Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী ভিডিও বার্তার মাধ্যমে শ্রী বিজয় বল্লভ সুরীশ্বরজির ১৫০তম জন্মবার্ষিকীতে ভাষণ দিয়েছেন

প্রধানমন্ত্রী ভিডিও বার্তার মাধ্যমে শ্রী বিজয় বল্লভ সুরীশ্বরজির ১৫০তম জন্মবার্ষিকীতে ভাষণ দিয়েছেন


নয়াদিল্লি, ২৬ অক্টোবর ২০২২

 

“অপরিগ্রহ শুধুমাত্র ত্যাগ নয়, সমস্ত রকম আসক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করা”

“‘স্ট্যাচু অফ পিস’ এবং ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’ শুধুমাত্র দীর্ঘ মূর্তিই নয়, এগুলি ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর মহান প্রতীক”

“একটি দেশের উন্নতি নির্ভরশীল তার অর্থনৈতিক উন্নতির ওপর এবং দেশজ পণ্যের ব্যবহার করে ভারতের শিল্প, সংস্কৃতি এবং সভ্যতাকে বাঁচিয়ে রাখা যায়”

“স্বদেশী এবং আত্মনির্ভরতার বার্তা স্বাধীনতার অমৃতকাল-এ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক”

“স্বাধীনতার অমৃতকাল-এ আমরা উন্নত ভারত গড়ার লক্ষ্যে এগোচ্ছি”

“সাধুদের দিক-নির্দেশনা সব সময় সামাজিক কর্তব্য পালনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ”

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও বার্তার মাধ্যমে শ্রী বিজয় বল্লভ সুরীশ্বরজির ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সমবেত মানুষের উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন।

ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ভারতে সন্ত ধারার বাহকদের প্রণাম জানান এবং সারা বিশ্বের জৈন ধর্মে বিশ্বাসীদের প্রতিও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রী মোদী অসংখ্য সাধু-সন্তদের সমাবেশে উপস্থিত হওয়ার সুযোগ পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং তাঁদের আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুজরাটে থাকার সময় তাঁর সুযোগ হয়েছিল ভদোদরা এবং ছোটা উদয়পুরের কানওয়াত গ্রামে সন্তবাণী শোনার।

আচার্য শ্রী বিজয় বল্লভ সুরীশ্বরজির ১৫০তম জন্মবার্ষিকীর সূচনা অনুষ্ঠানের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, ঐ সময় তাঁর সুযোগ হয়েছিল আচার্যজি মহারাজের মূর্তির আবরণ উন্মোচন করার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ আমি আরও একবার সাধু-সন্তদের মধ্যে উপস্থিত হতে পেরেছি প্রযুক্তির সাহায্যে।” তিনি বলেন, আজ আচার্য শ্রী বিজয় বল্লভ সুরীশ্বরজির উদ্দেশে একটি স্মারক ডাকটিকিট এবং মুদ্রা উৎসর্গ করা হল যার উদ্দেশ্য হল আত্মিক সজ্ঞানতার সঙ্গে মানুষকে যুক্ত করা এবং আচার্য শ্রী বিজয় বল্লভ সুরীশ্বর মহারাজ সাহিবের জীবন দর্শন সম্পর্কে অবহিত করা। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন যে দু’বছরের এই উদযাপন এখন সমাপ্তির মুখে এবং বিশ্বাস, আত্মিকতা, দেশপ্রেম এবং জাতীয় শক্তি বৃদ্ধির উদ্দেশে যে অভিযানের সূচনা হয়েছে তা অভিনন্দনযোগ্য।

বিশ্বের বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের ওপর মন্তব্য করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বর্তমান পৃথিবী যুদ্ধ, সন্ত্রাস এবং হিংসার সঙ্কটের সম্মুখীন এবং এই দুঃশ্চক্র ভেঙে বেরোবার জন্য বিশ্ব এখন অনুপ্রেরণা এবং উৎসাহ চাইছে।” শ্রী মোদী বলেন, এই পরিস্থিতিতে বর্তমান ভারতের শক্তির সঙ্গে প্রাচীন ঐতিহ্য এবং দর্শন সারা বিশ্বের জন্য বিশাল আশা নিয়ে এসেছে। তিনি আরও বলেন, আচার্য শ্রী বিজয় বল্লভ সুরীশ্বরজির দেখানো পথে এবং জৈন গুরুদের শিক্ষায় এই আন্তর্জাতিক সঙ্কটের সমাধান হতে পারে। শ্রী মোদী বলেন, “আচার্যজি অহিংসা, একাকিত্ম ও ত্যাগের জীবনযাপন করেছিলেন এবং যেভাবে তিনি মানুষের মধ্যে বিশ্বাস প্রোথিত নিরলস প্রয়াস নিয়েছিলেন তা আমাদের সকলের কাছে অনুপ্রেরণাস্বরূপ।” তিনি বলেন যে শান্তি এবং সম্প্রীতির ওপর আচার্যজির জোর দেশভাগের আতঙ্কের সময়েও স্পষ্ট দেখা গিয়েছিল। এই কারণে আচার্যশ্রী চতুর্মাসের অনশন ভঙ্গ করেছিলেন। এই সূত্রে প্রধানমন্ত্রী মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে তাঁর সাযুজ্যের উল্লেখ করেন যিনি আচার্যদের দেখানো পথে স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়ে ‘অপরিগ্রহ’-এর পথ নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “অপরিগ্রহ শুধুমাত্র ত্যাগ নয়, সমস্ত রকম আসক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করা।”

প্রধানমন্ত্রী গচ্ছাধিপতি জৈনাচার্য শ্রী বিজয় নিত্যানন্দ সুরীশ্বরজির কথা উল্লেখ করে জানান যে গুজরাট দেশকে দু’জন বল্লভ দিয়েছে। তিনি বলেন, “এটা কাকতালীয় যে আজ আচার্যজির ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন সমাপ্ত হচ্ছে, আর কিছুদিন পরেই আমরা সর্দার প্যাটেলের জন্মবার্ষিকী ‘জাতীয় একতা দিবস’ পালন করতে চলেছি।” প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে ‘স্ট্যাচু অফ পিস’ সন্তদের অন্যতম বৃহত্তম মূর্তি এবং ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’ বিশ্বের সর্বোচ্চ মূর্তি। শ্রী মোদী বলেন, “এগুলি শুধুমাত্র দীর্ঘ মূর্তিই নয়, ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর মহান প্রতীকও।” দুই বল্লভের অবদানের ওপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে সর্দার সাহিব বিভিন্ন রাজ্যে বিভক্ত ভারতকে এক করেছিলেন, যেখানে আচার্যজি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভ্রমণ করেছিলেন এবং ভারতের একতা, সংহতি এবং সংস্কৃতিকে শক্তিশালী করেছিলেন। কিভাবে ধর্মীয় ঐতিহ্য এবং দেশজ পণ্যকে একসঙ্গেই তুলে ধরা যায়, সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী আচার্যজিকে উদ্ধৃত করে বলেন, “একটি দেশের উন্নতি নির্ভরশীল তার অর্থনৈতিক উন্নতির ওপর এবং দেশজ পণ্যের ব্যবহার করে ভারতের শিল্প, সংস্কৃতি এবং সভ্যতাকে বাঁচিয়ে রাখা যায়।” তিনি আরও বলেন, আচার্যজি সাধারণত সাদা বস্ত্র ধারণ করতেন এবং তা সবসময়ই খাদির তৈরি হত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “স্বদেশী এবং আত্মনির্ভরতার বার্তা স্বাধীনতার অমৃতকাল-এ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।” তিনি বলেন, “এটাই আত্মনির্ভর ভারতের উন্নতির মন্ত্র। সেজন্য আচার্য বিজয় বল্লভ সুরীশ্বরজি থেকে বর্তমান গচ্ছাধিপতি আচার্য শ্রী নিত্যানন্দ সুরীশ্বরজি পর্যন্ত এই পথ বারবার নতুন করে তৈরি হয়েছে এবং তাকে আমাদের আরও শক্তিশালী করে তুলতে হবে।”

অতীতে আচার্যরা সমাজকল্যাণ, মানবসেবা, শিক্ষা এবং গণসচেতনতার যে মূল্যবান ঐতিহ্য গড়ে তুলছিলেন তার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একে আরও প্রসারিত করতে হবে।” শ্রী মোদী বলেন, “স্বাধীনতার অমৃতকাল-এ আমরা উন্নত ভারত গড়ার লক্ষ্যে এগোচ্ছি। এর জন্য দেশ পাঁচটি সঙ্কল্প নিয়েছে এবং সেই ‘পঞ্চপ্রাণ’-এর লক্ষ্য পূরণ করতে আমাদের এগোতে হবে সন্তদের দেখানো পথেই।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সাধুদের দিক-নির্দেশনা সব সময় সামাজিক কর্তব্য পালনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর জন্য অভিযানে আচার্যদের ভূমিকার ওপর জোর দেন এবং বলেন, তাঁদের দিক থেকে এটিই হবে দেশের প্রতি মহান সেবা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনাদের অনুগামীরা বেশিরভাগই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।” শ্রী মোদী তাঁদের ভারতে তৈরি পণ্য নিয়ে ব্যবসা করার সঙ্কল্প নেওয়ার আর্জি জানান এবং বলেন যে এটাই হবে তাহলে মহারাজ সাহিবের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধার্ঘ্য। পরিশেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আচার্যশ্রী আমাদের প্রগতির পথ দেখিয়েছেন এবং আমাদের ভবিষ্যতে সেই পথ ধরেই এগোতে হবে।”

 

শ্রী বিজয় বল্লভ সুরীশ্বরজি মহারাজের জয়ন্তীতে শ্রদ্ধার্ঘ্য।

https://t.co/KVMAB5JRmA

PG/AP/DM