প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীআগামীকাল (১৮ই জানুয়ারি) গান্ধীনগরে মহাত্মা মন্দির প্রদর্শনী তথা সম্মেলন কেন্দ্রে নবম ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাট’ শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। গুজরাটে আরও বেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী এই সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।
‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাট’ শীর্ষ সম্মেলন ১৮ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে আজ (১৭ই জানুয়ারি) মহাত্মা মন্দির প্রদর্শনী তথা সম্মেলন কেন্দ্রে শ্রী মোদী গ্লোবাল ট্রেড শো-এর উদ্বোধন করেন। এই প্রদর্শনীতে তিনি বিভিন্ন সংস্থার স্টল পরিদর্শন করেন। ইসরো, ডিআরডিও, খাদি প্রভৃতি স্টল তিনি ঘুরে দেখেন এবং প্রদর্শিত বিভিন্ন সামগ্রী বা উপকরণের বিষয়ে বিশেষ আগ্রহ দেখান। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিজয় রুপানি সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। ২ লক্ষ বর্গ মিটার এলাকা জুড়ে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। প্রদর্শনীতে ২৫টির বেশি শিল্প ও বাণিজ্যিক সংস্থা তাদের স্টলে নিজেদের পণ্যসামগ্রী প্রদর্শন করছে।
‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাট’ শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি একাধিক অনুষ্ঠান ও কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। এর অন্যতম একটি আকর্ষণীয় অনুষ্ঠান হল ‘আমেদাবাদ শপিং ফেস্টিভ্যাল, ২০১৯’। আজ সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী এই ফেস্টিভ্যাল উদ্বোধন করবেন। একইসঙ্গে তিনি ম্যাসকট-এরও সূচনা করবেন। ভারতে এ ধরণের শপিং ফেস্টিভ্যাল এই প্রথম। আমেদাবাদ শহরের শিল্প সংস্থাগুলিকে তাদের পণ্যসামগ্রী জনসমক্ষে তুলে ধরতে এই ফেস্টিভ্যাল গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ প্রদান করছে।
নবম ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাট’ শীর্ষ সম্মেলনে এবার জ্ঞানের আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে আরও বৈচিত্র্য আনা, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যোগসূত্র আরও নিবিড় করার মতো সম্পূর্ণ নতুন ধরণের কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন রাজ্যকে বিনিয়োগের অন্যতম গন্তব্য হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী ২০০৩ সালে ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাট’ শীর্ষ সম্মেলনের সূচনা করেছিলেন। এই শীর্ষ সম্মেলন বিশ্ব জুড়ে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, জ্ঞানের আদান-প্রদান এবং কার্যকর অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার মতো বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ প্রদান করবে।
এই শীর্ষ সম্মেলনের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বিষয়ের মধ্যে রয়েছে – ভারতে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও গণিত নিয়ে শিক্ষা তথা গবেষণার সুযোগ-সুবিধার জন্য গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন। বৈঠকে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও নীতি-প্রণেতারা সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলিতে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা করবেন।
সম্মেলনে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও গণিত নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরের আলোচনাসভা আয়োজন করা হচ্ছে। এছাড়াও, ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি তথা মহাকাশ অনুসন্ধানের বিষয় নিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হচ্ছে। বন্দর-কেন্দ্রিক উন্নয়ন ও রণকৌশল নিয়ে আয়োজিত সেমিনারে ভারতকে এশিয়ায় পণ্য পরিবহণ হাব হিসেবে গড়ে তোলার নানা দিক নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়াও, প্রতিরক্ষা ও বিমান সংক্রান্ত ক্ষেত্রে যুক্ত শিল্প সংস্থাগুলির সুযোগ-সুবিধা নিয়ে সেমিনারের আয়োজন করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য, গুজরাট তথা ভারতে প্রতিরক্ষা ও বিমানচালনা ক্ষেত্রে যে সুযোগ-সুবিধা রয়েছে সে বিষয়ে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের সচেতন করা।
২০০৩-এ ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাট’ শীর্ষ সম্মেলন শুরু হওয়ার পর এ ধরণের শীর্ষ সম্মেলন অন্যান্য রাজ্যগুলিকেও বাণিজ্য ও বিনিয়োগের প্রসারে একই ধরণের সম্মেলন আয়োজনে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।
CG/BD/DM