Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী রোটাভাইরাসের মোকাবিলায় দেশজ উপায়ে উদ্ভাবিত টীকার উদ্বোধন করলেন


নয়াদিল্লি, ১০ মার্চ, ২০১৫ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গতকাল এক অনুষ্ঠানে দেশজ উপায়ে উদ্ভাবিত টীকা ‘রোটাভেক’-এর উদ্বোধন করেন। দেশজ প্রযুক্তিতে নির্মিত এই টীকা ডায়রিয়ার কারণে নবজাতক মৃত্যুর সমস্যা মোকাবিলায় চালু প্রয়াসকে আরও জোরদার করবে। প্রতি বছর রোটাভাইরাসের কারণে যে ডায়রিয়া হয় তাতে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় এবং পাঁচ বছর বয়সের কম প্রায় ৮০ হাজার শিশুর মৃত্যু ঘটে। প্রভাবিত পরিবারগুলির ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি ভাইরাসজনিত পেটের অসুখ দারিদ্রসীমার বহুসংখ্যক ভারতীয় পরিবারকে আরও সমস্যাজীর্ণ করে তোলে এবং দেশের ওপর লক্ষণীয় আর্থিক বোঝার কারণ হয়ে ওঠে। প্রধানমন্ত্রী দেশজ উপায়ে প্রথম রোটাভাইরাস টীকা উদ্ভাবনের সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে অভিনন্দন জানান। প্রধানমন্ত্রী উচ্চমানের গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতার দৃষ্টান্ত হিসেবে এই প্রয়াসের প্রশংসা করেন। সামাজিক চ্যালেঞ্জগুলির জন্য সুলভ সমাধান খুঁজে বের করার ক্ষেত্রের এই প্রয়াস সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে একটি কার্যকর মডেল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত এক বিশাল ও বিবিধতাপূর্ণ দেশ যে একাধিক আর্থ-সামাজিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী হচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, দেশজ উপায়ে রোটাভাইরাস টীকার এই উদ্ভাবন ভারতে আরও উচ্চতর পর্যায়ে গবেষণা, উন্নয়ন ও উৎপাদনের ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা যোগাবে। ভারতের আবিষ্কৃত সমাধানসূত্রগুলির সমগ্র বিশ্বের কাছেই বিশেষ করে, উন্নয়নশীল দেশগুলির কাছে যথেষ্ট তাৎপর্য বহন করে বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন। সাধারণ নাগরিকের সুবিধার্থে এই টীকাকে চিকিৎসা গবেষণা ক্ষেত্রে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতার এক সাফল্য হিসেবে তিনি বর্ণনা করেন। একটি উদ্ভাবনমূলক সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব মডেলের মাধ্যমে এই টীকা আবিষ্কৃত হয়েছে। এই টীকার উদ্ভাবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের একাধিক প্রতিষ্ঠান, ভারতের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা-সহ বিল ও মিলিন্ডা গেট্স ফাউন্ডেশনেরও যথেষ্ট অবদান রয়েছে। এই টীকার অগ্রগতি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজে দ্য গেট্স ফাউন্ডেশন ও ভারত বায়োটেক ইন্ডিয়া লিমিটেড বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। টীকার বিকাশ ও উৎপাদনের জন্য ভারত বায়োটেক ইন্ডিয়া লিমিটেডকে ভারত-আমেরিকা টীকা কর্মসূচির মাধ্যমে ১৯৯৭-৯৮ সালে মনোনীত করা হয়। টীকার প্রতিটি ডোজের মূল্য এক মার্কিন ডলারের মধ্যে সীমিত রাখার জন্যও এই সংস্থাকে বলা হয়েছিল। রোটাভাইরাসের মোকাবিলায় সারা বিশ্বে এটি এক ধরণের তৃতীয় টীকা, যার বর্তমান মূল্যস্তরও সবথেকে কম। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী শ্রী জে পি নাড্ডাও ঐ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।