Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী ৩০ আগস্ট মহারাষ্ট্র সফর করবেন


নয়াদিল্লি, ২৯ আগস্ট ২০২৪

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ৩০ আগস্ট মহারাষ্ট্রের মুম্বাই এবং পালঘর সফর করবেন। মুম্বাইয়ের জিও ওয়ার্ল্ড কনভেনশন সেন্টারে প্রধানমন্ত্রী সকাল ১১টা নাগাদ গ্লোবাল ফিনটেক ফেস্ট-এ ভাষণ দেবেন। এরপর দুপুর ১-৩০ মিনিট নাগাদ তিনি পালঘরের সিডকো গ্রাউন্ডে নানা উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। 

গ্লোবাল ফিনটেক ফেস্ট, ২০২৪ পেমেন্টস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া, ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া এবং ফিনটেক কনভারজেন্স কাউন্সিল যৌথভাবে আয়োজন করছে। এটা তাদের বিশেষ অধিবেশন। ভারত এবং বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে নীতি নির্ধারক, নিয়ন্ত্রক, বিভিন্ন ব্যাঙ্ক কর্তা, শিল্প প্রতিনিধি, শিক্ষাক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তি সহ প্রায় ৮০০ বক্তা এই সম্মেলনের নানা অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন। ফিনটেক ক্ষেত্রে সর্বশেষ উদ্ভাবনী বিষয়গুলিকে এতে তুলে ধরা হবে। 

প্রধানমন্ত্রী পালঘরে ভাদাভান বন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এই প্রকল্পটি গড়ে তুলতে প্রায় ৭৬ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন পড়বে। বিশ্বমানের সমুদ্র গেটওয়ে গড়ে তোলার ফলে সমুদ্রপথে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলের মাধ্যমে দেশের বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে তা সহায়ক ভূমিকা নেবে।

পালঘর জেলার ডাহানু শহরের কাছে এই ভাদাবান বন্দর দেশের বৃহত্তম গভীর জলপথ বন্দর। আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচলের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ব্যবস্থা এর মাধ্যমে গড়ে ওঠায় সমুদ্রপথে পণ্য আমদানি-রপ্তানির খরচও কমবে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ উন্নতমানের বন্দর পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে ওঠায় অনেক কর্মসংস্থানও হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী ১,৫৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২১৮টি মৎস্য প্রকল্পেরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। দেশজুড়ে এই ক্ষেত্রের পরিকাঠামো এবং উৎপাদন প্রসারের দিকে তাকিয়ে এই ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। মৎস্যক্ষেত্রে প্রায় ৫ লক্ষ কর্মসংস্থান এতে বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী ৩৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশজুড়ে যন্ত্রচালিত মাছ ধরার নৌকাগুলির মধ্যে যোগাযোগ ও সহায়ক ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রকল্পেরও সূচনা করবেন। এতে ধাপে ধাপে ১৩টি সমুদ্র উপকূলবর্তী রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে যন্ত্রচালিত মাছ ধরার নৌকায় ১ লক্ষ ট্রান্সপন্ডার বসানো হবে। ইসরো-র উদ্যোগে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে যন্ত্রচালিত মাছ ধরার নৌকায় এই যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। এতে করে সমুদ্রে মাছ ধরে যাওয়া মৎস্যজীবীদের বিপদে তাঁরা উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ গড়ে তুলতে পারবে। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী অন্য যেসব প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তার মধ্যে রয়েছে – মৎস্য বন্দর, সুসংহত অ্যাকোয়া পার্ক প্রভৃতি। এইসব প্রকল্পগুলির মাধ্যমে মৎস্যচাষ যেমন একদিকে বৃদ্ধি পাবে, তার পাশাপাশি সমুদ্র থেকে মাছ ধরার পর তার প্রক্রিয়াকরণ সহ অন্য নানা ক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ মানুষের সুস্থায়ী কর্মসংস্থানের বন্দোবস্ত হবে। 

প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মৎস্য পরিকাঠামো প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। সেইসঙ্গে মৎস্য বন্দরগুলির আধুনিকীকরণ, মৎস্য বাজার গড়ে তোলা ও অন্যান্য নানা ব্যবস্থাও এর অন্তর্গত। সমুদ্র থেকে মাছ ধরার পর মৎস্য সংরক্ষণে স্বাস্থ্যকর বিধিসম্মত ব্যবস্থা এবং সি-ফুড তৈরির ব্যবস্থাও গড়ে তোলা হবে।

 

PG/AB/DM.