Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

বাওলিয়ালি ধাম-এর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

বাওলিয়ালি ধাম-এর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ


নয়াদিল্লি, ২০ মার্চ, ২০২৫

 

মহন্ত শ্রী রাম বাপুজি, সমাজের অগ্রণী ব্যক্তিবর্গ, এই অনুষ্ঠানে লক্ষ লক্ষ ভক্ত ভাই ও বোনেদের নমস্কার, জয় ঠাকর!

সবার আগে আমি ভারওয়াড় সমাজের পরম্পরা এবং সমস্ত পূজ্য সন্ন্যাসী-মহন্ত ও এই পরম্পরার জন্য জীবন অর্পণকারী সমস্ত ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা ও প্রণাম জানাই। আজ আমার খুশি অনেকগুণ বেড়ে গেছে। এবার যে মহাকুম্ভ হয়েছে, সেটা তো ঐতিহাসিক ছিলই, কিন্তু আমাদের জন্য গর্বের বিষয় হল যে এই মহাকুম্ভের পুণ্য উপলক্ষে মহন্ত শ্রী রাম বাপুজি-র মহামণ্ডলেশ্বর উপাধি প্রাপ্তি। এটা অত্যন্ত বড় ঘটনা, আর আমাদের সবার জন্য অনেকগুণ আনন্দের ব্যাপার। রাম বাপুজি এবং সমাজের সমস্ত পরিবারকে আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভকামনা।

বিগত এক সপ্তাহে মনে হচ্ছে যেন ভাবনগরের মাটি ভগবান কৃষ্ণের বৃন্দাবনে পরিণত হয়েছে, তার ওপর সোনায় সোহাগা, আমাদের ভাইজির পাঠে ভাগবত কথা, যেভাবে শ্রদ্ধা সহকারে সবাই শুনছিলেন, যেভাবে সবাই কৃষ্ণভাবে নিমজ্জিত হচ্ছিলেন, এমন আবহ তৈরি হয়েছিল। আমার প্রিয় স্বজন, বাওলিয়ালি ধাম কেবল একটি ধর্মস্থান নয়, ভারওয়াড় সমাজ সহ অনেকের জন্য আস্থা, সংস্কৃতি এবং একতার প্রতীক।

নাগা লাখা ঠাকরের কৃপায় এই পবিত্র স্থানের মানুষ, এখানকার ভারওয়াড় সম্প্রদায়ের মানুষ সর্বদা প্রকৃত দিশা, অনুপ্রেরণার অসীম ঐতিহ্য পেয়েছেন। আজ এই ধামে শ্রী নাগা লাখা ঠাকর মন্দিরের পুনঃপ্রাণপ্রতিষ্ঠা আমাদের জন্য সোনালী সুযোগ এনে দিয়েছে। বিগত এক সপ্তাহ ধরে যেভাবে এখানে ধুমধাম করে উৎসব পালিত হচ্ছে, এই সমাজের যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে, তা চারিদিক থেকে প্রশংসা পাচ্ছে। আপনাদের মধ্যে পৌঁছনোর ইচ্ছা আমার সব সময়েই থাকে, কিন্তু সংসদের কাজের ব্যবস্থায় সময় বের করা মুশকিল হয়ে পড়ে। কিন্তু যখন আমাদের হাজার হাজার বোনেদের উদ্যোগে এই রাস উৎসব পালনের কথা শুনি, তখন মনে হয় যে বাঃ, তাঁরা ওখানেই বৃন্দাবনকে জীবন্ত করে তুলেছেন। 

আস্থা, সংস্কৃতি এবং পরম্পরার মেলবন্ধন আর এই মহামিলন সকলের মনকে প্রসন্ন করে তোলে। এই সমস্ত অনুষ্ঠানে আমাদের শিল্পী ভাই-বোনেরা অংশগ্রহণ করে এই আবহকে আরও জীবন্ত করে তোলেন এবং সমাজকে সময়োপযোগী বার্তা দেওয়ার কাজ করেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে ভাইজিও তাঁর অমৃত কথার মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে নিজের বার্তা দেন। সেজন্য তাঁকে যত অভিনন্দনই আমি জানাই না কেন, তা কম পড়ে যাবে। 

আমি মহন্ত শ্রী রাম বাপুজি এবং বাওলিয়ালি ধামের এই পবিত্র অনুষ্ঠানে আমাকে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার জন্য তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমার তো ক্ষমা চাওয়া উচিত, কারণ এহেন পবিত্র উপলক্ষে আপনাদের মধ্যে সশরীরে আসতে পারিনি। আমার ওপর আপনাদের জন্মসিদ্ধ অধিকার রয়েছে। ভবিষ্যতে যখনই ওদিকে যাব, অবশ্যই কপাল ঠেকাতে চলে যাব।

আমার প্রিয় পরিবারজন,

ভারওয়াড় সমাজের সঙ্গে, বাওলিয়ালি ধামের সঙ্গে আমার সম্পর্ক আজ-কালের নয়, অনেক পুরনো। ভারওয়াড় সমাজের সেবা এবং তাঁদের প্রকৃতি প্রেম, গো-সেবাকে শব্দ দিয়ে ব্যাখ্যা করা কঠিন। আমাদের সকলের মুখ দিয়ে একটি কথা অবশ্যই বেরিয়ে আসে – 
“নাগা লাখা নর ভলা,
পচ্ছম ধরা কে পীর।
খারে পানী মিঠে বানায়ে,
সূকী সূখী নদিয়োঁ মে বহায়ে নীর।”
(নাগা লাখা পবিত মানুষ,
পশ্চিম ভূমির সন্ন্যাসী।
তিনি লবণাক্ত জলকে মিষ্টি করেন,
আর শুকনো নদীতে জলধারা এনে দেন।)

এগুলি নিছকই শব্দ নয়। সেই যুগে সেবাভাব, কঠিন কাজ (গুজরাটি প্রবাদ অনুযায়ী, নেওয়া কে পানী মোভে লগা লিয়ে) অর্থাৎ, শুকনো কুঁয়ো থেকে জল বের করে আনা। সেবার কাজেও প্রকৃতিকরণের এই দৃষ্টান্ত প্রতি পদক্ষেপে সেবার সুরভিকে ছড়িয়ে দেয়। আজ অনেক শতাব্দী পরেও মানুষ তাঁকে যে স্মরণ করছে এটা অনেক বড় কথা। পূজনীয় ইসু বাপুর সেবাকর্মের আমি প্রত্যক্ষ সাক্ষী। আমাদের গুজরাটে খরা নতুন কথা নয়। একটা সময় ছিল, দশ বছরের মধ্যে সাত বছরই খরাক্রান্ত হত। গুজরাটে বলা হয় যে ধন্দুকায় (খরাগ্রস্ত এলাকা) মেয়ের বিয়ে দিও না। গুজরাটিতে লাইনটা হল এরকম – বন্দুকে দেজো পণ ধন্দুকে ন দেতা। অর্থাৎ, মেয়ের বিয়ে খরাগ্রস্ত এলাকায় দেওয়ার চাইতে তাকে গুলি মেরে উড়িয়ে দাও। ধন্দুকা বা আমাদের রাণপুরও জলের জন্য ছটফট করতে থাকা একটি অঞ্চল। আর সেই সময় পূজনীয় ইসু বাপু যে পরিশ্রম করেছিলেন, খরা পীড়িতদের সেবায় যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তা অবিস্মরণীয়। শুধু আমি নই, সমগ্র গুজরাটের মানুষ তাঁর এই কাজগুলিকে দেবকার্য বলে মনে করেন। প্রত্যেকেই তাঁর প্রশংসা করেন। যাযাবর বা যেসব জাতির মানুষদের প্রতিনিয়ত স্থানান্তরিত হতে হয়, সেই ভাই-বোনেদের সেবায় তাঁদের ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা প্রদানের যে উদ্যোগ, পরিবেশের প্রতি বাপুজির যে সমর্পণ, গির-এর গো-মাতার জন্য যে সেবা তিনি করে গেছেন, তা অতুলনীয়। 

আমার প্রিয় পরিবারজন,

ভারওয়াড় সমাজের লোকেরা কোনো সময়েই পরিশ্রম এবং ত্যাগের ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকেন না, সর্বদাই তাঁরা এগিয়ে থাকেন। আপনারা জানেন যে, আমি যখনই আপনাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তখনই বেশ কিছু তিক্ত কথাও বলেছি। আমি ভারওয়াড় সমাজকে বলেছি যে এখন লাঠির দিন নেই। লাঠি নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে আপনারা জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু এখন কলমের দিন এসেছে। আর আমি গর্বের সঙ্গে বলতে চাই, আমি যতদিন গুজরাটের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি, ভারওয়াড় সমাজের নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা আমার উপদেশ মেনে নিয়েছে। তাঁদের ছেলে-মেয়েরা পড়াশোনা করে এগিয়ে গিয়েছে। আগে বলতাম, লাঠি ছেড়ে কলম ধরো, এখন বলছি, আমাদের মেয়েদের হাতেও কম্পিউটার থাকা উচিত। পরিবর্তিত সময়ে আমরা অনেক কিছু করতে পারি। এটাই আমাদের প্রেরণা যোগাবে। আমাদের সমাজ প্রকৃতি-সংস্কৃতির রক্ষক। আপনারাই প্রকৃত ‘অতিথি দেব ভবঃ’ সংস্কৃতিকে জীবন্ত করে তুলেছেন। আপনাদের এখানকার পশুপালক বলওয়া সমাজের পরম্পরা সম্পর্কে মানুষ খুব কম জানে। ভারওয়াড় সমাজের বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের কাউকে কখনও বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানো হয় না। যৌথ পরিবার, গুরুজনদের প্রতি সেবাকে এখানকার মানুষ পরমাত্মার প্রতি সেবা বলে মনে করে। বয়স্কদের বৃদ্ধাশ্রমে না পাঠিয়ে তাঁরা তাঁদের সেবা করে। তাঁরা তাঁদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও যেভাবে এই শিষ্টাচার দিয়েছে, তা আজকের সমাজে অনেক বড় কথা। ভারওয়াড় সমাজের সামাজিক জীবনের নৈতিক মূল্য, তাঁদের পারিবারিক মূল্যবোধকে সর্বদা শক্তিশালী করে তুলতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে আপনারা চেষ্টা করে গেছেন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আমাদের সমাজ আমাদের এই পরম্পরাগুলিকে সামলে রেখেছে। আবার, আধুনিকতার তীব্র গতিতে এগিয়েও যাচ্ছে। যাযাবর জাতিগুলির পরিবারের শিশুরা যাতে পড়াশোনা করতে পারে, তাদের জন্য ছাত্রাবাসের ব্যবস্থা থাকে, তা সুনিশ্চিত করা একটি বড় কাজ।  সমাজ ও দেশকে আধুনিকতার সঙ্গে যুক্ত করার কাজ। এর ফলে দেশে বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার নতুন নতুন সুযোগ তৈরি হবে। এটাও একটি বড় কাজ। 

এখন আমার ইচ্ছা যে আমাদের মেয়েরা ক্রীড়াক্ষেত্রে এগিয়ে আসুক। এজন্য আমাদের অনেক কাজ করতে হবে। যখন আমি গুজরাটের দায়িত্বে ছিলাম, তখন খেল মহাকুম্ভ শুরু করেছিলাম, যেখানে ছোট ছোট মেয়েরা অংশগ্রহণ করত এবং পুরস্কারও জিতত। মেয়েদের মধ্যে ঈশ্বর যে বিশেষ শক্তি দিয়েছে তাকে বিকশিত করার কথা আমাদের ভাবতে হবে। আমরা পশুপালন নিয়ে চিন্তা করি। পশুদের কিছু হলে তাদের সুস্থ করার জন্য সবরকম চেষ্টা করি। একইরকমভাবে আমাদের ছেলে-মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ নিয়ে ভাবতে হবে। বাওলিয়ালি ধাম পশুপালনে এগিয়ে আছে, বিশেষ করে যেভাবে এখানকার গির গাভীদের প্রজাতিকে সামলে রেখেছে, তার জন্য সমস্ত দেশ গর্বিত। আজ বিশ্বের সর্বত্র গির গাভীদের চাহিদা বেড়েছে। 

আমার প্রিয় পরিবারজন,

ভাই ও বোনেরা, আমরা ভিন্ন নই। আমরা সবাই পরস্পরের সঙ্গী। সেজন্য সব সময় আপনাদেরকে আমার পরিবারের মানুষ বলে মনে হয়। আজ বাওলিয়ালি ধামে আমার পরিবারের লক্ষ লক্ষ মানুষ এসে বসেছেন, আমার অধিকার রয়েছে যে আমি আপনাদের কাছে কিছু চাই। আমি আপনাদের কাছে চাই আর অনুরোধ জানাই, আর আমার পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে যে আপনারা কখনও আমাকে নিরাশ করবেন না। আমরা এখন যেরকম আছি, সেরকম আর থাকব না। একটি বড় লাফ দিতে হবে। আর ২৫ বছরে ভারতকে উন্নত দেশে পরিণত করতে হবে। আপনাদের সাহায্য ছাড়া আমার কাজ অসম্পূর্ণ থাকবে। সমগ্র সমাজকে এই কাজের সঙ্গে জুড়তে হবে। আপনাদের হয়তো মনে আছে যে আমি লালকেল্লার প্রাকার থেকে বলেছিলাম, ‘সবকা প্রয়াস’ই আমাদের সবচাইতে বড় মূলধন। ভারতকে উন্নত ভারতে পরিণত করার প্রথম পর্যায়ে আমাদের গ্রামকে উন্নত করতে হবে। আজ প্রকৃতি এবং পশুপালন আমাদের সহজ ধর্ম। তাহলে কি আরও একটা কাজ করতে পারব না? কেন্দ্রীয় সরকারের একটি প্রকল্প রয়েছে যা সম্পূর্ণ নিঃশুল্ক, ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ – যাকে আমাদের এখানে খুরপকা এবং মুঁহপকা বলা হয়, তাকে আমরা রোগ হিসেবে জানি। সেজন্য নিয়মিত টিকা নিতে হয়। তবেই আমাদের পশুগুলি এই রোগ থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। এটা করুণার কাজ। এখন সরকার বিনামূল্যে পশুদের টিকা দিচ্ছে। আমাদের সুনিশ্চিত করতে হবে যে আমরা এক্ষেত্রে সচেতনতা বাড়িয়ে আমাদের গৃহপালিত পশুদেরকে রক্ষা করব। তবেই আমরা নিরন্তর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদ পাব। আমাদের বাপুজি আশীর্বাদ দিয়ে আমাদের সাহায্য করবেন। 

আমাদের সরকার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। আগে কৃষকদের কাছেই কিষাণ ক্রেডিট কার্ড ছিল। এখন আমাদের পশুপালকদের জন্যও ক্রেডিট কার্ড সুনিশ্চিত করা হয়েছে। এই কার্ডের মাধ্যমে পশুপালকরা ব্যাঙ্ক থেকে কম সুদে ঋণ পেতে পারেন। গাভীদের দেশী প্রজাতির সংখ্যা বৃদ্ধি ও তাদের সংরক্ষণের জন্য রাষ্ট্রীয় গোকুল মিশনও চালু রয়েছে। আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ যে আমি দিল্লি বসে এসব করব, আর আপনারা এর সুবিধা নেবেন না, এটা চলতে পারে না। আপনারা এগিয়ে এসে এগুলির সুবিধাভোগী হোন। তাহলে আপনাদের পাশাপাশি আমি লক্ষ লক্ষ পশুদেরও আশীর্বাদ পাব। সমস্ত জীবের আশীর্বাদ পাব। সেজন্য আপনাদের প্রতি আমার নিবেদন, এই প্রকল্পগুলির সুবিধা আপনারা গ্রহণ করুন। 

আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা যা আমি আগেও বলেছি, আজ আবার বলছি, আমরা সবাই বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব জানি। এবছরও আমি অভিযান চালিয়েছি। আমাদের এই অভিযানকে সারা পৃথিবীর মানুষ প্রশংসা করছে তার নাম হল – ‘এক পেঢ় মা কে নাম’ বা মায়ের নামে একটি গাছ। আপনার মা জীবিত থাকলে তাঁর উপস্থিতিতে তাঁর নামে গাছ লাগান। আর যদি তিনি জীবিত না থাকেন, তাহলে তাঁর ফটো সামনে রেখে তাঁর স্মৃতিতে একটি গাছ লাগান। আমরা ভারওয়াড় সমাজের মানুষেরা তো সমাজের এমন অংশ যাঁদের তৃতীয়-চতুর্থ প্রজন্মের বৃদ্ধ-বৃদ্ধারাও ৯০-১০০ বছর পর্যন্ত জীবিত থাকেন, আর আমরাও তাঁদের সেবা করি। এখন পরিবেশের প্রয়োজনে আমাদের মায়ের নামে গাছ লাগাতে হবে আর গর্ব করতে হবে যে এই গাছটি আমার মায়ের নামে অথবা আমার মায়ের স্মৃতিতে লাগানো হয়েছে। আপনারা জানেন, আমরা পৃথিবী মাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি। আমরা তাঁর গর্ভ থেকে জল টেনে আনছি, তাঁর মাটিতে রাসায়নিক মেশাচ্ছি। এভাবে আমরা মাকে তৃষ্ণার্থ করে তুলেছি, বিষাক্ত করে তুলেছি। এই পৃথিবী মাকে সুস্থ করে তোলার দায়িত্ব আমাদের সকলের। আমাদের পশুপালকদের জন্য বিশেষ করে পশুর গোবর আমাদের পৃথিবী মায়ের জন্য সম্পদ। তা পৃথিবী মাকে নতুন শক্তি যোগাবে। সেজন্য প্রাকৃতিক কৃষি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যার কাছে জমি আছে, সুযোগ আছে, তিনি অবশ্যই প্রাকৃতিক চাষ করুন। গুজরাটের রাজ্যপাল আচার্যজি প্রাকৃতিক কৃষির জন্য অনেক কিছু করছেন। আপনাদের প্রত্যেকের প্রতি আমার বিনীত নিবেদন যে চারপাশে যত ছোট-বড় জমি আছে, সেগুলিকে আমরা প্রাকৃতিক চাষের মাধ্যমে পৃথিবী মায়ের স্বাস্থ্য ফেরানোর কাজে লাগাই। 

প্রিয় ভাই ও বোনেরা,

আমি আরও একবার ভারওয়াড় সমাজকে অনেক শুভেচ্ছা জানাই এবং প্রার্থনা করি যে নাগা লাখা ঠাকরের কৃপা আমাদের সকলের ওপর বর্ষিত হোক এবং বাওলিয়ালি ধামের সঙ্গে যুক্ত সকল মানুষের ভালো হোক, উন্নতি হোক – এটাই আমার ঠাকরের চরণে প্রার্থনা। আমাদের মেয়েরা, আমাদের সমস্ত ছেলে-মেয়েরা পড়াশোনা শিখে এগিয়ে আসুক, সমাজ আরও শক্তিশালী হোক, এর থেকে বেশি আর কী চাইব। এই সোনালী সুযোগে ভাইজির বক্তব্যকে শ্রদ্ধা জানিয়ে, তাঁকে সামনে রেখে আপনারা তাঁকে অনুসরণের জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হোন, সমাজকে আধুনিক করে তোলার মাধ্যমে আরও শক্তিশালী করে তোলার পথে এগিয়ে যান। আপনাদের সঙ্গে কথা বলে আমি খুব আনন্দ পেয়েছি। সশরীরে গেলে আরও বেশি আনন্দ পেতাম। 

জয় ঠাকর!

প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ সম্পূর্ণই গুজরাটি ভাষায় ছিল। এখানে তার ভাবানুবাদ করা হয়েছে

 

SC/SB/DM