নয়াদিল্লি, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ গুজরাটের সুরাটে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে ‘জলসঞ্চয় জনভাগিদারী’ উদ্যোগের সূচনা অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন। এই উদ্যোগের আওতায় রাজ্যজুড়ে দীর্ঘস্থায়ী ভিত্তিতে বর্ষার জল সংরক্ষণ পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলশক্তি মন্ত্রকের উদ্যোগে আজ গুজরাট থেকে এই গুরুত্বপূর্ণ অভিযানের সূচনা করা হল। এবার বর্ষার মরসুমে যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, দেশের বেশিরভাগ এলাকাতেই এর প্রভাব পড়েছে। তিনি বলেন, গুজরাটকে কঠিন সংকটের মধ্যে পড়তে হয়েছে এবং এই সংকট মোকাবিলায় সমস্ত দফতরকে পূর্ণ মাত্রায় কাজে লাগানো হচ্ছে। তবে, এই সংকটাবস্থায় সারা দেশের মানুষ গুজরাটের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের অনেকাংশ এখনও বর্ষার মরসুমে বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পারেনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জল সংরক্ষণ কেবলমাত্র একটি নীতি নয়, এটা কল্যাণকর উদ্যোগ। এরসঙ্গে উদারতা এবং দায়িত্ববোধ জড়িত। তিনি বলেন, আমাদের মূল্যায়ণের ক্ষেত্রে ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে জলই হবে প্রধান নির্ণায়ক। তার কারণ, জল কেবল সম্পদ নয়, জলের মাঝে নিহিত রয়েছে জীবনের প্রশ্ন এবং মানবতার ভবিষ্যত। তিনি বলেন, সুস্থায়ী ভবিষ্যত গড়ে তোলার লক্ষ্যে যে ৯টি সংকল্প নেওয়া হয়েছে জল সংরক্ষণ তারমধ্যে অন্যতম প্রধান। এই সদর্থক উদ্যোগের শুরু থেকেই সাড়া জাগানো জন অংশগ্রহণে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। এই উদ্যোগের জন্য তিনি জলশক্তি মন্ত্রক, গুজরাট সরকার এবং সমস্ত অংশীদারদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
পরিবেশ এবং জল সংরক্ষণের গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বের বিশুদ্ধ জলের কেবলমাত্র ৪ শতাংশ রয়েছে ভারতে। তিনি এর ব্যাখ্যা করে বলেন, আমাদের দেশে অনেক নদী থাকা সত্ত্বেও এক বিরাট ভৌগোলিক এলাকা তার সুবিধা থেকে বঞ্চিত এবং ভূগর্ভে জলস্তর দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে জলসংকট মানুষের জীবনকেও প্রভাবিত করছে বলে তিনি জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কঠিন পরিস্থিতি সত্ত্বেও ভারতই পারে তার নিজের এবং বিশ্বস্বার্থে সমাধান সূত্র খুঁজে বের করতে। ভারতের প্রাচীন শাস্ত্রের জ্ঞান বলে জল এবং পরিবেশ সংরক্ষণ কেবল পুঁথিগত জ্ঞান বা পরিস্থিতিগত বিষয় নয়। ভারতীয় প্রথাগত চেতনার সঙ্গে জল এবং পরিবেশ সংরক্ষণ অনন্য সূত্রে বাঁধা। তিনি বলেন, ভারতের মানুষ জলকে ভগবানস্বরূপ জ্ঞান করে। নদীকে তারা দেবীতুল্য এবং সরোবরকে দেবতার আবাসস্থল হিসেবে প্রথাগত ভাবধারায় বিশ্বাসী। তিনি বলেন, গঙ্গা, নর্মদা, গোদাবরী এবং কাবেরীকে মাতৃজ্ঞানে পুজো করা হয়। প্রাচীন শাস্ত্রের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ব্যাখ্যা করে বলেন, যেহেতু জল থেকে সবরকম জীবনের উৎপত্তি এবং জলের ওপর যেহেতু আমরা নির্ভরশীল তাই জল সঞ্চয় এবং জলদান সেবার সর্বোচ্চ দিক হিসেবে পরিগণিত হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের পূর্ব পুরুষরা পরিবেশ সংরক্ষণ এবং জলের গুরুত্ব বুঝতেন। রহিম দাসের লেখা কয়েকটি পঙতির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রের দূরদৃষ্টির প্রতি আলোকপাত করে বলেন, জল এবং পরিবেশ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে।
‘জলসঞ্চয় জনভাগিদারী’ উদ্যোগ গুজরাট থেকে আরম্ভ করার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষের কাছেও পরিশ্রুত পানীয় জলের সুযোগ পৌঁছে দেওয়ার সফল কীর্তি গড়ে ওঠেছে। আড়াই দশক আগেও সৌরাষ্ট্রের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গিয়েও প্রধানমন্ত্রী বলেন, পূর্ববর্তী সরকারগুলির জল সংরক্ষণের দৃষ্টিভঙ্গির অভাব ছিল। এই গভীর সংকট কাটিয়ে উঠার ক্ষেত্রে তার সংকল্পের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কয়েক দশক ধরে বকেয়া সর্দার সরোবর বাঁধের কাজ সম্পূর্ণ করে তা চালু করাকে তিনি নিশ্চিত করেছেন। সৌনি যোজনায় জলবহুল এলাকা থেকে জল অভাবগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গুজরাট থেকে চালু করা এই প্রয়াস সারা বিশ্বের কাছে নজির সৃষ্টি করায় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জল সংরক্ষণ কেবলমাত্র একটি নীতি নয়, তা এক সামাজিক দায়বদ্ধতা। তিনি বলেন, অতীতে কয়েক হাজার কোটি টাকার জল সংক্রান্ত প্রকল্পের সূচনা হলেও কেবলমাত্র গত ১০ বছর থেকে তা ফলদায়ক রূপ পেয়েছে। আমাদের সরকার পূর্ণ সামাজিক ও সরকারী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করেছে। জলজীবন মিশনের আওতায় প্রত্যেক গৃহে পাইপবাহিত পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার সরকারী সংকল্পের ওপর আলোকপাত করে তিনি বলেন, অতীতে যেখানে ৩ কোটি গৃহে এই সুবিধা পাওয়া যেত বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ কোটিতে। দেশের ৭৫ শতাংশ গৃহে পরিশ্রুত জল পৌঁছে দেওয়ায় জল জীবন মিশনের কৃতিত্বের ওপর আলোকপাত করেন শ্রী মোদী। এক্ষেত্রে তিনি স্থানীয় জল সমিতি সর্বোপরি গুজরাটের পানী সমিতিগুলিতে মহিলাদের চমৎকার নিদর্শনের উল্লেখ করে তিনি বলেন, মহিলারা সারা দেশ জুড়ে পানী সমিতি গুলিতে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করছেন। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ অংশগ্রহণই গ্রামীণ মহিলাদের।
জলশক্তি অভিযানের ওপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তা আজ এক জাতীয় মিশন হয়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রথাগত জলভাণ্ডারগুলির সংস্কার করেই হোক বা নতুন পরিকাঠামো গড়ে তোলাই হোক সমাজের সমস্ত স্তরের মানুষ তা অংশীদার থেকে শুরু করে নাগরিক সমাজ এমনকি পঞ্চায়েত পর্যন্ত এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। জন অংশগ্রহণের শক্তির ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজাদী কি অমৃত মহোৎসব পর্বে প্রত্যেক জেলায় অমৃত সরোবর গড়ে তোলার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল তাতে দেশে আজ প্রায় ৬০ হাজার অমৃত সরোবর গড়ে ওঠেছে। অনুরূপভাবে অটল ভূজল যোজনায় ভূগর্ভস্থ জল সিঞ্চনের কাজে গ্রামীণ মানুষদের যুক্ত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ২০২১ সালে শুরু হওয়া ‘বর্ষার জল ধরো’ অভিযানে অনেক অংশীদারকে যুক্ত করা হয়েছে। নমামী গঙ্গে প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি মানুষের একটি ভাবাবেগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গিয়েছে। নদীর জলকে পরিস্কার করতে মানুষ প্রাচীন প্রথাগত সংস্কারের বেড়াজাল কাটিয়ে ওঠে অপ্রয়োজনীয় জিনিষ জলে ছুঁড়ে ফেলার অভ্যাস ত্যাগ করতে শিখেছে।
‘এক পেড় মা কে নাম’ এই অভিযানের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক নাগরিক একটি করে বৃক্ষরোপণ করলে ভূ-গর্ভস্থ জলস্তর দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। বিগত কয়েক সপ্তাহে এই অভিযানের ডাকে সাড়া দিয়ে কোটি কোটি বৃক্ষরোপণ হয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রী জানান। এই জাতীয় অভিযানে জন অংশগ্রহণের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৪০ কোটি দেশবাসীর অংশগ্রহণে জল সংরক্ষণ অভিযান এখন জন আন্দোলনের চেহারা নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলকে ঘিরে রাষ্ট্রের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করতে জলের অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে, সেইসঙ্গে জলের পুনর্ব্যবহার, জল সিঞ্চন, বর্জ্য জলশোধনের মন্ত্র নিতে হবে। এক্ষেত্রে উদ্ভাবনী দিক এবং আধুনিক প্রযুক্তিগত সাহায্য নেওয়ার প্রয়োজনের কথাও তিনি জানান। তিনি বলেন, ভারতের প্রায় ৮০ শতাংশ জলের চাহিদা মেটানো হয় কৃষিতে। সুস্থায়িত্বের দিকে তাকিয়ে জল সাশ্রয়ী চাষের পথ বেছে নেওয়া হচ্ছে। সুস্থায়ী কৃষিকাজের দিকে তাকিয়ে বিন্দু সেচের প্রযুক্তি সরকার নানা দিকে প্রসারিত করছে বলেও তিনি জানান। এক বিন্দু জলে অধিক ফলন অভিযানের ওপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলের অভাবগ্রস্ত এলাকাগুলিতেও এই পদ্ধতিতে চাষ একদিকে যেমন জল সংরক্ষণে সহায়ক হবে তার পাশপাশি কৃষকদের উপার্জন বাড়াতেও সহায়ক হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেসব ডাল শস্য, তৈল্য বীজ এবং মোটা দানার শস্যের ফলনে কম জলের দরকার তা চাষের ক্ষেত্রে প্রচার চালাচ্ছে সরকার। রাজ্যগুলোকেও তিনি জল সংরক্ষণ প্রকল্প গড়ে তোলার ডাক দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছ জলের প্রাপ্যতা এবং জল সংরক্ষণের সাফল্যের সঙ্গে সম্পর্কিত বিশাল জল অর্থনীতির। তিনি বলেন, জল জীবন মিশনে অনেক কর্মসংস্থান হয়েছে। তার পাশাপাশি স্বনিযুক্তির সুযোগও বৃদ্ধি পেয়েছে। হু-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতি গৃহে পাইপবাহিত পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহের ফলে ৫.৫ কোটি মানব ঘন্টা সাশ্রয় করা গেছে। তিনি বলেন, এরফলে আমাদের বোন এবং কন্যাদের সময় এবং কষ্ট বেঁচেছে এবং অর্থনীতি শক্তিশালী হয়েছে। তিনি প্রতিবেদনের উল্লেখ করে বলেন, ১ লক্ষ ২৫ হাজার শিশুকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো গেছে এবং জলজীবন মিশনের ফলে ৪ লক্ষ মানুষকে প্রতিবছর জলবাহিত রোগ থেকে মুক্ত করা গেছে। এতে খরচেরও সাশ্রয় হয়েছে বলে তিনি জানান।
জলসংরক্ষণের ক্ষেত্রে ভারতের লক্ষ্য অর্জনে শিল্প সংস্থাগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের কথা স্বীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। জলকে বর্জ্য মুক্ত করতে এবং পুনর্ব্যবহার যোগ্য করে তোলার ক্ষেত্রে শিল্প সংস্থাগুলির ভূমিকাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তিনি। অনেক শিল্প সংস্থা এটাকে তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা হিসেবে গ্রহণ করেছে বলেও তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জল সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলির সামাজিক দায়বদ্ধতার পূর্ণ ব্যবহারে গুজরাট এক নতুন দৃষ্টান্ত গড়ে তুলেছে। সুরাট, বালসাদ, ডাং, তাপি এবং নাভসারি প্রভৃতি জায়গায় প্রায় ১০ হাজার বোরওয়েল রিচার্জ কাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। এরফলে এই সমস্ত জায়গায় জল সংকট মেটানো যাচ্ছে বলেও তিনি জানান। সরকার এবং বেসরকারী সংস্থার মধ্যে এক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগ গড়ে তোলার ওপরেও গুরুত্ব দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন, জলসঞ্চয় জনভাগিদারী অভিযানের মাধ্যমে জলশক্তি মন্ত্রক এবং গুজরাট সরকার ২৪ হাজারেরও বেশি এই জাতীয় কাঠামো গড়ে তোলার নতুন লক্ষ্য স্থির করেছে। ভবিষ্যতে অন্যান্য রাজ্যগুলি অনুপ্রাণিত হবে বলেও তিনি জানান।
জলসংরক্ষণে বিশ্বের কাছে ভারত এক অনুপ্রেরণার অঙ্গ হয়ে ওঠবে বলে আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি তাঁর ভাষণ শেষ করেন এই বলে যে, মানবতার স্বার্থে জলসংরক্ষণের ক্ষেত্রে ভারত এক আলোকবর্তিকা হয়ে দেখা দেবে।
গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী শ্রী সি আর পাতিল অন্যদের সঙ্গে এই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে উপস্থিত ছিলেন।
PG/ AB/AG
भारत में जनभागीदारी और जनआंदोलन से जल संरक्षण और प्रकृति संरक्षण का अनूठा अभियान चल रहा है। आज गुजरात के सूरत में 'जल संचय जनभागीदारी पहल' का शुभारंभ कर अत्यंत हर्ष की अनुभूति हो रही है।https://t.co/Qg27AbPj1f
— Narendra Modi (@narendramodi) September 6, 2024
जल-संचय, ये केवल एक पॉलिसी नहीं है।
— PMO India (@PMOIndia) September 6, 2024
ये एक प्रयास भी है, और पुण्य भी है: PM @narendramodi pic.twitter.com/fhIVxklUSE
जल संरक्षण, प्रकृति संरक्षण… ये भारत की सांस्कृतिक चेतना का हिस्सा है। pic.twitter.com/Y45EHSFzU0
— PMO India (@PMOIndia) September 6, 2024
जल-संरक्षण केवल नीतियों का नहीं, बल्कि सामाजिक निष्ठा का भी विषय है: PM @narendramodi pic.twitter.com/ebCKjDemdi
— PMO India (@PMOIndia) September 6, 2024
जल संचय सिर्फ एक अभियान नहीं, बल्कि यह जनभागीदारी और उत्तरदायित्व का संकल्प भी है। pic.twitter.com/6YHSRkJzpf
— Narendra Modi (@narendramodi) September 6, 2024
हमारी संस्कृति में जल को ईश्वर का रूप कहा गया है। जिस राष्ट्र का चिंतन इतना दूरदर्शी और व्यापक हो, उसे जल संकट का हल खोजने के लिए दुनिया में सबसे आगे खड़ा होना ही होगा। pic.twitter.com/u6fhXZzF8x
— Narendra Modi (@narendramodi) September 6, 2024
गुजरात में जैसे पानी समिति में महिलाओं ने कमाल किया था, वैसे ही अब पूरे देश में पानी समिति में महिलाएं शानदार काम कर रही हैं। pic.twitter.com/bt7EWquk4e
— Narendra Modi (@narendramodi) September 6, 2024
आज 140 करोड़ देशवासियों की भागीदारी से जल संरक्षण के कई अभियान जन-आंदोलन बनते जा रहे हैं। pic.twitter.com/wkhXXd5BmT
— Narendra Modi (@narendramodi) September 6, 2024
जल-संचयन के लिए आज हमें Reduce, Reuse, Recharge और Recycle के मंत्र पर आगे बढ़ने की जरूरत है। pic.twitter.com/SjQk5vcMOA
— Narendra Modi (@narendramodi) September 6, 2024