Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী উচ্চাকাঙ্ক্ষী ব্লকগুলির জন্য সপ্তাহ ব্যাপী ‘সংকল্প সপ্তাহ’-এর সূচনা করেছেন

প্রধানমন্ত্রী উচ্চাকাঙ্ক্ষী ব্লকগুলির জন্য সপ্তাহ ব্যাপী ‘সংকল্প সপ্তাহ’-এর সূচনা করেছেন


নতুন দিল্লি, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নুতন দিল্লিতে ভারত মন্ডপমে উচ্চাকাঙ্ক্ষী ব্লকগুলির জন্য সপ্তাহ ব্যাপী ‘সংকল্প সপ্তাহ’-এর সূচনা করেছেন। এই অনুষ্ঠানে উচ্চাকাঙ্ক্ষী ব্লকগুলির কর্মসূচি সংক্রান্ত পোর্টালের সূচনাও করেন তিনি। এছাড়াও এসংক্রান্ত একটি প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। 

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ব্লক পর্যায়ের তিন আধিকারিকের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।   

উত্তরপ্রদেশের বেরিলির বাহেরির স্কুল শিক্ষক শ্রীমতী রঞ্জনা আগরওয়ালকে প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞেস করেন তাঁর ব্লকে অনুষ্ঠিত চিন্তন শিবিরে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা কোনটি ছিল। শ্রীমতী আগরওয়াল জানান, সর্বস্তরে উন্নয়নমূলক কর্মসূচির বাস্তবায়ন এবং একটি অভিন্ন মঞ্চে সংশ্লিষ্ট সকলের উপস্থিতির মাধ্যমে সরকারি প্রকল্পগুলি জনআন্দোলনে পরিণত হয়েছে। বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষাদানের পদ্ধতির পরিবর্তন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে শ্রীমতী আগরওয়াল জানান, চিরাচরিত শিক্ষাদানের পদ্ধতির পরিবর্তে এখন বিভিন্ন কর্মসূচি ভিত্তিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শিক্ষাদান করা হয়। বর্তমানে শিশুসভা, সঙ্গীত শিক্ষার আসর, খেলাধুলো এবং শারীরিক প্রশিক্ষণের মত বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। তিনি স্মার্ট ক্লাসরুম এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে জানান, ছাত্র-ছাত্রীরা এর ফলে লাভবান হচ্ছে। তাঁর জেলার ২ হাজার ৫০০টি স্কুলের সবকটিতেই স্মার্ট ক্লাসরুম তৈরি হওয়ার কথা তিনি জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিকশিত ভারতের মূল শর্তগুলির মধ্যে উন্নতমানের শিশুশিক্ষা অন্যতম। শিক্ষকদের অধ্যাবসায়ে তিনি আপ্লুত। নিজেকে উৎসর্গ করার মাধ্যমে নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হয়।    

জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চের মানকোটের পশু চিকিৎসক ডাঃ সাজিদ আহমেদ জানান, যাযাবর উপজাতি গোষ্ঠীভুক্ত লোকেরা পশুপালনে কি কি সমস্যার সম্মুখীন হন। তাঁদের সমস্যার সমাধানে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলিও তিনি উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর অভিজ্ঞতা বলার সময় শ্রী মোদী জানতে চান, শ্রেণীকক্ষে অর্জিত জ্ঞানের সঙ্গে বাস্তবে কাজ করার ক্ষেত্রে পার্থক্য কতটা থাকে। পশু চিকিৎসক জানান, শ্রেণীকক্ষে বিভিন্ন আঞ্চলিক সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা করা হয় না। তিনি ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজের টিকাকরণ কর্মসূচির কথা উল্লেখ করেন। এই কর্মসূচি সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে সফলভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী গুজ্জরদের সঙ্গে তাঁর নৈকট্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই জনজাতি গোষ্ঠীর মানুষেরা কোন এক সময় কচ্ছ অঞ্চলে বসবাস করতেন।   

মেঘালয়ের গারো অঞ্চলের নঘের রেসুবেলপাড়ার জুনিয়ার গ্রামোন্নয়ন আধিকারিক শ্রী মিকেহেনচার্ড মোমিনের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় প্রধানমন্ত্রী জানতে চান, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের প্রতিকূল আবহাওয়ায় যে সমস্যাগুলি দেখা দেয় সেগুলির মোকাবিলা করার জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শ্রী মোমিন জানান, ওইসব অঞ্চলের জন্য অত্যাবশ্যক পণ্য সামগ্রী সংগ্রহ করা হয়। একাজে তদারকির জন্য একটি দল গঠন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পিএম আবাস (গ্রামীণ) যোজনায় সংশ্লিষ্ট এলাকার কথা বিবেচনা করে বাড়ি তৈরির নক্সা এবং নির্মাণশৈলির ফলে গুণগত পরিবর্তনের বিষয়ে জানতে চান। শ্রী মোমিন জানান, এর ফলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে যথেষ্ট সুবিধা হয়েছে। ওই এলাকায় কাজু চাষের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে উৎপাদিত ফসলের বাজারজাতকরণের প্রসঙ্গটি উল্লেখ করে শ্রী মোমিন বলেন, এই অঞ্চলে যে কাজু উৎপাদিত হয়, তার গুণমান ভাল থাকায় সেই কাজু দেশের সর্বত্র সরবরাহ করা হয়। মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা আইনের মাধ্যমে গঠিত স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে কাজু চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে তাঁদের এলাকায় আরও কাজু প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট গড়ে তোলার আবেদন জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই অঞ্চলে সঙ্গীতচর্চার প্রতি মানুষের আগ্রহ দেখে তিনি আপ্লুত। তিনি উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলা ও ব্লক কর্মসূচিতে গ্রামপঞ্চায়েতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।  

প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, এই ভারত মন্ডপমে আজ যাঁরা জড়ো হয়েছেন, তাঁরা প্রত্যন্ত অঞ্চলের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করেন। এই একই জায়গায় মাত্র এক মাস আগে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দিক নির্দেশনার জন্য আলোচনা হয়েছে। তিনি তৃণমূল স্তরের পরিবর্তনের কান্ডারীদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, “আমার জন্য এই ধরনের অনুষ্ঠান জি-২০-র থেকে কোন অংশে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়”। 

শ্রী মোদী বলেন, এই অনুষ্ঠানটি টিম ভারতের সাফল্য এবং সবকা প্রয়াসের ভাবনার উদাহরণ। দেশের ভবিষ্যতের জন্য এই ধরনের কর্মসূচি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যার মাধ্যমে সংকল্পের সাহায্যে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হবে।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “স্বাধীন ভারতের প্রথম ১০টি কর্মসূচির তালিকা তৈরি করতে হলে সেই তালিকায় উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলা কর্মসূচির কথা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে”। উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলা কর্মসূচি ১১২টি জেলার ২৫ কোটি মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন নিয়ে আসবে। এই কর্মসূচির সাফল্য উচ্চাকাঙ্ক্ষী ব্লকের কর্মসূচি সংক্রান্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে সাহায্য করেছে। উচ্চাকাঙ্ক্ষী ব্লক কর্মসূচি সফল হতে বাধ্য, কারণ অভূতপূর্ব এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে জনসাধারণ একযোগে কাজ করবেন।  

ব্লক স্তরের তিন আধিকারিকের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৃণমূল স্তরে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তাঁর আত্মপ্রত্যয় বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। এই সব আধিকারিকদের সঙ্গে একযোগে তিনিও কাজ করতে আগ্রহী। তিনি আশা করেন নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলির কাজ শেষ হবে। এই ধরনের প্রকল্পের কাজ কতটা হচ্ছে সেটি পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তাঁর নজরে থাকে। “উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলা কর্মসূচির সাফল্যের খতিয়ান আমার কাছে অনুপ্রেরণার উৎস”। 

উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলা কর্মসূচির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী জানান, বর্তমানে এই কর্মসূচির মূল্যায়ন থার্ড পার্টি বা বাইরের নিরপেক্ষ সংস্থার মাধ্যমে করা হচ্ছে। প্রশাসনিক কাজে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে এই কর্মসূচি থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা সহায়ক হয়। সর্বাঙ্গীন উন্নয়নের গুরুত্বের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি অঞ্চলকে সমদৃষ্টিতে গুরুত্ব দিতে হবে। “সার্বিক উন্নয়ন না ঘটলে তার প্রভাব সকলের ওপর এসে পড়ে। গাণিতিক সূত্র ব্যবহার করে বিভিন্ন উন্নয়নের সুফল হয়তো অনেকেই দেখতে পান, কিন্তু তা কখনোই প্রকৃত উন্নয়ন হয় না। আর তাই তৃণমূল স্তরে প্রত্যেকটি জিনিসের দিকে আমাদের নজর রাখতে হবে।”   

প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিভিন্ন দপ্তরের সচিবদের বলেন, দুটি বিষয়ে বিবেচনা করে তাঁদের কাজ করতে হবে। প্রত্যেক রাজ্যের দ্রুত উন্নয়ন আর পিছিয়ে পড়া জেলাগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া। তিনি দেশের পিছিয়ে পড়া ১০০টি ব্লক চিহ্নিত করার পরামর্শ দেন, যাতে ওই ব্লকগুলির উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায়। ১০০টি ব্লক চিহ্নিত করার পর সেখানে উন্নয়নের কাজ যাতে দেশের উন্নয়নের বিভিন্ন মাপকাঠির তুলনায় বেশি হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। এর জন্য প্রত্যেক দপ্তরকে একযোগে কাজ করতে হবে। রাজ্য সরকারগুলির ভূমিকার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সব থেকে পিছিয়ে পড়া ১০০টি গ্রাম চিহ্নিত করে সেখানে উন্নয়ন ঘটাতে হবে। এই উন্নয়নকে আদর্শ করে আরও ১০০০ গ্রামের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। 

২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে যে সংকল্প নেওয়া হয়েছে সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, উন্নয়ন শুধুমাত্র মহানগর বা পিছিয়ে পড়া গ্রামের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। “আমরা এই মডেলকে অনুসরণ করি না। আমরা ১৪০ কোটি দেশবাসীর সঙ্গে চলতে চাই।” উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলা কর্মসূচি বাস্তবায়নের সময় স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, একসময় গুজরাটের কচ্ছ জেলাকে বিবেচনা করা হত অনুন্নত অঞ্চল হিসেবে। সেখানে কাউকে বদলি করা হলে সেটি শাস্তিমূলক বদলি বলে বিবেচিত হত। কিন্তু ভূমিকম্পের পর ওই অঞ্চলে কর্তব্যরত আধিকারিকদের অধ্যাবসায়ের কারণে আজ সংশ্লিষ্ট অঞ্চলটিতে যাঁরা বদলি হন, তাঁরা অত্যন্ত অগ্রহের সঙ্গে সেখানে যান। তাঁদের কাছে এই বদলি সম্মানের। দেশের উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলা সংক্রান্ত প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত তরুণ আধিকারিকদের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকারগুলিকে ব্লক স্তরে কাজ করা সফল তরুণ আধিকারিকদের পদোন্নতির ব্যবস্থা করতে হবে।  
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের বাজেটে এখন শুধু প্রকল্পের কথাই উল্লেখ থাকে না, এই প্রকল্পের মাধ্যমে কী কী গুণগত পরিবর্তন ঘটবে, সেই বিষয়টিও স্থান পায়। প্রশাসনিক কাজে তাঁর বিপুল অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে উন্নয়ন নিশ্চিত হয়”।  

শ্রী মোদী বলেন, বিভিন্ন প্রকল্পের যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য সম্পদের সঠিক ব্যবহারের প্রয়োজন। “সম্পদের প্রাচুর্যের কারণে সেটি অপচয় হতে পারে। কিন্তু  যে অঞ্চলে সেই সম্পদেরই চাহিদা রয়েছে, সেখানে তা ব্যবহার করা হলে,  সম্পদকে সঠিক ভাবে কাজ লাগানো যায়। চাহিদাসম্পন্ন অঞ্চলগুলিতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সর্বত্র সম্পদের সমবন্টন করা উচিত”।      

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের প্রতি নির্ভরশীলতার ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে সমাজের শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। জনভাগিদারীর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক ক্ষেত্রে কাজের জন্য একজন নেতার প্রয়োজন। সংকল্প সপ্তাহ কর্মসূচিতে দলগত কাজের ধারণাকে বাস্তবায়িত করতে হবে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় দেখা যায় সমাজের একজন আরেকজনের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। ব্লকস্তরে একজোট হয়ে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানগুলির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সকলকে একসঙ্গে পালন করতে হবে। এই ধরনের অনুষ্ঠানে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি পালন করতে হবে। যার সাহায্যে অপুষ্টি দূর করা সম্ভব হয়। “সর্বসাধারণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে যে কোন সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়া যায়”। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি জনগোষ্ঠীর মানুষ কোন দেশের আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তার পরিচিতি বাড়াতে পারে। এক্ষেত্রে তাঁদের সেই উদ্যোগগুলি সরকারের কূটনৈতিক উদ্যোগের সহায়ক হয়। সংকল্প সপ্তাহের যথাযথ উদযাপনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। একক ভাবে কোন কর্মসূচি পালন না করে সার্বিক ভাবে তা কার্যকর করা প্রয়োজন। যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ভূমিকার কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, ব্যক্তিগত উপস্থিতির কোন বিকল্প নেই। কোন জায়গা সফর করার সময় সেই জায়গা সম্পর্কে আমাদের খোঁজ-খবর নিতে হবে। সংকল্প সপ্তাহ উদযাপনের সময় সহকর্মীদের একসঙ্গে বসে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অন্যের চাহিদা সম্পর্কে ধারণা পেতে হবে। একই সঙ্গে কে কোন বিষয়ে শক্তিশালী সেবিষয়েও খোঁজ-খবর রাখতে হবে। 

শ্রী মোদী অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রতিনিধিদের পাঁচটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিতে বলেন, তাহলে যথাযথ সাফল্য পাওয়া যাবে। এর ফলে তাঁদের মধ্যে আস্থা বৃদ্ধি হবে। ব্লকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে ওই ব্লক অন্য ব্লকের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠবে। “১১২টি উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলা আজ অনুপ্রেরণাদায়ক জেলায় পরিণত হয়েছে। আমি নিশ্চিত এক বছরের মধ্যে ১০০টি উচ্চাকাঙ্ক্ষী ব্লক অনুপ্রেরণাদায়ক ব্লকে পরিণত হবে।”

অনুষ্ঠানে নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান শ্রী সুমন বেরি সহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রেক্ষাপটঃ-
উচ্চাকাঙ্ক্ষী ব্লক কর্মসূচির কার্যকরী রূপায়ণের সঙ্গে এই ‘সঙ্কল্প সপ্তাহ’ যুক্ত। ২০২৩-এর ৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী দেশব্যাপী এই কর্মসূচি চালু করেছিলেন। নাগরিকদের জীবনধারণের মানোন্নয়নে ব্লকস্তরে পরিচালন ব্যবস্থাকে উন্নত করাই এর লক্ষ্য। দেশের ৩২৯টি জেলার ৫০০টি উচ্চাকাঙ্ক্ষী ব্লকে এই কর্মসূচি রূপায়িত হচ্ছে। উচ্চাকাঙ্ক্ষী ব্লক কর্মসূচি রূপায়ণ এবং কার্যকরী ব্লক উন্নয়ন কৌশল তৈরিতে দেশজুড়ে ব্লক ও গ্রামস্তরে চিন্তন শিবির অনুষ্ঠিত হয়। এই চিন্তন শিবিরের চূড়ান্ত রূপ হল ‘সঙ্কল্প সপ্তাহ’।
৫০০টি উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলার সর্বত্র এই ‘সঙ্কল্প সপ্তাহ’ উদযাপিত হবে। ২০২৩-এর ৩ অক্টোবর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ‘সঙ্কল্প সপ্তাহ’-এর এক একটি দিনকে একটা সুনির্দিষ্ট উন্নয়নমূলক বিষয়ের ওপর উৎসর্গ করা হবে এবং সমস্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলাই ঐ বিষয় নিয়ে সেদিন কাজ করবে।  প্রথম ছ’দিনের বিষয়ের মধ্যে রয়েছে ‘সার্বিক স্বাস্থ্য’, ‘উত্তম পুষ্টিপ্রাপ্ত পরিবার’, ‘স্বচ্ছতা’, ‘কৃষি’, ‘শিক্ষা’ এবং ‘সমৃদ্ধি দিবস’। সপ্তাহের শেষ দিন, অর্থাৎ ৯ অক্টোবর সারা সপ্তাহ জুড়ে যে কাজ হল তা নিয়ে ‘সঙ্কল্প সপ্তাহ’ সমাবেশ সমারোহ অনুষ্ঠিত হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশের প্রায় ৩ হাজার পঞ্চায়েত এবং ব্লকস্তরের জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক ব্যক্তিরা ভারত মণ্ডপম-এ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, ব্লক ও পঞ্চায়েত স্তরে কৃষক এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রায় ২ লক্ষ মানুষ ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। 

PG/CB/AS