Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বিহারে ১২ হাজার ১০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বিহারে ১২ হাজার ১০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন


নয়াদিল্লি, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪ 

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ বিহারের দ্বারভাঙার ১২ হাজার ১০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে – স্বাস্থ্য, রেল, সড়ক, পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাস বিষয়ক বিভিন্ন প্রকল্প।
সমাবেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ডে ভোটদান প্রক্রিয়া চলছে। বিকশিত বা উন্নত ভারত গড়ার লক্ষ্যে সেখানকার জনগণ তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। তিনি ঝাড়খন্ডবাসীকে বিপুল সংখ্যায় ভোটদানের আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত শারদা সিনহা’জি- র স্মৃতিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন এবং সঙ্গীতে বিশেষ করে ছট মহাপরব উপলক্ষ্যে তাঁর বিভিন্ন গানের প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমগ্র দেশের সঙ্গে বিহার রাজ্যেও উন্নয়নের জোয়ার এসেছে। তিনি বলেন, অতীতে বিভিন্ন প্রকল্পগুলি কেবলমাত্র কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ থাকত। বর্তমানে বাস্তবে সেই প্রকল্পগুলি রূপায়িত হচ্ছে। শ্রী মোদী বলেন, “আমরা দৃঢ় পদক্ষেপে বিকশিত বা উন্নত ভারত গঠনের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছি”। তিনি বলেন, আমাদের বর্তমান প্রজন্ম অত্যন্ত সৌভাগ্যবান। কারণ, তাঁরা উন্নত ভারত প্রত্যক্ষ করতে পারছেন। 
দেশের সেবায় এবং জনগণের উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারের প্রতিশ্রুতিবদ্ধতার কথা পুনরায় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ এখানে সড়ক, রেল, গ্যাস এবং পরিকাঠামো সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ১২ হাজার ১০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস হয়েছে। দ্বারাভাঙা এইমস্‌ নিয়ে যে স্বপ্ন ছিল, তা বাস্তবে পরিণত করার জন্য আজ এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই এইমস্‌ হাসপাতালটি বিহারে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন আনবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিথিলা, কোশী এবং তিরহুট সহ পশ্চিমবঙ্গ ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন অঞ্চলের জনগণ এই হাসপাতালের সুবিধা পাবেন। এমনকি, চিকিৎসার জন্যও নেপাল থেকে ভারতে আসা রোগীরাও উপকৃত হবেন। শ্রী মোদী বলেন, এখানে কর্মসংস্থান ও স্বরোজগারের বহুমুখী সম্ভাবনা তৈরি হবে। বিভিন্ন উন্নয়নমুখী প্রকল্পগুলির উদ্বোধন ও শিলান্যাসের জন্য প্রধানমন্ত্রী মিথিলা ও দ্বারভাঙা সহ সমগ্র বিহারবাসীকে অভিনন্দন জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অধিকাংশ জনগণ দরিদ্র বা মধ্যবিত্ত শ্রেণীর। বিভিন্ন রোগের প্রভাব তাঁদের উপরই বেশি পড়ে। চিকিৎসায় তাঁদের বহু টাকা ব্যয় হয়। পরিবারের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তার প্রভাব পড়ে সমগ্র পরিবারের উপর। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতীতে হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় চিকিৎসা পরিকাঠামো ছিল অত্যন্ত নিম্নমানের। স্বাস্থ্য ক্ষেত্র যথাযথ না থাকায় দেশের দরিদ্র শ্রেণীর জনগণ নানা অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন। এর প্রভাব পড়েছে দেশের উন্নয়নের উপরও। কিন্তু, বর্তমানে সমগ্র ব্যবস্থা বদলে গেছে। পুরনো চিন্তায় পরিবর্তন এসেছে। 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে মানোন্নয়নের জন্য সরকার সামগ্রিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। রোগ-প্রতিরোধের উপর সর্বপ্রথম জোর দেওয়া হচ্ছে। এরপর, রোগ নির্ণয়; তৃতীয় ধাপে বিনামূল্যে বা কম খরচে চিকিৎসা পরিষেবা ও ওষুধ প্রদান করা এবং চতুর্থ পদক্ষেপে ছোট ছোট শহরগুলিতে চিকিৎসার সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রকে মজবুত করতে প্রযুক্তির সম্প্রসারণের উপরও বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।
শ্রী মোদী বলেন, সরকার যোগ ব্যায়াম, আয়ুর্বেদ, পুষ্টি এবং ফিট ইন্ডিয়া আন্দোলনের মতো বিষয়গুলিতে বিশেষ নজর দিচ্ছে। সাধারণভাবে অসুস্থতার জন্য গুরুপাক খাবার এবং যথাযথ জীবনযাপন না করা অন্যতম কারণ বলেও তিনি মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছ ভারত – এর মতো অভিযানের মাধ্যমে সরকার বিভিন্ন বাড়িতে শৌচাগার নির্মাণ করছে, যথাযথ পানীয় জলের জন্য চালু হচ্ছে নলবাহিত জল প্রদান ব্যবস্থা। রোগ প্রতিরোধে স্বচ্ছতা বজায় রাখার উপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী দ্বারভাঙার মুখ্য সচিব ও তাঁর নেতৃত্বাধীন দলের ও সমগ্র বিহারবাসীর প্রশংসা করে বলেন, গত কয়েক দিনে এখানে স্বচ্ছতা আন্দোলন জোরদার হয়েছে। তিনি এই অভিযান আগামী আরও কয়েকদিন চালানোর জন্যও আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কোনও রোগ প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে তার ক্ষতিকর প্রভাব কিছুটা হলেও কম করা সম্ভব হয়। এতদিন পর্যন্ত রোগ নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা বিপুল ব্যয়বহুল হওয়ায় সাধারণ জনগণ তা থেকে দূরে থাকতেন। শ্রী মোদী বলেন, “কিন্তু, বর্তমানে যে কোনও রোগ প্রাথমিক অবস্থায় নির্ণয়ের জন্য আমরা দেশে দেড় লক্ষ আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দির চালু করেছি। 
এখনও পর্যন্ত আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় ৪ কোটিরও বেশি রোগীর চিকিৎসা হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এই প্রকল্পের সুবিধা না থাকায় অনেক ক্ষেত্রে গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিও হাসপাতালে ভর্তি হতে পারছেন না। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প বহু দরিদ্র মানুষের চিন্তা দূর করতে সক্ষম হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। আয়ুষ্মান প্রকল্পের আওতায় কোটি কোটি পরিবার উপকৃত হচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। 
ভোটের সময় দেশের সত্তরোর্ধ্ব প্রবীণ নাগরিকদের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় আনার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেকথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই প্রতিশ্রুতি পূর্ণ হয়েছে। বর্তমানে পারিবারিক আয় ব্যতিরেকে সত্তরোর্ধ্ব প্রবীণ নাগরিকদের এই প্রকল্পের আওতায় বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে”। তিনি বলেন, সব সুবিধাভোগীরাই খুব শীঘ্রই আয়ুষ্মান বয়ঃবন্দনা কার্ড পাবেন। তিনি স্বল্প মূল্যে ওষুধ পাবার জন্য জন ঔষধি কেন্দ্রগুলির কথাও উল্লেখ করেন।
ছোট শহরগুলিতে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসকের সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে স্বাধীনতা পরবর্তী ষাট বছরে মাত্র একটি এইমস্‌ হাসপাতাল ছিল। কিন্তু, বর্তমান সরকার দেশের প্রায় প্রতিটি প্রান্তে এইমস্‌ হাসপাতাল স্থাপন করেছে। বর্তমানে দেশে এইমস্‌ হাসপাতালের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৪। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত ১০ বছরে দেশে মেডিকেল কলেজের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। এরফলে, চিকিৎসকের সংখ্যাও বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দ্বারভাঙা এইমস্‌ হাসপাতালের মাধ্যমে আরও অনেক চিকিৎসক বিহার তথা দেশবাসীর সেবায় নিয়োজিত হবেন”। মাতৃভাষায় উচ্চ শিক্ষার গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করপুরী ঠাকুরজির স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। শ্রী মোদী বলেন, বিগত ১০ বছরে দেশে মেডিকেলে আসন সংখ্যা ১ লক্ষ বেড়েছে। আগামী পাঁচ বছরে আরও ৭৫ হাজার আসন বাড়ানো হবে বলেও তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, হিন্দি সহ অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষায় মেডিকেলে পড়াশোনার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। 
ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকারের প্রচেষ্টার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, মুজফফরপুরে ক্যান্সার রোগ চিকিৎসার যে নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা থেকে বিহারের ক্যান্সার রোগীরা উপকৃত হবেন। এখন থেকে আর রোগীদের চিকিৎসার জন্য দিল্লি বা মুম্বাই যেতে হবে না। বিহারে শীঘ্রই একটি নতুন চক্ষু হাসপাতাল খোলা হচ্ছে বলেও প্রধানমন্ত্রী আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি বারাণসীতে যে শঙ্কর চক্ষু হাসপাতাল তৈরি হয়েছে, সেটির মতো বিহারে একটি চক্ষু হাসপাতালের জন্য তিনি কাঞ্চি কামাকোটি শ্রীশঙ্করাচার্যজিকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। এই হাসপাতালের কাজ শুরু হয়েছে। 
সুশাসনের যথার্থ মডেল হিসেবে বিহারকে গড়ে তোলার জন্য এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করেন শ্রী মোদী। তিনি বলেন, ডবল ইঞ্জিন সরকার বিহারের দ্রুত উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এখানকার ক্ষুদ্র কৃষক ও শিল্প ক্ষেত্রগুলির উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার কাজ করে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে পরিকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি, বিমান বন্দর ও এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে বিহারের পরিচয় নতুনভাবে তৈরি হচ্ছে। দ্বারভাঙায় উড়ান প্রকল্পের আওতায় নতুন বিমানবন্দর তৈরি হচ্ছে বলেও তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ যে উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির যে উদ্বোধন ও শিলান্যাস হ’ল, সেখান থেকে অনেক নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। 
শ্রী মোদী বলেন, কৃষকদের উন্নয়নের পাশাপাশি এই অঞ্চলে মাখানা উৎপাদনকারী ও মৎস্য ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের উন্নয়নও সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। মিথিলা সহ বিহারের বিভিন্ন কৃষকরা প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধির আওতায় ২৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি সাহায্য পেয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। মাখানা উৎপাদনকারীদের উন্নয়নে ‘এক জেলা, এক পণ্য’ প্রকল্পের গুরুত্বের কথাও তুলে ধরেন শ্রী মোদী। তিনি বলেন, মাখানা গবেষণা কেন্দ্রটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা পেয়েছে। মাখানা ইতিমধ্যেই জিআই ট্যাগও পেয়েছে। এখানকার মৎস্য চাষের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা কিষাণ ক্রেডিট কার্ড এবং প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদা যোজনার সুবিধা পাচ্ছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সমগ্র বিশ্বে ভারতকে অন্যতম বৃহৎ মৎস্য রপ্তানীকারক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে। 
প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, কোশী ও মিথিলার জনগণকে বন্যার কবল থেকে মুক্ত করার জন্য সরকার সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে। বিহারে বন্যা নিয়ন্ত্রণে এ বছরের বার্ষিক বাজেটে একটি সুসংহত পরিকল্পনার উল্লেখ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। শ্রী মোদী বলেন, নেপালের সহযোগিতায় খুব শীঘ্রই বন্যা সমস্যার একটি আশু সমাধান মিলবে বলেই তাঁর আশা। বন্যা নিয়ন্ত্রণে ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ চলছে বলে তিনি জানান। 
শ্রী মোদী বলেন, “ভারতীয় ঐতিহ্যের অন্যতম প্রধান আধার বিহার”। ঐতিহ্য লালন করা আমাদের সকলের দায়িত্ব বলেও তিনি মন্তব্য করেন। সেই লক্ষ্যেই সরকার “বিকাশ ভি বিরাসত ভি” অর্থাৎ উন্নয়নের পাশাপাশি ঐতিহ্যও – এই মন্ত্র নিয়ে কাজ করে চলেছে। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে তার হৃত গৌরব ফিরে পাচ্ছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। 
ভাষার গুরুত্বের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পালি ভাষা ভগবান বুদ্ধের জ্ঞান বিতরণের সঙ্গে জড়িত এবং বিহারের অন্যতম প্রাচীন ঐতিহ্য। এই ভাষাকে সম্প্রতি ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। বর্তমান সরকার মৈথিলী ভাষাকে ঝাড়খন্ডের দ্বিতীয় ভাষার মর্যাদা দিয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রী জানান। 
শ্রী মোদী বলেন, দ্বারভাঙা রামায়ণ সার্কিটে যুক্ত হওয়া দেশের ১২টি শহরের মধ্যে অন্যতম। এরফলে, এখানকার পর্যটনে বিশেষ গতিসঞ্চার হবে। দ্বারভাঙা – সীতামারী – অযোধ্যা পথে অমৃত ভারত ট্রেন জনগণের জন্য বিশেষ উপকারী হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। 
শ্রী মোদী স্বাধীনতার আগে ও পরে দেশের প্রতি বিশেষ অবদান রাখা দ্বারভাঙা এস্টেটের মহারাজ শ্রী কামেশ্বর সিংজির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, শ্রী কামেশ্বর সিংজির সমাজসেবা দ্বারভাঙার অন্যতম গর্ব এবং সকলের জন্য তা অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করে।
পরিশেষে, প্রধানমন্ত্রী দেশের জনগণের সুবিধার্থে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের নিরলস প্রচেষ্টার কথা আবারও উল্লেখ করেন। তিনি উপস্থিত জনগণকে ও বিহারবাসীকে অভিনন্দিত করেন।
অনুষ্ঠানে বিহারের রাজ্যপাল শ্রী রাজেন্দ্র আরলেকর, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নীতিশ কুমার এবং কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী শ্রী চিরাগ পাসওয়ান উপস্থিত ছিলেন। 
প্রেক্ষাপট –
প্রধানমন্ত্রী সড়ক ও রেলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে বেশ কয়েকটি উন্নত প্রকল্প চালু করেছেন। তিনি গলগলিয়া – আরারিয়া শাখায় চার-লেন বিশিষ্ট সড়ক উদ্বোধন করেন। এই সড়কটি চালুর ফলে আরারিয়া ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে যোগাযোগ সহজ হবে। এছাড়াও, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তবর্তী এলাকায় যোগাযোগ বাড়াতে দু’লেন বিশিষ্ট সড়ক নির্মাণ প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী দেশের বিভিন্ন রেল স্টেশনে চালু ১৮টি প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় জন ঔষধি কেন্দ্র আজ জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন। 

PG/PM/SB…