Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ক্যালিফোর্নিয়ার সান হোসে-তে ডিজিট্যাল ইন্ডিয়া ডিনারে ভাষণ

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর  ক্যালিফোর্নিয়ার সান হোসে-তে ডিজিট্যাল ইন্ডিয়া ডিনারে ভাষণ

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর  ক্যালিফোর্নিয়ার সান হোসে-তে ডিজিট্যাল ইন্ডিয়া ডিনারে ভাষণ


ধন্যবাদ শান্তনু, জন, সত্য, পল, সুন্দর এবং ভেঙ্কটেশ

আপনাদের বিশেষ ধন্যবাদ!

আমি নিশ্চিত যে এটা আগে থেকে ব্যবস্থা করা ছিল না| কিন্তু আপনারা এখানে দেখতে পাবেন ডিজিট্যাল অর্থনীতিতে ভারত-আমেরিকার অংশীদারিত্বের এক পূর্ণাঙ্গ ছবি|

সবাইকে শুভ সন্ধ্যা!.

যদি কোথাও একই ছাদের তলায় এমন জমায়েত হয়ে থাকে, যেখানে বিশ্ব গড়ার ডাক দেওয়া হয়েছে, তাহলে এটাই সেই জমায়েত| এবং আমি এখানে অথবা ভারতের কোনো সরকারী দফতরের কথা বলছি না| এখানে ক্যালিফোর্নিয়ায় উপস্থিত থাকতে পারটা খুবই আনন্দের| সূর্যাস্ত দেখার জন্য পৃথিবীর শেষ প্রান্তগুলির মধ্যে এটি একটি| কিন্তু এখানে নতুন চিন্তা-ভাবনা দিনের প্রথম আলোর মত|

এটা বিশেষ সম্মানের যে, আপনারা আমাদের সঙ্গে আজ রাতে মিলিত হয়েছেন| আমি আপনাদের অনেকের সঙ্গে দিল্লি, নিউ ইয়র্ক, এবং ফেসবুক, টুইটার এবং ইনস্টাগ্রামে দেখা করেছি|

আমাদের নতুন পৃথিবীতে এগুলো আমাদের নতুন প্রতিবেশী|

যদি ফেসবুক কোনো দেশ হতো, তাহলে এটা হতো তৃতীয় জনবহুল এবং সবচেয়ে সংযুক্ত দেশ|

গুগল এখন শিক্ষকদের অনেক কম ভীতিপ্রদ করে দিয়েছে এবং দাদু-ঠাকুমাদের করে দিয়েছে কর্মহীন|

টুইটার সবাইকে সাংবাদিক বানিয়ে দিয়েছে| সবচেয়ে ভালো ট্রাফিকের আলো এখন সিসকো রয়টারে|

স্ট্যাটাস বলতে এখন আপনি ঘুমিয়ে আছেন নাকি জেগে আছেন, তা বোঝায় না| স্ট্যাটাস বলতে এখন বোঝায় আপনি অনলাইন-এ আছেন, নাকি অফলাইন-এ আছেন| আমাদের যুবকদের মধ্যে সবচেয়ে মৌলিক বিতর্ক হচ্ছে এন্ড্রয়েড, আই ও এস অথবা উইন্ডোস-এর মধ্যে কোনটি পছন্দের|

কমপিউটার থেকে যোগাযোগ, বিনোদন থেকে শিক্ষা, ছাপানো নথি-পত্র থেকে ছাপানো পণ্য এবং এখন ইন্টারনেট—স্বল্প সময়ের মধ্যে অনেক পথ অতিক্রম করে আসা গেছে|

পরিচ্ছন্ন বিদ্যুত থেকে উন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং নিরাপদ পরিবহন, সবকিছুই এখন আপনি যেখানে কাজ করছেন তার আশেপাশেই রয়েছে|

আফ্রিকায় ফোনের মাধ্যমে টাকা আদান-প্রদানে মানুষকে সহায়তা করছে| ছোট দ্বীপ-দেশ এখন আর অভিযানের বিষয় নয়, মাউসের একটি ক্লিকেই সহজে পৌঁছানো যায়|

ভারতে দুরের কোনো পাহাড়ি গ্রামে থাকা মা তার নবজাতককে বাঁচিয়ে তোলার জন্য আগের চেয়ে ভালো সুযোগ পাচ্ছেন| প্রত্যন্ত গ্রামেরও কোনো শিশু শিক্ষার অধিকতর ভালো সুযোগ পাচ্ছে|

ক্ষুদ্র চাষী এখন তাঁর জমি নিয়ে অনেক বেশি নিশ্চিন্ত এবং উত্পাদিত পণ্য বাজারে ভালো দাম পাচ্ছে| সমুদ্রে জেলেরা এখন ভালো পরিমানে মাছ ধরছেন| এবং সান ফ্রান্সিসকো-তে থাকা কোনো যুবক পেশাজীবী ভারতে থাকা তাঁর অসুস্থ দিদিমাকে প্রতিদিন আশ্বস্ত করতে স্কাইপে করছে|

হরিয়ানার এক পিতার ‘সেলফি উইথ ডটার’ পদক্ষেপ এখন কন্যা সন্তানের প্রতি মনোযোগ বাড়ানোর জন্য বিশ্বজুড়ে আন্দোলনের জন্ম দিয়েছে|

আর এগুলো সম্ভব হয়েছ আপনারা যে কাজ করেন তার জন্য| গত বছর আমার সরকার ক্ষমতায় আসার পর আমরা মোবাইল ফোন এবং নেটওয়ার্কের শক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দারিদ্র্যকে আঘাত করেছি| যার ফলে সক্ষমতা ও অন্তর্ভুক্তির এক নতুন যুগের সূচনা হয়েছে— কয়েক মাসের মধ্যেই আঠার কোটি নতুন ব্যাংক একাউন্ট খোলা হয়েছে, দরিদ্রদের জন্য সরাসরি সুবিধা হস্তান্তর, ব্যাংকের সঙ্গে যারা যুক্ত নন তাদেরকে মূলধনের ব্যবস্থা করা, দরিদ্রতরদের জন্যও বিমার সুবিধা, এবং জীবনের বার্ধ্যক্যের সময় সবার জন্য পেনশন|

মহাকাশ প্রযুক্তি ও ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে গত কয়েক মাসে আমরা ১৭০টি এমন আবেদনপত্র বাছাই করতে পেরেছি, যার মাধ্যমে আরো ভালো প্রশাসন ব্যবস্থা সম্ভব এবং এর মাধ্যমে উন্নয়নকে আরো গতিশীল করা সম্ভব|

যখন ভারতের কোনো এক গ্রামের একজন ছোট হস্তকারু শিল্পী নিউ ইয়র্কের মেট্রোর কোনো যাত্রীর মুখে হাসি ফোটান; যখন কিরঘিজ গণতন্ত্রের কোনো দুর্গম হাসপাতালের হৃদরোগীর চিকিত্সা দিল্লিতে বসে কোনো চিকিত্সক করে থাকেন, যেভাবে আমি বিশকেক-এ দেখেছি, তখন আমরা জানি যে এমন কিছু আমরা তৈরী করেছি যা আমাদের জীবনকে মৌলিকভাবে পরিবর্তিত করেছে|

বয়স, শিক্ষা, ভাষা ও আয় ব্যতিরেকে একঘেয়ে জীবনকে উপেক্ষা করে মানুষ ডিজিট্যাল প্রযুক্তি গ্রহণ করে চলেছে| এক্ষেত্রে আমি গুজরাটের প্রত্যন্ত এলাকার একদল নিরক্ষর উপজাতি মহিলাদের সঙ্গে আমার আলাপচারিতা তুলে ধরতে চাই| তাঁরা সেখানে একটি দুগ্ধ হিমায়িত করার কেন্দ্রে কাজ করেন| সেই কেন্দ্রটির উদ্বোধনে আমি গিয়েছিলাম| সেই অনুষ্ঠানের ছবি ওই মহিলারা মোবাইল ফোনে তুলে রাখছিলেন| আমি তাঁদেরকে জিজ্ঞাসা করেছি কেন তাঁরা এই ছবি তুলে রাখছেন? তাদের উত্তর আমাকে বিস্মিত করেছে|

তাঁরা বলেছেন, তাঁরা এই ছবি কোনো কম্পিউটারে ডাউনলোড করবেন এবং ছবির প্রিন্ট বের করবেন| তাঁরা আমাদের ডিজিট্যাল পৃথিবীর ভাষা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল|

এবং মহারাষ্ট্রের কৃষকরা তাঁদের চাষের তথ্য আদান-প্রদানের জন্য হোয়াটসআপ গ্রুপ গড়ে তুলেছেন| ক্রেতারা এখন নির্মাতার চেয়েও কোনো পণ্য সম্পর্কে বেশি জানেন| পৃথিবী হয়ত প্রাচীন গতিতেই চলছে, কিন্তু আমরা মানুষের সংগ্রাম ও সাফল্য দেখে যাব| দেখব মানবের গৌরব ও দুঃখ|

ডিজিট্যাল যুগে মানুষের জীবনকে পরিবর্তিত করার সুযোগ এসেছে, যে পরিবর্তনের কথা আমরা কয়েক দশক আগে পর্যন্ত ভাবতে পারতাম না|

আমরা যে শতাব্দীকে পেছনে ফেলে এসেছি, তার থেকে এগুলো সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস| এখনো হয়ত কিছু মানুষ থাকতে পারেন যারা ভাবেন যে ডিজিট্যাল অর্থনীতি হচ্ছে ধনীদের, শিক্ষিতদের এবং সুবিধাপ্রাপ্ত অংশের মানুষের বিষয়| কিন্তু কোনো ট্যাক্সি চালক বা হকারকে জিজ্ঞাসা করে দেখুন যে, সেলফোন তাঁর কী উপকারে এসেছে, তাহলেই সব বিতর্কের অবসান হয়ে যাবে| আমি প্রযুক্তিকে ক্ষমতায়নের হাতিয়ার এবং আশা আর সুযোগের মধ্যেকার সেতু হিসেবে দেখি| সোশ্যাল মিডিয়া সামাজিক বেড়াজাল কমিয়ে আনছে| মানুষকে তা মানবতার মূল্যবোধের শক্তিতেই যুক্ত করছে, পরিচয় দিয়ে নয়|

আজ প্রযুক্তি নাগরিককে ক্ষমতায়ন ও গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে নিয়েছে, যা একসময় মানুষ সংবিধান থেকে পেয়েছিল| প্রযুক্তি সরকারকে অনেক তথ্য ব্যবহারের মাধ্যমে চব্বিশ ঘন্টার পরিবর্তে চব্বিশ মিনিটেই কাজ করার শক্তি দিয়েছে|

যখন আপনি সোশ্যাল মিডিয়া বা কোনো পরিষেবার গতির ব্যাপ্তি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছেন, তখন আপনাকে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে যে, এর মাধ্যমে এতদিন যারা আশা ও স্বপ্নের শেষ সীমায় ছিলেন, তাদের জীবন মানের পরিবর্তন সম্ভব| বন্ধুগণ এই বিশ্বাস থেকেই ডিজিট্যাল ইন্ডিয়া’র স্বপ্নের জন্ম|

এর মাধ্যমে ভারতের পরিবর্তনের যে গতিপথ সূচিত হচ্ছে, সম্ভবত মানব ইতিহাসে এর নজির নেই| শুধুমাত্র দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া মানুষের জীবন যাত্রার পরিবর্তনই এতে হচ্ছে না, আমাদের জাতি কিভাবে থাকবে এবং জাতির কর্মক্ষেত্র কি হবে, তার দিক নির্ণয়ও হবে এই ডিজিট্যাল ইন্ডিয়ার মাধ্যমে|

এদেশের আশি কোটি মানুষের বয়স পয়ত্রিশ বছরের কম| তারা পরিবর্তনের জন্য অধীর হয়ে আছে এবং তা অর্জনে আগ্রহী হয়ে আছে|

আমরা প্রশাসনকে আরও স্বচ্ছ, গ্রহনযোগ্য, অংশগ্রহনমূলক ও সহজে প্রাপ্তিযোগ্য করে তুলতে চাই| আমি ই-গভর্নেন্সকে এর মূল ভিত্তি হিসেবে মনে করি, যা কার্যকরী, আর্থিকভাবে সাশ্রয়ী এবং দক্ষ|

এবার আমি এম-গভর্নেন্স বা মোবাইল গভর্নেন্স-এর কথা বলছি| যে দেশে একশ কোটি মোবাইল ফোন রয়েছে এবং স্মার্ট ফোন ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েই চলেছে, সেখানে এটাই সবচেয়ে ভালো উপায়| আর মোবাইল ফোনের এই সম্ভাবনা রয়েছে| এর মাধ্যমে প্রশাসনকে সবার কাছে পৌঁছানো যাবে|

MyGov.in এর পর আমি সূচনা করেছি নরেন্দ্র মোদী মোবাইল আপ্-এর| যার মাধ্যমে আমি মানুষের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখতে পারছি| আমি মানুষের পরামর্শ ও অভিযোগ থেকে অনেক কিছু জানতে পারছি|
আমরা নাগরিকদের বিভিন্ন অফিসে কাগজের নথিপত্র ব্যবহারের বোঝা কমাতে চাই| আমরা কাগজহীন বিনিময় চাই| তাই প্রতিটি নাগরিকের জন্য একটি ডিজিট্যাল লকার করতে চাই, যেখানে তারা সমস্ত কাগজপত্র রাখতে পারবেন এবং ডিজিট্যাল মাধ্যমেই তা বিভিন্ন দফতরে দিতে পারবেন|

আমরা Ebiz পোর্টাল গড়ে তুলেছি ব্যবসার জন্য, নাগরিকরা যাতে তাদের লক্ষ্যের প্রতি মনোযোগ দিতে পারেন এবং তাদেরকে সরকারী পদ্ধতির জন্য যাতে শ্রম ব্যয় করতে না হয়|

আমরা উন্নয়নের গতি ও মাত্রা বাড়াতে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে চাই|

তথ্য, শিক্ষা, দক্ষতা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, জীবনযাত্রা, আর্থিক সংযুক্তি, ক্ষুদ্র ও গ্রামীন উদ্যোগ, মহিলাদের জন্য সুযোগ, প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ, পরিছন্ন শক্তির সঠিক বিতরণ—প্রভৃতিতে উন্নয়ন মডেলের পরিবর্তনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে|

কিন্তু এর জন্য আমাদের ডিজিট্যাল সাক্ষরতায় জোর দিতে হবে| যেভাবে সাধারণ সাক্ষরতায় কাজ করা হয় সেরকম উদ্যোগ নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে|

প্রযুক্তি যাতে গ্রহনযোগ্য, সাশ্রয়ী ও মূল্য সংযোজন যুক্ত হয় তা সুনিশ্চিত করতে হবে|

আমরা চাই আমাদের একশ পঁচিশ কোটি মানুষ যেন ডিজিট্যালি সংযুক্ত থাকেন| ভারতে ব্রডব্যান্ড সংযোগ গত বছর ৬৩ শতাংশ বেড়ে গেছে| একে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে|

আমরা ন্যাশনাল অপটিক্যাল ফাইবার-এর এলাকা আরও বাড়াতে চাই| দেশের ছয় লক্ষ গ্রামে নিয়ে যেতে চাই এই পরিষেবা| প্রতিটি বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়কে ব্রডব্যান্ড-এর সংযোগের আওতায় আনতে চাই|

আমাদের ওয়াই-ফাই হটস্পটগুলি আরও বেশি এলাকায় নিয়ে যেতে চাই| গুগলের সঙ্গে যোগ দিয়ে প্রতিটি রেল স্টেশনে এই পরিষেবা চালু করতে চাই|

আমরা প্রতিটি গ্রাম ও শহরে সাধারণ পরিষেবা কেন্দ্র বা কমন সার্ভিস সেন্টার গড়ে তুলছি|

এবং আমরা চাই আমাদের প্রতিটি গ্রাম এবং শহর একেকটি অর্থনৈতিক হাব হয়ে উঠবে| আমাদের কৃষকরা বাজারের সঙ্গে আরও ভালোভাবে সংযুক্ত থাকতে পারবেন| আবহাওয়ার পরিবর্তন তাদেরকে যাতে সেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে, তার জন্যও সহায়ক হবে এই প্রযুক্তি|

আমার কাছে পরিষেবা সঠিক ভাবে পেতে গেলে স্থানীয় ভাষায় তা হতে হবে| আমাদের দেশে ২২টি সরকারী ভাষা| তাই এই বিষয়টি কঠিন হলেও গুরুত্বপূর্ণ |
আমাদের অর্থনীতি এবং জীবন যাত্রা অনেক জটিল হয়ে যাচ্ছে, তাই আমরা ডাটা বা তথ্য সুরক্ষিত রাখতে বিশেষ গুরুত্ব দিছি সাইবার সুরক্ষায়|

এবং আমি জানি ডিজিট্যাল ইন্ডিয়ার স্বপ্ন পূরণে সরকারকেও কম বেশি আপনাদের মত করে ভাবতে হবে| তাই পরিকাঠামো গঠন থেকে শুরু করে পরিষেবা পর্যন্ত, মানব সম্পদ থেকে শুরু করে ডিজিট্যাল সাক্ষরতা সব ক্ষেত্রেই সাইবার বিশ্বের বিস্তৃতিতে অনেক সুযোগ রয়েছে| আর এই সুযোগ রয়েছে আপনাদের জন্যও|

এক্ষেত্রে কাজ অনেক, প্রতিবন্ধকতাও অনেক| কিন্তু আমরা জানি যে নতুন পথ তৈরী না হলে নতুন লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব না|

আমাদের স্বপ্নের ভারত গড়ার অনেক কাজ বাকি|

এবং সাফল্যের জন্য আমাদের মেধা, উদ্যোগ ও দক্ষতা রয়েছে|

আমাদের কাছে ভারত-আমারিকার সহযোগিতার শক্তিও রয়েছে|

আর্থিক জ্ঞানকে সঠিক রূপ দিতে ভারতীয় ও আমেরিকানরা একযোগে কাজ করবে| তারা আমাদের প্রযুক্তির বিস্তৃত ক্ষেত্র সম্পর্কে অবহিত করবে|

বড় কর্পোরেট সংস্থা থেকে শুরু করে নবীন পেশাদারগণও ডিজিট্যাল ভারত নির্মানের স্বপ্নে যোগ দিতে পারেন|
আমরা ভারত-মার্কিন সহযোগিতাকে এই শতাব্দীর অংশিদারিত্ব বলে মনে করছি|

আমরা সবাই জানি যে, এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এই শতাব্দীর রূপরেখা তৈরী করবে| এবং ভারত ও আমেরিকা, পৃথিবীর দুই শ্রেষ্ঠ গণতান্ত্রিক দেশ এই দুই প্রান্তে রয়েছে|

এই অঞ্চলের ভবিষ্যতের শান্তি, স্থায়িত্ব ও সমৃদ্ধিকে রূপ দেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে আমাদের|

আমাদের এই সম্পর্ক যুব-শক্তি, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের দ্বারা সঙ্গায়িত হবে| আর তা এই অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রকে প্রজ্জ্বলিত করবে|

এমনকি এই ডিজিট্যাল যুগে আমরা আমাদের মূল্যবোধের ও অংশীদারিত্বের শক্তিকে ভবিষ্যতের পৃথিবী গড়ার কাজেও ব্যবহার করতে পারি|

আপনাদের ধন্যবাদ|

SC/AKD/AGT