Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী কুশীনগর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন করলেন

প্রধানমন্ত্রী কুশীনগর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন করলেন


নয়াদিল্লি, ২০ অক্টোবর, ২০২১

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ কুশীনগর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেছেন।

এই উপলক্ষে এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্ব জুড়ে বৌদ্ধ সমাজের কাছে ভারত আস্থার মূল কেন্দ্র। তিনি বলেন, আজ উদ্বোধন হওয়া কুশীনগর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিষেবা বৌদ্ধ সমাজের আন্তরিকতার প্রতি শ্রদ্ধা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই এলাকাটি ভগবান জ্ঞানালোক প্রাপ্তি থেকে মহাপরিনির্বাণ প্রক্রিয়ার সাক্ষ্য থেকেছে। আজ গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চলটির সঙ্গে বিশ্বের সঙ্গে সরাসরি যোগসূত্র স্থাপিত হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী কুশীনগর এলাকায় উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও সুযোগ-সুবিধা গড়ে তোলার মাধ্যমে ভগবান বুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত এই এলাকার উন্নয়নের ওপর বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন। কুশীনগর বিমানবন্দরে অবতরণকারী শ্রীলঙ্কার বিমান ও প্রতিনিধিদের স্বাগত জানান। আজ মহাঋষি বাল্মীকী জয়ন্তীতে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা দেশ ‘সবকা সাথ ও সবকা প্রয়াস’ – এর সহযোগিতায় ‘সবকা বিকাশ’ – এর পথে এগিয়ে চলেছে। তিনি আরও বলেন, “উত্তর প্রদেশ ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কুশীনগরের উন্নয়ন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের বিষয়”।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আস্থাই হোক বা অবসর যাপন – সব ধরনের পর্যটনের প্রসারে আধুনিক পরিকাঠামোর চাহিদা রয়েছে। এই লক্ষ্যে রেল, সড়ক, বিমান, জলপথ, হোটেল, আতিথেয়তা, ইন্টারনেট যোগাযোগ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, নিকাশি ব্যবস্থা ও দূষণ মুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। “এ ধরনের পরিকাঠামো পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত এবং একসঙ্গে এ ধরনের পরিকাঠামোর কাজ শেষ করা প্রয়োজন। একবিংশ শতাব্দীর ভারত ঠিক এই দিশাতেই এগিয়ে চলেছে”, বলে প্রধানমন্ত্রী অভিমত প্রকাশ করেন।

শ্রী মোদী জানান, উড়ান কর্মসূচির আওতায় গত কয়েক বছরে ৯০০টিরও বেশি নতুন রুটে পরিষেবা চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫০টিরও বেশি রুটে ইতিমধ্যেই পরিষেবা শুরু হয়েছে। এমনকি, ৫০টিরও বেশি নতুন বিমানবন্দর বা যেসব বিমানবন্দরে আগে পরিষেবা ছিল না, সেগুলিতে নতুন করে পরিষেবা শুরু হয়েছে।

উত্তর প্রদেশে বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থার অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে আকাশপথে যোগাযোগ ব্যবস্থার লাগাতার অগ্রগতি হচ্ছে। কেবল এই রাজ্যেই কুশীনগর বিমানবন্দর চালু হওয়ার আগে ৮টি বিমানবন্দর চালু ছিল। এছাড়াও, লক্ষ্ণৌ ও বারাণসীর পর জেওয়ার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাজ চলছে। রাজ্যে এই বিমানবন্দরগুলি ছাড়াও অযোধ্যা, আলিগড়, আজমগড়, চিত্রকূট, মোরাদাবাদ ও শ্রাবস্তীতে বিমানবন্দর প্রকল্পের কাজ চালু রয়েছে।

এয়ার ইন্ডিয়া ব্যাপারে সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই পদক্ষেপ দেশের অসামরিক বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রকে আরও বেশি পেশাদার ও নিরাপদ হয়ে উঠতে সাহায্য করবে। “সরকারের এই পদক্ষেপ ভারতে অসামরিক বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রে নতুন গতি সঞ্চার করবে। এ ধরনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের সঙ্গে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় যুক্ত বিমান পরিষেবাকে অসামরিক ক্ষেত্রে সদ্ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে”, বলে তিনি উল্লেখ করেন। এই পদক্ষেপ বিভিন্ন বিমান রুটে দূরত্বকে হ্রাস করবে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সম্প্রতি যে দ্রোণ-নীতির কথা ঘোষণা করা হয়েছে, তা কৃষি থেকে স্বাস্থ্য, বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা থেকে প্রতিরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসতে চলেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি যে পিএম গতিশক্তি – ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যানের সূচনা হয়েছে, তা কেবল প্রশাসনিক ব্যবস্থার মানোন্নয়ন ঘটাবে না, সেই সঙ্গে সড়ক, রেল, বিমান প্রভৃতির মতো যোগাযোগ মাধ্যমগুলির মধ্যে পারস্পরিক সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

CG/BD/SB