প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ফার্মাকোপোইয়া কমিশন ফর ইন্ডিয়ান মেডিসিন অ্যান্ড হোমিওপ্যাথি (পিসিআইএম অ্যান্ড এইচ)-কে আবারও প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে। আয়ুষ মন্ত্রকের অধীনস্থ একটি সংস্থা হিসেবে এটি আত্মপ্রকাশ করবে। ফার্মাকোপাইয়া ল্যাবরেটরি ফর ইন্ডিয়ান মেডিসিন (পিএলআইএম) এবং হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপাইয়া ল্যাবরেটরি (এইচপিএল )-এই দুটি কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগারকে সংযুক্তিকরণ করে নতুন এই প্রতিষ্ঠানে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
বর্তমানে (পিসিআইএম অ্যান্ড এইচ) আয়ুষ মন্ত্রকের অধীন একটি স্বায়ত্ত্বশাসিত সংস্থা। পিএলআইএম ও এইচপিএল౼ এই দুটি সংস্থাকে সংযুক্তিকরণের ফলে আয়ুর্বেদ, সিদ্ধা, ইউনানি এবং হোমিওপ্যাথি ওষুধের ব্যবহার, সেগুলির মান নিয়ন্ত্রণ সহ পরীক্ষানিরীক্ষার ক্ষেত্রে গতি আসবে।
এই সংযুক্তির ফলে আয়ুষ মন্ত্রকের বিভিন্ন ওষুধ এবং ওষুধ সংক্রান্ত গবেষণার প্রকাশনায় গুরুত্ব দেওয়া হবে। ১৯৪৫ সালে ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিক্স রুলসের প্রয়োজনীয় সংশোধন করে (পিসিআইএম অ্যান্ড এইচ)-কে আইনী স্বীকৃতি দেওয়া হবে এবং গবেষণাগারগুলিকে প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হবে। ডিরেক্টর জেনারেল হেলথ সার্ভিসেস, ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অ্যান্ড আয়ুর্বেদ, সিদ্ধা অ্যান্ড ইউনানি ড্রাগস টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজারি বোর্ডের সঙ্গে পরামর্শক্রমে এই সংস্থাটির গঠন করা হবে।
পিএলআইএম এবং এইচসিএল আয়ুষমন্ত্রকের অধস্তন দপ্তর এবং পিসিআইএম অ্যান্ড এইচ একটি স্বায়ত্ত্ব শাসিত সংস্থা হিসেবে এতদিন থাকলেও বর্তমানে এই সংস্থাগুলিকে সংযুক্তিকরণের পর আয়ুষমন্ত্রকের সরাসরি প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে নতুন সংস্থাটি কাজ করবে। এই সংযুক্তিকরণের ফলে ওধুষ নিয়ে গবেষণার বিভিন্ন প্রকাশনা ছাড়াও আয়ুর্বেদ, সিদ্ধা, ইউনানি এবং হোমিওপ্যাথি ওষুধের মানের সংগতিসাধন, একই ধরণের ওষুধের নকল আটকানোর মতন বিভিন্ন কাজকর্ম এই সংস্থাটি করবে।
CG/CB/SKD