আমাদের কো-উইন প্ল্যাটফর্ম মানব জাতির ইতিহাসে বৃহত্তম টিকাকরণ অভিযানকে সফলভাবে সম্পন্ন করতে সাহায্য করেছে। অতিমারীর পরিস্থিতির মধ্যেও এই সাফল্য পেয়েছি আমরা।

মাননীয়গণ,

ভারতে আমার জনগণের কাছে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা পৌঁছে দিচ্ছি। কিন্তু আন্তর্জাতিক স্তরে ডিজিটাল ক্ষেত্রে এখনও বিশাল পার্থক্য রয়েছে। বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলির অনেক নাগরিকদের কাছে এখনও পর্যন্ত কোনো ধরনের ডিজিটাল পরিচয় নেই। মাত্র ৫০টি দেশে ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থাপনা রয়েছে। “বিশ্বের কোনো নাগরিক যেন ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন সে জন্য আগামী ১০ বছরে প্রত্যেক মানব জাতির জীবনে আমরা ডিজিটাল পরিবর্তন আনবো। এই অঙ্গীকার কী আমরা একসঙ্গে নিতে পারি?”

জি২০ সভাপতিত্বকালে আগামী বছরে ভারত এই লক্ষ্যে জি২০ সহযোগী দেশগুলির সঙ্গে একযোগে কাজ করবে। আমাদের মূল লক্ষ্য হবে ‘উন্নয়নের জন্য তথ্য’ যা আমাদের পৌরহিত্যকালের যে সামগ্রিক মূল ভাবনা ‘এক বিশ্ব, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’-রয়েছে, তারই অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠবে।

আপনাদের ধন্যবাদ।

এটি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের আনুমানিক বঙ্গানুবাদ। মূল বক্তব্য ছিল হিন্দিতে।

 

PG/PM/NS