Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী গবাদি পশুর রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি এবং কৃত্রিম উপায়ে গর্ভধারণ সংক্রান্ত জাতীয় কর্মসূচির সূচনা করলেন


প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ মথুরায় গবাদি পশুর মুখ ও পায়ের খুরে রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং ব্যাকটেরিয়া ঘটিয়ে ব্রুসেলোসিস রোগের নিয়ন্ত্রণে জাতীয় কর্মসূচির সূচনা করেছেন।

গবাদি পশুর মধ্যে এই দুটি রোগ নিয়ন্ত্রণের কর্মসূচি রূপায়ণে খরচ ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা। কর্মসূচি রূপায়ণে সম্পূর্ণ খরচ বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার। জাতীয় স্তরের এই দুটি কর্মসূচির মাধ্যমে ৬০ কোটিরও বেশি গবাদি পশুর টিকাকরণ করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী দেশ জুড়ে গবাদি পশুর কৃত্রিম উপায়ে গর্ভধারণ সংক্রান্ত জাতীয় কর্মসূচির পাশাপাশি, দেশের ৬৮৭টি জেলায় কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রগুলিতে টিকাকরণ, অসুখ-বিসুখ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ, কৃত্রিম উপায়ে গর্ভধারণ এবং উৎপাদনশীলতা নিয়ে জাতীয় স্তরের কর্মশিবিরেরও সূচনা করেন।

এই উপলক্ষে এক বিরাট জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের অর্থনীতি ও দর্শনে পরিবেশ ও গবাদি পশু সর্বদাই মূল কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেছে। স্বচ্ছ ভারত বা জল জীবন মিশন বা কৃষি কাজের প্রসার অথবা পশু পালন সব ক্ষেত্রেই প্রকৃতি ও অর্থনীতির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়। এই উদ্যোগগুলিই এক মজবুত নতুন ভারত গঠনে সক্ষম করে তুলছে।

দেশে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বর্জনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ‘স্বচ্ছতা হি সেবা’ কর্মসূচির সূচনা করেন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সকলেই চেষ্টা করব, আগামী দোসরা অক্টোবরের মধ্যে আমাদের ঘরবাড়ি, কার্যালয় ভবন, কর্মক্ষেত্রগুলিকে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক থেকে মুক্ত রাখার’।

‘আমি সমস্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠী, নাগরিক সমাজ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, মহিলা ও যুবসংগঠন, প্রতিটি কলেজ-বিদ্যালয়, প্রতিটি সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং প্রত্যেক ব্যক্তিকে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বর্জন অভিযানে সামিল হওয়ার আহ্বান জানাই’।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্লাস্টিক নির্মিত ব্যাগের পরিবর্তে আমাদের ব্যয়-সাশ্রয়ী এবং বিকল্প পদ্ধতির কথা ভাবতে হবে। আমাদের স্টার্ট আপগুলির মাধ্যমে এ ব্যাপারে একাধিক সমাধানসূত্র পাওয়া যেতে পারে।

এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী গবাদি পশুর স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও ডেয়ারি ফার্মিং নিয়ে একাধিক কর্মসূচির সূচনা করেন।

কৃষকদের আয় বাড়াতে পশুপালন ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৌ-প্রতিপালন প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিপুল মুনাফার সম্ভাবনা রয়েছে।

“বিগত পাঁচ বছরে আমরা কৃষিকাজ ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে অগ্রসর হয়েছি। গবাদি পশু, ডেয়ারিজাত পণ্য ও এ ধরনের পণ্যের আরও বৈচিত্র্যকরণে ও গুণমান বৃদ্ধি করতে আমরা একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছি”।

গবাদি পশুর জন্য আরও সুষম ও পুষ্টিকর খাবার যোগানে আমাদের উপযুক্ত সমাধানসূত্র খুঁজে বের করতে হবে।

ভারতে ডেয়ারি ক্ষেত্রে আরও বিকাশ ও সম্প্রসারণে উদ্ভাবন তথা নতুন প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এই প্রয়োজনীয়তা মেটাতে আমরা গ্রাম স্তর থেকে সমাধানসূত্র খুঁজে বের করতে ‘স্টার্ট আপ ব্র্যান্ড চ্যালেঞ্জ’ কর্মসূচির সূচনা করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আমার নবীন প্রজন্মের বন্ধুদের আশ্বস্ত করে বলতে চাই যে, তাঁদের উদ্ভাবনী প্রস্তাবগুলিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে এবং এই প্রস্তাবগুলি কার্যকর করতে উপযুক্ত সমাধানসূত্র খুঁজে বের করা হবে। এভাবেই কর্মসংস্থানের নতুন নতুন সুযোগ-সুবিধাও তৈরি হবে।

CG/BD/SB