Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ


নয়াদিল্লি, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন। নতুন দিল্লিতে ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর জি-২০ শিখর সম্মেলনে যে ৯টি রাষ্ট্রকে ভারত অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে, বাংলাদেশ তার অন্যতম। প্রধানমন্ত্রী হাসিনা এই বৈঠকে যোগ দিতে এখন ভারতে। 
দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। আলোচনায় রাজনীতি, অর্থনীতি, নিরাপত্তা, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং দু’দেশের জনসাধারণের মধ্যে সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করা সহ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় স্থান পেয়েছে। এই অঞ্চলে বর্তমানে যেসব উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে, সেগুলি ছাড়াও বহুপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয় নিয়ে তাঁরা পর্যালোচনা করেছেন। 
উভয় নেতা ভারত – বাংলাদেশ সৌহার্দ্য পাইপলাইন দিয়ে জ্বালানী সরবরাহ শুরু হওয়া এবং চট্টগ্রাম ও মঙলা বন্দরের ব্যবহার সংক্রান্ত চুক্তি কার্যকর হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ভারতীয় মুদ্রার ব্যবহার শুরু হয়েছে। উভয় পক্ষই এর সুবিধাকে কাজে লাগাতে ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানিয়েছেন। 
সর্বাঙ্গীন অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি নিয়ে যে আলোচনা শুরু হয়েছে, দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী তা ফলপ্রসূ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। এই চুক্তির আওতায় পণ্য, পরিষেবা এবং বিনিয়োগে উৎসাহ দিতে সবধরনের রক্ষাকবচের বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত হবে।
বিভিন্ন সহযোগিতামূলক প্রকল্প বাস্তবায়নে উভয় নেতা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আগরতলা – আখাউড়া রেল প্রকল্প, মৈত্রী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট এবং খুলনা – মঙলা রেল প্রকল্পের যৌথ উদ্বোধনের জন্য একটি সুবিধাজনক তারিখ নির্ধারণ খুব শীঘ্রই করা হবে। 
তাঁরা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে শক্তিশালী করার জন্য স্বাক্ষরিত তিনটি চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন:
ক) ন্যাশনাল পেমেন্টস্ কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এনপিসিআই) এবং বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের মধ্যে ডিজিটাল লেনদেন সংক্রান্ত সহযোগিতা চুক্তি।
খ) ২০২৩ থেকে ২০২৫ সময়কালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচির চুক্তি।
গ) ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ এবং বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ কাউন্সিল – এর মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি।
আঞ্চলিক প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনার সময় মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে ১০ লক্ষের বেশি উদ্বাস্তু মানুষকে আশ্রয় দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন। উদ্বাস্তুদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য গঠনমূলক ও ইতিবাচক উদ্যোগে ভারতের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। 
ভারত – প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিষয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ যে নীতি ঘোষণা করেছে, ভারত তাকে স্বাগত জানিয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভবিষ্যতেও একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন তাঁরা। 
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, ভারত সরকার এবং এদেশের জনসাধারণের আতিথেয়তার জন্য সংশ্লিষ্ট সবপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ভবিষ্যতেও সর্বস্তরে আলোচনা অব্যাহত থাকবে বলে তাঁরা আশা প্রকাশ করেছেন। 

AC/CB/SB