Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী সকাশে সুফি বুদ্ধিজীবি প্রতিনিধি দল

প্রধানমন্ত্রী সকাশে সুফি বুদ্ধিজীবি প্রতিনিধি দল

প্রধানমন্ত্রী সকাশে সুফি বুদ্ধিজীবি প্রতিনিধি দল

প্রধানমন্ত্রী সকাশে সুফি বুদ্ধিজীবি প্রতিনিধি দল

প্রধানমন্ত্রী সকাশে সুফি বুদ্ধিজীবি প্রতিনিধি দল

প্রধানমন্ত্রী সকাশে সুফি বুদ্ধিজীবি প্রতিনিধি দল

প্রধানমন্ত্রী সকাশে সুফি বুদ্ধিজীবি প্রতিনিধি দল


প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন , সুফি সন্তরা যে আদর্শের বাণী উচ্চারণ করেছিলেন তা ভারতীয় ধ্যান-ধারণার অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এই বাণী ভারতে একটি বহুত্ববাদী, মিশ্র-সংস্কৃতির সমাজ গঠনে তাৎপর্যময় অবদান রেখেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ৪০ জন বেয়ারলুই সুফি বুদ্ধিজীবিদের এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের সময় বলেন, উগ্রপন্থার শক্তি আজ সুফি আদর্শকে দুর্বল করতে উদ্যত । তিনি আরো বলেন, সোস্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন পন্থার মাধ্যমে এই শক্তির মোকাবিলা করার জন্য সুফি সন্ত ও পন্ডিতদের অত্যন্ত প্রয়োজন, তাহলেই উগ্রপন্থার আদর্শ ভারতের মাটিতে শেকড় গাড়তে পারবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুফি মতবাদের ঐতিহ্য যেখানেই বিকশিত হয়েছে সেখানেই তা অশুভ শক্তিকে অপসৃত করতে সমর্থ হয়েছে।

তিনি ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারা প্রচলিত দক্ষতা বিকাশ প্রকল্প ও কর্মসূচির পূর্ণ সুযোগ গ্রহনের জন্য বিশেষ অনুরোধ রাখেন। তিনি প্রতিনিধি দলটিকে আশ্বস্ত করে বলেন, ওয়াকফ-এর সম্পত্তি সম্পর্কে তাঁরা যে সব প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন সে বিষয়ে নজর দেওয়া হবে। তিনি বলেন, প্রতিটি রাজ্যে সুফি সংস্কৃতি ও সঙ্গীতের যথাযথ প্রসার ঘটানো উচিত।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মতামত বিনিময়ের সময় সুফি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেন, ইসলাম কখনোই ঘৃণা বা উগ্রপন্থার বাণী প্রচার করে না। নির্দিষ্ট কিছু শক্তি যে ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় না সে সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে তাঁরা বলেন, ভোট-ব্যাঙ্ক নির্ভর বিভেদকামী রাজনীতি সরকারের সঙ্গে মুসলিম সম্প্রদায়ের মতবিনিময়কে শুধু মাত্র মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে চালনা করতে চেয়েছে এতদিন; কিন্তু এখন তাঁরা চান মুসলিম সম্প্রদায় সহ ভারতের সব অংশের জনগণের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সরাসরি যোগাযোগ করুন। জাত-পাত, সম্প্রদায় ও ধর্ম নির্বিশেষে জনগণের কল্যাণ সাধনে কাজ করতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা।

প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেন, ইসলামের নামে সন্ত্রাসবাদের প্রসার সারা বিশ্ব জুড়ে শান্তি রক্ষার সামনে বিপদ হয়ে দেখা দিয়েছে, এবং এজন্যই সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে যারা “জিহাদ”-কে মদত দিচ্ছে সেই সব শক্তিকে খর্ব করতে ব্যবস্থা গ্রহণের আশু প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। তাঁরা আরো বলেন, মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে এই সচেতনতা বৃদ্ধিরও প্রয়োজন দেখা দিয়েছে যে, আই এস আই এস এবং আল-কায়েদার মতো সংগঠনগুলি কোনভাবেই ইসলামের আদর্শের প্রতিনিধিত্ব করে না।

প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ভারতে সুফি ভাবধারা এবং সংস্কৃতির উন্নতি বিধানে বেশ কিছু পরামর্শ ও প্রস্তাব দিয়েছেন। তাঁরা পর্যটনের বিকাশে একটি “সুফি-সার্কিট” সৃষ্টি করতে প্রস্তাব দিয়েছেন এবং ভারতে সুফি তীর্থ ক্ষেত্র ও দর্শনীয় এলাকা সমূহের পুনরুজ্জীবনে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুরোধ রেখেছেন।

প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন অল ইন্ডিয়া উলেমা ও মাশাইখ বোর্ড , এ আই ইউ এম বি-র প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি হজরত সৈয়দ মহম্মদ আসরাফ কিচ্ছোউছুই, কলকাতার মাখদুম আসরাফ মিশন-এর চেয়ারম্যান হজরত সৈয়দ জালালুদ্দিন আশরাফ, নয়াদিল্লির দরগা হজরত নিজামুদ্দিন আওলিয়া-র সাজ্জাদা নাশিন, হজরত সৈয়দ আহমদ নিজামি, অল ইন্ডিয়া মুসলিম স্কলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শেখ আবুবাকের আহমেদ মুসলিয়ার, আজমির শরিফের দরগা-ই-খাজা মৈনুদ্দিন চিস্তি-র কর্মকর্তা হজরত সৈয়দ মেহেন্দি চিস্তি এবং শিক্ষাবিদ জনাব নেসার আহমেদ।

SC/SRC/DSC/AGT