নয়াদিল্লি, ২৩ ফেব্রুয়ারি , ২০২৫
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ মধ্যপ্রদেশের ছত্তরপুর জেলার গরহা গ্রামে বাগেশ্বরধাম মেডিক্যাল ও সায়েন্স রিসার্চ ইন্সটিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে দ্বিতীয়বার বুন্দেলখণ্ড সফর তাঁর জন্য সৌভাগ্যের বিষয় বলে মন্তব্য করে শ্রী মোদী বলেন, বাগেশ্বধাম-এর ধর্মীয় কেন্দ্র শীঘ্রই একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিণত হবে। তিনি বলেন, বাগেশ্বধাম মেডিক্যাল ও সায়েন্স রিসার্চ ইন্সটিটিউট ১০ একর জমির ওপর গড়ে তোলা হবে। প্রথম দফায় এতে ১০০ শয্যার সুবিধা থাকবে। তিনি এই বিশেষ কাজের জন্য শ্রী ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীকে অভিনন্দন জানান ও বুন্দেলখণ্ডবাসীর প্রতি শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে এক শ্রেণীর রাজনৈতিক নেতারা ধর্মীয় ভেদাভেদের ভিত্তিতে জনগণকে আলাদা করতে চাইছেন। তিনি বলেন, দেশ এবং জাতিকে দুর্বল করতে ওইসব ব্যক্তিরা বিদেশী শক্তির সহায়তাও নিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বী জনগণ দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্নভাবে বসবাস করছেন। আমাদের বিশ্বাস, ঐতিহ্য এবং মন্দিরের ওপর ক্রমাগত যে আঘাত হানা হয়েছে, সেকথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আমাদের সাধু-সন্ত, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের ওপর আঘাতের কথাও উল্লেখ করেন। শ্রী মোদী বলেন, সমাজ ও সমাজে বসবাসকারী জনগণকে বিভক্ত করাই তাঁদের লক্ষ্য। এই প্রসঙ্গে তিনি দেশে দীর্ঘদিন ধরে একতার মন্ত্র সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে শ্রী ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীর প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন। শ্রী মোদী বলেন যে, শ্রী ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী একটি ক্যান্সার প্রতিষ্ঠান স্থাপনের মধ্যে দিয়ে সমাজ ও মানব কল্যাণে কাজ করার অন্য এক প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেছেন। বাগেশ্বরধামে বর্তমানে ধর্মীয় পরিবেশের পাশাপাশি সুস্থ জীবনযাপনের সুবিধাও পাওয়া যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের মন্দির, মঠ এবং পবিত্র স্থানগুলি ধর্মীয় কেন্দ্র ও বিজ্ঞান এবং সামাজিক চিন্তাভাবনার কেন্দ্র হিসেবে দ্বৈত ভূমিকা পালন করে।” তিনি বলেন আমাদের সাধু-সন্তরা আমাদের আয়ুর্বেদ ও যোগ বিজ্ঞানের সঙ্গে পরিচিতি ঘটিয়েছেন, বর্তমানে তা সমগ্র বিশ্বে সমাদৃত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিশ্বাস অন্যের সেবা করা ও তাঁদের দুর্দশা দূর করা সত্যিকারের ধর্ম। আমাদের ঐতিহ্য রয়েছে ‘নরনারায়ণ’ রূপে সকল জীবের সেবা করা। মহাকুম্ভ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোটি কোটি মানুষ এখানে পবিত্র স্নান করেছেন ও সাধু-সন্তদের আশীর্বাদ নিয়েছেন। তিনি একতার এই মহাকুম্ভের প্রশংসা করেন এবং সব স্বচ্ছতাকর্মী, পুলিশ আধিকারিককে তাঁদের কাজের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, মহাকুম্ভের পাশাপাশি ‘নেত্র মহাকুম্ভ’-এরও আয়োজন করা হয়েছিল। যদিও এর খুব বেশি প্রচার হয়নি। এখানে ২ লক্ষের বেশি বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা করা হয়েছে এবং দেড় লক্ষের বেশি মানুষ বিনামূল্যে ওষুধ ও চশমা পেয়েছেন। ১৬,০০০-এর কাছাকাছি রুগীকে ছানি ও অন্যান্য অপারেশনের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মহাকুম্ভ চলাকালীন আমাদের সাধু-সন্তদের নেতৃত্বে গৃহীত বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরিষেবা উদ্যোগের কথাও উল্লেখ করেন। এইসব স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রে হাজার হাজার চিকিৎসক ও স্বেচ্ছাসেবী নিঃস্বার্থভাবে অংশ নিয়েছেন। কুম্ভে যোগদানকারীরা এই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন বলে তিনি জানান।
প্রধানমন্ত্রী সমগ্র ভারতবর্ষে বড় বড় হাসপাতালগুলির পরিচালনায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলির কথা জোর দিয়ে বলেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে নানা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। এখানে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করা ও কোটি কোটি জনগণকে পরিষেবা দেওয়ার দিকে নজর দেওয়া হয়। তিনি বলেন, বুন্দেলখণ্ডের পবিত্র তীর্থক্ষেত্র চিত্রকূট ভগবান রামের সঙ্গে জড়িত এবং বর্তমানে বিশেষভাবে সক্ষম রোগীদের পরিষেবা প্রদানের অন্যতম কেন্দ্র। বাগেশ্বরধাম স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে আসায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। শ্রী মোদী বলেন, দু-দিন পর মহা শিবরাত্রি। এই উপলক্ষ্যে এখানে ২৫১ জন কন্যার গণ বিবাহ সম্পন্ন হবে। প্রধানমন্ত্রী এই বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বাগেশ্বরধাম কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান এবং নব বিবাহিত দম্পতি ও কন্যাদের সুন্দর ভবিষ্যতের শুভ কামনা জানান।
“শরীররামোদায়ম হালু ধর্ম সধানম”-এর উদ্ধৃতি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্য হল ধর্ম, আনন্দ ও সাফল্য অর্জনের মূল কেন্দ্রবিন্দু। তিনি বলেন, দেশ যখন তাঁকে সেবা করার সুযোগ দিল, তখন তিনি সরকারের মন্ত্র হিসেবে ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ নীতি গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, এই ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ নীতির মূল লক্ষ্য হল, ‘সবকা ইলাজ, সবকা আরোগ্য’ অর্থাৎ সকলের জন্য সুস্বাস্থ্য। স্বচ্ছ ভারত অভিযানের আওতায় যে শৌচাগার নির্মিত হয়েছে সেকথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শৌচাগার নির্মাণ হওয়ায় দেশে রোগ-ব্যধি কমেছে। তিনি বলেন, এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, শৌচাগার থাকা বাড়ির চিকিৎসা ব্যয় হাজার হাজার টাকা কমেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালে সরকার ক্ষমতায় আসার আগে দেশের দরিদ্র জনগণ চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যয় নিয়ে ভীত ছিলেন এবং কোনও কঠিন রোগ হলে সমগ্র পরিবার বিপদে পড়তো। শ্রী মোদী বলেন, তিনি নিজেও দরিদ্র পরিবার থেকেই উঠে এসেছেন এবং এ ধরণের কঠিন পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করেছেন। তাই তিনি জনগণের চিকিৎসা ব্যয় কমানোর দিকে বিশেষ নজর দেন। প্রয়োজন রয়েছে এমন কোনোও ব্যক্তি যেন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে বলেও শ্রী মোদী জোর দেন। তিনি বলেন, দরিদ্র জনগণের চিকিৎসা ব্যয় কমানোর পাশাপাশি বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদানেরও সুবিধা করা হয়েছে। আয়ুষ্মান কার্ডের মাধ্যমে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যায়। যাঁরা এখনও এই কার্ড পাননি তাঁরা যেন দ্রুত এই কার্ডের সুবিধা গ্রহণ করেন সেই আহ্বানও জানান তিনি।
বর্তমানে দরিদ্র, মধ্যবিত্ত বা বিত্তবান নির্বিশেষে দেশের ৭০ বছরের বেশি সব প্রবীণ নাগরিকদের আয়ুষ্মান কার্ডের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এই কার্ড বিনামূল্যে অনলাইন থেকে সংগ্রহ করা যায়। আয়ুষ্মান কার্ডের জন্য কোনোও অর্থ দিতে হয় না। কেউ এর জন্য কোনোও অর্থ চাইলে সেই ব্যক্তি যেন অবিলম্বে তা জানান সেকথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, অনেক চিকিৎসার ক্ষেত্রেই রুগীর হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয় না। প্রেসক্রিপশনে উল্লেখ করে ওষুধ নিয়ে রুগীরা বাড়ি যেতে পারেন। সেসব ক্ষেত্রে রুগীদের ব্যয়ভার কমাতে সমগ্র দেশে ১,৪০০-র বেশি জন ঔষধী কেন্দ্র খোলা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কিডনি রোগ অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে সুবিধা দিতে সরকারের তরফে ৭০০টি জেলায় বিনামূল্যে ডায়ালিসিস পরিষেবা দেওয়ার জন্য ১,৫০০-র বেশি ডায়ালিসিস কেন্দ্র খোলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সরকারের এই প্রকল্পগুলির সুবিধা থেকে যেন কেউ বঞ্চিত না হন, সেজন্য এ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
শ্রী মোদী বলেন, বর্তমানে ক্যান্সার একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার, সমাজ এবং সাধু-সন্ত সকলেই একযোগে এই ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে কোনও ব্যক্তির ক্যান্সার রোগ ধরা পড়লে তাঁরা যেসব অসুবিধার সম্মুখীন হন সেকথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাড়িতে জ্বর, ব্যাথা-যন্ত্রনার ঘরোয়া চিকিৎসার ফলে প্রথম ধাপে রোগ নির্ণয়ে দেরি হওয়ায় পরিস্থিতি খারাপ দিকে যায়। ক্যান্সার রোগের নাম শুনেই বিভিন্ন পরিবারে যে ভয় ও দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয় সেকথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, অনেকেই কেবলমাত্র দিল্লি ও মুম্বাইয়ে এই রোগের চিকিৎসা কেন্দ্রগুলির কথা জানেন। এই সমস্যা সমাধানে সরকার এ বছরে বাজেটে ক্যান্সার রোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছে। তিনি বলেন, ক্যান্সারের ওষুধকে ব্যয় সাশ্রয়ী করে তোলার জন্য তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আগামী ৩ বছরে প্রতিটি জেলায় ক্যান্সার ডে-কেয়ার সেন্টার গড়ে তোলা হবে বলে তিনি জানান। এই কেন্দ্রগুলিতে রোগ নির্ণয় ও পরিষেবা দেওয়া হবে। শ্রী মোদী বলেন, জেলা হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা পরিষেবার মানোন্নয়নের জন্য ক্যান্সার ক্লিনিক চালু করা হচ্ছে।
ক্যান্সার রোগ সম্পর্কে আরও সচেতন হওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রথম ধাপে রোগ নির্ণয় হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই রোগ ছড়িয়ে পড়লে তা মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে পড়ে। ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে সকলের পরীক্ষার জন্য চলতি প্রচারাভিযানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনওরকম অবহেলা না করে সকলের উচিত এতে অংশ নেওয়া। ক্যান্সার রোগ সম্পর্কে যথাযথ গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, এটি কোনও ছোঁয়াচে রোগ নয় এবং স্পর্শ থেকে তা ছড়িয়ে পড়ে না। বিড়ি, সিগারেট, গুটকা, তামাক সেবনে ক্যান্সার রোগের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায় বলে প্রধানমন্ত্রী জনগণকে এগুলি থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান। তিনি সকলকে কোনোরকম অবহেলা না করে সতর্কতা বজায় রাখার ওপর জোর দেন ও নিজের শরীর ও স্বাস্থ্যের প্রতি নজর রাখার আহ্বান জানান।
জনগণের সেবায় তাঁর প্রতিশ্রুতিবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছত্তরপুরে তাঁর পূর্ববর্তী সফরের সময় তিনি বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছিলেন। এর মধ্যে কেন বেতোয়া লিঙ্ক প্রকল্পও রয়েছে। শ্রী মোদী বলেন, এই অঞ্চলে জলের অভাব দীর্ঘদিনের এবং কোনোও সরকারই এ নিয়ে কোনোও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। কিন্তু জনগণের আশীর্বাদে বর্তমানে এই সমস্যা সমাধানে কাজ চলছে। পানীয় জলের সমস্যা মেটানোর কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। ‘জল জীবন মিশন’ বা ‘হর ঘর জল’ প্রকল্পের আওতায় বুন্দেলখণ্ডের গ্রামগুলিতে নলবাহিত জল সরবরাহ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। কৃষকদের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে তাঁদের আয় বাড়াতে সরকার দিবারাত্রি যে নিরলস পরিশ্রম করছেন, সেকথাও উল্লেখ করেন তিনি।
শ্রী মোদী বুন্দেলখণ্ডের উন্নয়নের জন্য মহিলাদের ক্ষমতায়নের ওপর জোর দেন। লাখপতি দিদি এবং ড্রোন দিদির মতো উদ্যোগ চালুর ফলে বহু মানুষ উপকৃত হচ্ছেন এবং ৩ কোটি মহিলাকে লাখপতি দিদি করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। মহিলাদের ড্রোন চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে বুন্দেলখণ্ডের কৃষিক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, SWAMITVA যোজনার আওতায় জমির যথাযথ পরিমাপের জন্য ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি বলেন, মধ্যপ্রদেশে এই উদ্যোগের সফল প্রয়োগ হয়েছে। এখানে জনগণ এই তথ্য ব্যবহার করে সহজে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাচ্ছেন ও ব্যবসার কাজে তা ব্যবহার করছেন। ফলে তাঁদের আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বক্তব্যের শেষে প্রধানমন্ত্রী বুন্দেলখণ্ডকে উন্নয়নের নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের নিরলস প্রচেষ্টার ওপর জোর দেন। বুন্দেলখণ্ড উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলবে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেন ও সকলের প্রতি তিনি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রী মঙ্গুভাই ছগনভাই প্যাটেল, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী মোহন যাদব ও অন্যান্য অতিথিরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রেক্ষাপট
মধ্যপ্রদেশের ছত্তরপুর জেলার গরহা গ্রামে বাগেশ্বরধাম মেডিক্যাল সায়েন্স রিসার্চ ইন্সটিটিউট তৈরি করা হচ্ছে। এখানে সমাজের সব স্তরের জনগণ উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। ক্যান্সার রুগীদের চিকিৎসার জন্য ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে ক্যান্সার হাসপাতাল। এখানে দুস্থ ক্যান্সার রুগীরা বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন।
SC/PM/NS
मध्य प्रदेश के छतरपुर में बागेश्वर धाम मेडिकल एंड साइंस रिसर्च इंस्टीट्यूट की आधारशिला रखकर अत्यंत हर्षित हूं। https://t.co/3BvyyvlkgH
— Narendra Modi (@narendramodi) February 23, 2025
हमारे मंदिर, हमारे मठ, हमारे धाम... ये एक ओर पूजन और साधन के केंद्र रहे हैं तो दूसरी ओर विज्ञान और सामाजिक चेतना के भी केंद्र रहे हैं: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) February 23, 2025
हमारे ऋषियों ने ही हमें आयुर्वेद का विज्ञान दिया।
— PMO India (@PMOIndia) February 23, 2025
हमारे ऋषियों ने ही हमें योग का वो विज्ञान दिया, जिसका परचम आज पूरी दुनिया में लहरा रहा है: PM @narendramodi
जब देश ने मुझे सेवा का अवसर दिया, तो मैंने ‘सबका साथ, सबका विकास’ के मंत्र को सरकार का संकल्प बनाया।
— PMO India (@PMOIndia) February 23, 2025
और, ‘सबका साथ, सबका विकास’ के इस संकल्प का भी एक बड़ा आधार है- सबका इलाज, सबको आरोग्य: PM
यह देखकर बहुत संतोष होता है कि बागेश्वर धाम में अध्यात्म और आरोग्य के संगम से लोगों का कल्याण हो रहा है। pic.twitter.com/0dn8jg8nAe
— Narendra Modi (@narendramodi) February 23, 2025
हिन्दू आस्था से नफरत करने वाले और गुलामी की मानसिकता से घिरे लोगों का एक ही एजेंडा है- हमारे समाज को बांटना और उसकी एकता को तोड़ना। pic.twitter.com/9kmdta4SR3
— Narendra Modi (@narendramodi) February 23, 2025
एकता के महाकुंभ में स्वच्छता, सुरक्षा और स्वास्थ्य को लेकर पूरे सेवा भाव के साथ जो कार्य हो रहे हैं, उसने देशवासियों का दिल जीत लिया है। pic.twitter.com/7LJFz2tOev
— Narendra Modi (@narendramodi) February 23, 2025
‘सबका साथ, सबका विकास’ के संकल्प का एक बड़ा आधार है- सबका इलाज, सबको आरोग्य! pic.twitter.com/qrjqvggidI
— Narendra Modi (@narendramodi) February 23, 2025
देश में गरीब जितना बीमारी से नहीं डरता था, उससे ज्यादा डर उसे इलाज के खर्च से लगता था। इसीलिए, मैंने संकल्प लिया कि… pic.twitter.com/FPWArzM4mP
— Narendra Modi (@narendramodi) February 23, 2025
ये अत्यंत प्रसन्नता की बात है कि बागेश्वर धाम में कैंसर मरीजों के लिए एक बड़ा अस्पताल खुलने जा रहा है। लेकिन कैंसर से सुरक्षा को लेकर आपको मेरी ये बात जरूर याद रखनी है… pic.twitter.com/posYPijHem
— Narendra Modi (@narendramodi) February 23, 2025
बुंदेलखंड समृद्ध बने और यहां के किसानों और माताओं-बहनों का जीवन आसान हो, इसके लिए मोदी आपका सेवक बनकर दिन-रात सेवा में जुटा है। pic.twitter.com/krmiCY6RoO
— Narendra Modi (@narendramodi) February 23, 2025
बागेश्वर धाम में बाला जी सरकार के दर्शन-पूजन का सौभाग्य मिला। उनसे देशवासियों की सुख-समृद्धि और कल्याण की कामना की। pic.twitter.com/atbEulAjj6
— Narendra Modi (@narendramodi) February 23, 2025