প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২৯শে ফেব্রুয়ারি চিত্রকূটে দেশ জুড়ে ১০ হাজার কৃষিপণ্য উৎপাদক সংগঠন (এফপিও) চালু করবেন।
দেশের প্রায় ৮৬ শতাংশ কৃষক হলেন ক্ষুদ্র অথবা প্রান্তিক চাষি যাঁদের হাতে ১.১ হেক্টরেরও কম জমি রয়েছে। প্রযুক্তি, বীজের মান, সার এবং কীটনাশক সহ অন্যান্য নানা আর্থিক বিষয়ে এই সমস্ত ক্ষুদ্র, প্রান্তিক এবং ভূমিহীন কৃষকরা নানারকমের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। আর্থিক সামর্থ্যের অভাবে তাঁরা তাঁদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতেও সমস্যার সম্মুখীন হন।
এই ধরনের ক্ষুদ্র, প্রান্তিক এবং ভূমিহীন কৃষকরা সমষ্টিগতভাবে এই এফপিও-গুলি থেকে সাহায্য পাবেন। এর ফলে তাঁরা একত্রিত হয়ে এই সমস্যাগুলির সমাধান করতে পারবেন। এফপিও-র সদস্যরা একজোট হয়ে প্রযুক্তি, অর্থ এবং বাজারের সুবিধা লাভ করার মধ্য দিয়ে তাঁদের রোজগার বাড়াতে সক্ষম হবেন।
পিএম-কিষাণ যোজনার বর্ষপূর্তি
এই অনুষ্ঠানে পিএম-কিষাণ যোজনার বর্ষপূর্তিও উদযাপন করা হবে।
মোদী সরকার প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি (পিএম-কিষাণ) প্রকল্প চালু করেছিলেন যার উদ্দেশ্য হল কৃষকদের আর্থিকভাবে সাহায্য করা যার ফলে তাঁরা তাঁদের কৃষিকাজ এবং গার্হস্থ্য জীবনের ব্যয়গুলি সহজে মেটাতে পারবেন।
এই প্রকল্পের আওতায় সুবিধাভোগীরা প্রতি বছর ৬ হাজার টাকা করে পেয়ে থাকেন। ২ হাজার টাকা করে বছরে তিনবার এই টাকা দেওয়া হয়। অনলাইনের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি এই টাকা চলে যায়।
২০১৯-এর ২৪শে ফেব্রুয়ারি এই প্রকল্পটি চালু হয়েছিল যার চলতি বছরের ২৪শে ফেব্রুয়ারি সফল বর্ষপূর্তি হয়েছে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ক্ষমতা গ্রহণের পর মোদী সরকার এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে এই পিএম-কিষাণ যোজনার সুবিধা সমস্ত কৃষকের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেয়।
কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের সঙ্গে পিএম-কিষাণ প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা
প্রধানমন্ত্রী ২৯শে ফেব্রুয়ারি পিএম-কিষাণ যোজনায় যে সমস্ত সুবিধাভোগীরা এখনও কিষাণ ক্রেডিট কার্ড পাননি, তাঁদের এই কার্ড বন্টনের কর্মসূচির সূচনা করবেন।
পিএম-কিষাণ যোজনার আওতায় প্রায় ৮ কোটি ৫০ লক্ষ সুবিধাভোগীর মধ্যে ৬ কোটি ৫০ লক্ষের বেশি সুবিধাভোগী ইতিমধ্যেই এই কার্ড পেয়েছেন।
বাকি প্রায় ২ কোটি পিএম-কিষাণ সুবিধাভোগীদের মধ্যে এখন এই কিষাণ ক্রেডিট কার্ড বন্টন করা হবে।
১২ থেকে ২৬শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পিএম-কিষাণ যোজনার আওতায় সমস্ত সুবিধাভোগীরা যেন বিশেষ হারে ঋণ পান সেই লক্ষ্যে একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সুবিধাভোগীদের একটি এক পাতার ফর্ম দেওয়া হয়েছে যেখানে তাঁরা তাঁদের ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর, জমির রেকর্ডের বিস্তারিত তথ্য ছাড়াও একটি ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছেন যেখানে উল্লেখ করা আছে অন্য কোন ব্যাঙ্কের শাখার কিষাণ ক্রেডিট কার্ড তাঁরা ব্যবহার করেন না।
২৬শে ফেব্রুয়ারির মধ্যে যেসব পিএম-কিষাণ যোজনার সুবিধাভোগীরা এই ফর্ম জমা দিয়েছেন, তাঁদের ২৯শে ফেব্রুয়ারি কিষাণ ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হবে।
CG/CB/DM
Shri @narendramodi shall also be launching 10,000 Farmers Producer Organisations all over the country at Chitrakoot tomorrow.
— PMO India (@PMOIndia) February 28, 2020
FPOs are extremely beneficial for farmers. Members of the FPO will manage their activities together in the organization to get better access to technology, input, finance and market for faster enhancement of their income.
— PMO India (@PMOIndia) February 28, 2020