নয়াদিল্লি, ২২ জুন, ২০২৪
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,
দু’দেশের প্রতিনিধিবৃন্দ,
সংবাদমাধ্যমের বন্ধুগণ,
নমস্কার!
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর প্রতিনিধিদলকে আমি আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। গত এক বছরে যদিও আমাদের মধ্যে প্রায় ১০ বারের মতো সাক্ষাৎকার ঘটেছে, আজকের এই বৈঠকটি একটি বিশেষ কারণে গুরুত্বপূর্ণ। কারণটি হল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সরকারের তৃতীয় মেয়াদকালে প্রথম রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসাবে এ দেশে এসেছেন।
বন্ধুগণ,
ভারতের ‘প্রতিবেশীই প্রথম’, ‘পূবে তাকাও’, ‘মিশন সাগর’ এবং ‘ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল’ সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গী – এই নীতিগুলির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বাংলাদেশ।
গত এক বছরে আমরা একযোগে জনকল্যাণমুখী অনেকগুলি প্রকল্পের কাজই সম্পূর্ণ করেছি। আখাউরা-আগরতলা রুটে ষষ্ঠ ভারত-বাংলাদেশ আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ চালু হয়ে গেছে। আবার, খুলনা-মংলা বন্দরের মধ্য দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে পণ্য পরিবহণের সুযোগও সম্প্রসারিত হয়েছে। মংলা বন্দরটি এই প্রথম রেলপথে যুক্ত করা হল। অন্যদিকে, ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন মৈত্রী তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পটির দুটি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ শুরু করে দিয়েছে। দু’দেশের মধ্যে চালু হয়েছে ভারতীয় মুদ্রায় বাণিজ্যিক লেনদেন। আবার, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিশ্বের দীর্ঘতম রিভার ক্রুজ-এর কাজ আমরা সাফল্যের সঙ্গেই সম্পূর্ণ করে ফেলেছি। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম আন্তঃসীমান্ত মৈত্রী পাইপলাইনটির নির্মাণ কাজও সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। অন্যদিকে, শক্তি ও জ্বালানি ক্ষেত্রে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার দৃষ্টান্ত হিসেবে নেপাল থেকে ভারতীয় গ্রিড ব্যবস্থায় বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানির কাজও শুরু হয়ে গেছে। মাত্র এক বছরের মধ্যেই এত বড় বড় প্রকল্পগুলি রূপায়ণের মাধ্যমে একথাই প্রমাণিত হয় যে আমাদের দু’দেশের সম্পর্কের গতি ও মাত্র কতটা গভীর ও প্রসারিত।
বন্ধুগণ,
নতুন নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রসারের লক্ষ্যে ভবিষ্যতের উপযোগী দৃষ্টিভঙ্গীও গ্রহণ করেছি আমরা। পরিবেশ-বান্ধব অংশীদারিত্ব, ডিজিটাল অংশীদারিত্ব, নিবিড় অর্থনীতি, মহাকাশ, ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উপগ্রহ আমাদের দু’দেশের অংশীদারিত্বের সম্পর্ককে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। এর ফলে, আমাদের মধ্যে যে সহযোগিতা চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে, তা থেকে উপকৃত হবেন দু’দেশের তরুণ ও যুবকরা। সংযোগ ও যোগাযোগ, বাণিজ্যিক প্রচেষ্টা এবং পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর আমরা এখন আমাদের দৃষ্টি আরও দৃঢ় ও গভীরভাবে নিবদ্ধ করেছি।
১৯৬৫ সালের আগে দু’দেশের মধ্যে যে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু ছিল, গত ১০ বছরে আমরা তা পুনরায় চালু করে দিয়েছি। এখন আমরা ডিজিটাল এবং শক্তি ও জ্বালানি সম্পর্কিত সংযোগ ও যোগাযোগের ওপর বিশেষ জোর দেব। এথেকে উপকৃত হবে দু’দেশেরই অর্থনীতি। আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে নতুন নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আমরা সেপা-র ওপর একটি নতুন চুক্তি সম্পাদনেও সম্মত হয়েছি। বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে একটি অন্তর্দেশীয় কন্টেনার ডিপো নির্মাণে ভারত বাংলাদেশকে সাহায্য করবে।
বন্ধুগণ,
৫৪টি নদী ভারত-বাংলাদেশকে যুক্ত করেছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাপনা, আগাম সতর্কতা, পানীয় জল প্রকল্প ইত্যাদি ক্ষেত্রেও আমরা আমাদের সহযোগিতার প্রসার ঘটিয়েছি। ১৯৯৬ সালের গঙ্গার জলবন্টন সম্পর্কিত চুক্তিটি আবার নতুন করে বিবেচনার জন্য কারিগরি ও প্রযুক্তি পর্যায়ে আমরা আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বাংলাদেশে তিস্তার জল সংরক্ষণ ও তার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে প্রযুক্তি ও কারিগরির একটি দল খুব শীঘ্রই বাংলাদেশ সফর করবে।
বন্ধুগণ,
আমাদের প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে প্রতিরক্ষা উৎপাদন থেকে শুরু করে সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট আলোচনাও আমরা করেছি। সন্ত্রাস মোকাবিলা, জঙ্গী আক্রমণ প্রতিরোধ এবং সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি সুরক্ষিত রাখতে আমরা আমাদের সহযোগিতাকে আরও জোরদার করে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
অন্যদিকে, ভারত মহাসাগর অঞ্চলে আমাদের দুটি দেশের একটি সাধারণ উদ্দেশ্য রয়েছে। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের যৌথ উদ্যোগ সম্পর্কে বাংলাদেশের সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। বিমস্টেক সহ অন্যান্য আঞ্চলিক তথা আন্তর্জাতিক মঞ্চেও আমাদের সহযোগিতাকে আমরা প্রসারিত করে যাব।
বন্ধুগণ,
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের মূলে রয়েছে দুটি দেশের মিলিত সংস্কৃতি এবং দু’দেশের নাগরিকদের মধ্যে যোগাযোগ। এই বিষয়টির দিকে নজর দিয়ে আমরা বৃত্তি ব্যবস্থাকে আরও প্রসারিত করা এবং সেইসঙ্গে প্রশিক্ষণ ও ক্ষমতা বৃদ্ধির কাজে সহযোগিতাকে আরও জোরদার করে তুলব। বাংলাদেশ থেকে যে সমস্ত মানুষ চিকিৎসার জন্য এ দেশে আসবেন, তাঁদের জন্য ই-মেডিকেল ভিসাও ভারতের পক্ষ থেকে চালু করা হবে। বাংলাদেশের রংপুরে আমরা একটি নতুন অ্যাসিস্ট্যান্ট হাই-কমিশন স্থাপন করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের নাগরিকদের সুবিধার্থেই আমাদের এই সিদ্ধান্ত।
আজ বিশ্বকাপ ক্রিকেট ম্যাচে ভারত ও বাংলাদেশ – দুটি দলেরই সাফল্য আমি কামনা করছি।
বন্ধুগণ,
বাংলাদেশ হল উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভারতের বৃহত্তম সহযোগী। এই কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে আমরা সর্বদাই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আসছি। বঙ্গবন্ধু যে স্থায়ী, সমৃদ্ধ এবং প্রগতিশীল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা সাকার করে তুলতে ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ। আমি নিশ্চিতভাবেই বিশ্বাস করি যে আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ রূপান্তরিত হবে এক উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে। “সোনার বাংলা”র নেতৃত্বদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমি বিশেষ প্রশংসা করি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে আমরা একত্রে ‘বিকশিত ভারত, ২০৪৭’ এবং ‘স্মার্ট বাংলাদেশ, ২০৪১’-এর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে পারব।
আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
প্রধানমন্ত্রীর মূল বিবৃতিটি ছিল হিন্দিতে।
PG/SKD/DM
Addressing the press meet with PM Sheikh Hasina of Bangladesh. https://t.co/y9B5ba7V2i
— Narendra Modi (@narendramodi) June 22, 2024
बांग्लादेश, हमारी ‘Neighbourhood First’ पॉलिसी, Act East पॉलिसी, विज़न SAGAR और इंडो-पैसिफिक विजन के संगम पर स्थित है।
— PMO India (@PMOIndia) June 22, 2024
पिछले एक ही वर्ष में हमने साथ मिल कर लोक कल्याण के अनेक महत्वपूर्ण प्रोजेक्ट्स को पूरा किया है: PM @narendramodi
आज हमने नए क्षेत्रों में सहयोग के लिए futuristic विज़न तैयार किया है।
— PMO India (@PMOIndia) June 22, 2024
ग्रीन पार्टनरशिप, डिजिटल पार्टनरशिप, ब्लू इकॉनमी, स्पेस जैसे क्षेत्रों में सहयोग पर बनी सहमति का लाभ दोनों देशों के युवाओं को मिलेगा: PM @narendramodi
Indo-Pacific Oceans Initiative में शामिल होने के बांग्लादेश के निर्णय का हम स्वागत करते हैं।
— PMO India (@PMOIndia) June 22, 2024
हम बिम्सटेक (BIMSTEC) सहित, अन्य रीजनल और अंतर्राष्ट्रीय forums पर भी अपना सहयोग जारी रखेंगे: PM @narendramodi
बांग्लादेश भारत का सबसे बड़ा डेवलपमेंट पार्टनर है, और बांग्लादेश के साथ अपने संबंधों को हम अत्यधिक प्राथमिकता देते हैं।
— PMO India (@PMOIndia) June 22, 2024
मैं बंगबंधु के स्थिर, समृद्ध और प्रगतिशील बांग्लादेश के विजन को साकार करने में, भारत की प्रतिबद्धता को दोहराता हूँ: PM @narendramodi
Glad to have welcomed PM Sheikh Hasina to Delhi today. Over the year, we have met about ten times but this visit is special because she is our first state guest after our Government returned to power for the third term. Be it the ‘Neighbourhood First’, ‘Act East’ or SAGAR policy,… pic.twitter.com/qi4q3FRNDO
— Narendra Modi (@narendramodi) June 22, 2024
Over the last year, India and Bangladesh have covered significant ground in sectors like infrastructure, connectivity, trade and energy. We are now looking ahead, seeking to work closely in areas such as green energy, digital technology and space. PM Hasina and I also reviewed… pic.twitter.com/gRJKtnn3Cc
— Narendra Modi (@narendramodi) June 22, 2024