Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ড্রাস্ট্রির (সিআইআই) ২০২১ –এর বার্ষিক সম্মেলনে ভাষণ দিয়েছেন

প্রধানমন্ত্রী কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ড্রাস্ট্রির (সিআইআই) ২০২১ –এর বার্ষিক সম্মেলনে ভাষণ দিয়েছেন


নতুন দিল্লি, ১১ই আগস্ট, ২০২১ 

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ড্রাস্ট্রিজের (সিআইআই) ২০২১ –এর বার্ষিক সম্মেলনে ভাষণ দিয়েছেন। ৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের সমতুল অর্থনীতির দিকে  দেশ এগিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে  সংস্কার বাস্তবায়িত হচ্ছে। সম্মেলন চলাকালীন শিল্প জগতের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা এই সংস্কার রূপায়নে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকারের  প্রশংসা করেছেন। আত্মনির্ভর ভারত গড়ার জন্য স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে সরকার এবং বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি একযোগে কাজ করবে, এই ভাবনা নিয়ে এবারের সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে। পরিকাঠামোগত বিভিন্ন সমস্যার উত্তরণ, উৎপাদন ক্ষমতার বৃদ্ধি, আর্থিক ব্যবস্থাকে আরো প্রাণবন্ত করা, প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভারত যাতে নেতৃত্ব দেবার ক্ষমতা অর্জন করে, সে সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁরা বিভিন্ন পরামর্শ ও মতামত জানিয়েছেন। 

সম্মেলনে উপস্থিত সকলের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের মাঝে স্বাধীনতার ৭৫তম দিবসের প্রাক্কালে সিআইআই –এর এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ ভারতীয় শিল্প সংস্থাগুলির কাছে বিশাল সুযোগ এসে উপস্থিত হয়েছে। তাদের নতুন লক্ষ্য অর্জনে  নতুন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আত্মনির্ভর ভারত গড়ার সাফল্যের সিংহ ভাগ দায়ভার ভারতীয় শিল্প সংস্থাগুলির উপর বর্তায়। মহামারীর সময়ে শিল্প সংস্থাগুলির সক্রিয়তাকে প্রধানমন্ত্রী প্রশংসা করেছেন।   

শ্রী মোদী দেশের উন্নয়ন ও দক্ষতার প্রতি যে আস্থার পরিবেশ গড়ে উঠেছে, তার পুরো সুবিধে শিল্প সংস্থাগুলিকে নেবার আহ্বান জানিয়েছেন। বর্তমান সরকারের কাজের ধারার পরিবর্তনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, নতুন ভারত আজ নতুন যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে প্রস্তুত। অতীতের ভারত বিদেশী বিনিয়োগের বিষয়ে শঙ্কিত থাকতো। কিন্তু আজ সে,  সব ধরণের বিনিয়োগকে স্বাগত জানায়। একইভাবে আগে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কর ব্যবস্থায় হতাশা সৃষ্টি হতো। আর সেই একই ভারত আজ বিশ্বের সব থেকে প্রতিযোগিতমূলক কর্পোরেট কর ব্যবস্থা এবং স্বয়ংক্রিয় কর পদ্ধতির সূচনা করেছে। অতীতের লাল ফিতের ফাঁসে আটকে থাকার সমস্যা থেকে বের হয়ে এসে আজ সহজে ব্যবসা করার সূচকে দেশ যথেষ্ট এগিয়ে গেছে। একইভাবে জটিল একগুচ্ছ শ্রম আইনের পরিবর্তে আজ যুক্তিযুক্তভাবে চারটি শ্রম বিধি চালু হয়েছে। এক সময়ে কৃষি,  জীবিকার একটি পন্থা হিসেবে বিবেচিত হত। আজ সংস্কারের মধ্য দিয়ে কৃষি ক্ষেত্রকে বাজারের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে ভারতে রেকর্ড পরিমাণ প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ এবং পোর্ট ফোলিও বিদেশী বিনিয়োগ হচ্ছে। বিদেশী মুদ্রা ভান্ডার সর্বকালের মধ্যে সর্বোচ্চ।  

এক সময় ছিল যখন, বিদেশের অর্থই ছিল সুন্দর একটি জায়গা। এই মনস্তত্ত্বের প্রভাব বড় বড় শিল্প সংস্থাগুলি উপলদ্ধি করতো। পরিস্থিতি এতটাই প্রতিকূল ছিল যে, কঠোর পরিশ্রম করে তৈরি করা একটি দেশীয় ব্র্যান্ডকেও বিদেশী নাম ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন দিতে হত। শ্রী মোদী বলেছেন, আজ পরিস্থিতির দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। দেশে তৈরি পণ্যের প্রতি দেশবাসীর আস্থা জন্মেছে। প্রতিটি ভারতীয় দেশে তৈরি সামগ্রী ব্যবহার করতে চান। এর জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাটিকে যে ভারতীয় হতেই হবে, তার কোনো কথা নেই। 

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আজ ভারতীয় যুব সম্প্রদায় নির্দ্বিধায় যে কোনো কাজে ঢুকতে পারেন. তারা কঠোর পরিশ্রম করতে চান, ঝুঁকি নিতে চান, আর তার ফলশ্রুতিতে সুফলও তারা পাচ্ছেন। দেশের যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে এই ভাবনা সঞ্চারিত হয়েছে যে, এই জায়গা আসলে আমাদের। একইভাবে ভারতীয় নতুন সংস্থাগুলির মধ্যেও আস্থা তৈরি হয়েছে। আজ ভারতে ৬০টি ইউনিকর্ণ রয়েছে। ৬ – ৭ বছর আগে দেশে মাত্র ৩ – ৪ টি এধরণের সংস্থা ছিল। এই ৬০টি সংস্থার মধ্যে গত মাসে ২১টি সংস্থা গড়ে ওঠে। ভারতের প্রতিটি ক্ষেত্রে যে বৈচিত্র রয়েছে, ইউনিকর্ণগুলির মাধ্যমেও তা প্রতিফলিত। নতুন এই শিল্পোদ্যোগের প্রতি বিনিয়োগকারীরা যথেষ্ট সাড়া দিচ্ছেন, যার মাধ্যমে ভারতের অভূতপূর্ব বিকাশের সুযোগ প্রতিফলিত হচ্ছে।    

শ্রী মোদী বলেন, আমাদের শিল্প সংস্থাগুলির দেশের প্রতি আস্থা অর্জনের কারণে সহজে ব্যবসা বাণিজ্য করা সম্ভব হচ্ছে এবং সহজ জীবন যাত্রার মানোন্নয়ন  ঘটছে। কোম্পানী আইনের পরিবর্তন তারই ফলশ্রুতি।  

প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেছেন, কঠিন সংস্কারগুলি বাস্তবায়নে সরকার আজ সফল। কারণ এই সরকার সংস্কারকে কোনো দায়বদ্ধতা নয়, অঙ্গীকার হিসেবে বিবেচনা করে। সংসদের অধিবেশন চলার সময় ফ্যাক্টারিং  বিধি নিয়ম সংশোধন বিল পাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই বিল পাশ হলে ছোট ব্যবসায়ীদের ঋণ পেতে সুবিধে হবে। একইভাবে জমা বীমা এবং ঋণ নিশ্চয়তা নিগম সংশোধন বিল স্বল্প সঞ্চয়ের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের স্বার্থ রক্ষা করবে। এই ব্যবস্থাগুলি গ্রহণের ফলে সরকারের দায়বদ্ধতা প্রতিফলিত হচ্ছে।  

সরকার, পুরোনো দিনের কর ব্যবস্থাকে সরিয়ে দিয়ে অতীতের ভুলগুলি শুধরে নিচ্ছে। শিল্প সংস্থাগুলি এই উদ্যোগকে স্বাগত জানানোর মধ্য দিয়ে সরকার এবং শিল্প মহলের মধ্যে আস্থা আরো দৃঢ় হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ দেশে এমন একটি সরকার রয়েছে, যা দেশের স্বার্থের জন্য বড়  ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত। দীর্ঘ দিন ধরে জিএসটি কার্যকর হয় নি। কারণ পূর্ববর্তী সরকারগুলি রাজনৈতিক স্বার্থের কথা বিবেচনা করে ঝুঁকি নিতে চাইতো না। শ্রী মোদী বলেন, জিএসটি  এখন শুধু বাস্তবায়িত হয় নি, আজ রেকর্ড পরিমাণ জিএসটি সংগ্রহ হচ্ছে।   

                                                                               

CG/CB/SFS