Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী হিমাচল প্রদেশের বিলাসপুরের লুহনু-তে ৩,৬৫০ কোটি টাকার বেশি একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস ও জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন

প্রধানমন্ত্রী হিমাচল প্রদেশের বিলাসপুরের লুহনু-তে ৩,৬৫০ কোটি টাকার বেশি একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস ও জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন


নয়াদিল্লি, ৫ অক্টোবর ২০২২

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী পিঞ্জর থেকে নালাগড়, প্রায় ৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ চারলেনের সড়কের শিলান্যাস করেছেন। এর জন্য খরচ হবে ১,৬৯০ কোটি টাকার বেশি। প্রধানমন্ত্রী এদিন বিলাসপুরের এইমস জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করলেন। নালাগড়ের মেডিকেল ডিভাইস পার্কের শিলান্যাস করলেন। এটি তৈরি করতে খরচ হবে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী বান্দালায় সরকার হাইড্রো ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের উদ্বোধনও করেন। 

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিজয়া দশমী উপলক্ষে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, প্রতিটি বাধা অতিক্রম করতে ‘পাঁচ প্রাণ’-এর প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে এই শুভ উৎসব নতুন শক্তি যোগাবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিলাসপুর স্বাস্থ্য ও শিক্ষার ক্ষেত্রে দুটি উপহার পেল। হিমাচল প্রদেশের উন্নয়নের যাত্রায় একদা অংশীদার হওয়ার কথা ব্যক্ত করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকল উন্নয়নই মানুষের জন্য সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, এক সময় মনে করা হত শিক্ষা, সড়ক, শিল্প, হাসপাতাল – এইসবই বড় শহরের জন্য। পার্বত্য অঞ্চলগুলিতে ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধাও পৌঁছত সবার শেষে যার ফলে দেশের উন্নয়নে একটি বিশাল বৈষম্যের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু গত আট বছরে ডবল ইঞ্জিন সরকার সেই পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছে। ‘রাষ্ট্র রক্ষা’য় হিমাচল প্রদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিলাসপুরের নতুন এইমস ‘জীবন রক্ষা’তেও বড় ভূমিকা নেবে। 

প্রধানমন্ত্রী জানান, বাল্ক ড্রাগস পার্ক-এর জন্য নির্বাচিত তিনটি রাজ্যের অন্যতম হিমাচল প্রদেশ। মেডিকেল ডিভাইসেস পার্ক-এর জন্য নির্বাচিত চারটি রাজ্যের অন্যতম হিমাচল প্রদেশ যার একটি অংশ এই নালাগড় মেডিকেল ডিভাইস পার্ক। মেডিকেল ট্যুরিজমের সম্ভাবনার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হিমাচল প্রদেশের সম্ভাবনা অসীম। গরীব ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর সহজ জীবনযাপন নিশ্চিত করতে সরকারের প্রয়াসের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতি দুর্গম স্থানে হাসপাতাল তৈরি এবং চিকিৎসার খরচ কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যোগাযোগের অভাবই এই রাজ্যের সবচেয়ে বড় সম্পদ ছিল। ২০১৪ থেকে চেষ্টা করা হয়েছে হিমাচল প্রদেশের গ্রামে গ্রামে পরিকাঠামো গড়ে তোলা। রাজ্যের সর্বত্র রাস্তা চওড়া করার কাজের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, যোগাযোগের উন্নতির জন্য ৫০ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। শ্রী মোদী জানান, ডিজিটাল যোগাযোগের ক্ষেত্রে হিমাচল প্রদেশে অভূতপূর্ব কাজ হয়েছে। গত আট বছরে ভারতে তৈরি মোবাইল ফোন সস্তা হয়েছে এবং গ্রামে গ্রামে নেটওয়ার্ক পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ভালো ৪জি যোগাযোগের জন্য হিমাচল প্রদেশ দ্রুত ডিজিটাল লেনদেনের দিকে এগোচ্ছে। ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র সবচেয়ে সুবিধা পেয়েছে হিমাচল প্রদেশের মানুষ। 

দেশে ৫জি চালু হওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে এই প্রথম ভারতে তৈরি ৫জি পরিষেবা শুরু হয়েছে। হিমাচল প্রদেশও এর সুবিধা পাবে শীঘ্রই। প্রথম ড্রোন নীতি তৈরি করার জন্য তিনি হিমাচল প্রদেশের প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা এমন একটি উন্নয়নের জন্য প্রয়াস নিচ্ছি যা প্রতিটি নাগরিকের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করবে এবং প্রতিটি নাগরিকই সমৃদ্ধির অংশীদার হবে। এটাই প্রমাণ করবে উন্নত ভারত এবং উন্নত হিমাচল প্রদেশের সঙ্কল্পকে।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী জয়রাম ঠাকুর, রাজ্যের রাজ্যপাল শ্রী রাজেন্দ্র বিশ্বনাথ আর্লেকর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী অনুরাগ ঠাকুর, সাংসদ ও বিজেপি-র জাতীয় সভাপতি শ্রী জগৎ প্রসাদ নাড্ডা এবং সাংসদ ও বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি শ্রী সুরেশ কুমার কাশ্যপ।

 

PG/AP/DM/