Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী হাজিরায় আর্সেলোর মিত্তল নিপ্পন স্টিল ইন্ডিয়া কারখানাটির সম্প্রসারণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভাষণ দিয়েছেন

প্রধানমন্ত্রী হাজিরায় আর্সেলোর মিত্তল নিপ্পন স্টিল ইন্ডিয়া কারখানাটির সম্প্রসারণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভাষণ দিয়েছেন


নয়াদিল্লি, ২৮ অক্টোবর, ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হাজিরার আর্সেলর মিত্তল নিপ্পন স্টিল ইন্ডিয়ার কারখানা সম্প্রসারণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ইস্পাত শিল্পের মধ্য দিয়ে শুধু বিনিয়োগ সম্ভাবনাই তৈরি হয় না, সেই সঙ্গে অন্যান্য সম্ভাবনার দরজাও খুলে যায়। “৬০ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগের ফলে গুজরাট সহ দেশের যুবসম্প্রদায়ের জন্য বহু কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এই সম্প্রসারণের ফলে হাজিরা স্টিল প্ল্যান্টে অশোধিত ইস্পাত উৎপাদন ক্ষমতা ৯০ লক্ষ টন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১ কোটি ৫০ লক্ষ টনে পৌঁছবে”।

২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারত গড়ার যে লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে, সেক্ষেত্রে ইস্পাত শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি শক্তিশালী ইস্পাত শিল্প বলিষ্ঠ পরিকাঠামো ক্ষেত্রের সূচনা করবে। একইভাবে, সড়ক, রেলপথ, বিমানবন্দর, বন্দর, নির্মাণ শিল্প, গাড়ি উৎপাদন শিল্প, বিভিন্ন সামগ্রী এবং ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য সামগ্রী উৎপাদনের ক্ষেত্রেও ইস্পাত শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

শ্রী মোদী বলেছেন, এই কারখানা সম্প্রসারণের ফলে ভারতে নতুন নতুন প্রযুক্তি আসবে। এর ফলে, বৈদ্যুতিক যানবাহন সহ সবধরনের যানবাহন এবং নির্মাণ শিল্পে্র প্রভূত সহায়তা হবে। “আর্সেলর মিত্তল নিপ্পন স্টিল ইন্ডিয়ার এই প্রকল্প ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র স্বপ্ন পূরণে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসাবে আগামী দিনে পরিচিত হবে। ফলস্বরূপ, ইস্পাত ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর ভারত ও উন্নত ভারত গড়ার যে উদ্যোগ আমরা নিয়েছি, তা আরও শক্তিশালী হবে”।

ভারতের কাছে সারা বিশ্বের যে প্রত্যাশা রয়েছে, সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতকে বৃহত্তম উৎপাদন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই ক্ষেত্রের উন্নয়নে বিভিন্ন নীতি প্রণয়নে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। “সকলের যৌথ উদ্যোগে গত ৮ বছরে দেশের ইস্পাত শিল্প আন্তর্জাতিক স্তরে দ্বিতীয় বৃহত্তম শিল্প হিসাবে আত্মপ্রকাশ করবে। এই শিল্পের বিকাশে যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে”। 

শ্রী মোদী ভারতে ইস্পাত শিল্পের উন্নতিতে সরকারের বিভিন্ন প্রয়াসের কথা উল্লেখ করেন। উৎপাদন-ভিত্তিক উৎসাহদানের ফলে বিকাশের নতুন নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি আইএনএস বিক্রান্তের কথা উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নতমানের ইস্পাত উৎপাদনে দেশ আরও অভিজ্ঞ হয়ে উঠেছে। গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার বিজ্ঞানীরা বিমান তৈরির জন্য বিশেষ ধরনের ইস্পাত উদ্ভাবন করেছেন। ভারতীয় সংস্থাগুলি বিপুল পরিমাণে সেই ইস্পাত উৎপাদন করেছে। এইভাবে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে আইএনএস বিক্রান্ত নির্মিত হয়েছে। দেশের এই ক্ষমতাকে আরও বাড়ানোর জন্য দেশ অশোধিত ইস্পাত উৎপাদন ক্ষমতা দ্বিগুণ করার লক্ষ্য নিয়েছে। বর্তমানে আমরা ১৫৪ মেট্রিক টন অশোধিত ইস্পাত উৎপাদন করছি। আগামী ৯-১০ বছরের মধ্যে এই পরিমাণ ৩০০ মেট্রিক টন করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে।

উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণের জন্য বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইস্পাত শিল্প কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের মতো নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ একাধারে অশোধিত ইস্পাতের পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য নানা উদ্যোগ নিয়েছে। অন্যদিকে, পরিবেশ-বান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারে সকলকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। “আজ ভারত সেইসব প্রযুক্তি উদ্ভাবনের উপর গুরুত্ব দিচ্ছে, যেগুলি কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করার পাশাপাশি, নিঃসৃত কার্বনকে সংগ্রহ করে সেগুলিকে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করে তোলার উপর জোর দিচ্ছে”। প্রধানমন্ত্রী বৃত্তীয় অর্থনীতির উপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, আজ দেশ এই অর্থনীতির প্রসারে উদ্যোগী হয়েছে। এক্ষেত্রে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সরকার বেসরকারি সংস্থাগুলির সঙ্গে একযোগে কাজ করছে। “আর্সেলর মিত্তল নিপ্পন স্টিল ইন্ডিয়া গোষ্ঠী হাজিরা প্রকল্পে পরিবেশ-বান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়ায় আমি আনন্দিত”।

তাঁর ভাষণ শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কোনও লক্ষ্য অর্জনের জন্য সকলে যখন একযোগে সচেষ্ট হন, তখন তা সহজেই বাস্তবায়িত হয়”। তিনি বলেন, ইস্পাত শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। “এই প্রকল্পটি সমগ্র অঞ্চলের উন্নয়ন ও ইস্পাত ক্ষেত্রের প্রসারে যে সহায়ক হবে, সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত”।

PG/CB/SB