নয়াদিল্লি, ২৭ মে, ২০২২
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভারতের বৃহত্তম ড্রোন উৎসব ‘ভারত ড্রোন মহোৎসব, ২০২২’-এর উদ্বোধন করেছেন। এই অনুষ্ঠানে তিনি কিষাণ ড্রোন পাইলটদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন, খোলা আকাশে ড্রোন প্রদর্শনী প্রত্যক্ষ করেছেন এবং ড্রোন প্রদর্শনী কেন্দ্রে স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমর, শ্রী গিরিরাজ সিং, শ্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, শ্রী মনসুখ মাণ্ডভিয়া, শ্রী ভূপেন্দ্র যাদব, বেশ কয়েকজন প্রতিমন্ত্রী ও ড্রোন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শিল্পোদ্যোগীরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ১৫০ জনের হাতে ড্রোন পাইলট শংসাপত্র তুলে দেন।
এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ড্রোনের বিষয়ে তাঁর আগ্রহ ও উৎসাহের কথা জানান। তিনি বলেন, ড্রোন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শিল্পোদ্যোগীদের উৎসাহ ও উদ্ভাবনের বিভিন্ন নিদর্শন দেখে তিনি আপ্লুত। প্রধানমন্ত্রী কৃষক এবং তরুণ ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে তাঁর মতবিনিময়ের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ড্রোনের বিষয়ে যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে তার মাধ্যমে এটা স্পষ্ট হয় যে ভারত এই ক্ষেত্রে যথেষ্ট শক্তিশালী এবং আগামীদিনে দেশ নেতৃত্বদানের অবস্থায় সহজেই পৌঁছবে। “এই ক্ষেত্র কর্মসংস্থানের জন্যও যথেষ্ট সম্ভাবনাময়।”
আট বছর আগে নতুন এক যুগের সূচনার কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, “ঠিক আট বছর আগে আমরা ‘ন্যূনতম সরকার, সর্বোচ্চ প্রশাসন’-এর পথ অনুসরণ করে ভারতে সুপ্রশাসনের নতুন মন্ত্র বাস্তবায়নের কাজ শুরু করি। এই পথ অনুসরণ করে আমরা সহজ জীবনযাত্রা এবং সহজে ব্যবসা করার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’-এর পথ অনুসরণ করে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলা হয়েছে, যাতে বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্পের সুযোগ তাঁদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর আগের সরকারগুলি প্রযুক্তিকে সমস্যা বলে বিবেচনা করত। প্রযুক্তিকে সেই সময়ে দরিদ্র-বিরোধী বলে সকলের কাছে তুলে করা হত। এর ফলে, ২০১৪ সালের আগে পর্যন্ত প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে একটি উদাসীন মনোভাব ছিল। প্রশাসনিক কাজে প্রযুক্তিকে যুক্ত করার আগ্রহ সরকারের ছিল না। এর ফলে দরিদ্র, বঞ্চিত এবং মধ্যবিত্ত মানুষরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হতেন। ভয় এবং বঞ্চনার আশঙ্কায় বিভিন্ন জটিল পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রশাসনের কাজ করা হত। তিনি বলেন, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চললেই উন্নয়ন সম্ভব। বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা যাতে সবার মধ্যে পৌঁছয় এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে এর সুবিধা পাওয়া যায়, প্রযুক্তি তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করেছে। শ্রী মোদী বলেন, অন্ত্যোদয়-এর লক্ষ্য অর্জনে আমরা এগিয়ে চলেছি। জন ধন, আধার, মোবাইল – জেএএম ত্রিধারার মাধ্যমে দরিদ্র মানুষদের কাছে বিভিন্ন প্রকল্পের সুফল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। গত আট বছরের অভিজ্ঞতা আমার প্রযুক্তির প্রতি বিশ্বাসকে আরও শক্তিশালী করেছে। “আমরা প্রযুক্তিকে দেশের জন্য নতুন শক্তি, গতি ও কাজের পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করছি।”
প্রধানমন্ত্রী জানান, আজ ইউপিআই ফ্রেমওয়ার্ক দেশজুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে। এর ফলে দরিদ্র মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। মহিলা, কৃষক এবং ছাত্রছাত্রীরা সরকারের নানা প্রকল্পের সুবিধা সরাসরি পাচ্ছেন।
শ্রী মোদী এই প্রসঙ্গে ‘পিএম স্বামীত্ব যোজনা’র কথা উল্লেখ করেন। কিভাবে ড্রোন প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে বিরাট একটি বিপ্লব গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে তিনি তার উদাহরণ দেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো দেশের গ্রামাঞ্চলে ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে। মানুষের হাতে ডিজিটাল সম্পত্তির কার্ড তুলে দেওয়া হয়েছে। “সুপ্রশাসন ও সহজ জীবনযাত্রা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ড্রোন প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। ড্রোন একটি উন্নত সরঞ্জাম হিসেবে সাধারণ মানুষের জীবনে অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে।”
প্রধানমন্ত্রী প্রতিরক্ষা, বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা, কৃষি, পর্যটন, চলচ্চিত্র ও বিনোদন ক্ষেত্রে ড্রোন প্রযুক্তির গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আগামীদিনে এই প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পেতে বাধ্য। তিনি এই প্রসঙ্গে ‘প্রগতি’র বৈঠকে ও কেদারনাথের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নে তাঁর সিদ্ধান্ত গ্রহণের কাজে ড্রোনের ব্যবহারের কথা উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ কৃষকদের ক্ষমতায়নে এবং তাঁদের জীবনযাত্রায় আধুনিকতার ছোঁয়া আনতে ড্রোন প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সড়ক, বিদ্যুৎ, অপটিক্যাল ফাইবার এবং ডিজিটাল প্রযুক্তি গ্রামে পৌঁছে যাচ্ছে কিন্তু, কৃষিকাজ এখনও পুরনো পদ্ধতি অনুসরণ করায় কৃষকরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হন, ফসলের ফলনও কম হয় এবং শস্য নষ্ট হয়। এই প্রসঙ্গে তিনি জমির রেকর্ড থেকে বন্যা ও খরায় ত্রাণকাজ পর্যন্ত – সবকিছুতেই রাজস্ব দপ্তরের ওপর নির্ভরশীলতার কথা উল্লেখ করেন। কিন্তু বর্তমানে ড্রোন প্রযুক্তি এইসব সমস্যার সমাধানে সহায়ক হচ্ছে। শ্রী মোদী জানান, কৃষিক্ষেত্রে নতুন নতুন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, যার মাধ্যমে কৃষকরা যাতে সহজেই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারেন তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
শ্রী মোদী এই প্রসঙ্গে অতীত দিনের কথা উল্লেখ করেন। প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনকে শুধুমাত্র সমাজের উচ্চতর শ্রেণীর মানুষরাই ব্যবহার করতে পারবেন, সেই সময় এরকম ধারনা আমাদের মধ্যে ছিল। যখন প্রযুক্তি মানুষের কাছে পৌঁছয় তখন তার ব্যবহারও সামগ্রিকভাবে বৃদ্ধি পায়। মাস কয়েক আগে পর্যন্ত ড্রোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধিনিষেধ ছিল। “কিন্তু আমরা খুব কম সময়ের মধ্যে সেই বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করেছি। আমরা উৎপাদন-ভিত্তিক উৎসাহ প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতে ড্রোন উৎপাদনের জন্য একটি প্রয়োজনীয় পরিবেশ গড়ে তুলছি। আজ প্রযুক্তিকে মানুষের কাছে পৌঁছনো আমরা নিশ্চিত করেছি।”
CG/CB/DM/
India has the potential of becoming a global drone hub. Speaking at Bharat Drone Mahotsav in New Delhi. https://t.co/eZEMMQrRsF
— Narendra Modi (@narendramodi) May 27, 2022
ड्रोन टेक्नॉलॉजी को लेकर भारत में जो उत्साह देखने को मिल रहा है, वो अद्भुत है।
— PMO India (@PMOIndia) May 27, 2022
ये जो ऊर्जा नज़र आ रही है, वो भारत में ड्रोन सर्विस और ड्रोन आधारित इंडस्ट्री की लंबी छलांग का प्रतिबिंब है।
ये भारत में Employment Generation के एक उभरते हुए बड़े सेक्टर की संभावनाएं दिखाती है: PM
8 वर्ष पहले यही वो समय था, जब भारत में हमने सुशासन के नए मंत्रों को लागू करने की शुरुआत की थी।
— PMO India (@PMOIndia) May 27, 2022
Minimum government, maximum governance के रास्ते पर चलते हुए, ease of living, ease of doing business को हमने प्राथमिकता बनाया: PM @narendramodi
पहले की सरकारों के समय टेक्नॉलॉजी को problem का हिस्सा समझा गया, उसको anti-poor साबित करने की कोशिशें हुईं।
— PMO India (@PMOIndia) May 27, 2022
इस कारण 2014 से पहले गवर्नेंस में टेक्नॉलॉजी के उपयोग को लेकर उदासीनता का वातावरण रहा।
इसका सबसे अधिक नुकसान गरीब को हुआ, वंचित को हुआ, मिडिल क्लास को हुआ: PM
\टेक्नोलॉजी ने last mile delivery को सुनिश्चित करने में, saturation के विजन को आगे बढ़ाने में बहुत मदद की है।
— PMO India (@PMOIndia) May 27, 2022
और मैं जानता हूं कि हम इसी गति से आगे बढ़कर अंत्योदय के लक्ष्य को प्राप्त कर सकते हैं: PM @narendramodi
आज देश ने जो Robust, UPI फ्रेमवर्क डवलप किया है, उसकी मदद से लाखों करोड़ रुपए गरीब के बैंक खाते में सीधे ट्रांसफर हो रहे हैं।
— PMO India (@PMOIndia) May 27, 2022
महिलाओं को, किसानों को, विद्यार्थियों को अब सीधे सरकार से मदद मिल रही है: PM @narendramodi
ड्रोन टेक्नोलॉजी कैसे एक बड़ी क्रांति का आधार बन रही है, इसका एक उदाहरण पीएम स्वामित्व योजना भी है।
— PMO India (@PMOIndia) May 27, 2022
इस योजना के तहत पहली बार देश के गांवों की हर प्रॉपर्टी की डिजिटल मैपिंग की जा रही है, डिजिटल प्रॉपर्टी कार्ड लोगों को दिए जा रहे हैं: PM @narendramodi
पहले के समय में टेक्नोलॉजी और उससे हुए Invention, Elite Class के लिए माने जाते थे।
— PMO India (@PMOIndia) May 27, 2022
आज हम टेक्नोलॉजी को सबसे पहले Masses को उपलब्ध करा रहे हैं: PM @narendramodi
कुछ महीने पहले तक ड्रोन पर बहुत सारे restrictions थे।
— PMO India (@PMOIndia) May 27, 2022
हमने बहुत ही कम समय में अधिकतर restrictions को हटा दिया है।
हम PLI जैसी स्कीम्स के जरिए भारत में ड्रोन मैन्यूफेक्चरिंग का एक सशक्त इकोसिस्टम बनाने की तरफ भी बढ़ रहे हैं: PM @narendramodi
We are witnessing record enthusiasm towards drones in India.
— Narendra Modi (@narendramodi) May 27, 2022
Drones are being harnessed to further ‘Ease of Living’ and encourage a culture of innovation. pic.twitter.com/cP4w6sgHBG
Vested interest groups created mindless fears against technology. In reality, technology brings much needed changes which help the poor. Our Government is using technology to further last mile delivery and saturation coverage of schemes. pic.twitter.com/cwpyYtfLTB
— Narendra Modi (@narendramodi) May 27, 2022
PM-SVAMITVA Yojana is a great example of how drones can help our citizens. pic.twitter.com/GLwD03Ictb
— Narendra Modi (@narendramodi) May 27, 2022
Through drone technology, a qualitative difference is being brought in the lives of our farmers. pic.twitter.com/x4qjG5Idnd
— Narendra Modi (@narendramodi) May 27, 2022