Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন রাজ্যে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকার ১১২টি জাতীয় সড়ক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন

প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন রাজ্যে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকার ১১২টি জাতীয় সড়ক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন


নয়াদিল্লি, ১১ মার্চ, ২০২৪ 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী হরিয়ানার গুরুগ্রাম থেকে আজ ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের ১১২টি জাতীয় সড়ক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন। প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে দিল্লিতে যে কোনও অনুষ্ঠান আয়োজনের সংস্কৃতি থেকে দূরে গিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এ ধরনের বড় বড় অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, বর্তমানে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার লক্ষ্যে দেশ এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ে হরিয়ানা শাখা জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দিল্লি ও হরিয়ানার মধ্যে যাতায়াতের অভিজ্ঞতা বদলে যাবে এবং এই অঞ্চলের জনগণের জীবনযাত্রাতেও আমূল পরিবর্তন আসবে। 

যে দ্রুততার সঙ্গে এই প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত হয়েছে, সে প্রসঙ্গ উত্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২৪ সালের প্রথম তিন মাসে ১০ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস হয়েছে। আজ কর্ণাটক, কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ এবং হরিয়ানার ১০০টিরও বেশি প্রকল্পের উদ্বোধন হচ্ছে। এছাড়াও, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব ও রাজস্থানের বিভিন্ন যোগাযোগ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসও হয়েছে। আজকের উল্লেখযোগ্য প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে: অমৃতসর – ভাতিন্ডা – জামনগর করিডরের ৫৪০ কিলোমিটার সম্প্রসারণ এবং ব্যাঙ্গালুরু রিং রোড – এর উন্নয়ন। 

প্রধানমন্ত্রী পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে ক্রমাগত যে পরিবর্তন ঘটে চলেছে, সে প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বলেন, সমস্যাকে এখন সম্ভাবনায় বদলে দেওয়া হচ্ছে। তাঁর সরকারের এটিই হলমার্ক বলে মন্তব্য করেন শ্রী মোদী।

প্রধানমন্ত্রী মোদী দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ে-কে তাঁর সরকারের এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, অতীতে যেখানে এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি হয়েছে, তা নিরাপদ নয়, বলে মনে করা হ’ত। জনগণ সূর্যাস্তের পর এই এলাকা এড়িয়ে চলতেন। বর্তমানে এটি এনসিআর – এর অন্যতম উন্নয়নের পরিচায়ক।

প্রধানমন্ত্রী দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সঙ্গে দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ে যুক্ত হওয়ার কৌশলগত গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, পরিকাঠামো প্রকল্পগুলি যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করেছে এবং এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক কাজকর্মে গতি এনেছে। 

প্রধানমন্ত্রী মোদী হরিয়ানা সরকারের, বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরের প্রশংসা করে বলেন, রাজ্যে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ব্যাপাক আধুনিকীকরণ হচ্ছে, যা বিকশিত হরিয়ানা ও বিকশিত ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। 

প্রধানমন্ত্রী মোদী জোর দিয়ে বলেন, পরিকাঠামো উন্নয়নের ফলে সড়কগুলির মানোন্নয়ন হয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থা গ্রামবাসীদের জন্য নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি করেছে। ডিজিটাল পরিকাঠামো স্বাস্থ্য পরিষেবা ও শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে গ্রামীণ ভারতে নতুন সুযোগ তৈরি করছে। এর ফলে, বিগত ১০ বছরে দেশে ২৫ কোটি জনগণ দারিদ্র-মুক্ত হয়েছেন এবং ভারত পঞ্চম অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পরিকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে যে দ্রুততার সঙ্গে কাজ চলছে, তা অবিলম্বে ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে গড়ে তুলবে। সমগ্র দেশে পরিকাঠামো উন্নয়ন দ্রুতসম্পন্ন করতে তাঁর সরকারের প্রতিশ্রুতিবদ্ধতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ দেশের অর্থনীতিকে মজবুত করছে তা নয়, বহু মানুষের বিশেষ করে যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছে। 

প্রধানমন্ত্রী বহুদিন ধরে বকেয়া থাকা প্রকল্পগুলি বর্তমান সরকার সম্পূর্ণ করেছে বলে উল্লেখ করেন। এর মধ্যে ২০ বছর আটকে থাকা দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ে-ও রয়েছে। তিনি বলেন, “বর্তমান সরকার যে প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে, সময়ের মধ্যে তা সম্পূর্ণ করার বিষয়ে সমান গুরুত্ব দেয়”। নির্বাচনের সময় ছাড়াও গ্রামীণ এলাকায় লক্ষ লক্ষ কিলোমিটার অপ্টিকফাইবার লাইন স্থাপন, গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ ও ছোট শহরে বিমানবন্দর নির্মাণের মতো কাজগুলি সম্পূর্ণ করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এর আগে যে কোনও প্রকল্পে দেরী হ’ত, বর্তমানে তা সম্পূর্ণ হয়। আগে দেরী হ’ত আর এখন উন্নয়ন হয়”। তিনি বলেন, ৯ হাজার কিলোমিটার উচ্চ গতিসম্পন্ন করিডর নির্মাণের যে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে ৪ হাজার কিলোমিটার ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে। দেশে বর্তমানে ২১টি শহরে মেট্রো পরিষেবা পৌঁছেছে। ২০১৪ সালে তা মাত্র ৫টি শহরে সীমাবদ্ধ ছিল। উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়েই কাজ চলছে। আপনার সদিচ্ছা থাকলেই যথাযথভাবে কাজ সম্পূর্ণ করা সম্ভব, বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। পরিশেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী ৫ বছরে উন্নয়নের এই গতি আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে। 

হরিয়ানার রাজ্যপাল শ্রী বান্দারু দত্তাত্রেয়, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী মনোহরলাল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী নীতিন গড়করি, শ্রী রাও ইন্দ্রজিৎ সিং, শ্রী কৃষাণ পাল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, হরিয়ানার উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী দুষ্মন্ত চৌতালা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। 

PG/PM/SB