Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী প্রয়াগরাজ সফরে গিয়ে লক্ষাধিক মহিলাকে নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নেন

প্রধানমন্ত্রী প্রয়াগরাজ সফরে গিয়ে লক্ষাধিক মহিলাকে নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নেন


নয়াদিল্লি, ২১ ডিসেম্বর, ২০২১

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী প্রয়াগরাজ সফরে গিয়ে একেবারে তৃণমূল স্তরে মহিলাদের ক্ষমতায়নে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তিনি ১ হাজার কোটি টাকা হস্তান্তরিত করেন। এর ফলে, স্বনির্ভর গোষ্ঠী প্রায় ১৬ লক্ষ মহিলা সদস্য লাভবান হবেন। দীনদয়াল অন্ত্যোদয় যোজনা – জাতীয় গ্রামীণ জীবন জীবিকা মিশনের (ডিএওয়াই – এনআরএলএম) আওতায় এই অর্থ হস্তান্তর করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৮০ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী সামুদায়িক বিনিয়োগ তহবিল (সিআইএ) খাতে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা করে এবং ৬০ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী রিভলভিং ফান্ড হিসাবে ১৫ হাজার টাকা করে পাচ্ছে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ১০ হাজার ব্যাঙ্ক করেসপন্ডেন্ট-সখীর অ্যাকাউন্টে প্রথম মাসের ভাতা হিসাবে ৪ হাজার টাকা করে হস্তান্তর করেন। এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী কন্যা সুমঙ্গল কর্মসূচির আওতায় ১ লক্ষেরও বেশি সুফলভোগীকে ২০ কোটি টাকার বেশি হস্তান্তর করেন। শ্রী মোদী এই উপলক্ষে পরিপূরক পৌষ্টিক খাবার উৎপাদনের ২০২টি ইউনিটের শিলান্যাস করেন। 

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী হিন্দি সাহিত্য জগতের দিকপাল আচার্য মহাবীর প্রসাদ দ্বিবেদীকে তাঁর জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, প্রয়াগরাজ গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর সঙ্গমের পুণ্যভূমি, যা হাজার হাজার বছরের আমাদের মাতৃশক্তিকেই প্রতিফলিত করে। আজ পুণ্যার্থীদের এই শহর নারী শক্তির এক আশ্চর্য সমাগম প্রত্যক্ষ করছে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, উত্তর প্রদেশে মহিলাদের ক্ষমতায়নে যে সমস্ত কর্মকান্ড চলছে, তা সারা দেশ প্রত্যক্ষ করছে। মুখ্যমন্ত্রী কন্যা সুমঙ্গল যোজনার মতো কর্মসূচিগুলির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরকম উদ্যোগ গ্রামের দরিদ্র মানুষ ও বালিকাদের কাছে আস্থার বড় মাধ্যম হয়ে উঠছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে রাজ্যের ১ লক্ষেরও বেশি সুফলভোগী কন্যার অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা জমা পড়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, উত্তর প্রদেশের মহিলাদের সুরক্ষা, মর্যাদা ও সম্মান ডবল ইঞ্জিন সরকার সুনিশ্চিত করেছে, যা এককথায় অভূতপূর্ব। তিনি বলেন, উত্তর প্রদেশের মহিলারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, তাঁরা আগের পরিস্থিতিকে কখনই আর ফিরে আসতে দেবেন না। ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ অভিযানের মাধ্যমে লিঙ্গ-ভিত্তিক গর্ভপাত সম্পর্কে সমাজে সচেতনতা গড়ে তুলতে সরকারের প্রয়াসের কথাও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এই অভিযানের দরুণ বহু রাজ্যে কন্যাদের জন্ম হার বেড়েছে। সরকার এখন গর্ভবতী মহিলাদের টিকাকরণ, হাসপাতালে প্রসব এবং গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার ব্যাপারে গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মাতৃ বন্দনা যোজনার আওতায় গর্ভাবস্থায় মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৫ হাজার টাকা জমা করা হয়, যাতে তাঁরা পুষ্টিকর খাবার খেতে পারেন। 

মহিলাদের মর্যাদা বাড়াতে একাধিক পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। স্বচ্ছ ভারত মিশনের আওতায় কোটি কোটি শৌচাগার নির্মাণ, উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় রান্নার গ্যাস সংযোগের সুবিধা এবং বাড়িতে বাড়িতে পাইপবাহিত পানীয় জলের পরিষেবা বোনেদের জীবনযাপনকে আরও সহজ ও সরল করে তুলছে বলেও প্রধানমন্ত্রী অভিমত প্রকাশ করেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দশকের পর দশক ঘরবাড়ি ও সম্পত্তির অধিকার কেবল পুরুষদের বলেই গণ্য করা হ’ত। কিন্তু, বর্তমান সরকার এই অসমতা দূর করার চেষ্টা করছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা সরকারের ঐ প্রয়াসের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় যেসব বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে, তাতে মহিলাদের অধিকারকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। 

পরিবারের উপার্জন বাড়াতে ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে যে সমস্ত কর্মসূচি রূপায়িত হচ্ছে, তাতে মহিলাদেরকেও সমান অংশীদার করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, এখন মুদ্রা যোজনা আরও বেশি সংখ্যায় মহিলা শিল্পোদ্যোগী গড়ে তুলতে উৎসাহিত করছে। তিনি বলেন, দীনদয়াল অন্ত্যোদয় যোজনার মাধ্যমে সারা দেশে স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও গ্রামীণ প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে মহিলাদের সরাসরি যোগসূত্র গড়ে তোলা হচ্ছে। আত্মনির্ভর ভারত অভিযানে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা সদস্যরা চ্যাম্পিয়ন হয়ে উঠুক – আমি এটাই কামনা করি। প্রকৃতপক্ষে, স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি ন্যাশনাল হেল্প গ্রুপ।

ডবল ইঞ্জিন সরকার কোনও পক্ষপাতিত্ব ছাড়াই কন্যাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে নিরলস কাজ করে চলেছে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, বালিকাদের বিবাহের বয়স স্থির করতে আইনি পদক্ষেপ করা হচ্ছে। আগে ছেলেদের বিবাহের বয়স ছিল ২১ বছর এবং কন্যাদের ক্ষেত্রে এই বয়স ছিল ১৮ বছর। আমাদের কন্যারাও লেখাপড়ার জন্য সময় ও সমান সুযোগ-সুবিধা চাইতো। তাই, কন্যাদের বিবাহের বয়স ২১ বছর করার আইনি প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। সারা দেশ কন্যাদের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। 

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে উত্তর প্রদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে উন্নতির কথাও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, মাফিয়ারাজের অবসান ও অরাজকতা দূর হওয়ায় উত্তর প্রদেশের বোন ও কন্যারা সবচেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য শ্রী মোদী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রয়াসের প্রশংসা করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ সারা উত্তর প্রদেশে নিরাপত্তার পাশাপাশি, অধিকারের বিষয়টি সুনিশ্চিত হয়েছে। আজ উত্তর প্রদেশের ব্যবসায়িক সম্ভাবনাও অসীম। মা ও বোনেদের আশীর্বাদ নিয়ে এ বিষয়ে আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে যে, নতুন এই উত্তর প্রদেশকে আর কেউই অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিতে পারবে না। 

 

CG/BD/SB