Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

প্রায় ৪১ হাজার কোটি টাকার ২০০০টির বেশি রেল পরিকাঠামো প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, উদ্বোধন ও জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ প্রধানমন্ত্রীর

প্রায় ৪১ হাজার কোটি টাকার ২০০০টির বেশি রেল পরিকাঠামো প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, উদ্বোধন ও জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ প্রধানমন্ত্রীর


নয়াদিল্লি, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৪১ হাজার কোটি টাকার বেশি ২০০০টির মতো রেল পরিকাঠামো প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, উদ্বোধন ও জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন। ৫০০টি রেল স্টেশন এবং ১,৫০০টি স্থান থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ ‘বিকশিত ভারত বিকশিত রেল’ অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। 

এই উপলক্ষে তাঁর ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠান হল নতুন ভারতের নতুন সংস্কৃতির প্রতীক। তিনি বলেন, “আজকের ভারতে যা কিছু হচ্ছে, সবই নজিরবিহীন গতিতে হচ্ছে। আমরা বড় স্বপ্ন দেখি এবং তা বাস্তবায়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাই। ‘বিকশিত ভারত বিকশিত রেল’ কর্মসূচিও সেই অঙ্গীকারের বার্তা দিচ্ছে।” আজ দেশের ১২টি রাজ্যের ৩০০টির বেশি জেলায় ছড়িয়ে থাকা ৫৫০টি স্টেশনের সংস্কারের কাজ করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে, ১,৫০০টির বেশি সড়ক এবং সেতু প্রকল্পের কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। 

তিনি বলেন, প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার নানা প্রকল্পের কাজ রূপায়িত হচ্ছে। সেইসঙ্গে, অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পে কয়েক মাস আগে শুরু হওয়া ৫০০টি স্টেশনের আধুনিকীকরণের কাজের কথা উল্লেখ করেন তিনি। এই রেল প্রকল্পের জন্য দেশবাসীকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। 

প্রধানমন্ত্রী ভারতের যুবশক্তিকে বিশেষভাবে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ‘বিকশিত ভারত’-এর প্রকৃত সুবিধাভোগী হলেন এই তরুণরাই। তিনি বলেন, আজ যেসব উন্নয়ন প্রকল্পের সূচনা করা হল, সেগুলির মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং লক্ষ লক্ষ তরুণের সামনে স্বনিযুক্তির পথ খুলে যাবে। তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘বিকশিত ভারত’-এর গ্যারান্টি হল, তরুণদের স্বপ্ন এবং কঠোর পরিশ্রম, সেইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার।

প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, অমৃত ভারত স্টেশনগুলি বিকাশ এবং ঐতিহ্যের  প্রতীক হয়ে উঠবে। তিনি জানান, ভগবান জগন্নাথ মন্দিরের আদলে ওড়িশার বালেশ্বর স্টেশনের নকশা তৈরি করা হয়েছে। ষোড়শ শতকের হ্যান্ডব্লক প্রিন্টিং তুলে ধরা হয়েছে রাজস্থানের সাঙ্গানের স্টেশনে, দ্বারকাধীশ মন্দিরের আদলে দ্বারকা স্টেশন গড়ে তোলা হচ্ছে, গুরুগ্রামের আইটি সিটি স্টেশনের নকশায় তথ্যপ্রযুক্তিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। অমৃত ভারত স্টেশন গোটা বিশ্বে এক নতুন দিক উন্মোচন করবে বলে মন্তব্য করেন শ্রী মোদী। 

প্রধানমন্ত্রী জোরের সঙ্গে বলেন, ‘বিকশিত ভারত’ গত ১০ বছরে রেলের ক্ষেত্রে বিশেষ পরিবর্তন এনেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বন্দে ভারত, অমৃত ভারত, নমো ভারত-এর মতো দ্রুতগতির ট্রেনের কথা উল্লেখ করেন এবং ট্রেন ও স্টেশনগুলির ভিতরে পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি তুলে ধরেন। বিমানবন্দরগুলিতে যেসব সুযোগ-সুবিধা মেলে, দেশের রেল স্টেশনগুলিতেও গরীব ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ একই ধরনের সুবিধা পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রেল আজ মানুষের ভ্রমণকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। রেলের পরিবর্তন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত এখন বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষেত্রে ১১তম স্থান থেকে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে। একইভাবে, গত ১০ বছরে রেল বাজেট ৪৫ হাজার কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ২.৫ কোটি টাকা করা হয়েছে। শ্রী মোদী বলেন, “যখন আমরা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠব, তখন অবস্থা কী দাঁড়াবে, তা একবার কল্পনা করুন। যত দ্রুত সম্ভব ভারতকে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে রূপান্তরিত করতে মোদী সরকার নিষ্ঠা ভরে কাজ করে চলেছে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি না থাকায় অনেক অর্থের সাশ্রয় হচ্ছে এবং সেই টাকা নতুন রেললাইন বসানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে ২,৫০০ কিলোমিটার ফ্রেট করিডরের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। করদাতাদের প্রতিটি পয়সা যাত্রীদের কল্যাণের কাজে খরচ করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন শ্রী মোদী। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ব্যাঙ্কে টাকা রাখলে যেমন সুদ মেলে, ঠিক একইভাবে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ব্যয় করা অর্থ নতুন আয় এবং নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির উৎস হয়ে উঠেছে।” এ প্রসঙ্গে নতুন রেললাইন বসানোর ফলে বহুমুখী কর্মসংস্থান সৃষ্টির কথা উল্লেখ করেন শ্রী মোদী।  তিনি বলেন, বহু শিল্পে নতুন নতুন কাজের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। তাঁর কথায়, “আজ যে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে, তা হাজার হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টির গ্যারান্টি হয়ে উঠেছে।” ‘এক স্টেশন এক পণ্য’ প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, ছোট ছোট কৃষক, কারিগর এবং বিশ্বকর্মা বন্ধুরা সেখানে তাঁদের সামগ্রী বিক্রির সুযোগ পাচ্ছেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতীয় রেল শুধুমাত্র যাত্রী পরিবহণ করে না, সেইসঙ্গে ভারতের কৃষি ও শিল্পের অগ্রগতির বৃহত্তম বাহক হয়ে উঠেছে।” দ্রুতগতির ট্রেন সময় বাঁচানোর পাশাপাশি, শিল্পের খরচও কমাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। ভারতের আধুনিক পরিকাঠামোর উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত এখন গোটা বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের গন্তব্য হয়ে উঠেছে। তাঁর ভাষণে আগামী পাঁচ বছরে ভারতের অগ্রগতির রূপরেখা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী এবং বলেন যে যখন এই হাজার হাজার রেল স্টেশনের আধুনিকীকরণ করা হবে, তখন ভারতীয় রেলের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, লগ্নির ক্ষেত্রে বিপ্লব আনবে। 

 

PG/MP/DM