নয়াদিল্লি, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ‘কর্তব্য পথ’-এর উদ্বোধন করেছেন। পূর্ববর্তী রাজপথ, যা ক্ষমতার প্রতিভূস্বরূপ চিহ্নিত হত, তা থেকে ‘কর্তব্য পথ’-এ পরিবর্তন জনগণের মালিকানা এবং ক্ষমতায়নের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত হবে। প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে ইন্ডিয়া গেটে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন।
সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের সময় জাতি আজ এক নতুন অনুপ্রেরণা ও শক্তি অনুভব করেছে। তিনি বলেন, “আজ, আমরা অতীতকে পেছনে ফেলে আগামীর ছবিকে নতুন রঙে রঞ্জিত করছি। আজ এই নতুন আভা সর্বত্র দৃশ্যমান, এটি নতুন ভারতের আস্থার আভা”। তিনি আরও বলেন, “কিংসওয়ে অর্থাৎ রাজপথ, যা দাসত্বের প্রতীক, আজ থেকে ইতিহাসের প্রসঙ্গ হয়ে চিরতরে বিলুপ্ত হয়েছে। ‘কর্তব্য পথ’-এর মধ্য দিয়ে আজ এক নতুন
ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। স্বাধীনতার এই অমৃতকালের দাসত্বের শৃঙ্খলের আরও একটি নাগপাশ থেকে মুক্তির জন্য আমি সমস্ত দেশবাসীকে অভিনন্দন জানাই।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ ইন্ডিয়া গেটের কাছে আমাদের জাতীয় বীর নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর একটি বিশাল মূর্তিও স্থাপন করা হয়েছে। “দাসত্বের সময়কালে ব্রিটিশ রাজের প্রতিনিধির একটি মূর্তি সেখানে ছিল। আজ একই জায়গায় নেতাজির মূর্তি স্থাপন করে দেশ একটি আধুনিক, শক্তিশালী ভারতের জীবন সঞ্চার করেছে” বলে মন্তব্য করেন তিনি। নেতাজির মহানুভবতার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সুভাষ চন্দ্র বসু ছিলেন এমন এক মহান মানব যিনি পদের মোহ এবং সম্পদের আকর্ষণে বেঁধে রাখা যায়নি। তাঁর গ্রহণযোগ্যতা এমন ছিল যে সারা বিশ্ব তাঁকে নেতা বলে মনে করেছিল। তাঁর ছিল অদম্য সাহস এবং আত্মসম্মান। তাঁর স্বচ্ছ এবং সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গি ছিল। এছাড়াও ছিল নেতৃত্বদানের ক্ষমতা এবং নীতিগত প্রাবল্য।”
তিনি বলেন, কোনো দেশ যেন তার গৌরবময় অতীত ভুলে না যায়। ভারতের গৌরবময় ইতিহাস প্রতিটি ভারতীয়র রক্তে ও ঐতিহ্যের মধ্যে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন যে নেতাজি ছিলেন ভারতের ঐতিহ্য নিয়ে গর্বিত। একই সঙ্গে তিনি ভারতকে আধুনিকও করতে চেয়েছিলেন। “স্বাধীনতার পর ভারত যদি সুভাষবাবুর পথ অনুসরণ করত, তাহলে দেশ আজ অনেক উচ্চ স্থান দখল করত। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, স্বাধীনতার পর আমাদের এই মহানায়ককে বিস্মৃতির অতলে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি এবং তাঁর সঙ্গে যুক্ত প্রতীকগুলিকে উপেক্ষা করা হয়েছিল” বলে প্রধানমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি নেতাজির ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কলকাতায় নেতাজির বাসভবনে যাওয়ার কথা স্মরণ করে বলেন, সেখানে গিয়ে সেই সময়ে তিনি যে শক্তি অনুভব করেছিলেন তা তাঁর কাছে স্মরণীয় হয়ে রয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের প্রয়াস হোক যে নেতাজির শক্তি আজ দেশকে পথ দেখাক।”। ‘কর্তব্য পথ’-এ নেতাজির মূর্তি তার জন্য একটি মাধ্যম হয়ে উঠবে বলে তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গত আট বছরে, আমরা একের পর এক এমন অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যা নেতাজির আদর্শ ও স্বপ্নের সঙ্গে সংযুক্ত। নেতাজি সুভাষ ছিলেন অখন্ড ভারতের প্রথম প্রধান, যিনি ১৯৪৭
সালের আগে আন্দামানকে মুক্ত করেছিলেন এবং ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। সে সময় লালকেল্লায় তিরঙ্গা উত্তোলন কেমন হবে তাও তিনি কল্পনা করেছিলেন। আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে লালকেল্লায় ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকা উত্তোলনের যে সৌভাগ্য আমার হয়েছিল, সে সময় আমি ব্যক্তিগতভাবে এটা অনুভব করেছিলাম।” লালকেল্লায় নেতাজি এবং আজাদ হিন্দ ফৌজকে নিবেদিত জাদুঘর সম্পর্কেও তিনি জানান। শ্রী মোদী ২০১৯-এর প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজকেও স্মরণ করে বলেন তখন আজাদ হিন্দ ফৌজের একটি দলও মিছিল করে এসেছিল। এটি ছিল প্রবীণদের জন্য একটি দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সম্মান। একইভাবে, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের পরিচিতি এবং তাদের সমিতিও শক্তিশালী হয়েছিল।
‘পঞ্চ প্রাণ’-এর প্রতি জাতির প্রতিশ্রুতির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ ভারতের আদর্শ ও ক্ষেত্র তার নিজস্ব। আজ ভারতের সংকল্প তার নিজস্ব, তার লক্ষ্য তার নিজস্ব, আজ আমাদের পথ আমাদেরই, আমাদের প্রতীক আমাদের নিজস্ব।” তিনি বলেন, “আজ রাজপথের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে কর্তব্য পথ-এ পরিণত হয়েছে। আজ যখন পঞ্চম জর্জের মূর্তির জায়গায় নেতাজির মূর্তি বসানো হয়েছে, তখন দাসত্বের মানসিকতার বিসর্জনের এটাই প্রথম নজির হিসেবে তা চিহ্নিত হয়েছে। এটি শুরুও নয়, শেষও নয়। মন ও চেতনার মুক্তির লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত এটি সংকল্পের অবিরাম যাত্রা।” উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রেসকোর্স রোডের জায়গায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের নাম পরিবর্তন করে লোক কল্যাণ মার্গ হয়েছে। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান এবং বিটিং দ্য রিট্রিট অনুষ্ঠানে ভারতীয় বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার এই উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনকে সূচিত করছে। তিনি ভারতীয় নৌবাহিনীর পতাকায় ঔপনিবেশিকতার স্মারক চিহ্নের জায়গায় ছত্রপতি শিবাজীর স্মারক চিহ্ন ব্যবহারের কথাও উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন, একইভাবে জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধও দেশের গৌরবের প্রতিনিধিত্ব করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই পরিবর্তনগুলো শুধু প্রতীকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, দেশের নীতিগত ক্ষেত্রেও তা প্রভাব ফেলেছে। বৃটিশ আমল থেকে চলে আসা শত শত আইনের আজ আজ পরিবর্তন করা হয়েছে। বহু দশক ধরে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সময় অনুসরণ করে চলা আসা বাজেটের সময় ও তারিখেরও পরিবর্তন করা হয়েছে বলে তিনি জানান। জাতীয় শিক্ষানীতির মাধ্যমে এখন দেশের যুব সমাজকে বিদেশী
ভাষার বাধ্যবাধকতা থেকে মুক্ত করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশবাসীর চিন্তাভাবনা ও স্বভাব – উভয়ই দাসত্বের মানসিকতা থেকে মুক্তি পেয়েছে।
কর্তব্য পথটি যে কেবল ইঁট-পাথরের রাস্তা নয় বরং, ভারতের গণতান্ত্রিক অতীত এবং সর্বকালের আদর্শের একটি জীবন্ত উদাহরণ সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জোর দেন। তিনি পুনরায় বলেন যে দেশের মানুষ যখন এখানে আসবে তখন নেতাজির মূর্তি এবং জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধ তাঁদের কাছে একটি মহান অনুপ্রেরণার উৎস হবে এবং এটি তাঁদের কর্তব্যবোধ জাগ্রত করবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে রাজপথে বৃটিশ রাজশক্তির দম্ভের প্রতীক যারা ভারতের জনগণকে দাস হিসেবে বিবেচনা করত। কিন্তু আজ স্থাপত্যের পরিবর্তনের সাথে সাথে এর চেতনাও পরিবর্তিত হয়েছে। জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধ থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত প্রসারিত এই কর্তব্য পথটি কর্তব্যবোধের সাথে প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে বলে তিনি জানান।
প্রধানমন্ত্রী শ্রমজীবী সম্প্রদায়ের প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, শুধু কর্তব্য পথ-এর পুনরুন্নয়নে তাঁদের শক্তির শারীরিক শক্তি ব্যবহারের জন্যই কেবলমাত্র নয়, তাঁদের শ্রমের মর্যাদা এখন উচ্চ
শিখরমণ্ডিত যা জাতির প্রতি কর্তব্যের জীবন্ত উদাহরণ। এখানে কর্মরত শ্রমিকদের সাথে তাঁর সাক্ষাতের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির গৌরবের স্বপ্ন তাঁরা তাঁদের হৃদয়ে বহন করছেন। সেন্ট্রাল ভিস্তায় কর্মরত শ্রমিক এবং তাঁদের পরিবারকে আগামী প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অতিথি করা হবে বলে তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রী আনন্দ প্রকাশ করে বলেন যে আজ দেশে শ্রম এবং শ্রমিকদের সম্মানের স্থান রয়েছে। যে নীতিগত সংবেদনশীলতা এবং সিদ্ধান্তগত সংবেদনশীলতার ওপর জোর দেন তিনি এবং ‘শ্রমেব জয়তে’ জাতির জন্য একটি মন্ত্র হয়ে উঠছে বলে জানান। তিনি কাশী বিশ্বনাথ ধাম, বিক্রান্ত এবং প্রয়াগরাজ কুম্ভের কর্মীদের সাথে কথোপকথনের কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, নতুন সংসদ ভবনে কর্মরত শ্রমিকরা যে কোনো একটি গ্যালারিতে সম্মানের স্থান পাবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন যে আজকের ভারতে ডিজিটাল এবং পরিবহন পরিকাঠামোর পাশাপাশি সাংস্কৃতিক পরিকাঠামো নিয়ে কাজ করছে। সামাজিক পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে তিনি নতুন এইমস এবং মেডিকেল কলেজ, আইআইটি, জল সংযোগ এবং অমৃত সরোবরের উল্লেখ করেন। গ্রামীণ রাস্তা এবং রেকর্ড সংখ্যক আধুনিক এক্সপ্রেসওয়ে, রেলওয়ে এবং মেট্রো নেটওয়ার্ক এবং নতুন বিমানবন্দরের
মধ্য দিয়ে পরিবহন পরিকাঠামো অভূতপূর্বভাবে প্রসার লাভ করেছে বলে জানান তিনি। পঞ্চায়েতগুলিতে অপটিক্যাল ফাইবারের প্রসার এবং ডিজিটাল পেমেন্টের রেকর্ড ভারতের ডিজিটাল পরিকাঠামোকে বিশ্বব্যাপী প্রশংসার জায়গায় উন্নীত করেছে। সাংস্কৃতিক পরিকাঠামো নিয়ে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর অর্থ শুধু ধর্মীয় পরিকাঠামোর সঙ্গে যুক্ত নয়, এর মধ্যে দিয়ে আমরা আমাদের
ইতিহাস, আমাদের জাতীয় বীর ও জাতীয় ঐতিহ্যকে তুলে ধরেছি। তিনি বলেন, এ ধরনের ক্ষেত্রগুলির উন্নয়নের কাজও চলেছে সমান তালে। সর্দার প্যাটেলের স্ট্যাচু অফ ইউনিটি হোক বা আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জন্য নিবেদিত একটি যাদুঘর, প্রধানমন্ত্রী যাদুঘর বা বাবাসাহেব আম্বেদকর মেমোরিয়াল, জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধ বা জাতীয় পুলিশ স্মৃতিসৌধ – এগুলি সাংস্কৃতিক পরিকাঠামোর উদাহরণ বলে প্রধানমন্ত্রী যোগ করেন। শ্রী মোদী আরও বলেন যে এগুলি আমাদের সংস্কৃতিকে একটি জাতি হিসাবে সংজ্ঞায়িত করে এবং এটি আমাদের জাতীয় মানদণ্ড এবং আমরা কীভাবে সেগুলি রক্ষা করছি তাও নির্ধারণ করে। প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন যে একটি উচ্চাকাঙ্খী ভারত মানে শুধুমাত্র সামাজিক পরিকাঠামো, পরিবহন পরিকাঠামো, ডিজিটাল পরিকাঠামো নয়, সাংস্কৃতিক পরিকাঠামোও তাতে গতি সঞ্চার করতে পারে। “আমি আনন্দিত যে আজ দেশ কর্তব্য পথ-এর আকারে সাংস্কৃতিক পরিকাঠামোর আরও একটি বড় উদাহরণ প্রত্যক্ষ পারছে” – বলে মন্তব্য করেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী।
ভাষণ শেষ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রতিটি নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানান যে নবনির্মিত এই ‘কর্তব্য পথ’টিকে প্রত্যক্ষ করে গৌরব অনুভব করার আহ্বান জানান। এর বিকাশে দেশবাসী ভবিষ্যৎ ভারতকে প্রত্যক্ষ করতে পারবেন। এর শক্তি বিশাল জাতির এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও নতুন বিশ্বাসের জন্ম দেবে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। প্রধানমন্ত্রী নেতাজি সুভাষের জীবনের উপর ভিত্তি করে ড্রোন শো-এর কথাও উল্লেখ করেন যা আগামী তিনদিন চলবে। প্রধানমন্ত্রী নাগরিকদের কাছে যাওয়ার এবং ছবি তোলার আহ্বান জানিয়েছেন যা #KartavyaPath হ্যাশট্যাগ সহ সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করা যেতে পারে। “আমি জানি এই পুরো এলাকাটি দিল্লির মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন এবং প্রচুর মানুষ পরিবারের সঙ্গে সন্ধ্যায় এখানে সময় কাটাতে আসেন। ‘কর্তব্য পথ’-এর
পরিকল্পনা, নকশা এবং আলোকসজ্জা এ সমস্ত কিছুকেই মাথায় রেখে করা হয়েছে” বলে প্রধানমন্ত্রী অভিমত ব্যক্ত করেন। উপসংহারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি বিশ্বাস করি যে কর্তব্য পথ-এর এই অনুপ্রেরণা দেশে কর্তব্যের প্রবাহ তৈরি করবে এবং এই প্রবাহ আমাদের একটি নতুন ও উন্নত ভারতের সংকল্পের পরিপূর্ণতার দিকে নিয়ে যাবে” ।
কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রী, শ্রী হরদীপ সিং পুরী, কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রী শ্রী জি কিষান রেড্ডি, ভারতের কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী শ্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল এবং শ্রীমতি মীনাক্ষী লেখি এবং
কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগর বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী , শ্রী কৌশল কিশোর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রেক্ষাপট
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ‘কর্তব্য পথ’ উদ্বোধন করেছেন। এটি পূর্ববর্তী রাজপথ, যা ছিল বৃটিশ রাজ ক্ষমতার এক প্রতিভূস্বরূপ, কর্তব্য পথ-এ তা রূপান্তরের মধ্য দিয়ে জনগণের মালিকানা এবং ক্ষমতায়নের প্রতীক হিসেবে তা চিহ্নিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে ইন্ডিয়া গেটে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন। এই পদক্ষেপগুলি অমৃত কালের নতুন ভারতের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় ‘পঞ্চ প্রাণ’-এর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।
‘কর্তব্য পথ’-এ পুরোপুরি ঢেলে সাজানো হয়েছে। এখানে পরিকাঠামোর উন্নতি করা হয়েছে, যানজট মুক্ত করা হয়েছে এবং শৌচালয় ও পার্কিং-এর সুযোগ-সুবিধাও তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ ও অন্যান্য জাতীয় অনুষ্ঠানগুলি নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হতে পারবে।
কর্তব্য পথ-এ আধুনিক সুবিধা সম্বলিত করা হয়েছে। এখানে ওয়াকওয়ে, ভেন্ডিং কিয়স্ক, বিভিন্ন সুবিধাসম্পন্ন ব্লক ইত্যাদি রয়েছে। পথচারীদের জন্য আন্ডারপাস, উন্নত পার্কিং স্পেস, নতুন প্রদর্শনী প্যানেল এবং উন্নতমানের রাতের আলো দিয়ে এলাকাকে আরও বেশি বর্ণময় করে তোলা হয়েছে যা জনসাধারণের কাছে অনেক বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। এটিতে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা,
বৃষ্টির জল ধরে রাখা, ব্যবহৃত জলের পুনর্ব্যবহার সহ বিভিন্ন ব্যবস্থা রয়েছে।
এই বছরের ২৩ জানুয়ারি ‘পরাক্রম দিবস’-এর অনুষ্ঠানে যেখানে নেতাজির হলোগ্রাম মূর্তি বসানো হয়েছিল, সেখানেই নেতাজির পূর্ণাবয়ব মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী৷ গ্রানাইট মূর্তিটি দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি নেতাজির অপরিসীম অবদানের প্রতি এক উপযুক্ত শ্রদ্ধাস্বরূপ এবং তাঁর প্রতি দেশের মানুষের ঋণের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত হবে। শ্রী অরুণ যোগীরাজ এই মূর্তির প্রধান ভাস্কর। ২৮ ফুট লম্বা এই মূর্তিটি একটিমাত্র গ্রানাইট পাথর খোদাই করে তৈরি করা হয়েছে। এর ওজন ৬৫ মেট্রিক টন।
PG/AB/DM/
Felt honoured to inaugurate the statue of Netaji Bose. pic.twitter.com/KPlFuwPh8z
— Narendra Modi (@narendramodi) September 8, 2022
Speaking at inauguration of the spectacular 'Kartavya Path' in New Delhi. https://t.co/5zmO1iqZxj
— Narendra Modi (@narendramodi) September 8, 2022
देश की नीतियों और निर्णयों में सुभाष बाबू की छाप रहे, कर्तव्य पथ पर उनकी भव्य प्रतिमा इसके लिए प्रेरणास्रोत बनेगी। pic.twitter.com/X7V0KxGpJx
— Narendra Modi (@narendramodi) September 8, 2022
पिछले आठ वर्षों में हमने एक के बाद एक ऐसे कई निर्णय लिए हैं, जिनमें नेताजी के आदर्श और सपने समाहित हैं। pic.twitter.com/LwqLhSpdF3
— Narendra Modi (@narendramodi) September 8, 2022
आज भारत के संकल्प और लक्ष्य अपने हैं। हमारे पथ और प्रतीक अपने हैं। इसीलिए राजपथ का अस्तित्व समाप्त हुआ है और कर्तव्य पथ बना है। pic.twitter.com/fJGeJMxeFt
— Narendra Modi (@narendramodi) September 8, 2022
जिस भारत का वर्णन महाकवि भरतियार ने अपनी एक कविता में किया है, हमें उस सर्वश्रेष्ठ भारत का निर्माण करना है और उसका रास्ता कर्तव्य पथ से होकर ही जाता है। pic.twitter.com/gROSu3Eu2A
— Narendra Modi (@narendramodi) September 8, 2022
कर्तव्य पथ भारत के लोकतांत्रिक अतीत और सर्वकालिक आदर्शों का जीवंत मार्ग है। देश के सांसद, मंत्री और अधिकारियों में भी यह पूरा क्षेत्र Nation First की भावना का संचार करेगा। pic.twitter.com/JKx0VMwMBB
— Narendra Modi (@narendramodi) September 8, 2022
आज हमारे पास कल्चरल इंफ्रास्ट्रक्चर के ऐसे अनेक उदाहरण हैं, जो बताते हैं कि एक राष्ट्र के तौर पर हमारी संस्कृति क्या है, हमारे मूल्य क्या हैं और हम कैसे इन्हें सहेज रहे हैं। pic.twitter.com/sya8S4dugB
— Narendra Modi (@narendramodi) September 8, 2022
आजादी के अमृत महोत्सव में, देश को आज एक नई प्रेरणा मिली है, नई ऊर्जा मिली है।
— PMO India (@PMOIndia) September 8, 2022
आज हम गुजरे हुए कल को छोड़कर, आने वाले कल की तस्वीर में नए रंग भर रहे हैं।
आज जो हर तरफ ये नई आभा दिख रही है, वो नए भारत के आत्मविश्वास की आभा है: PM @narendramodi
गुलामी का प्रतीक किंग्सवे यानि राजपथ, आज से इतिहास की बात हो गया है, हमेशा के लिए मिट गया है।
— PMO India (@PMOIndia) September 8, 2022
आज कर्तव्य पथ के रूप में नए इतिहास का सृजन हुआ है।
मैं सभी देशवासियों को आजादी के इस अमृतकाल में, गुलामी की एक और पहचान से मुक्ति के लिए बहुत-बहुत बधाई देता हूं: PM @narendramodi
आज इंडिया गेट के समीप हमारे राष्ट्रनायक नेताजी सुभाषचंद्र बोस की विशाल मूर्ति भी स्थापित हुई है।
— PMO India (@PMOIndia) September 8, 2022
गुलामी के समय यहाँ ब्रिटिश राजसत्ता के प्रतिनिधि की प्रतिमा लगी हुई थी।
आज देश ने उसी स्थान पर नेताजी की मूर्ति की स्थापना करके आधुनिक, सशक्त भारत की प्राण प्रतिष्ठा भी कर दी है: PM
सुभाषचंद्र बोस ऐसे महामानव थे जो पद और संसाधनों की चुनौती से परे थे।
— PMO India (@PMOIndia) September 8, 2022
उनकी स्वीकार्यता ऐसी थी कि, पूरा विश्व उन्हें नेता मानता था।
उनमें साहस था, स्वाभिमान था।
उनके पास विचार थे, विज़न था।
उनमें नेतृत्व की क्षमता थी, नीतियाँ थीं: PM @narendramodi
अगर आजादी के बाद हमारा भारत सुभाष बाबू की राह पर चला होता तो आज देश कितनी ऊंचाइयों पर होता!
— PMO India (@PMOIndia) September 8, 2022
लेकिन दुर्भाग्य से, आजादी के बाद हमारे इस महानायक को भुला दिया गया।
उनके विचारों को, उनसे जुड़े प्रतीकों तक को नजरअंदाज कर दिया गया: PM @narendramodi
पिछले आठ वर्षों में हमने एक के बाद एक ऐसे कितने ही निर्णय लिए हैं, जिन पर नेता जी के आदर्शों और सपनों की छाप है।
— PMO India (@PMOIndia) September 8, 2022
नेताजी सुभाष, अखंड भारत के पहले प्रधान थे जिन्होंने 1947 से भी पहले अंडमान को आजाद कराकर तिरंगा फहराया था: PM @narendramodi
उस वक्त उन्होंने कल्पना की थी कि लाल किले पर तिरंगा फहराने की क्या अनुभूति होगी।
— PMO India (@PMOIndia) September 8, 2022
इस अनुभूति का साक्षात्कार मैंने स्वयं किया, जब मुझे आजाद हिंद सरकार के 75 वर्ष होने पर लाल किले पर तिरंगा फहराने का सौभाग्य मिला: PM @narendramodi
आज भारत के आदर्श अपने हैं, आयाम अपने हैं।
— PMO India (@PMOIndia) September 8, 2022
आज भारत के संकल्प अपने हैं, लक्ष्य अपने हैं।
आज हमारे पथ अपने हैं, प्रतीक अपने हैं: PM @narendramodi
आज अगर राजपथ का अस्तित्व समाप्त होकर कर्तव्यपथ बना है,
— PMO India (@PMOIndia) September 8, 2022
आज अगर जॉर्ज पंचम की मूर्ति के निशान को हटाकर नेताजी की मूर्ति लगी है, तो ये गुलामी की मानसिकता के परित्याग का पहला उदाहरण नहीं है: PM @narendramodi
ये न शुरुआत है, न अंत है।
— PMO India (@PMOIndia) September 8, 2022
ये मन और मानस की आजादी का लक्ष्य हासिल करने तक, निरंतर चलने वाली संकल्प यात्रा है: PM @narendramodi
आज देश अंग्रेजों के जमाने से चले आ रहे सैकड़ों क़ानूनों को बदल चुका है।
— PMO India (@PMOIndia) September 8, 2022
भारतीय बजट, जो इतने दशकों से ब्रिटिश संसद के समय का अनुसरण कर रहा था, उसका समय और तारीख भी बदली गई है।
राष्ट्रीय शिक्षा नीति के जरिए अब विदेशी भाषा की मजबूरी से भी देश के युवाओं को आजाद किया जा रहा है: PM
कर्तव्य पथ केवल ईंट-पत्थरों का रास्ता भर नहीं है।
— PMO India (@PMOIndia) September 8, 2022
ये भारत के लोकतान्त्रिक अतीत और सर्वकालिक आदर्शों का जीवंत मार्ग है।
यहाँ जब देश के लोग आएंगे, तो नेताजी की प्रतिमा, नेशनल वार मेमोरियल, ये सब उन्हें कितनी बड़ी प्रेरणा देंगे, उन्हें कर्तव्यबोध से ओत-प्रोत करेंगे: PM
राजपथ ब्रिटिश राज के लिए था, जिनके लिए भारत के लोग गुलाम थे।
— PMO India (@PMOIndia) September 8, 2022
राजपथ की भावना भी गुलामी का प्रतीक थी, उसकी संरचना भी गुलामी का प्रतीक थी।
आज इसका आर्किटैक्चर भी बदला है, और इसकी आत्मा भी बदली है: PM @narendramodi
आज के इस अवसर पर, मैं अपने उन श्रमिक साथियों का विशेष आभार व्यक्त करना चाहता हूं, जिन्होंने कर्तव्यपथ को केवल बनाया ही नहीं है, बल्कि अपने श्रम की पराकाष्ठा से देश को कर्तव्य पथ दिखाया भी है: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) September 8, 2022
मैं देश के हर एक नागरिक का आह्वान करता हूँ, आप सभी को आमंत्रण देता हूँ...
— PMO India (@PMOIndia) September 8, 2022
आइये, इस नवनिर्मित कर्तव्यपथ को आकर देखिए।
इस निर्माण में आपको भविष्य का भारत नज़र आएगा।
यहाँ की ऊर्जा आपको हमारे विराट राष्ट्र के लिए एक नया विज़न देगी, एक नया विश्वास देगी: PM @narendramodi