Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ১৯৯৬ সালের শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের আলাপচারিতা


নয়াদিল্লি, ০৬ এপ্রিল, ২০২৫ 

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গতকাল কলম্বোতে ১৯৯৬ সালে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। খোলামেলা এই আলাপচারিতায় ক্রিকেটাররা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পেরে উচ্ছ্বাস ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রীও তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আনন্দ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ভারতের জনগণ এখনও তাঁদের দলের অসাধারণ পারফরম্যান্স, বিশেষ করে স্মরণীয় জয়ের কথা মনে রেখেছেন। 
শ্রী মোদী ২০১০ সালে আহমেদাবাদে একটি ম্যাচে উপস্থিত থাকার কথা স্মরণ করেন, যেখানে একজন শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারকে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে দেখেছিলেন। ১৯৮৩ সালে ভারতের বিশ্বকাপ জয় এবং ১৯৯৬ সালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের বিশ্বকাপ জয়ের রূপান্তরমূলক প্রভাবের কথা তুলে ধরেন তিনি। এই মাইলফলকগুলি কিভাবে ক্রিকেট বিশ্বকে নতুন রূপ দিয়েছে, তার উপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। শ্রী মোদী বলেন, টি২০ ক্রিকেটের বিবর্তন ১৯৯৬ সালের ম্যাচে তৎকালীন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট দলের প্রদর্শিত উদ্ভাবনী খেলার ধরণ থেকে পাওয়া যেতে পারে। আলাপচারিতায় প্রধানমন্ত্রী ক্রিকেট দলের সদস্যদের কাছ থেকে তাঁদের বর্তমান কর্মকাণ্ড সম্পর্কে শুনতে আগ্রহ প্রকাশ করে তাঁদের কাছে জানতে চান যে, এখনও তাঁরা ক্রিকেট এবং প্রশিক্ষণের ভূমিকায় জড়িত আছেন কিনা।
১৯৯৬ সালে বোমা বিস্ফোরণের ফলে অন্যান্য দলগুলি সেখানে যেতে অস্বীকার করলেও শ্রীলঙ্কায় খেলায় অংশগ্রহণের জন্য ভারতের যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথাও স্মরণ করেন শ্রী মোদী। ২০১৯ সালে গীর্জায় বোমা বিস্ফোরণের পরেও তাঁর শ্রীলঙ্কা সফরের কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। শ্রীলঙ্কার আনন্দ ও দুঃখে উভয় সময়েই পাশে থাকার জন্য ভারতের দৃঢ় মনোভাব ও প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর থেকে দুই দেশের মানুষের মধ্যে স্থায়ী মূল্যবোধ প্রতিফলিত হয়। 
শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড় শ্রী সনৎ জয়সূর্য বর্তমানে শ্রীলঙ্কার পুরুষ ক্রিকেট দলের প্রশিক্ষক। সাম্প্রতিক আর্থিক সঙ্কটকালে শ্রীলঙ্কাকে ভারতের সাহায্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি। শ্রী জয়সূর্য আরও বলেন, শ্রীলঙ্কার জাফনায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজনের জন্য একটি ক্রিকেট মাঠ প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনার বিষয়ে খতিয়ে দেখতে পারে ভারত। এটি শ্রীলঙ্কার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উচ্চকাঙ্ক্ষী ক্রিকেটার ও জনগণের বিশেষ সহায়ক হবে। 
শ্রী জয়সূর্যের বক্তব্যের জন্যে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, ভারত ‘প্রতিবেশী সর্বাগ্রে’ নীতিতে বিশ্বাসী। প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্কটের সময়ে ভারত সর্বদা পাশে দাঁড়িয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি মায়ানমারে ভূমিকম্পের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত সেখানে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রতিবেশী এবং বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলির কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেওয়া ভারতের দায়িত্ববোধের মধ্যে পড়ে – সেকথাও উল্লেখ করেন শ্রী মোদী। প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকটি নতুন প্রকল্প ঘোষণার কথা উল্লেখ করেন। তিনি শ্রী জয়সূর্যকে আশ্বস্ত করে বলেন, তাঁর দেওয়া প্রস্তাব খতিয়ে দেখা হবে।
প্রধানমন্ত্রী সকলের সঙ্গে পুনরায় যোগাযোগ স্থাপন, স্মৃতি রোমন্থন এবং পরিচিত মুখগুলি দেখার সুযোগ পাওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভারতের স্থায়ী সম্পর্কের কথা পুনরায় তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের যে কোনও উদ্যোগের প্রতি ভারতের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।  

 

SC/SS/SB