Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী সকাশে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতি-নির্বাচিত মিস্টার মেগেনস লিক্কেতয়ফ

প্রধানমন্ত্রী সকাশে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতি-নির্বাচিত মিস্টার মেগেনস লিক্কেতয়ফ

প্রধানমন্ত্রী সকাশে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতি-নির্বাচিত মিস্টার মেগেনস লিক্কেতয়ফ

প্রধানমন্ত্রী সকাশে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতি-নির্বাচিত মিস্টার মেগেনস লিক্কেতয়ফ


রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭০-তম অধিবেশনের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় মিস্টার মোগেনস লিক্কেতয়ফ-কে স্বাগত জানালেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী সোমবার নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের দিক নির্দেশকারী ৭০-তম অধিবেশনের সভাপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য মিস্টার লিক্কেতয়ফ-কে অভিনন্দন জানান। রাষ্ট্রসংঘের আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনে উন্নয়ন-২০৩০-এর কর্মসূচি প্রনয়ন করা হবে | প্রধানমন্ত্রী বলেন যে তিনি ২০১৫-র ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করছেন। তিনি উল্লেখ করেন, সুস্থায়ী উন্নয়ন লক্ষ্যেসমূহের বেশ কয়েকটি প্রকল্প, যা ২০৩০-এর সুস্থায়ী উন্নয়ন কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে – ভারত সরকারের অন্যতম কল্যাণমূলক কর্মসূচির মাধ্যমে এর অনেকগুলোই রূপায়ণের কাজ শুরু হয়েছে, যেমন স্বচ্ছ ভারত অভিযান, মেক ইন ইন্ডিয়া, ডিজিটাল ইন্ডিয়া, স্কিল ইন্ডিয়া, স্মার্ট সিটি এবং জনধন যোজনা।

প্রধানমন্ত্রী গুরুত্ব দিয়ে বলেন, রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭০-তম অধিবেশন রাষ্ট্রসংঘের জন্য এক কঠিন মুহুর্ত। রাষ্ট্রসংঘের কাছে জনগণের যে উচ্চাশা তা পূরণ করার বিষয়টি সুনিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘকালের অমীমাংসিত বিষয় অর্থাৎ রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের বিষয়টি ঘিরে নিট ফল নির্নয় করার জন্য আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সর্বাত্মক বিধি’র চূড়ান্তকরণের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় আইনগত কাঠামোটিকে শক্তিশালী করতে আহ্বান জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭০-তম অধিবেশনে মিস্টার লিক্কেতয়ফ যে সব বিষয়ে অগ্রাধিকার দেবেন সে সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন | সুস্থায়ী উন্নয়ন লক্ষ্য-এর বিষয় যেমন জলবায়ু পরিবর্তন, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রসংঘের কার্যকারিতার উন্নতি, এবং মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রতি উত্তমরূপে সংবেদন হওয়া ইত্যাদি দায়িত্ব রূপায়নে বিশ্ব পর্যায়ে অংশীদারিত্বের নবীকরণের উপর যে তিনি প্রাধান্য দেবেন সেকথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন |

মিস্টার লিক্কেতয়ফ এ কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন যে ভারত হল বিশ্বের এক অন্যতম বৃহত্তম গণতান্ত্রের দেশ এবং রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা অভিযানে অবদান রাখার ক্ষেত্রেও বৃহত্তম দেশগুলির মধ্যে একটি, তাই রাষ্ট্রসংঘের সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষেত্রেও ভারতের আরো বেশি বড় মাপের ভূমিকা থাকা দরকার। প্রধানমন্ত্রী বারবার একথা বলেন যে, রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা অভিযানে সমর্থন অব্যাহত রাখতে ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ ।

আবহাওয়া পরিবর্তন সম্পর্কিত প্রসঙ্গগুলি নিয়ে তাঁরা উভয়েই মত বিনিময় করেন এবং এই প্রসঙ্গে প্যারিসে অনুষ্ঠিতব্য ‘কোপ-২১’ সম্মেলন থেকে উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য সন্তোষজনক ফলাফল বেরিয়ে আসবে বলে উভয়ই আশা প্রকাশ করেন।

SC/SRC/DSC/AGT