Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী কস্তুরবা গান্ধী মার্গ ও আফ্রিকা এভিনিউ-এ প্রতিরক্ষা দপ্তরের অফিস কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেছেন


নয়াদিল্লি, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নতুন দিল্লির কস্তুরবা মার্গ ও আফ্রিকা এভিনিউ-এ প্রতিরক্ষা বিভাগের অফিস কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেছেন। তিনি আফ্রিকা এভিনিউ-এ প্রতিরক্ষা বিভাগের অফিস কমপ্লেক্স ঘুরে দেখেন এবং সেনাবাহিনী, নৌ-বাহিনী, বিমানবাহিনী ও অসামরিক আধিকারিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।  

প্রধানমন্ত্রী এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বলেন, আজ যে কমপ্লেক্সের উদ্বোধন হ’ল তার মধ্য দিয়ে ভারতের স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে নতুন ভারতের প্রয়োজনীয়তা ও উচ্চাকাঙ্খার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হ’ল। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত এই কাজ অনেক আগেই হওয়া উচিৎ ছিল। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় যেসব খুপরিতে ঘোড়া রাখা থাকতো বা ব্যারাকের চাহিদা মেটানো হ’ত, সেখান থেকেই দীর্ঘদিন ধরে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কাজ করা হয়েছে। “নতুন প্রতিরক্ষা অফিস কমপ্লেক্সটি আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনীর উদ্যোগকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। এখান থেকে আরও ভালোভাবে কাজ করা যাবে”। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেবি মার্গ ও আফ্রিকা এভিনিউ-এ তৈরি অত্যাধুনিক অফিসগুলি দেশের কাজ দক্ষভাবে পরিচালন করতে সাহায্য করবে। রাজধানীতে আধুনিক প্রতিরক্ষা কনক্লেভ নির্মাণ একটি বড় পদক্ষেপ। আত্মনির্ভর ভারতের প্রতীক হিসাবে এই কমপ্লেক্সে ভারতীয় শিল্পীরা যে শিল্প কর্মের নিদর্শন ফুটিয়ে তুলেছেন, তিনি তার প্রশংসা করেন। “এই কমপ্লেক্স আমাদের সংস্কৃতির বৈচিত্র্যের আধুনিক রূপ ফুটিয়ে তুলেছে। একই সঙ্গে, এটি দিল্লির ঐতিহ্য ও পরিবেশ সংরক্ষণে সাহায্য করবে”। 

শ্রী মোদী বলেন, যখন আমরা রাজধানী সম্পর্কে কথা বলি, তখন তার ভাবনা নিছক একটি শহরের মধ্যে আবদ্ধ থাকে না। যে কোনও দেশের রাজধানী সেই দেশের ভাবনা, সংকল্প, ক্ষমতা ও সংস্কৃতির প্রতীক। ভারত হ’ল গণতন্ত্রের জননী। তাই, ভারতের রাজধানী এমন হওয়া উচিৎ, যেখানে জনসাধারণ কেন্দ্রে থাকবেন। 

প্রধানমন্ত্রী আধুনিক পরিকাঠামোর ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, সহজ জীবনযাত্রা ও সহজে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে। “সেন্ট্রাল ভিস্তায় যে নির্মাণ কাজ চলেছে, তা এই ভাবনাকে অনুসরণ করছে”। রাজধানীর চাহিদা অনুযায়ী নতুন নির্মাণ কাজের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের নির্মাণ কাজ, যেমন – জনপ্রতিনিধিদের বাসভবন, বাবাসাহেব আম্বেদকরের স্মৃতি স্মারকগুলির রক্ষণা-বেক্ষনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাই, আজ রাজধানীতে আমাদের শহীদদের স্মৃতিগুলি রক্ষা করলে রাজধানী শহরের ঐতিহ্য বাড়বে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিরক্ষা দপ্তরের অফিস কমপ্লেক্সের কাজ ১৪ মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছে। করোনা সময়কালে বহু শ্রমিক এখানে কাজ পেয়েছেন। শ্রী মোদী বলেন ভাবনাচিন্তার এই ধারার সরকারের কাজ করার পদ্ধতি থেকে এসেছে। “যখন নীতি ও উদ্দেশ্য স্বচ্ছ থাকে, ইচ্ছাশক্তি দৃঢ় হয় এবং উদ্দেশ্যগুলি সৎ হয়, তখন সবকিছু সম্ভব হয়”।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিরক্ষা বিভাগের এই অফিসগুলি কর্মসংস্কৃতির পরিবর্তনের প্রতীক এবং সরকার কোন কোন ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিচ্ছে – তাও বোঝা যায়। বর্তমানে জমির সর্বোচ্চ ও যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কাজ করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে আরও ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ১৩ একর জমির ওপর এই অফিস কমপ্লেক্সটি গড়ে উঠেছে। আগে এ ধরনের কাজে পাঁচ গুণ জমি ব্যবহার করা হ’ত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজাদি কা অমৃত কাল’ অর্থাৎ আগামী ২৫ বছরে সরকারি ব্যবস্থার উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতাকে বৃদ্ধি করতে এ ধরনের উদ্যোগ সাহায্য করবে। একটি অভিন্ন কেন্দ্রীয় সচিবালয়, কনফারেন্স হল – এর ব্যবস্থাপনা এবং সহজেই মেট্রোর সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ফলে রাজধানী নাগরিক-বান্ধব হয়ে উঠেছে বলে শ্রী মোদী মন্তব্য করেন। 

 

CG/CB/SB