নয়াদিল্লী, ২৬ মার্চ, ২০২২
দরিদ্র এবং প্রান্তিক মানুষের কথা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার (পিএমজিকেএওয়াই) মেয়াদ আরও ৬ মাস অর্থাৎ আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে।
পিএমজিকেএওয়াই-এর পঞ্চম পর্বের মেয়াদ ৩১শে মার্চ শেষ হচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২০র এপ্রিল থেকে এই প্রকল্প শুরু হয়েছে। এটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ খাদ্য সুরক্ষা কর্মসূচী।
কেন্দ্র এ পর্যন্ত এই প্রকল্পের জন্য ২ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেছে। ষষ্ঠ পর্যায়ে আরও ৮০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে। এর ফলে পিএমজিকেএওয়াই প্রকল্পে মোট ৩ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
কেন্দ্রীয় সরকার পুরো প্রকল্পটির ব্যয়ভার বহন করছে। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় দেশের প্রায় ৮০ কোটি মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। যদিও কোভিড-১৯ মহামারীর প্রকোপ যথেষ্ট কমেছে এবং অর্থনৈতিক তৎপরতা ক্রমশ বাড়ছে কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও এই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হলো। এর ফলে কোনো দরিদ্র মানুষ অভুক্ত থাকবেন না।
পিএমজিকেএওয়াই প্রকল্পে প্রত্যেকে তাদের জন্য বরাদ্দ খাদ্যশস্য ছাড়াও অতিরিক্ত ৫ কেজি রেশন বিনামূল্যে পাবেন। এর অর্থ প্রত্যেক দরিদ্র পরিবার প্রতি মাসে স্বাভাবিক রেশন বরাদ্দের তুলনায় প্রায় দ্বিগুন রেশন পাবেন।
পিএমজিকেএওয়াই প্রকল্পের পঞ্চম পর্ব পর্যন্ত ৭৫৯ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। ষষ্ঠ পর্বে আরও ২৪৪ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য দেওয়া হবে। এর ফলে এই প্রকল্পে মোট ১ হাজার ৩ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
এক দেশ এক রেশন কার্ড ব্যবস্থায় পরিযায়ী শ্রমিক বা যেকোনো সুবিধাভোগী দেশের প্রায় ৫ লক্ষ রেশন দোকানের যেকোন একটি দোকান থেকে রেশন তুলতে পারবেন। ইতিমধ্যে ৬১ কোটি লেনদেন উপভোক্তারা অন্য অঞ্চল থেকে করেছেন।
শতাব্দীর ভয়াবহ মহামারীর মধ্যেও সরকার কৃষকদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ পরিমাণ খাদ্যশস্য সংগ্রহ করেছে। এর জন্য কৃষকদের যে অর্থ দেওয়া হয়েছে তার পরিমাণ সর্বোচ্চ। রেকর্ড পরিমাণে ফসল উৎপাদনের পুরো কৃতিত্বই ভারতীয় কৃষকদের- আমাদের অন্নদাতাদের।
CG/CB/NS