Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর গুজরাটের আমেদাবাদে এসজিভিপি গুরুকুলে ভাববন্দনা পর্ব উপলক্ষে বার্তা

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর গুজরাটের আমেদাবাদে এসজিভিপি গুরুকুলে ভাববন্দনা পর্ব উপলক্ষে বার্তা


নয়াদিল্লি, ২০ মার্চ, ২০২২
 
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের আমেদাবাদে আজ এসজিভিপি গুরুকুলে ভাববন্দনা পর্ব উপলক্ষে বক্তব্য রেখেছেন। পূজ্য শাস্ত্রীজি মহারাজের জীবনী ‘শ্রী ধর্মজীবন গাঁথা’ প্রকাশ উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। 
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহান ব্যক্তিত্বদের কর্মজীবন লিখিতভাবে প্রকাশের পরিবর্তে প্রায়শই দেখা যায়, লোকমুখে তা প্রচারিত হচ্ছে। পূজ্য শাস্ত্রীজি মহারাজের জীবনী লিখিতভাবে প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে এক মহান ব্যক্তিত্বের নিঃস্বার্থ জীবনের কথা আমরা জানতে পারি। তিনি জ্ঞানের সন্ধানে এবং সমাজ সেবার জন্য নিজেকে সর্বদা সমর্পিত করেছেন। পূজ্য শাস্ত্রীজি মহারাজ সকলের মঙ্গল কামনা করতেন। এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শাস্ত্রীজি মহারাজের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিসওয়াস ও সবকা প্রয়াস’ ভাবনায় উজ্জীবিত হয়েছেন। ‘সর্বজন হিতায় ও সর্বজন সুখায়’ দর্শনের উপর ভিত্তি করে তাঁর এই চিন্তাধারা।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রাচীণ ভারতের গুরুকুল ঐতিহ্য ‘সর্বজন হিতায়’ ভাবনার উপর গড়ে উঠেছিল। এখানে সমাজের সর্বস্তরের ছাত্রছাত্রীরা এক জায়গায় বসে পড়াশুনা করতেন। এই ঐতিহ্য গৌরবময় অতীত ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের বীজ বপন করে। এই পরম্পরা দেশের সাধারণ মানুষ ধর্ম, সংস্কৃতি ও সামাজিক বন্ধনে আবদ্ধ হন। শাস্ত্রীজি তাঁর গুরুকুলের মাধ্যমে সারা বিশ্ব জুড়ে বহু মানুষের জীবনকে আলোকিত করেছেন। শ্রী মোদী বলেছেন, “তাঁর জীবন শুধু উপদেশ বাণী বা নির্দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং সেখানে শৃঙ্খলাবোধ ও তপস্যা নিরন্তর প্রবাহিত হয়েছে… এবং তিনি আমাদের কর্তব্য সম্পর্কে অবগত করেছেন”।
  
এসজিভিপি গুরুকুলের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আধুনিকতার মূল উপাদান এ ধরনের মহান প্রতিষ্ঠানের প্রাচীণ শিক্ষার উপর গড়ে উঠেছে। শাস্ত্রীজি সময়ের চাহিদা অনুসারে, প্রাচীণ যুগের শিক্ষা গ্রহণ করে স্থবিরতা থেকে বেরিয়ে আসার উপর গুরুত্ব দিতেন।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত এবং ভক্তি আন্দোলন দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ভিত তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আজাদি কা অমৃত মহোৎসব এবং অমৃতকালে গুরুকুল পরিবারকে সামিল হওয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামারীর ফলে যে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে এবং ইউক্রেন পরিস্থিতির ফলে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে, তা মোকাবিলায় আত্মনির্ভরতাই একমাত্র পথ। গুরুকুল পরিবারকে স্থানীয় পণ্য ব্যবহারের জন্য তিনি সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান। দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিসের তালিকা তৈরি করে সেখান থেকে আমদানিকৃত জিনিস চিহ্নিত করতে হবে। এরপর সেগুলি ব্যবহার না করে আমদানীর উপর নির্ভরশীলতা কমানোর পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। একজন ভারতীয়র পরিশ্রমে তৈরি কোনও সামগ্রী পাওয়া গেলে, সেটিই ব্যবহার করা উচিৎ। একইভাবে, তিনি গুরুকুল পরিবারকে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বর্জন এবং স্বচ্ছ ভারত অভিযানে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। শ্রী মোদী স্ট্যাচ্যু অফ ইউনিটি সহ বিভিন্ন প্রতিকৃতি দর্শনে সকলকে অনুরোধ জানান। সেক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বৃদ্ধির বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে। বসুন্ধরা মাতাকে রাসায়নিক সহ অন্যান্য উপাদানের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে বাঁচাতে তিনি প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের পরামর্শ দেন। গুরুকুল এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
 
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণের শেষে গুরুকুল পরিবারকে অনুরোধ জানান, তাঁরা যাতে পূজ্য শাস্ত্রীজি মহারাজের শিক্ষা অনুসরণ করে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব ভিন্নভাবে উদযাপন করেন। 
 
CG/CB/SB