Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী একাধিক রেল প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী একাধিক রেল প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন


নয়াদিল্লি, ৬ জানুয়ারি, ২০২৫

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে একাধিক রেল প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নতুন জম্মু রেল ডিভিশনের উদ্বোধন করলেন। ইস্ট- কোস্ট রেলওয়ের রায়গড়া রেলওয়ে ডিভিশন ভবনের শিলান্যাসও করেন এবং তেলেঙ্গানায় চারলাপল্লী নতুন টার্মিনাল স্টেশনেরও উদ্বোধন করেন।

শ্রী গুরু গোবিন্দ সিং-জির জয়ন্তী উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন যে তাঁর শিক্ষা ও জীবন শক্তিশালী সমৃদ্ধ দেশের ভাবনাকে অনুপ্রাণিত করেছে। যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভারতের দ্রুত অগ্রগতির প্রশংসা করে শ্রী মোদী জানান যে ২০২৫-এর শুরু থেকে ভারত তার উদ্যোগে গতি এনেছে, মেট্রো রেল নেটওয়ার্ক ১ হাজার কিলোমিটারের বেশি প্রসারের মাধ্যমে। গতকাল দিল্লি মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধনের পাশাপাশি দিল্লি-এনসিআর-এর জন্য নমো ভারত ট্রেনের উদ্বোধনের উল্লেখ করেন তিনি। শ্রী মোদী আরও বলেন, সমগ্র দেশ যে একসঙ্গে পায়ে পায়ে এগিয়ে যাচ্ছে, আজকের অনুষ্ঠান তারই প্রমাণ। জম্মু ও কাশ্মীর, ওড়িশা ও তেলেঙ্গানায় প্রকল্পের সূচনা উত্তর, পূর্ব এবং দক্ষিণাঞ্চলে আধুনিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ। তিনি এও বলেন, ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’-এর মন্ত্র উন্নত ভারতের স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতে সাহায্য করছে। তিনি এইসব অঞ্চলের মানুষ এবং ভারতের সকল নাগরিককে এই উন্নয়নের জন্য অভিনন্দন জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের মতো আধুনিক রেল নেটওয়ার্কের কাজ দেশের অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করছে। তিনি বলেন, এইসব বিশেষ করিডর রেললাইনের ওপর চাপ কমাবে এবং হাই-স্পিড ট্রেনের জন্য আরও সুযোগ তৈরি করবে। শ্রী মোদী জোর দিয়ে বলেন, মেড ইন ইন্ডিয়া-র আদর্শে রেলও রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। মেট্রো এবং অন্য ট্রেনের জন্য আধুনিক কামরা তৈরি হচ্ছে, স্টেশনগুলিকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে, স্টেশনে স্টেশনে সৌর প্যানেল বসানো হচ্ছে, রেলওয়ে স্টেশনগুলিতে ‘এক স্টেশন, এক পণ্য’-এর স্টল বসানো হচ্ছে। এইসব উদ্যোগ রেলওয়ে ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের নতুন নতুন সুযোগ তৈরি করছে। শ্রী মোদী আরও বলেন, “গত এক দশকে কয়েক লক্ষ তরুণ-তরুণী রেলে সরকারি স্থায়ী চাকরি পেয়েছেন। নতুন ট্রেনের কামরা তৈরির জন্য কারখানাগুলিতে কাঁচামালের চাহিদা অন্যান্য ক্ষেত্রেও কর্মসংস্থানের সুযোগ এনে দিয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রেলের বিশেষ দক্ষতার কথা মাথায় রেখে দেশের প্রথম গতি শক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ও স্থাপিত হয়েছে। রেলওয়ে নেটওয়ার্ক যত প্রসারিত হচ্ছে, তত নতুন নতুন ডিভিশন, সদর দপ্তর স্থাপিত হচ্ছে। এতে উপকৃত হচ্ছে জম্মু, কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব এবং লেহ-লাদাখের মতো অঞ্চলগুলি। তিনি জানান, জম্মু ও কাশ্মীর রেলওয়ে পরিকাঠামোয় নতুন মাইলফলক অর্জন করেছে। উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুলা রেললাইন নিয়ে সারা দেশে আজ আলোচনা হচ্ছে। শ্রী মোদী বলেন, চেনাব সেতু সম্পূর্ণ হলে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলওয়ে এই আর্চ ব্রিজ সংশ্লিষ্ট অঞ্চলকে ভারতের বাকি অংশের সঙ্গে জুড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। লেহ-লাদাখের মানুষের যাতায়াতের সুবিধা হবে।

শ্রী মোদী বলেন, দেশের প্রথম কেবল-ভিত্তিক রেলওয়ে সেতু আঞ্জিখার ব্রিজ এই প্রকল্পেরই অংশ। তিনি বলেন, চেনাব সেতু এবং আঞ্জিখার সেতু ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে একটি নজির যা এই অঞ্চলের সমৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতির পথ প্রশস্ত করছে।

প্রধানমন্ত্রী বিশেষ করে উল্লেখ করেন যে ওড়িশার প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ আছে এবং দীর্ঘ উপকূল আছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাবনা আছে। তিনি বলেন, ৭০ হাজার কোটি টাকার বেশি মূল্যের একাধিক রেল প্রকল্প ওই রাজ্যে চলছে। সাতটি গতি শক্তি কার্গো টার্মিনালের কাজ হচ্ছে যা শিল্প ও বাণিজ্যের প্রসার ঘটাবে। শ্রী মোদী বলেন যে আজ ওড়িশার রায়গড়া রেলওয়ে ডিভিশনের শিলান্যাস করা হল যা রাজ্যের রেলওয়ে পরিকাঠামো বৃদ্ধির মাধ্যমে পর্যটন, বাণিজ্য এবং কর্মসংস্থানের প্রসার ঘটাবে, বিশেষ করে দক্ষিণ ওড়িশায় যেখানে আদিবাসী মানুষের বাস বেশি।

আজ তেলেঙ্গানায় চারলাপল্লী নতুন টার্মিনাল স্টেশনের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আউটার রিং রোডের সঙ্গে সংযুক্ত করার মাধ্যমে আঞ্চলিক উন্নয়নের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করবে এটি। তিনি জানান, “এই স্টেশন আউটার রিং রোডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটাবে।” শ্রী মোদী স্টেশনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা যেমন প্ল্যাটফর্ম, লিফট, এসকালেটর, সৌরশক্তি-চালিত বিভিন্ন কার্যাবলির উল্লেখ করে বলেন, “সুস্থায়ী পরিকাঠামো নির্মাণে এটি একটি পদক্ষেপ।” তিনি আরও বলেন, নতুন টার্মিনালটি সেকেন্দ্রাবাদ, হায়দরাবাদ, কাছিগুড়া স্টেশনের ওপর চাপ কমাবে, মানুষের যাতায়াত সহজ হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ধরনের প্রকল্পগুলি জীবনযাপন সহজ করে দেয় শুধু তাই নয়, ব্যবসা-বাণিজ্যেরও সুবিধা করে। তার পাশাপাশি ভারতের উন্নত পরিকাঠামোর লক্ষ্য পূরণ করে। শ্রী মোদী বলেন, ভারত বর্তমানে পরিকাঠামোর ব্যাপক প্রসার ঘটাচ্ছে যেমন, এক্সপ্রেসওয়ে, ওয়াটারওয়ে এবং মেট্রো নেটওয়ার্কের। তিনি বলেন, বিমানবন্দরের সংখ্যা ২০১৪-র ৭৪ থেকে আজ বেড়ে হয়েছে ১৫০ এবং মেট্রো পরিষেবা পাঁচটি শহর থেকে বেড়ে দেশের ২১টি শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, “দেশের প্রতিটি নাগরিকের স্বপ্নের বিকশিত ভারতের লক্ষ্যে একটি বৃহত্তর পথমানচিত্রের অঙ্গ এই প্রকল্পগুলি।”

ভারতের উন্নয়নে আস্থা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি নিশ্চিত যে, একসঙ্গে আমরা এই অগ্রগতিকে আরও বাড়িয়ে নিয়ে যেতে পারব।” তিনি এই মাইলফলকের জন্য ভারতের নাগরিকদের অভিনন্দন জানান এবং দেশ গঠনে সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনরায় ব্যক্ত করেন।

রেল, তথ্য ও সম্প্রচার, ইলেক্ট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, পৃথ্বী-বিজ্ঞান প্রতিমন্ত্রী শ্রী জি কিষাণ রেড্ডি, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী ভি সোমান্না, প্রতিমন্ত্রী শ্রী রভনীত সিং বিট্টু, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বন্দি সঞ্জয় কুমার, ওড়িশার রাজ্যপাল শ্রী জিষ্ণু দেববর্মা, তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল শ্রী হরিবাবু কম্ভামপতি, জম্মু-কাশ্মীরের উপ-রাজ্যপাল শ্রী মনোজ সিনহা, জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ওমর আবদুল্লা, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী শ্রী রেবন্ত রেড্ডি এবং ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী শ্রী মোহন চরণ মাঝি সহ অন্য বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন ওই অনুষ্ঠানে।

 

SC/AP/DM