নয়াদিল্লি, ২৮ জানুয়ারি , ২০২৫
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে ৩৮-তম জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেছেন। তাঁর ভাষণের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ দেবভূমি যুবশক্তির তেজে আরও উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে। বাবা কেদারনাথ, বদ্রীনাথজি, মা গঙ্গার আশীর্বাদে জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আজ সূচনা হল। উত্তরাখণ্ড রাজ্য প্রতিষ্ঠার এটি ২৫-তম বার্ষিকী। বয়সের বিচারে নবীন এই রাজ্যে ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার যুবক-যুবতী জড়ো হয়েছেন তাঁদের ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শনের জন্য। এক ভারত-শ্রেষ্ঠ ভারতের একটি সুন্দর ছবি এখানে ফুটে উঠেছে। জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় এবারও বেশ কয়েকটি চিরায়ত দেশীয় খেলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। একদিক থেকে বলতে গেলে এবারের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পরিবেশ বান্ধব। প্রতিযোগিতায় যেসব মেডেল এবং ট্রফি দেওয়া হবে, সেগুলি ই-ওয়েস্ট দিয়ে তৈরি। প্রতিযোগিতায় পদক বিজয়ীদের নামে একটি করে গাছ পোঁতা হবে। এটি এক মহতী উদ্যোগ। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক খেলোয়াড়কে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তিনি উত্তরাখণ্ডের প্রতিটি নাগরিক এবং প্রশাসনকে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন করার জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
শ্রী মোদী বলেন, সোনাকে আগুনে রাখলে তা আরও বিশুদ্ধ হয়। সরকার এখন খেলোয়াড়দের জন্য আরও বেশি সুযোগ তৈরি করছে, যাতে তাঁদের দক্ষতা ক্রমশ বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে সারা বছর ধরেই অনেক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। খেলো ইন্ডিয়া সিরিজে নতুন নতুন খেলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। খেলো ইন্ডিয়া যুব ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় আরও বেশি তরুণ খেলোয়াড় অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীরা ইউনিভার্সিটি গেমস্-এ নতুন নতুন সুযোগ পাচ্ছেন। খেলো ইন্ডিয়া প্যারা গেমস-এ প্যারা অ্যাথলিটসরা নতুন নতুন সাফল্য অর্জন করছেন। মাত্র দিন কয়েক আগেই লাদাখে পঞ্চম খেলো ইন্ডিয়া উইন্টার গেমস্-এর সূচনা হয়েছে। গত বছর সমুদ্রতটের জন্য বীচ গেমসের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি পর্যায়েই শুধু এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে তা নয়, অনেক সাংসদ তাঁদের নিজ নিজ অঞ্চলে নতুন নতুন প্রতিভার সন্ধানে এমপি স্পোর্টস কম্পিটিশনের আয়োজন করছেন। কাশীর সাংসদ হিসেবে তিনিও সাংসদ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। প্রতি বছর প্রায় আড়াই লক্ষ যুবক-যুবতী এখানে অংশগ্রহণের সুযোগ পান। খেলাধুলায় এক অনন্য উদ্যোগ শুরু হয়েছে যেখানে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতের সার্বিক বিকাশে আমরা খেলাধুলাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করি”। কোনো দেশ যখন ক্রীড়া ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করে তখন সেই দেশের বিশ্বাসযোগ্যতাও বৃদ্ধি পায়। আর তাই ভারতের উন্নয়নে খেলাধুলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আজ যখন ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার পথে এগিয়ে চলেছে, তখন খেলাধুলাকে সেই অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। একজন খেলোয়াড়ের শুধু কোনো ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট উদ্যোগ সীমাবদ্ধ থাকে না, এর পিছনে একটি ব্যবস্থাপনা কাজ করে। কোচ, ট্রেনার, খেলোয়াড়দের পুষ্টি ও ফিট থাকার জন্য একদল মানুষ, চিকিৎসা এবং খেলোধুলায় ব্যবহার করার জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম- অনেক কিছুই একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অঙ্গ। ভারতে বিভিন্ন খেলাধুলায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম তৈরির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, নানা দেশের খেলোয়াড়রা এগুলি ব্যবহার করেন। মীরাঠে ৩৫,০০০-এর বেশি ছোট ও বড় কারখানায় নানা ধরনের খেলাধুলার সরঞ্জাম তৈরি হয়। ৩ লক্ষ মানুষ সেখানে কাজ করেন। আজ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এ ধরনের ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
শ্রী মোদী জানান, সম্প্রতি তার দিল্লির বাড়িতে এবারের অলিম্পিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা এসেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময়কালে এক ক্রীড়াবিদ পিএম শব্দটির নতুন অর্থ সম্পর্কে তাকে জানান। সেটি হল পরমমিত্র। ক্রীড়াবিদদের এই বিশ্বাসই তাঁর শক্তি বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁদের প্রতিভা, দক্ষতার প্রতি তার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। ১০ বছর আগে খেলাধুলার জন্য যে বাজেট বরাদ্দ ছিল, আজ তা বৃদ্ধি পেয়ে ৩ গুণের বেশি হয়েছে। টপস প্রকল্পে দেশের হাজার হাজার খেলোয়াড়ের জন্য কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। খেলো ইন্ডিয়া কর্মসূচিতে অত্যাধুনিক ক্রীড়া পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। আজ প্রতিটি বিদ্যালয়ে খেলাধুলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মণিপুরে দেশের প্রথম ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকারের এই উদ্যোগগুলির সুফল এখন পাওয়া যাচ্ছে। পদক তালিকাগুলিতে তার প্রতিফলন ঘটেছে। আজ প্রত্যেকটি আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ভারতীয় খেলোয়াড়রা সফল হচ্ছেন। অলিম্পিক্স এবং প্যারালিম্পিক্স-এ আমাদের খেলোয়াড়রা খুব ভালো খেলেছেন। উত্তরাখণ্ডের অনেক খেলোয়াড় পদক জিতেছেন। বেশ কয়েকজন পদকজয়ী জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের উৎসাহিত করতে আসায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
শ্রী মোদী বলেন, হকির গৌরবের দিনগুলি আবারও ফিরে আসছে। ভারতীয় খো খো দলের সদস্যরা বিশ্বকাপ জিতেছেন। গুকেশ ডি-র বিশ্ব দাবা প্রতিযোগিতার খেতাব জয়ে সারা বিশ্ব আশ্চর্য হয়েছে। কোনেরু হাম্পি মহিলাদের ওয়ার্ল্ড র্যা পিড দাবায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। এই সাফল্যগুলির মাধ্যমেই বোঝা যায় ভারতে খেলাধুলা আর এক্সট্রা ক্যারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজ-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। আমাদের যুবক-যুবতীরা খেলাধুলাকে তাঁদের কেরিয়ারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে বিবেচনা করছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের খেলোয়াড়রা আরও সাফল্যের জন্য যখন এগিয়ে চলেছেন, আমাদের দেশও গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে ব্রতী হয়েছে”। ২০৩৬ সালের অলিম্পিক্স ভারতে আয়োজনের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অলিম্পিক্স যদি ভারতে অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে ভারতীয় ক্রীড়া জগত এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে। অলিম্পিক্স শুধুমাত্র একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতাই নয়, পৃথিবীর যেখানেই অলিম্পিক্স হয়েছে, সেখানেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে গতির সঞ্চার হয়েছে। অলিম্পিক্স-এর জন্য খেলাধুলা সংক্রান্ত পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হয়। সেখানে অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। এই উন্নত পরিকাঠামো ভবিষ্যতের খেলোয়াড়দের জন্য সহায়ক হয়। যেসব শহরে অলিম্পিক্স হবে, সেখানে যোগাযোগ সংক্রান্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়। এর ফলে সবথেকে বেশি উপকৃত হয় পর্যটন শিল্প। অনেক নতুন নতুন হোটেল তৈরি হয়। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খেলোয়াড়রা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য আসেন, অনেকে খেলা দেখতেও আসেন। তিনি বলেন, দেবভূমি উত্তরাখণ্ডে জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শকরা উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন জায়গায় আসবেন এই খেলা দেখতে। অর্থাৎ একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুধুমাত্র খেলোয়াড়দের জন্যই লাভবান হয় না, অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য ক্ষেত্রগুলিরও প্রসার ঘটে।
একবিংশ শতাব্দীকে ভারতের বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাবা কেদারনাথ দর্শনের পর তাঁর মনে হয়েছে বর্তমান দশকটি উত্তরাখণ্ডের। উত্তরাখণ্ডের উন্নয়ন দ্রুত হারে হওয়ায় তিনি অত্যন্ত আনন্দিত। ভারতের প্রথম রাজ্য হিসেবে উত্তরাখণ্ড গতকালই অভিন্ন দেওয়ানী বিধি কার্যকর করেছে। এই সিদ্ধান্ত আমাদের মা-বোনদের মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাত্রার চাবিকাঠি হয়ে উঠবে। এটি গণতান্ত্রিক এবং সাংবিধানিক ভাবনাকেও শক্তিশালী করবে। খেলাধুলা যে কোনো বৈষম্যমূলক মনোভাব থেকে দূরে সরে আসতে সাহায্য করে। খেলাধুলা আমাদের দলগতভাবে কাজ করার শক্তি যোগায়। অভিন্ন দেওয়ানী বিধির ক্ষেত্রেও এই একই মনোভাব রয়েছে। কারুর প্রতি বৈষম্য নয়, সকলেই সমান। উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকার এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপ গ্রহণ করায় আমি তাদের অভিনন্দন জানাই।
প্রথমবারের মতো উত্তরাখণ্ডে এতো বড় মাপের একটি জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর ফলে এখানে আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, এখানে যুবক-যুবতীরা কাজ পাবেন। উত্তরাখণ্ড তার উন্নয়নের জন্য নতুন নতুন সুযোগ তৈরি করবে। এখন আর এই রাজ্যের অর্থনীতি শুধুমাত্র চার ধাম যাত্রার ওপরই নির্ভরশীল নয়। সরকার এই যাত্রাপথে আরও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করার জন্য প্রতিনিয়ত নানা ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করছে। প্রতি বছর এখানে তীর্থযাত্রীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, নতুন নতুন রেকর্ড গড়ে তুলছে। শীতকালে ধর্মীয় যাত্রাকে উৎসাহিত করে তিনি জানান্, উত্তরাখণ্ড সেই লক্ষ্যে কাজ করছে। জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের তিনি পরামর্শ দেন, তারা প্রতিযোগিতা শেষ হলে পর সম্ভব হলে দেবভূমির আতিথেয়তা আরও কয়েকদিন গ্রহণ করতে পারেন।
শ্রী মোদী বলেন, এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রত্যেকেই নিজ নিজ রাজ্যকে প্রতিনিধিত্ব করছেন। আগামী দিনগুলিতে আপনারা নানা প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন। অনেকে জাতীয় রেকর্ড ভাঙবেন, রেকর্ড গড়বেন। তাঁরা এই প্রতিযোগিতায় তাদের পুরো ক্ষমতাকে কাজে লাগাবেন। এই জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতাগুলি শুধুমাত্র খেলাধুলার প্রতিযোগিতাই নয়, এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারতের এক শক্তিশালী মঞ্চ হিসেবেও এগুলিকে বিবেচনা করার আহ্বান জানান তিনি। যে পদকগুলি তাঁরা জিতবেন তা ভারতের ঐক্য ও শ্রেষ্ঠত্বকে বিকশিত করবে। এখানে বিভিন্ন রাজ্যের ভাষা, খাদ্যাভ্যাস, সঙ্গীত ও কলা সম্পর্কে অবগত হবার পরামর্শ দেন তিনি। এ ছাড়াও পরিচ্ছন্নতার দিকেও সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান তিনি। দেবভূমির নাগরিকদের উদ্যোগের কারণেই উত্তরাখণ্ড আজ প্লাস্টিক মুক্ত রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি অর্জনের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। একে সফল করতে সকলের সহযোগিতার প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী সকলকে ফিট থাকার পরামর্শ দেন। তিনি জানান, দেশে স্থুলতার সমস্যা খুব দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। কারণ মোটা হয়ে গেলে, ডায়াবেটিস, হার্টের অসুখের মতো নানা রকম শারীরিক অসুবিধা দেখা দেয়। আজ দেশ ফিট ইন্ডিয়া মুভমেন্টের মাধ্যমে সুস্থ এবং ফিট থাকার বিষয়ে সচেতন হয়ে ওঠায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতাগুলি থেকে শারীরিকভাবে সচল থাকা, শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং সুষম জীবন যাপনের বিষয়ে ধারণা পাওয়া যায়। দেশবাসীকে প্রত্যেকদিন খানিকটা সময় বের করে ব্যায়াম করার পরামর্শ দেন তিনি। এ ছাড়াও সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। সকলের খাদ্য তালিকা থেকে অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট জাতীয় জিনিস এবং তেলের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে। রান্নার তেলের ব্যবহার ১০ শতাংশ করে কমিয়ে ফেলার পরামর্শ দেন তিনি। সকলে মিলে ‘ফিট ইন্ডিয়া’ গড়ে তোলার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে উত্তরাখণ্ডের রাজ্যপাল অবসরপ্রাপ্ত লেফ্টেন্যান্ট জেনারেল গুরমিত সিং, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী পুষ্কর শ্রী ধামী, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শ্রী অজয় টামটা, শ্রীমতী রক্ষা খাড়সে সহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
SC/CB/NS
Inaugurating the 38th National Games in Uttarakhand. It is a celebration of India's incredible sporting talent and showcases the spirit of athletes from across the country. https://t.co/RT5QkE6Yu6
— Narendra Modi (@narendramodi) January 28, 2025
We consider sports as a key driver for India's holistic development. pic.twitter.com/bYaHZpWhd1
— PMO India (@PMOIndia) January 28, 2025
We are creating more and more opportunities for our athletes so they can enhance their potential to the fullest. pic.twitter.com/WYoCesPiWx
— PMO India (@PMOIndia) January 28, 2025
India is making a strong push to host the 2036 Olympics. pic.twitter.com/Dy4g809faJ
— PMO India (@PMOIndia) January 28, 2025
The National Games is more than just a sporting event. It is a great platform to showcase the spirit of 'Ek Bharat, Shreshtha Bharat.' It is a celebration of India's rich diversity and unity. pic.twitter.com/nRlLXcXzYC
— PMO India (@PMOIndia) January 28, 2025
आज देश में खेलो इंडिया सीरीज के अलग-अलग गेम्स के साथ ही ऐसी अनेक स्पर्धाएं हैं, जो हमारी खेल प्रतिभाओं को लगातार आगे बढ़ने के अवसर दे रही हैं। pic.twitter.com/ZvNFCuMwY2
— Narendra Modi (@narendramodi) January 28, 2025
हम इसलिए देश में खेल के इकोसिस्टम और स्पोर्ट्स इकोनॉमी को मजबूत बनाने के लिए कोई कोर-कसर नहीं छोड़ रहे हैं… pic.twitter.com/ZF3pnQaqON
— Narendra Modi (@narendramodi) January 28, 2025
वैश्विक स्पर्धाओं में हमारे खिलाड़ियों की गौरवशाली उपलब्धियां बताती हैं कि भारत में स्पोर्ट्स अब सिर्फ Extra-Curricular Activity नहीं, बल्कि प्रमुख Career Choice बनता जा रहा है। pic.twitter.com/bnsVjX1O3S
— Narendra Modi (@narendramodi) January 28, 2025
उत्तराखंड में लागू हुए यूनिफॉर्म सिविल कोड में भी हमारे खेलों की तरह ही टीम स्पिरिट की भावना है। pic.twitter.com/lNwolS7oKG
— Narendra Modi (@narendramodi) January 28, 2025
नेशनल गेम्स में अलग-अलग राज्यों से हिस्सा ले रहे खिलाड़ियों और एथलीटों से मेरे कुछ विशेष आग्रह… pic.twitter.com/iQCtORjU09
— Narendra Modi (@narendramodi) January 28, 2025