Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন আফগানিস্তান, কাতার, স্যুইজারল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো সফর


আগামী ৪ জুন থেকে ৮ জুন পর্যন্ত আফগানিস্তান, কাতার, স্যুইজারল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মেক্সিকো সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এ সম্পর্কে তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টের কয়েকটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,

“আগামীকাল শুরু হচ্ছে আমার আফগানিস্তান সফর। হেরাটে আফগানিস্তান-ভারত মৈত্রী বাঁধের উদ্বোধনে আমি যোগ দেব প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানির সঙ্গে। এই বাঁধ হল আমাদের মৈত্রী সম্পর্কের প্রতীক। এ থেকে সঞ্চারিত হবে আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা, প্রজ্জ্বলিত হবে গৃহকোণ, উর্বর হয়ে উঠবে হেরাটের শস্যক্ষেত্র এবং সমৃদ্ধির সূচনা ঘটবে ঐ অঞ্চলের অধিবাসীদের।

প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানির সঙ্গে বৈঠকের প্রতীক্ষায় রয়েছি আমি। আঞ্চলিক পরিস্থিতি সম্পর্কে মতবিনিময় করব আমরা। আগামী বছরগুলির জন্য দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়গুলিকেও চিহ্নিত করব আমাদের আলোচনাকালে।

কাতারের মহামান্য আমিরের আমন্ত্রণে আগামী ৪ ও ৫ জুন আমি কাতার সফর করব।

মহামান্য শেখ তামিমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের জন্য আমি উদগ্রীব হয়ে রয়েছি। গত বছর তাঁর ভারত সফর আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা করেছে।

ব্যক্তিগতভাবে ফাদার আমিরের সঙ্গেও মিলিত হওয়ার সুযোগ ও সম্মান আমি লাভ করব। প্রায় দু’দশক ধরে তিনি আমাদের সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করে এসেছেন।

মানুষে-মানুষে সংযোগ, জ্বালানি, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অংশীদারিত্বের মধ্য দিয়ে আমাদের মৈত্রীর ঐতিহাসিক বন্ধনের শিকড় যে আরও গভীরতর হয়ে উঠেছে তা আরও ব্যাপ্তি ও প্রসার লাভ করবে আমার এই সফরকালে।

কর্মীদের এক শিবিরে আমি কথা বলব সেখানকার ভারতীয় কর্মীদের সঙ্গে। সেখানে ৬ লক্ষেরও বেশি ভারতীয়দের অনেকেই তাঁদের ঘাম ও পরিশ্রম দিয়ে আমাদের সম্পর্ককে লালন করে এসেছেন। আমাদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতার পূর্ণ সম্ভাবনার সদ্ব্যবহারের উদ্দেশ্যে আমি আলোচনায় মিলিত হব কাতারের বাণিজ্যিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও।

এক দ্বিপাক্ষিক সফরে আমি স্যুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গিয়ে পৌঁছব ৫ জুন সন্ধ্যাবেলা। স্যুইজারল্যান্ড হল ইউরোপে আমাদের অন্যতম অংশীদার। আমাদের দ্বিপাক্ষিক তথা বহুধা প্রসারিত সহযোগিতাকে আরও গভীরে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আমি আলোচনায় মিলিত হব প্রেসিডেন্ট স্নেডার-আম্মানের সঙ্গে।

জেনেভায় আমি মিলিত হব বিশিষ্ট বাণিজ্যিক কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে। অর্থনীতি ও বিনিয়োগের সম্পর্ককে আরও প্রসারিত করা আমাদের লক্ষ্য। সিইআরএন-এআমি সাক্ষাৎ করব ভারতীয় বিজ্ঞানীদের সঙ্গেও। মানবজাতির সেবায় বিজ্ঞানের নতুন নতুন ক্ষেত্র উদ্ভাবনের লক্ষ্যেতাঁদের অবদানে ভারত গর্বিত।

৬ জুন সন্ধ্যায় এক দ্বিপাক্ষিক সফরে আমি গিয়ে পৌঁছব ওয়াশিংটন ডিসি-তে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমন্ত্রণেই আমার এই সফর।

৭ জুন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হব আমি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্কে নতুন উৎসাহ ও উদ্যম যুক্ত করার লক্ষ্যে কথা বলব আমরা। আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ পর্যন্ত অর্জিত সাফল্যের ভিত্তিতেই অনুষ্ঠিত হবে আমাদের আলাপ-আলোচনা।

ইউএসআইবিসি-র ৪০তম বার্ষিক সাধারণ বৈঠকে ভাষণ দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি আমি। মিলিত হব আমেরিকার বাণিজ্যিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও। বিগত দু’বছরে ভারত সম্পর্কে তাঁদের মনে আবার নতুন আস্থা ও বিশ্বাসের ভাব ফিরে এসেছে।

মার্কিন চিন্তাবিদদের সঙ্গে মতবিনিময়ও হবে আমার। ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন প্রত্যার্পণের এক অনুষ্ঠানে যোগ দেব আমি। আমার এই সফরকালে আর্লিংটন সমাধিক্ষেত্রে অজ্ঞাতনামা সৈনিকদের স্মরণ-বেদীএবং কলম্বিয়া মহাকাশ যান স্মারকে আমি পুষ্পস্তবক অর্পণ করব। এই মহাকাশ অভিযাত্রার সময় আমরা হারিয়েছি ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশ অভিযাত্রী কল্পনা চাওলাকে।

মার্কিন কংগ্রেসের এক যৌথ সভায় আমি ভাষণ দেব আগামী ৮ জুন। মার্কিন কংগ্রেস ও সেনেটের সভায় বক্তব্য রাখতে আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই অধ্যক্ষ পল রিয়ানকে।

মার্কিন ক্যাপিটল-এ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ্‌স এবং সেনেটের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়ে মিলিত হব আমি। তাঁদের অনেকেই ভারতের বিশেষ বন্ধু। ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে গভীরতর করে তোলার বিষয়টিতেও তাঁরা বলিষ্ঠসমর্থন জানিয়েছেন।

ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একে অপরের প্রকৃত অংশীদার। এই দুটি উজ্জ্বল গণতন্ত্র বৈচিত্র্যময় বহুত্ববাদে বিশ্বাসী। ভারত-মার্কিন বলিষ্ঠ সম্পর্ক থেকে শুধুমাত্র এই দুটি জাতিই নয়, লাভবান হবে সমগ্র বিশ্বই।

৮ জুন মেক্সিকো সফরকালে প্রেসিডেন্ট পেনা নিয়েটোর সঙ্গে বৈঠকের অপেক্ষায় রয়েছি আমি। লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে মেক্সিকো হল আমাদের এক বিশিষ্ট সহযোগী।

সুদূরপ্রসারী সংস্কারের সূচনা করেছেন প্রেসিডেন্ট পেনা নিয়েটো। পরস্পরের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করব আমরা। ৩০ বছরের ব্যবধানে এই প্রথম অনুষ্ঠিত হতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে দ্বিপাক্ষিক মেক্সিকো সফর। সংক্ষিপ্ত হলেও আমাদের অংশীদারিত্বের সম্পর্ককে এক নতুন মাত্রায় পৌঁছে দিতে এই সফর এক কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।”

PG/SKD/DM/S