Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের বাজেট পরবর্তী সেমিনারের উদ্বোধন করেছেন

প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের বাজেট পরবর্তী সেমিনারের উদ্বোধন করেছেন


নতুন দিল্লি,  ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
 
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের বাজেট পরবর্তী ওয়েবিনারের উদ্বোধন করেছেন। বাজেট পরবর্তী এটি এধরণের পঞ্চম ওয়েবিনার, যেখানে প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেন। ওয়েবিনারে একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত পেশাদার, আধাচিকিৎসা কর্মী, নার্স সহ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রযুক্তি ও গবেষণা ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। 
 
ভাষণের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ অভিযান সাফল্যের সঙ্গে পরিচালনার জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, টিকাকরণের সর্ববৃহৎ এই অভিযান ভারতের স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থার কার্যকারিতাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। 
 
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গত সাত বছরে স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে সংস্কার ও আমূল পরিবর্তন আনতে গৃহীত প্রয়াসের ওপর ভিত্তি করে বাজেট তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থায় এক সার্বিক প্রয়াস গ্রহণ করেছি। এখন আমাদের নজর কেবল স্বাস্থ্যেই নয়, একই সঙ্গে আমরা সুস্থতার ওপরও সমান গুরুত্ব দিচ্ছি।”
 
প্রধানমন্ত্রী তিনটি বিষয়ের কথা উল্লেখ করেন, যেগুলি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রকে সার্বিক ও সর্বব্যাপী করে তুলছে। তিনি বলেন, আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান সম্পর্কিত পরিকাঠামোর সম্প্রসারণ এবং মানব সম্পদের যোগান নিশ্চিত করা হচ্ছে। এপ্রসঙ্গে তিনি আরও জানান, আয়ূষের মত পরম্পরাগত ভারতীয় চিকিৎসা পদ্ধতিতে গবেষণাধর্মী কাজকর্মের প্রসার ঘটানো হচ্ছে এবং এধরণের প্রয়াসগুলিকে স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থার সঙ্গেও যুক্ত করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আধুনিক ও ভবিষ্যতমুখী প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে সুলভে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, জরুরী স্বাস্থ্য পরিষেবার সুবিধা ব্লক, জেলা এবং গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে দেওয়া আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। তবে, ব্লক স্তর থেকে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার পরিকাঠামোর রক্ষণাবেক্ষণ ও তার মানোন্নয়ন সমান জরুরী। এই লক্ষ্যে বেসরকারি ও অন্যান্য ক্ষেত্রকে আরও সক্রিয় মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। 
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করতে দেড় লক্ষ স্বাস্থ্য ও রোগী কল্যাণ কেন্দ্রের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এসম্পর্কে তিনি জানান, “এখনও পর্যন্ত ৮৫ হাজারের বেশি এধরণের কেন্দ্র থেকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, টিকা ও বিভিন্ন ধরণের নমুনা পরীক্ষার সুবিধা পাওয়া যায়”। 
 
চিকিৎসা ক্ষেত্রে মানব সম্পদের যোগান সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থার চাহিদা ক্রমবর্ধমান। এই লক্ষ্যে আমরা স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের জন্য দক্ষ পেশাদার গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। তিনি জানান, গত বছরের তুলনায় এবছর স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানব সম্পদের উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য-শিক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দের পরিমাণ লক্ষ্যণীয় হারে বৃদ্ধি করা হয়েছে। শ্রী মোদী স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে যে সংস্কারমূলক প্রয়াস গ্রহণ করা হয়েছে, প্রযুক্তির সাহায্যে তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পূরণ করার জন্যও স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, চিকিৎসা-শিক্ষা ব্যবস্থায় মানোন্নয়নের পাশাপাশি পরিষেবা ব্যবস্থাকে আরও সুলভ ও সর্বজনীন করে তোলার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে আধুনিক ও ভবিষ্যতমুখী প্রযুক্তির প্রয়োগ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী কো-উইনের মত প্ল্যাটফর্মগুলির প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “ডিজিটাল স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থায় সমগ্র বিশ্বে কো-উইনের মত প্ল্যাটফর্মগুলি ভারতের খ্যাতি প্রতিষ্ঠা করেছে”। একই ভাবে আয়ূষ্মান ভারত ডিজিটাল স্বাস্থ্য মিশন পরিষেবা গ্রহণকারী এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা দাতাদের মধ্যে পারস্পরিক সংযোগের সহজ মাধ্যম হয়ে উঠেছে। এরফলে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া ও নেওয়া উভয়ই সহজ হয়ে উঠবে। আয়ূষ্মান ভারত ডিজিটাল স্বাস্থ্য মিশনের সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ধরণের ব্যবস্থার ফলে ভারতের উন্নত ও সুলভ স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ সমগ্র বিশ্বও নিতে পারবে।
 
প্রধানমন্ত্রী মহামারীর সময় প্রত্যন্ত ও দূরবর্তী অঞ্চলগুলিতে স্বাস্থ্য পরিষেবা ও টেলিমেডিসিন ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, শহর ও গ্রামীণ ভারতের মধ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবায় যে ফারাক রয়েছে তা দূর করতে প্রযুক্তির আরও বেশি প্রয়োগের ওপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। দেশে প্রতিটি গ্রামের জন্য যে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক এবং অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে, সে সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি ক্ষেত্রকে তাদের অংশীদারিত্ব আরও বাড়ানোর জন্য এগিয়ে আসার পরামর্শ দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসা পরিষেবার কাজে ড্রোন প্রযুক্তির ব্যবহার আরও বাড়াতে হবে। 
 
সারা বিশ্বজুড়ে আয়ূষ চিকিৎসা পদ্ধতির ক্রমবর্ধমান গ্রহণযোগ্যতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভারতে পরম্পরাগত চিকিৎসা পদ্ধতির একটি কেন্দ্র চালু করতে চলেছে। এপ্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের এবং সমগ্র বিশ্বের জন্য কিভাবে আয়ূষ চিকিৎসা পদ্ধতির আরও ভাল সমাধানসূত্র খুঁজে পাওয়া যায় তা সকলের ওপর নির্ভরশীল”। 
 
 
CG/BD/AS/