Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী মধ্যপ্রদেশে প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনা (পিএমজিকেএওয়াই)-র সুবিধাভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন

প্রধানমন্ত্রী মধ্যপ্রদেশে প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনা (পিএমজিকেএওয়াই)-র সুবিধাভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন


নয়াদিল্লি, ০৭ অগাস্ট, ২০২১

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মধ্যপ্রদেশে প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনা (পিএমজিকেএওয়াই) –র সুবিধাভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে নিবিড় প্রচার কর্মসূচি শুরু করেছে। যোগ্য ব্যক্তিরা কেউ যাতে এই প্রকল্প থেকে বাদ না পড়েন, সেদিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। মধ্যপ্রদেশ ৭ই অগাস্ট দিনটি প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনা দিবস হিসাবে পালন করে। আজকের অনুষ্ঠানে রাজ্যের রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। মধ্যপ্রদেশের প্রায় ৫ কোটি সুবিধাভোগী এই প্রকল্পের সুফল পাচ্ছেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে বৃষ্টি ও বন্যার ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জীবন ও জীবিকার ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার কথা উল্লেখ করেন। সঙ্কটের এই মুহূর্তে কেন্দ্র এবং সমস্ত দেশ রাজ্যের পাশে রয়েছে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
করোনা মহামারীকে প্রতি শতাব্দীতে ঘটা একবার মাত্র দুর্যোগ বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সারা দেশ একজোট হয়েছে। সঙ্কট মোকাবিলায় গৃহীত কৌশলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত দরিদ্র মানুষদের সমস্যা নিরসনে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। প্রথম দিন থেকেই দরিদ্র ও শ্রমিকদের খাদ্য ও কর্মসংস্থানের বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ৮০ কোটিরও বেশি মানুষ বিনামূল্যে রেশন পাচ্ছেন, ৮ কোটিরও বেশি দরিদ্র পরিবার রান্নার গ্যাস পাচ্ছে, ২০ কোটিরও বেশি মহিলার জন ধন অ্যাকাউন্টে ৩০ হাজার কোটি টাকা সরাসরি পাঠানো হয়েছে। একইভাবে, শ্রমিক ও কৃষকদের অ্যাকাউন্টেও হাজার হাজার কোটি টাকা পাঠানো হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ৯ ইঅগাস্ট ১০-১১ কোটি কৃষক পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে হাজার হাজার কোটি টাকা পাঠানো হবে।
করোনা প্রতিরোধ করতে ৫০ কোটিরও বেশি টিকার ডোজ দেওয়ার কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, ভারতে এক সপ্তাহের মধ্যে যত মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে, তা পৃথিবীর কোনও কোনও দেশের জনসংখ্যার সমান। নতুন ভারতের এটি নতুন শক্তি। ভারত ক্রমশ আত্মনির্ভর হয়ে উঠছে। এদেশে টিকা সুরক্ষিত ও কার্যকরি। তিনি টিকাকরণ অভিযানে আরও গতি আনার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সারা বিশ্ব জুড়ে যে অভূতপূর্ব সঙ্কট দেখা দিয়েছে, তার ফলে ক্ষতি যাতে কম হয়, ভারত নিরলসভাবে সেই চেষ্টাই করছে। অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র শিল্প সংস্থাগুলিকে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা সাহায্য করা হচ্ছে, যাতে তারা কোনও সমস্যায় না পড়ে এবং সংশ্লিষ্ট সকলের জীবিকা সুরক্ষিত থাকে। ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’, ‘ন্যায্য মূল্যে ঘর ভাড়া’, পিএম-স্বনিধি’র মাধ্যমে সহজে ব্যয়সাশ্রয়ী ঋণের ব্যবস্থা করা এবং বিভিন্ন পরিকাঠামোর প্রকল্পগুলি বাস্তবায়ন করার ফলে শ্রমিক শ্রেণীকে যথেষ্ট সাহায্য করছে।
রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকারের সুবিধার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মধ্যপ্রদেশ রেকর্ড পরিমাণে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে শস্য সংগ্রহ করেছে, যা প্রশংসনীয়। এ বছর মধ্যপ্রদেশ সরকার ১৭ লক্ষেরও বেশি কৃষকের কাছ থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকার গম কিনেছে। ঐ টাকা সংশ্লিষ্ট কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি জমা পড়েছে। এ বছর রাজ্যে গম সংগ্রহ কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল সর্বাধিক। ডবল ইঞ্জিন সরকারের ফলে কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণে রাজ্য সরকারের সহযোগিতা পাওয়া যায়। এর ফলে, এই প্রকল্পগুলির কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। শ্রী শিবরাজ সিং চৌহানের নেতৃত্বে মধ্যপ্রদেশ বহু আগেই বিমারুর তকমা ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে।
বর্তমান সরকারের সময়ে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেছেন, আগের সরকারের সময় অনিয়মই নিয়মে পরিণত হয়েছিল। সেই সময় সরকার দরিদ্রদের নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করতো আর সুবিধাভোগীদের জবাব না নিয়ে নিজেরাই উত্তর দিত। সেই সময় ভাবা হ’ত, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা, সড়ক যোগাযোগ, রান্নার গ্যাস সংযোগ, শৌচাগার, পাইপের মাধ্যমে জল সরবরাহ এবং ঋণের সুবিধা দরিদ্র মানুষদের জন্য নয়। শ্রী মোদী বলেন, দরিদ্র মানুষদের মতোই বর্তমান নেতৃবৃন্দ প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে বেরিয়ে এসেছে। সম্প্রতি শক্তিশালী এবং যথাযথ উদ্যোগের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের ক্ষমতায়ন হচ্ছে। আজ প্রতিটি গ্রামে সড়ক যোগাযোগ গড়ে উঠেছে এবং গ্রামগুলিতে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ছে। কৃষকরা বাজারের সুযোগ পাওয়ার ফলে তাঁদের সুবিধা হচ্ছে। দরিদ্র মানুষরাও এখন সময় মতো হাসপাতালে পৌঁছতে পারছেন।
জাতীয় হস্তচালিত তাঁত দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯০৫ সালের ৭ অগাস্ট স্বদেশী আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। গ্রামের মানুষ দরিদ্র ও আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষদের ক্ষমতায়নের জন্য এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এর ফলে, আমাদের হস্তশিল্প, হস্তচালিত তাঁত এবং বস্ত্র শিল্পের কারিগরদের বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে উৎসাহ দেখা দিচ্ছে। জাতীয় হস্তচালিত তাঁত দিবসে স্থানীয় পণ্যের জন্য সোচ্চার হওয়ার আন্দোলন গড়ে উঠেছে। খাদির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময় এই ব্র্যান্ড মানুষ ভুলে যেতে বসেছিলেন। কিন্তু, এখন খাদি একটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড হিসাবে পরিচিতি লাভ করছে। ‘আমরা স্বাধীনতার ১০০ বছরের দিকে এগোচ্ছি। আমাদের তাই খাদির মাধ্যমে স্বাধীনতার স্বাদকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে হবে’। তিনি আসন্ন উৎসবের মরশুমে সকলকে স্থানীয় কোনও হস্তশিল্প সামগ্রী কেনার আহ্বান জানান।
তাঁর ভাষণের শেষে প্রধানমন্ত্রী মহামারীর সময় করোনার বিরুদ্ধে লড়াই বজায় রাখার কথা উল্লেখ করেছেন। তৃতীয় ঢেউকে আটকানোর উপর জোর দিয়ে তিনি সবাইকে যথাযথ কোভিড আচরণ বিধি মেনে চলতে পরামর্শ দেন। তিনি স্বাস্থ্যকর এবং সমৃদ্ধ ভারত গঠনের ডাক দেন।
প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি গুজরাট ও উত্তর প্রদেশে পিএমজিকেএওয়াই প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেছেন।

CG/CB/SB