Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলাপচারিতায় প্রধানমন্ত্রী

বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলাপচারিতায় প্রধানমন্ত্রী


নতুন দিল্লি, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বড়দিন উপলক্ষে নতুন দিল্লির ৭, লোককল্যাণ মার্গে তাঁর সরকারি বাসভবনে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষদের সঙ্গে এক একান্ত আলাপচারিতায় মিলিত হন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ভাষণও দেন। 

বিশেষ এবং পবিত্র দিনে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য খ্রিস্টান সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। খ্রিস্টানদের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়ে ওই সম্প্রদায়ের মানুষদের সঙ্গে তাঁর ঘন ঘন সাক্ষাতের কথা উল্লেখ করেন। কয়েক বছর আগে পোপের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎকারকে স্মরণীয় মুহূর্ত আখ্যা দেন শ্রী মোদী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্রিসমাস শুধুমাত্র যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন উদযাপনের দিন নয়, এটি মূল্যবোধ ও ভালোবাসার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার দিন। তিনি বলেন, যিশু এমন এক সমাজের প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন, যেখানে সবার জন্য ন্যায় বিরাজ করবে। 

ভারতের অগ্রগতির পথে মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, একুশ শতকের আধুনিক ভারতে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সবার চেষ্টা, এই দেশকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। 

সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস এবং সবকা প্রয়াস – তাঁর সরকারের এই মন্ত্রের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “উন্নয়নের সুফল দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে দিতে এবং কেউ যাতে বঞ্চিত না হন, সেই চেষ্টা চালাচ্ছে আমাদের সরকার”। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের অবদানের কথা স্বীকার করছে। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে খ্রিস্টানদের অবদানের কথা উল্লেখ করেন শ্রী মোদী। সেই সঙ্গে বিভিন্ন খ্রিস্টান নেতা এবং চিন্তাবিদের ভূমিকার কথা স্মরণ করেন। শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের মতো ক্ষেত্রে খ্রিস্টানদের অবদানের কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। 

২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারতের অঙ্গীকারের উপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী তরুণদের শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতার কথা বলেন। শারীরিক সক্ষমতা, মিলেট, পুষ্টি এবং মাদকের বিরুদ্ধে প্রচার চালানোর জন্য খ্রিস্টান নেতাদের কাছে আবেদন জানান প্রধানমন্ত্রী। 

তিনি বলেন, “আজকের দিনে স্থায়িত্বই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।” পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, কার্বন নিঃসরণ কমানো, জৈব পচনশীল দ্রব্যের ব্যবহার প্রভৃতির মাধ্যমে এই বিশ্বকে বাসযোগ্য করে তোলার ক্ষেত্রে প্রচারের উপর জোর দেন তিনি। উৎসবের মরশুম দেশকে ঐক্যবদ্ধ করবে এবং নাগরিকদের পরস্পরের কাছে আনবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। 

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই আলাপচারিতায় যোগ দিয়েছিলেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। এঁদের মধ্যে ছিলেন, ভারতে রোমান ক্যাথলিক চার্চের কার্ডিনাল অসওয়াল্ড গ্রেসিয়াস। প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগের জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানান অসওয়াল্ড।

বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ অঞ্জু ববি জর্জ ক্রীড়া ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, খেলো ইন্ডিয়া ও ফিট ইন্ডিয়ার মাধ্যমে দেশজুড়ে এখন ক্রীড়া নিয়ে আলোচনা হচ্ছে এবং ভারতীয় অ্যাথলিটরা বিশ্ব আঙিনায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য পাচ্ছেন। এর জন্য তিনি কৃতিত্ব দেন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বকে। 

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান দিল্লি ডায়োসেসের বিশপ রেভারেন্ট ডঃ পল স্বরূপ। সমাজ এবং সাধারণ মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাজের প্রশংসা করেন তিনি। ডঃ স্বরূপ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এভাবে বড়দিন উদযাপন করতে পেরে তিনি আনন্দিত। দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজের অধ্যক্ষ জন ভার্গিস প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশের অগ্রগতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের বর্তমান নীতির প্রশংসা করেন। 

PG/MP/SKD