Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় ভগবান শ্রী রামের প্রতীক স্বরূপের রাজ্যাভিষেক করেছেন

প্রধানমন্ত্রী উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় ভগবান শ্রী রামের প্রতীক স্বরূপের রাজ্যাভিষেক করেছেন


নয়াদিল্লি,  ২৩  অক্টোবর, ২০২২

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী দীপাবলির প্রাক সন্ধ্যায় উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় আজ ভগবান শ্রী রামের প্রতীক স্বরূপের রাজ্যাভিষেক করেন। প্রধানমন্ত্রী সরযূ নদীর নতুন ঘাটে আরতি প্রত্যক্ষ করেন। অনুষ্ঠান স্থলে পৌঁছানোর পর প্রধানমন্ত্রী সাধু-সন্তদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ও তাঁদের সঙ্গে আলাপচারিতায় অংশ নেন।

সমাবেশের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রী রামলালার রাজ্যাভিষেক প্রত্যক্ষ করার সৌভাগ্য ভগবান শ্রী রামের আশীর্বাদেই তিনি পেয়েছেন। ভগবান রামের অভিষেক, তাঁর মূল্যবোধ ও চিন্তাভাবনাকে পুনঃস্থাপিত করে। অযোধ্যায় সর্বত্রই রামের নীতি ও দর্শন দেখতে পাওয়া যায় বলে তিনি মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ হয়ে অমৃতকালে প্রবেশ করেছে। এই সময়ে এবারের দীপাবলি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সময়ে ভগবান শ্রী রামের নীতি দেশকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে। ভগবান রামের বক্তব্য, চিন্তাভাবনা ও শাসন ব্যবস্থার মধ্যে “সবকা সাথ, সবকা বিকাশ এবং সবকা বিশ্বাস ও সবকা প্রয়াসে”এর চিন্তাভাবনাই প্রতিফলিত হয়। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, “ভগবান শ্রী রামের উন্নত ভারতের জন্য যে আশা-আকাঙ্খা ছিল তা কঠিন লক্ষ্যপূরণে আমাদের বিশেষ উৎসাহ যোগায়।”

৫টি প্রাণ বা প্রতিজ্ঞার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লালকেল্লার প্রাকার থেকে এই প্রতীজ্ঞাগুলি আত্মস্থ করার আহ্বান আমি দেশবাসির প্রতি জানিয়েছিলাম। তিনি বলেন, পবিত্র শহর অযোধ্যায় আজ এই দীপ উৎসব উদযাপনের সময় আমি আরো একবার এই সংকল্পগুলির কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। ‘মর্যাদা পুরুষোত্তম’কে স্মরণ করে শ্রী মোদী বলেন, মর্যাদা আমাদের অন্যকে সম্মান করার শিক্ষা দেয়, পাশাপাশি এটি আমাদের কর্তব্যনিষ্ঠ করে তোলে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজেদের ঐতিহ্যের প্রতি আমাদের গর্ববোধ করতে হবে এবং দাসত্বের মানসিকতাকে পরিত্যাগ করতে হবে। ভগবান শ্রী রাম আমাদের মা ও মাতৃভূমিকে স্বর্গ হিসেবে মনে করার পথ দেখিয়েছেন। রাম মন্দির, কাশী বিশ্বনাথ, কেদারনাথ এবং মহাকাল লোকের উদাহরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার রাম মন্দির ও কাশী বিশ্বনাথ ধাম থেকে শুরু করে কেদারনাথ ও মহাকাল লোক পুর্ননির্মাণের কাজ শুরু করেছে। সাধারণ মানুষ যখন ভগবান শ্রী রামের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছিল সেই সময়তেই দেশে এই উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। বিগত ৮ বছরে নানান ধর্মীয় স্থানে সংস্কার হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অযোধ্যায় হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ চলছে। এর মধ্যে ঘাটগুলির সৌন্দর্যায়ন, সড়ক নির্মাণ এবং বিশ্বমানের বিমান বন্দর ও নতুন রেল স্টেশন তৈরির কাজ রয়েছে। এই উন্নয়ন থেকে সমগ্র অঞ্চল উপকৃত হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শৃঙ্গভেরপুরধামে নিষাদরাজ পার্ক তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে ভগবান শ্রী রাম ও নিষাদরাজের ৫১ ফুট উঁচু ব্রোঞ্জ মূর্তি বসানো হবে। অযোধ্যার ক্যুইন হিয়ো স্মারক পার্কের উন্নয়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই পার্কটি ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক মজবুত করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। ধর্মীয় পর্যটনের ক্ষেত্রে রামায়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের ভূমিকা বিশেষ বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী অযোধ্যাকে ভারতের মহান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অন্যতম পরিচায়ক বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, রাম ছিলেন অযোধ্যার রাজা। তাঁর চিন্তাভাবনা, তাঁর প্রদর্শিত পথ এবং কর্তব্যনিষ্ঠা সকল ভারতীয়কে তাঁর প্রদর্শিত পথে চলতে অনুপ্রাণিত করে। তাঁর মূল্যবোধ আমাদের জীবনে মেনে চলতে হবে। অযোধ্যাকে কর্তব্য নগরী  বা দায়িত্ব পালনের শহর বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বক্তব্যের শেষে তিনি পবিত্র এই শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানান।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী ভগবান শ্রী রামলালা বিরাজমানের দর্শন ও পুজার্চনা করেন এবং ঘুরে দেখেন শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র।

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী যোগী আদিত্যনাথ, উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রীমতী আনন্দীবেন প্যাটেল এবং মহন্ত নৃত্যগোপাল দাসজি মহারাজ সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

 

PG/PM/NS