Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী আলিগড়ে রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাস করেছেন

প্রধানমন্ত্রী আলিগড়ে রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাস করেছেন


নয়াদিল্লী,  ১৪  সেপ্টেম্বর, ২০২১

 
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আলিগড়ে রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাস করেছে। তিনি উত্তরপ্রদেশ প্রতিরক্ষা শিল্প করিডরের আলিগড়ের সংযোগস্থল ঘুরে দেখেন।

প্রধানমন্ত্রী এই উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রয়াত কল্যাণ সিংজিকে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আলিগড়ের উজ্জ্বল উপস্থিতি এবং রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ কল্যাণ সিংজি দেখতে পেলে অত্যন্ত খুশি হতেন।

প্রধানমন্ত্রী, এই প্রসঙ্গে স্বাধীনতা আন্দোলনে মহান ব্যক্তিত্বদের ভূমিকার কথা স্মরণ করেন। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে দেশের পরবর্তী প্রজন্ম এইসব জাতীয় নায়ক ও নায়িকাদের আত্মবলিদানের বিষয়ে অবগত নয়। তাঁদের সেই আত্মত্যাগের কাহিনী জানা থেকে দেশের বহু প্রজন্ম বঞ্চিত বলে প্রধানমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, একবিংশ শতাংব্দীর ভারত বিংশ শতকের সেই ভুলগুলি শুধরে নিচ্ছে।

রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিংজির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করে শ্রী মোদী বলেন, তাঁর জীবন থেকে আমরা এই শিক্ষাই পাই যে আমাদের যেকোন স্বপ্ন পূরণে অদম্য ইচ্ছাশক্তি সহায়ক হতে পারে। তিনি আরও বলেন, রাজা স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন দেখতেন এবং তার জন্য তিনি তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। আজ যখন ভারত আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের মুহুর্তে শিক্ষা এবং দক্ষতা বিকাশের মানোন্নয়নে এগিয়ে চলেছে সেইসময় ভারত মাতার এই সুযোগ্য সন্তানের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য  তাঁর নামে বিশ্ববিদ্যালের নামকরণ করা হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় শুধু যে বৃহৎ একটি কেন্দ্র হিসেবে যেমন আত্মপ্রকাশ করবে, পাশাপাশি এই বিশ্ববিদ্যালয় আধুনিক প্রতিরক্ষা গবেষণা, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন সংক্রান্ত প্রযুক্তি এবং জনসম্পদের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আঞ্চলিক ভাষায় দক্ষতা বিকাশ এবং শিক্ষাদানের জন্য নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এরফলে এই বিশ্ববিদ্যালয় যথেষ্ট উপকৃত হবে।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু দেশেই নয় আধুনিক গ্রেনেড, রাইফেল, যুদ্ধ বিমান, ড্রোন এবং যুদ্ধ জাহাজের মতো প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ভারত এখন উৎপাদন করছে। বিশ্বের বৃহত্তম প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানিকারক দেশের তকমাটি ভারত সরিয়ে ফেলছে। আজ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রপ্তানীকারক হিসেবে সে বিশ্বের কাছে নতুনভাবে পরিচিত হচ্ছে। এই বিপুল পরিবর্তনের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে উত্তরপ্রদেশ। সে রাজ্যের সাংসদ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী এর জন্য গর্ব অনুভব করেন। তিনি জানান, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনকারী দেড় ডজন কোম্পানী কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। এর ফলে হাজার হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। ক্ষুদ্র অস্ত্র, বিস্ফোরক পদার্থ, ড্রোন এবং বিমান বাহিনীর জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম উৎপাদনে নতুন নতুন শিল্প সংস্থাগুলি সাহায্য করবে। প্রতিরক্ষা করিডরের আলিগড় সংযোগে নতুন প্রতিরক্ষা শিল্প সংস্থাগুলি এই কাজ শুরু করবে। এর ফলে আলিগড় ও সংলগ্ন অঞ্চল নতুন পরিচিতি পাবে। এক সময়ে আলিগড় বাড়িঘর এবং দোকানের নিরাপত্তায় ব্যবহৃত তার তালার জন্য বিখ্যাত ছিল। এখন এই অঞ্চল এমন কিছু পণ্য সামগ্রী উৎপাদন করবে যা দেশের সীমানাকে রক্ষা করবে। এর ফলে যুব সম্প্রদায় এবং অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগের কাছে নতুন সুযোগ তৈরি হবে।

প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন আজ দেশ-বিদেশের সব ছোট ও বড় বিনিয়োগকারীদের কাছে উত্তরপ্রদেশ অত্যন্ত আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠেছে। যখন বিনিয়োগের আদর্শ পরিবেশ গড়ে উঠে তখন সেখানে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও তৈরি হয়। আজ ডাবল ইঞ্জিন সরকারের দ্বিগুণ সুবিধা কিভাবে পাওয়া যায় উত্তরপ্রদেশ তার আদর্শ উদাহরণ হয়ে উঠেছে।

এক সময় যে উত্তরপ্রদেশে উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল আজ সেই রাজ্য দেশের বড় বড় প্রকল্পগুলিকে নেতৃত্ব দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

তিনি ২০১৭ সালের আগে উত্তরপ্রদেশের পরিস্থিতির কথা স্মরণ করেন। সেই সময় বিভিন্ন কেলেঙ্কারী এবং প্রশাসন কিভাবে দুর্নীতির কাছে মাথা নুইয়েছিল সে বিষয়গুলি রাজ্যের মানুষ কখনই ভুলতে পারেন না। শ্রী মোদী বলেন, যোগীজির সরকার রাজ্যের উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। একটা সময় ছিল যখন এই রাজ্যে গুন্ডা এবং মাফিয়ারা প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করত। কিন্তু আজ তোলাবাজ এবং যারা মাফিয়া রাজ চালাতো তাদের সকলকে কারাবন্দী করা হয়েছে।

মহামারীর এই সময়ে সমাজের দূর্বলতর শ্রেণীর মানুষদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে উত্তরপ্রদেশ সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন,  সমাজের দরিদ্রতম ও ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণীর মানুষের কাছে যেভাবে খাদ্যশস্য পৌঁছে দেওয়া হয়েছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ক্ষুদ্র চাষিদের ক্ষমতায়ণের জন্য কেন্দ্র নিরলস প্রয়াস গ্রহণ করেছে। ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের পরিমাণ দেড়গুন বাড়ানো হয়েছে, কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের ব্যপ্তি বাড়ানো হয়েছে, বীমা প্রকল্পের মানোন্নয়ন করা হয়েছে, কৃষকদের ৩ হাজার টাকা পেনশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে౼ এইসব উদ্যোগের মাধ্যমে ক্ষুদ্র চাষিদের ক্ষমতায়ণ নিশ্চিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের আখ চাষিদের এক লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকার বেশি দেওয়া হয়েছে। পেট্রোলে ইথানলের পরিমাণ বাড়ানোর উদ্যোগের সুফল পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের আখ চাষিরা পাবেন বলে তিনি জানান।   

 

CG/CB/NS