আজ ওড়িশার বলাঙ্গির সফর করলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। ১,৫০০ কোটি টাকা মূল্যের বেশ কিছু উন্নয়নমূলক প্রকল্প চালু করলেন তিনি এবং একইসঙ্গে অনেকগুলি প্রকল্পের শিলান্যাসও করলেন প্রধানমন্ত্রী।
আজ সকালে রায়পুরে স্বামী বিবেকানন্দ বিমানবন্দরে পদার্পণ করার পর তিনি বলাঙ্গিরের দিকে রওনা হ’ল।
বলাঙ্গিরে পৌঁছে তিনি ঝাড়সুগুদার একটি মাল্টি মোডাল লজিস্টিক্স পার্ক জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন। এই পার্কটি গড়ে ওঠায় ঐ অঞ্চলে লজিস্টিক্স সংক্রান্ত ক্ষেত্রে প্রধান হাবে পরিণত হ’ল ঝাড়সুগুদা। রেল প্রকল্পেও উৎসাহ দিতে প্রধানমন্ত্রী বলাঙ্গির – বিচুপালি রেল লাইনটি উদ্বোধন করেন। এর জন্য ব্যয় হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত তিন সপ্তাহে এটি ওড়িশায় তাঁর তৃতীয় সফর। বলাঙ্গির রেলইয়ার্ডে এক জনসমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে শ্রী মোদী আরও বলেন, পূর্ব ভারত এবং ওড়িশার উন্নয়নের জন্য সরকার ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। বলাঙ্গিরে এই উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি এই প্রচেষ্টারই অঙ্গ।
প্রসঙ্গত, শ্রী মোদী নাগাভালি নদীর ওপর নির্মিত একটু সেতুর উদ্বোধন করেন। পাশাপাশি, তিনি বরপালি – দুঙ্গারিপালি এবং বলাঙ্গির – দেওগাঁ’র মধ্যে রেলপথের লাইন ডবল করার কাজটিও জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন। এর সঙ্গে ঝাড়সুগুদার – ভিজিলাগ্রাম এবং সম্বলপুর – আঙ্গুল রেলপথটিরও বৈদ্যুতিকীকরণ প্রকল্প জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন।
এরপর, শ্রী মোদী ওড়িশার সোনপুরে একটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়েরও শিলান্যাস করেন। এটি নির্মাণ করতে প্রায় ১৫.৮১ কোটি টাকার মতো লাগবে। সংযোগ এবং শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর অভিমত, শিক্ষা মানবসম্পদ বিকাশে সাহায্য করে। তবে, সংযোগের ফলেই এ ধরণের সহায়সম্পদ সুযোগে রূপান্তরিত হয়। তিনি আরও বলেন, ছ’টি রেল প্রকল্পের উদ্বোধন সংযোগ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বড়সড় প্রয়াস। মানুষের যাতায়াত এর ফলে বাড়বে সংযোগ, আমাদের শিল্প সংস্থাগুলির কাছে খনিজ সম্পদ পৌঁছে দেওয়াও আরও সহজ হবে এবং কৃষকরাও তাঁদের আনাজপাতি নিয়ে দূরের বাজারে যেতে পারবেন। এর ফলে, ওড়িশার নাগরিকদের জীবনধারণের পথও সুগম হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ধরে রাখার কর্তব্যও সরকারের। অতএব, এই সংযোগ সাংস্কৃতিক যোগাযোগকে শক্তিশালী করবে এবং ঐ রাজ্যে পর্যটনের সুযোগ আরও বাড়াবে। এই প্রসঙ্গে তিনি গান্ধহারাদি-তে নীলমাধব এবং সিদ্ধেশ্বর মন্দিরদ্বয়ের সংস্কার এবং পুনর্নবীকরণের কাজ শুরু হওয়ার জন্য তাঁর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তিনি এছাড়াও বলাঙ্গির এবং কালাহান্দিতে যথাক্রমে রানীপুর ঝরিয়াল গোষ্ঠীর প্রত্নসৌধগুলির সংস্কারের কাজেরও উদ্বোধন করেন।
SSS/SB