Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী ভারত মোবিলিটি গ্লোবাল এক্সপো ২০২৪-এ ভাষণ দিয়েছেন

প্রধানমন্ত্রী ভারত মোবিলিটি গ্লোবাল এক্সপো ২০২৪-এ ভাষণ দিয়েছেন


নয়াদিল্লি, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নতুন দিল্লির ভারত মণ্ডপমে ভারতের বৃহত্তম ও এই ধরনের প্রথম মোবিলিটি প্রদর্শনী- ভারত মোবিলিটি গ্লোবাল এক্সপো ২০২৪-এর এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিয়েছেন। তিনি প্রদর্শনীটি ঘুরেও দেখেন। ভারত মোবিলিটি গ্লোবাল এক্সপো ২০২৪ মোবিলিটি এবং অটোমোটিভ মূল্যশৃঙ্খলে ভারতের সক্ষমতা তুলে ধরেছে এবং এর বৈশিষ্ট্যগুলি হল প্রদর্শনী, সম্মেলন, ক্রেতা-বিক্রেতা বৈঠক, রাজ্য অধিবেশন, পথনিরাপত্তা প্যাভিলিয়ন এবং জন আকর্ষণী অনুষ্ঠান।

সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এই বিশাল অনুষ্ঠানের জন্য ভারতের গাড়ি শিল্পকে অভিনন্দন জানান এবং এই এক্সপোয় নিজেদের উৎপাদিত পণ্য যাঁরা প্রদর্শিত করেছেন তাঁদের প্রয়াসের প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, এত বিশাল মাপের অনুষ্ঠানের আয়োজনে তিনি আনন্দিত এবং গর্বিত। দিল্লির মানুষকে ভারত মোবিলিটি গ্লোবাল এক্সপো ২০২৪-এ আসার ও দেখার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি গোটা গাড়ি শিল্প এবং সরবরাহ শৃঙ্খলের সব পক্ষকে একটিমাত্র মঞ্চে নিয়ে এসেছে।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রথম দফার একটি গাড়ি শিল্প সংক্রান্ত সম্মেলনের উল্লেখ করে মনে করিয়ে দেন যে তিনি জোর দিয়েছিলেন ব্যাটারি এবং বৈদ্যুতিক গাড়ির ওপর। তাঁর দ্বিতীয় দফায় তিনি এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছেন এবং বলেন যে তাঁর তৃতীয় দফায় গাড়ি শিল্প নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে।

২০৪৭-এর মধ্যে বিকশিত ভারতের লক্ষ্যের কথা আরও একবার জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী এই ক্ষেত্রে গাড়ি শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর জোর দেন। লালকেল্লার প্রাকার থেকে তিনি যে আহ্বান জানিয়েছিলেন, সেই আহ্বান তিনি আরও একবার জানান, ‘ইয়েহি সময় হ্যায়, সহি সময় হ্যায়’-এটাই সঠিক সময়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত এগোচ্ছে এবং দ্রুত এগোচ্ছে।” তিনি বলেন গাড়ি শিল্পের জন্য এই সময়টি সুবর্ণ যুগের সূচনা। তিনি বলেন, ভারতের অর্থনীতি দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে এবং বর্তমান সরকারের তৃতীয় দফায় ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে ওঠার পথে। গত ১০ বছরে সরকারের প্রয়াসের ওপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী জানান যে, মোটামুটি ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্রমুক্ত হয়েছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে যখন একজন নাগরিক দারিদ্র সীমার ওপরে উঠে আসেন তখন পরিবহনের উপায় হিসেবে তার প্রাথমিক প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ায় হয় একটি সাইকেল অথবা দু-চাকা, বা চার চাকা। নব্যমধ্যবিত্ত শ্রেণীর উঠে আসার বিষয়টি ছুঁয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ওই অর্থনৈতিক শ্রেণীর মধ্যে প্রত্যাশা পূরণের যে প্রয়োজনীয়তা তা আর কিছুর সমান নয়। প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর পরিসর বৃদ্ধি এবং আয় বৃদ্ধি করার ইচ্ছা ভারতে গাড়ি শিল্পকে শক্তি যোগাবে। শ্রী মোদী বলেন, “অর্থনৈতিক বৃদ্ধি এবং আয় বৃদ্ধির সংখ্যা গাড়ি শিল্পে নতুন আস্থা স্থাপন করতে বাধ্য।” শ্রী মোদী বলেন, ২০১৪-র আগে পর্যন্ত গাড়ি বিক্রির সংখ্যা ছিল ১২ কোটি। সেটা ২০১৪র পরে ১০ বছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ কোটির বেশি। বৈদ্যুতিক গাড়ির সংখ্যা ১০ বছর আগে বাৎসরিক ২০০০ বিক্রি হত, সেটি এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে বার্ষিক ১২ লক্ষ। তিনি আরও বলেন, গত ১০ বছরে যাত্রী বহনকারী গাড়ির সংখ্যা ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে দু-চাকার সংখ্যা বেড়েছে ৭০ শতাংশ। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী জানান, জানুয়ারি মাসে গাড়ি বিক্রি পুরনো সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিল্পপতিদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী আবেদন জানিয়ে বলেন, গাড়ি শিল্প দেশে এক অভূতপূর্ব পরিবেশের সাক্ষী থাকছে এবং আপনাদের তার সদ্ব্যবহার করা উচিত। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ভারত ভবিষ্যতের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে নতুন নীতি তৈরি করছে। এবারের অন্তর্বর্তী বাজেটের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান, ২০১৪-য় ভারতের মূলধনী খাতে ব্যয় ছিল ২ লক্ষ কোটি টাকার কম যা আজ বেড়ে হয়েছে ১১ লক্ষ কোটি টাকার বেশি। এতে ভারতের গাড়ি শিল্পের সামনে অনেক সুযোগ এসে উপস্থিত হয়েছে। এই অভূতপূর্ব ব্যয়বরাদ্দ রেল, সড়ক, বিমান বন্দর, জলপথ পরিবহন এবং অন্য সব রকম পরিবহনের পদ্ধতিতে রূপান্তর ঘটিয়েছে। তিনি রেকর্ড সময়ে অটল টানেল থেকে অটল সেতুর মতো কারিগরি চমৎকারিত্বে সম্পূর্ণ হওয়ার কথা বলেন। তিনি জানান, গত ১০ বছরে ভারতে ৭৫টি নতুন বিমান বন্দর হয়েছে, ৪ লক্ষ কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তা হয়েছে, ৯০ হাজার কিলোমিটার জাতীয় সড়ক তৈরি হয়েছে, ৩,৫০০ কিলোমিটার দ্রুতগতির করিডর তৈরি হয়েছে, ১৫টি নতুন শহর মেট্রো পেয়েছে এবং ২৫,০০০ রেলপথ তৈরি হয়েছে। বাজেটে ৪০,০০০ রেল কামরাকে আধুনিক বন্দে ভারত ধরনের কামরায় পরিণত করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। যখন এই কামরাগুলি সাধারণ ট্রেনে সংযুক্ত করা হবে তখন তা ভারতীয় রেলের রূপান্তর ঘটাবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সরকারের গতি এবং মাত্রা ভারতে গতিশীলতার নতুন সংজ্ঞা দিয়েছে।” তিনি ঠিক সময়ে এবং ঠিক ভাবে প্রকল্প সম্পূর্ণ হওয়ার কথা বলেন এবং লজিস্টিক্সের সব রকম বাধা দূর করার প্রয়াসের কথা তুলে ধরেন। পিএম ন্যাশনাল গতিশক্তি মাস্টার প্ল্যান দেশে সংহত পরিবহনের প্রসার ঘটাচ্ছে। জিআইএফটি সিটি নিয়ন্ত্রক কাঠামো তৈরি করা হয়েছে বিমান এবং জাহাজ লিজ দেওয়ার জন্য। তিনি বলেন, জাতীয় লজিস্টিক্স নীতি লজিস্টিক্সের সমস্যাগুলির মোকাবিলা করছে। ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরগুলি খরচ কমাচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাজেটে ঘোষিত তিনটি রেলওয়ে ইকোনমি করিডর দেশে পরিবহনকে আরও সহজ করে তুলবে।

প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং রাজ্যের সীমান্তে চেকপোস্ট তুলে দিতে পণ্য ও পরিষেবা কর জিএসটি-র রূপান্তরকারী প্রভাবের কথা তুলে ধরেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শিল্পে জ্বালানি এবং সময় বাঁচাতে ফাস্টট্যাগ প্রযুক্তির উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “ফাস্টট্যাগ প্রযুক্তি শিল্পে জ্বালানি এবং সময়ের সাশ্রয় করছে।” একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, ফাস্টট্যাগ প্রযুক্তি দেশের অর্থনীতিতে বাৎসরিক ৪০,০০০ কোটি টাকার সাশ্রয় ঘটাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত এখন বিশ্বের অর্থনৈতিক শক্তি হওয়ার দোরগোড়ায় যেখানে গাড়ি এবং তার যন্ত্রাংশ নির্মাণ শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।” আন্তর্জাতিক গাড়ির বাজারে ভারতের অবস্থানকে তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন, “ভারত বর্তমানে যাত্রীবাহী গাড়ির তৃতীয় বৃহত্তম বাজার এবং সারা বিশ্বের মধ্যে বাণিজ্যিক গাড়ি উৎপাদনে শীর্ষস্থানীয় তিনটি দেশের অন্যতম।” এছাড়া প্রধানমন্ত্রী মোদী উৎপাদনযুক্ত উৎসাহদান কর্মসূচির মতো উদ্যোগের মাধ্যমে একাধিক ক্ষেত্রকে সহায়তা করার সরকারের দায়বদ্ধতার পুনরুল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “শিল্পের জন্য সরকার ২৫,০০০ কোটি টাকার বেশি উৎপাদন সংযুক্ত উৎসাহভাতা কর্মসূচি চালু করেছে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ন্যাশনাল ইলেক্ট্রিক মোবিলিটি মিশন বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনে জোর দিচ্ছে। বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা তৈরির জন্য সরকার ১০,০০০ কোটি টাকা লগ্নি করেছে। এফএএমই কর্মসূচিতে রাজধানীর পাশাপাশি অন্যান্য শহরে বৈদ্যুতিক বাস নামানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী জানান যে, এবারের বাজেটে ১ লক্ষ কোটি টাকার তহবিল বরাদ্দ করা হয়েছে গবেষণা এবং উদ্ভাবনে উৎসাহ দেওয়ার জন্য। তিনি এও জানান, স্টার্টআপগুলির জন্য আরও কর রেহাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “এই সিদ্ধান্তগুলি গাড়ি শিল্পের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করবে।” বৈদ্যুতিক গাড়ি শিল্পে খরচ এবং ব্যাটারির গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এরজন্য গবেষণায় ওই তহবিল ব্যবহারের পরামর্শ দেন। 

প্রধানমন্ত্রী শিল্প মহলকে নতুন নতুন গবেষণার পথ খুঁজতে উৎসাহ দিয়ে বলেন, এমন গবেষণা করতে হবে যা ব্যাটারি তৈরিতে ভারতে যথেচ্ছ পরিমাণে প্রাপ্ত কাঁচামাল ব্যবহার করা যায় এবং গ্রীন হাইড্রোজেন এবং ইথানলের মতো ক্ষেত্রে নজর দিতে হবে। তিনি বলেন, “আপনারা কেন ভারতে প্রাপ্য কাঁচামাল ব্যবহার করে ব্যাটারি তৈরি করার গবেষণা করছেন না? গাড়ি শিল্পের উচিত গ্রীন হাইড্রোজেন এবং ইথানল নিয়েও গবেষণা করা।”

প্রধানমন্ত্রী জাহাজ শিল্পে হাইব্রিড যান তৈরির জন্য দেশজ প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, “ভারতের জাহাজ মন্ত্রক দেশজ প্রযুক্তি ব্যবহার করে হাইব্রিড যান তৈরি করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে।” শ্রী মোদী আরও বলেন, স্টার্টআপের জন্য ভারতের ড্রোন ক্ষেত্র নতুন উচ্চতায় উঠেছে। তিনি ড্রোন সংক্রান্ত গবেষণা তহবিল ব্যবহারে পরামর্শ দেন। তিনি জলপথে পরিবহনে কম খরচের বিষয়টিও উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী মোদী গাড়ি শিল্পে চালকদের মানবিক দিকগুলির প্রতিও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ট্রাক চালকরা যে কঠিন জীবন সংগ্রামের মুখোমুখি হন সেটার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সরকার ট্রাক চালক এবং তাদের পরিবারের উদ্বেগ সম্পর্কে অবহিত।” তিনি জানান যে সবকটি জাতীয় সড়কে ট্রাক চালকদের সুবিধার্থে খাবার, স্বচ্ছ পানীয় জল, শৌচাগার, পার্কিং এবং বিশ্রামের ব্যবস্থা সহ আধুনিক বাড়ি তৈরির নতুন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান প্রথম দফায় এ রকম এক হাজারটি বাড়ি তৈরি করছে সরকার। এতে চালকদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে এবং দুর্ঘটনাও কমবে। 

আগামী ২৫ বছর গাড়ি শিল্পের প্রভূত সম্ভাবনার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করার জন্য শিল্প মহলকে নিজেদের প্রস্তুত করার আবেদন জানান। গাড়ি শিল্পে প্রশিক্ষিত চালক এবং প্রযুক্তি কর্মী প্রয়োজনের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে শিল্পকে মানব শক্তি যোগাতে ১৫,০০০-এর বেশি আইটিআই হয়েছে। শিল্পের প্রয়োজন মাফিক পাঠ্যক্রমগুলিকে আরও প্রাসঙ্গিক করে তুলতে শিল্পপতিদের আইটিআইগুলির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে বলেন তিনি। পুরনো গাড়ি বাতিলের নীতির বিষয়ে তিনি বলেন, পুরনো গাড়ির বদলে নতুন গাড়িতে সরকার পথ করে ছাড় দিয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী সীমানা পেরিয়ে- প্রদর্শনীর এই ট্যাগ লাইনের উল্লেখ করেন এবং বলেন, “বর্তমানে আমরা চাই পুরনো সীমানা ভেঙে সমগ্র বিশ্বকে এক করতে। বিশ্ব সরবরাহ শৃঙ্খলে ভারতের ভূমিকার প্রসার ঘটাতে চাই। ভারতীয় গাড়ি শিল্পের সামনে আকাশ ছোঁয়া সম্ভাবনা।” প্রধানমন্ত্রী অমৃতকালের আদর্শ নিয়ে এবং ভারতকে বিশ্বগুরু করার লক্ষ্যে এগোনোর আর্জি জানান। প্রধানমন্ত্রী টায়ার শিল্পকে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে কৃষকদের সহযোগিতায় রাবার উৎপাদন বৃদ্ধির কথা বলেন। ভারতের কৃষকদের ওপর আস্থা স্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী একটি সুসংহত এবং সামগ্রিক প্রয়াসের পক্ষে সওয়াল করেন। তিনি উপস্থিত জনকে নতুন ধরনের ভাবনা-চিন্তা করতে বলেন এবং একসঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে বলেন। প্রধানমন্ত্রী দেশজ নকশা তৈরির ক্ষমতার প্রসার ঘটাতে বলেন। যোগাসনের উদাহরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যখন আপনার নিজের ওপর বিশ্বাস থাকবে, তখন বিশ্বও আপনাকে বিশ্বাস করবে। যেখানে আপনার দৃষ্টি ব্যাহত হবে সেখানে আপনার দেখা উচিত গাড়িকে।” 

কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী শ্রী পীযূষ গোয়েল, কেন্দ্রীয় সড়ক, পরিবহন এবং মহাসড়ক মন্ত্রী শ্রী নীতিন গড়করি, কেন্দ্রীয় অণু, ক্ষুদ্র, মাঝারি উদ্যোগমন্ত্রী শ্রী নারায়ণ রাণে, কেন্দ্রীয় পেট্রোল ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী শ্রী হরদীপ সিং পুরী এবং কেন্দ্রীয় ভারি শিল্পমন্ত্রী শ্রী মহেন্দ্রনাথ পাণ্ডে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। 

    

PG/AP/NS….