নয়াদিল্লি, ১৭ অক্টোবর, ২০২২
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও কনফারেন্সিং – এর মাধ্যমে আজ গুজরাটে পিএমজেএওয়াই – মা যোজনার আয়ুষ্মান কার্ড বিতরণের সূচনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সিং – এর মাধ্যমে এই আয়ুষ্মান কার্ডের সুবিধাভোগীদের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় অংশ নেন।
বনসকান্থার তুয়ারের বাসিন্দা শ্রী পীযূষভাইয়ের সঙ্গে আলাপচারিতায় প্রধানমন্ত্রী তাঁর এবং তাঁর পরিবারের স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজখবর নেন। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প তাঁকে নতুন জীবন দিয়েছে জানতে পেরে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। সরকারের তরফে পীযূষভাইয়ের মতো প্রত্যেকের যত্ন নেওয়ার বিষয়টি আশ্বস্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী মাহিসাগরের সোমাভাইয়ের শ্রী দামোরলালাভাইয়ের সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁর ক্যান্সার চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজখবর নেন। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় নিজস্ব কোনও অর্থ ব্যয় না করে চিকিৎসা চলছে, জানতে পেরে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী শ্রী দামোরকে তামাক ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন।
গান্ধীনগরের দর্জির শ্রীমতী রামিলাবেন বলেন, আয়ুষ্মান কার্ড পাওয়া না গেলে তাঁকে চিকিৎসার জন্য ঋণ নিতে হ’ত। দেশের মা ও বোনেরাও এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন জেনে আনন্দিত হন প্রধানমন্ত্রী।
সমাবেশের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ধনতেরাস ও দীপাবলির আগে জনগণের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রেখে এই বিশাল উদ্যোগ নেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। শাস্ত্র উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আরোগ্যম পরমম্ ভাগ্যম্’। গুজরাটে মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের নেতৃত্বে লক্ষ লক্ষ মানুষ আরোগ্য ধনের সুবিধা পাচ্ছেন বলে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, আয়ুষ্মান যোজনার লক্ষ্য হ’ল – সকলের জন্য সুস্বাস্থ্য। গুজরাটে ৫০ লক্ষ কার্ড বিতরণ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বর্তমান সময়ে পরিবর্তিত রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা ও কর্মসংস্কৃতির প্রতি আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, পূর্ববর্তী সরকারের সময় সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে প্রকল্পগুলি রূপায়িত হয়নি। কোনও অর্থও ব্যয় করা হ’ত না। কেবলমাত্র বিশেষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রকল্প তৈরি করা হ’ত। কিন্তু, এখন পরিস্থিতি বদলেছে। “সাধারণ মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখে সরাসরি প্রকল্পগুলি তৈরি করা হয়” – বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, দেশের মানুষ সুস্থ থাকলে দেশ শক্তিশালী হয়ে উঠবে। তাই, সাধারণ মানুষের সশক্তিকরণ, বিশেষ করে মহিলাদের সশক্তিকরণের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। রান্নার গ্যাস সংযোগ, পাকা বাড়ি, শৌচাগার, বিনামূল্যে রেশন, নলবাহিত জল – এর মতো সুবিধাগুলি উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে এখনও পর্যন্ত এই স্বাস্থ্য প্রকল্পের আওতায় ৪ কোটিরও বেশি দরিদ্র জনগণ আরোগ্য লাভ করেছেন। এর মধ্যে ৫০ লক্ষই হলেন গুজরাটের বাসিন্দা। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের প্রায় অর্ধেকই দেশের মা ও বোনেরা। এই বিষয়টিতেও বিশেষ সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “একটি আয়ুষ্মান কার্ড থাকার অর্থ হ’ল এটিএম – এ ৫ লক্ষ টাকা থাকা। এই অর্থ ব্যবহার করে প্রতি বছর স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়া যাবে। আয়ুষ্মান কার্ড হ’ল আপনার সত্যিকরের বন্ধু”।
শ্রী মোদী যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, সেই সময়ের কথা স্মরন করে বলেন, চিরঞ্জিবী, বালভোগ এবং খিলখিলাহট প্রকল্প তখন চালু করা হয়েছিল। বহু বছর আগেই গুজরাটে মুখ্যমন্ত্রী অমৃতম যোজনা শুরু হয়। পিএমজেএওয়াই – মা গুজরাটের জনগণকে রাজ্যের বাইরেও চিকিৎসার সুবিধা দেবে।
প্রেক্ষাপট:
গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সময় শ্রী নরেন্দ্র মোদী দরিদ্র জনগণের জন্য ২০১২ সালে মুখ্যমন্ত্রী অমৃতম যোজনার সূচনা করেছিলেন। যেসব পরিবারের বার্ষিক আয় ৪ লক্ষ টাকা, তাঁরাই এর সুবিধা পাবেন। গুজরাটে পিএমজেএওয়াই – মা যোজনার আওতায় কার্ড বিতরণ সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রাথমিকভাবে ৫০ লক্ষ আয়ুষ্মান কার্ড বিতরণ করা হয়।
PG/PM/SB
PMJAY-MA Yojana Ayushman cards will ensure top quality and affordable medical care. https://t.co/Ak5bFjm57T
— Narendra Modi (@narendramodi) October 17, 2022