Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী গুজরাটের একতা নগরে রাজ্যগুলির পরিবেশ মন্ত্রীদের জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন

প্রধানমন্ত্রী গুজরাটের একতা নগরে রাজ্যগুলির পরিবেশ মন্ত্রীদের জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন


নয়াদিল্লি, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গুজরাটের একতা নগরে অনুষ্ঠিত রাজ্যগুলির পরিবেশ মন্ত্রীদের জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন। 

এই উপলক্ষে তাঁর ভাষণে প্রধানমন্ত্রী রাজ্যগুলির পরিবেশ মন্ত্রীদের একতা নগরে অনুষ্ঠিত জাতীয় সম্মেলনে স্বাগত জানান। আগামী ২৫ বছরে ভারতের নতুন লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে এই সম্মেলনে তিনি বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন। সম্মেলনের তাৎপর্য প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন, জল সংরক্ষণ, পর্যটন এবং আমাদের আদিবাসী ভাই-বোনদের স্বার্থ রক্ষার আদর্শ এক উদাহরণ একতা নগরের সর্বাঙ্গীন উন্নয়ন, যা পরিবেশ-বান্ধব উদ্যোগকে নতুন এক মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক সৌর জোট, কোয়ালিশন ফর ডিজাস্টার রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার এবং ‘লাইফ’ আন্দোলনের মাধ্যমে ভারত পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে। পাশাপাশি, এ বিষয়ে দেশ আজ সারা বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে। তিনি বলেছেন, “আজ নতুন ভারত, নতুন ভাবনা এবং নতুন উদ্যোগে এগিয়ে চলেছে। ভারতের দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনীতি দেশের বাস্তুতন্ত্রকে নিরন্তর শক্তিশালী করে চলেছে। আমাদের বনাঞ্চল যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, একই সঙ্গে জলাভূমিও দ্রুত বাড়ছে”। 

শ্রী মোদী বলেন, আজ সারা বিশ্ব উপলব্ধি করছে যে, ভারত যা অঙ্গীকার করে, তা পালনও করে। “বিগত বছরগুলিতে সিংহ, বাঘ, হাতি, এক শৃঙ্গ গন্ডার এবং লেপার্ডের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। দিন কয়েক আগে মধ্যপ্রদেশে চিতা আবারও ফিরে আসায় নতুন উৎসাহের সঞ্চার হয়েছে”।  

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ২০৭০ সালের মধ্যে দেশকে কার্বন নিঃসরণ মুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে, পরিবেশ-বান্ধব উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানের উপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার উপর গুরুত্ব দিয়ে শ্রী মোদী বলেন, রাজ্যগুলির পরিবেশ মন্ত্রককে এই লক্ষ্য পূরণে সচেষ্ট হতে হবে। “প্রত্যেক রাজ্যের বৃত্তীয় অর্থনীতির বাস্তবায়ন যতটা করা সম্ভব তা করার জন্য আমি পরিবেশ মন্ত্রীদের আহ্বান জানাচ্ছি”। তিনি বলেন, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করার মধ্য দিয়ে আমরা একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের হাত থেকে রেহাই পাব।  

পরিবেশ মন্ত্রকের ভূমিকার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের কর্মতৎপরতা একটি নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে আবদ্ধ থাকলে চলবে না। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে পরিবেশ মন্ত্রকগুলি নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করে এসেছে। “আমার মনে হয়, পরিবেশ মন্ত্রকের ভূমিকা হওয়া উচিৎ পরিবেশকে রক্ষা করা, নিয়ন্ত্রক হওয়া নয়”। ভেইকেলস্‌ স্ক্র্যাপিং নীতি এবং ইথানল মিশ্রণের মতো জৈব জ্বালানীর ব্যবহার সহ বিভিন্ন পরিবেশ-বান্ধব উদ্যোগ গ্রহণের জন্য তিনি রাজ্যগুলিকে পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়াও, রাজ্যগুলির মধ্যে স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতামূলক ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার পাশাপাশি, সহযোগিতার পরিবেশও গড়ে তুলতে হবে।  

ভূ-গর্ভস্থ জলের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেসব রাজ্যে জল সম্পদের প্রাচুর্য ছিল, আজ সেইসব রাজ্যও জল কষ্টের সম্মুখীন। তিনি, ব্যক্তি-বিশেষের উন্নয়নের জন্য রাসায়নিক সার ও পদার্থ ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কৃষি কাজ করতে উদ্যোগী হতে বলেন। এছাড়াও, জল সঙ্কট দূর করতে অমৃত সরোবরের উপর গুরুত্ব দেন। পরিবেশ মন্ত্রককে এই বিষয়গুলি বাস্তবায়নের উপরও জোর দিতে হবে। “বিভিন্ন রাজ্যের পরিবেশ মন্ত্রকের জনঅংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করা উচিৎ। এখন পরিবেশ মন্ত্রকের দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন হয়েছে। আমি নিশ্চিত, এর ফলে প্রকৃতিও উপকৃত হবে”। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই কাজ শুধুমাত্র তথ্য দপ্তর ও শিক্ষা দপ্তরের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না, পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে জনসচেতনতাও গড়ে তুলতে হবে। “আপনারা জানেন যে, দেশ জুড়ে জাতীয় শিক্ষা নীতি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই নীতিতে অভিজ্ঞতা-ভিত্তিক শিক্ষাদানের উপর গুরুত্ব আরোপিত হয়েছে”। শ্রী মোদী বলেন, শিশুদের মধ্যে জৈব বৈচিত্র্য সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে এবং গাছের চারা রোপন করে পরিবেশ রক্ষা করার জন্য পরিবেশ মন্ত্রককে উদ্যোগী হতে হবে। “আমাদের উপকূল অঞ্চলে বসবাসকারী শিশুদের সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র রক্ষার বিষয়ে পাঠ দান করাতে হবে। শিশু এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পরিবেশ সম্পর্কে আরও সংবেদনশীল হিসাবে গড়ে তুলতে হবে”। ‘জয় অনুসন্ধান’ মন্ত্র অনুসরণ করে আমাদের বিভিন্ন রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণাগারগুলিকে উদ্ভাবনমূলক কর্মকান্ডকে পরিবেশ রক্ষার কাছে ব্যবহারের জন্য অগ্রাধিকার দিতে হবে। পরিবেশ রক্ষার জন্য তিনি প্রযুক্তি ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দেন। “বনাঞ্চল সম্পর্কিত গবেষণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ”। 

পশ্চিমের দেশগুলিতে বিপজ্জনকভাবে দাবানল বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দাবানলের কারণে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণের নিরিখে ভারতের ভূমিকা যথেষ্ট কম। কিন্তু, আমাদের সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। দাবানল নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তি ব্যবহারের উপরও তিনি গুরুত্ব দেন। এছাড়াও, আমাদের বন রক্ষীদের যথাযথ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন, যাতে তাঁরা দাবানলের মোকাবিলা করতে পারেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তুলতে এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে অতীতে পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র পেতে নানা জটিলতা দেখা দিত। এই প্রসঙ্গে তিনি সর্দার সরোবর জলাধার প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন। ১৯৬১ সালে পণ্ডিত নেহরু প্রকল্প বাস্তবায়নে উদ্যোগী হন। অথচ, পরিবেশের নামে নানাবিধ চক্রান্তের কারণে এটি বাস্তবায়নে কয়েক দশক লেগেছে। তিনি শহুরে নকশালদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন, যারা দেশের উন্নয়নকে ব্যহত করতে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠন ও ফাউন্ডেশন থেকে কোটি কোটি টাকা পেয়েছেন। এদের চক্রান্তের কারণে জলাধারের উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য বিশ্ব ব্যাঙ্ক ঋণ দিতে অসম্মত হয়। “কখনও মনে হ’ত, এই চক্রান্তগুলির কারণে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে না। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত গুজরাটবাসীরই জয় হয়েছে। যে জলাধারকে একটা সময়ে পরিবেশের জন্য বড় বিপদ বলে বর্ণনা করা হ’ত, আজ সেই জলাধার পরিবেশ রক্ষা করছে”। প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক রাজ্যের পরিবেশ মন্ত্রীদের নিজ নিজ রাজ্যের শহুরে নকশালদের বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, প্রায় ৬ হাজারের উপর পরিবেশগত ছাড়পত্র এবং ৬ হাজার ৫০০টি অরণ্য সংক্রান্ত ছাড়পত্র রাজ্যগুলির কাছে বকেয়া রয়েছে। “প্রতিটি প্রস্তাবের ছাড়পত্র যাতে পাওয়া যায়, সে বিষয়ে রাজ্যগুলিকে উদ্যোগী হতে হবে। এই প্রকল্পগুলি আটকে থাকার ফলে কোটি কোটি টাকার যে ক্ষতি হচ্ছে, সে বিষয়টি আপনাদের বুঝতে হবে”। শ্রী মোদী কাজের পরিবেশের পরিবর্তনের উপর গুরুত্ব দেন। এর ফলে, বকেয়া কাজের পরিমাণ হ্রাস পাবে এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলির ছাড়পত্র দ্রুত পাওয়া যাবে। পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র দেবার ফলে ঐ এলাকার উন্নয়নমূলক কাজে অগ্রাধিকার দেওয়ার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট নিয়মগুলিও মেনে চলতে হবে। “এর ফলে অর্থনীতি ও বাস্তুতন্ত্র – উভয় ক্ষেত্রের জন্য তা লাভজনক হবে। পরিবেশের নামে অহেতুক প্রতিবন্ধকতা গড়ে তোলা বন্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে, সহজ জীবনযাত্রা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের অনুকূল পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র দ্রুত পেলে উন্নয়নমূলক কাজে গতি আসবে”। 

এ প্রসঙ্গে শ্রী মোদী কয়েক সপ্তাহ আগে দিল্লিতে নবনির্মিত প্রগতি ময়দান সুড়ঙ্গের প্রসঙ্গটি উল্লেখ করেন। “এই সুড়ঙ্গের ফলে দিল্লিবাসী যানজট থেকে মুক্তি পেয়েছেন। প্রগতি ময়দান সুড়ঙ্গ প্রতি বছর ৫৫ লক্ষ লিটার জ্বালানী সাশ্রয় করবে”। এর ফলে, প্রতি বছর ১৩ হাজার টন কার্বন নিঃসরণ কম হবে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই কার্বন শোষণে ৬ লক্ষেরও বেশি গাছের প্রয়োজন হয়। “উড়ালপুল, রাস্তা, এক্সপ্রেসওয়ে অথবা রেল প্রকল্প – এগুলি নির্মাণের মধ্য দিয়ে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কম হয়। পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র দেওয়ার সময় এই বিষয়টি মনে রাখতে হবে”। 

পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও দক্ষতার উপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ‘এক জানালা’ ব্যবস্থাপনা পরিবেশ পোর্টাল ব্যবহারের প্রসঙ্গটি উল্লেখ করেন। এর ফলে, সহজেই ছাড়পত্র পাওয়া যাবে। “আট বছর আগে পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র পেতে ৬০০ দিনেরও বেশি লেগে যেত। আর আজ ৭৫ দিনেই তা পাওয়া যায়”। 

পিএম গতিশক্তি ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের সঙ্গে সঙ্গে পরিকাঠামোগত প্রকল্পগুলির মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি পেয়েছে বলে শ্রী মোদী উল্লেখ করেন। এই কর্মসূচী পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তিনি বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব দেন। জলবায়ু পরিবর্তনের মতো সমস্যাগুলির মোকাবিলায় অর্থনীতির উদীয়মান ক্ষেত্রগুলিকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। “একটি পরিবেশ-বান্ধব শিল্প অর্থনীতি গড়ে তোলার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিকে একযোগে কাজ করতে হবে”। 

তাঁর ভাষণের শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পরিবেশ মন্ত্রকের ভূমিকা শুধুমাত্র নিয়ন্ত্রকের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না, এই মন্ত্রক মানুষের অর্থনীতির ক্ষমতায়ন এবং নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। “একতা নগর থেকে আপনারা অনেক কিছু জানতে পারবেন। গুজরাটের কোটি কোটি মানুষকে যে সর্দার সরোবর জলাধার অমৃত দান করছে, তার স্বরূপ এখানে আপনারা প্রত্যক্ষ করতে পারবেন। সর্দার সাহেবের এই সুউচ্চ প্রতিকৃতি একতার জন্য আমাদের অঙ্গীকার পালনে অনুপ্রাণিত করে”। 

একতা নগরের কেভাডিয়ায় বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানার সুযোগের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, কিভাবে বাস্তুতন্ত্র ও অর্থনীতির উন্নয়ন একই সঙ্গে করা যায়, তা এখান থেকে সহজেই উপলব্ধি করা সম্ভব। একই সঙ্গে, পরিবেশকে শক্তিশালী করা, নতুন নতুন কর্মসংস্থান গড়ে তোলা, ইকো টুরিজমের প্রসার ঘটাতে জৈব বৈচিত্র্যকে ব্যবহার করা এবং আমাদের আদিবাসী ভাই-বোনদের সমৃদ্ধির জন্য অরণ্য সম্পদকে কিভাবে কাজে লাগানো যায়, সে বিষয়ে এখান থেকেই ধারনা পাওয়া যায়। 

অনুষ্ঠানে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল এবং কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র যাদব উপস্থিত ছিলেন। 

প্রেক্ষাপট

সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ভাবনায় এই সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্লাস্টিক ব্যবহারের কারণে পরিবেশ দূষণকে প্রতিহত করতে বহুস্তরীয় ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ-বান্ধব জীবনযাপনের জন্য ‘লাইফ’ উদ্যোগকে যথাযথভাবে কার্যকর করার মধ্য দিয়ে রাজ্যগুলি যাতে জলবায়ু পরিবর্তনের মতো সমস্যার সমাধান করতে পারে, সেই বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি একযোগে কাজ করবে। সম্মেলনে বনাঞ্চল বৃদ্ধি, জমির উর্বরতা ফিরিয়ে আনা এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের মতো বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হবে।

২৩ ও ২৪ সেপ্টেম্বর দু’দিনের এই সম্মেলনে মূলত ৬টি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এগুলি হ’ল – ‘লাইফ’ ব্যবস্থাপনার উপর আলোচনা, কার্বন নিঃসরণ কমানো এবং জলবায়ু সংক্রান্ত বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে রাজ্যগুলি যাতে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান করতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা, পরিবেশ-বান্ধব সুসংহত ছাড়পত্রের জন্য ‘এক জানালা’ ব্যবস্থাপনা পরিবেশ নিয়ে আলোচনা, অরণ্য সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ, বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণ সংক্রান্ত আলোচনা এবং প্লাস্টিক ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা।

PG/CB/SB