প্রধানমন্ত্রীশ্রী নরেন্দ্র মোদী মুম্বাইয়ে বিভিন্ন মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করেছেন। এরফলে মুম্বাইয়ের নাগরিকদের নিরাপদ, দ্রুত এবং উন্নত পরিবহন ব্যবস্হার জন্য যোগাযোগ সংক্রান্ত পরিকাঠামোর বিকাশ হবে।
মুম্বাইয়ের নাগরিকদের উদ্দীপনার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লোকমান্য তিলকের উদ্যোগে যে গণেশ উৎসবের সূচনা হয়েছিল, আজ তা দেশ এবং বিদেশে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী ইসরোর বিজ্ঞানীদের প্রসঙ্গে বলেন, ‘নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য তিন রকমের মানুষ আছেন। একদল ব্যার্থতার ভয়ে কাজই শুরু করেননা, আরেকদল চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়ে কাজ শুরু হওয়ার পরে পালিয়ে যান, অন্য আর একটি দল বড় বড় চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও চেষ্টা চালিয়ে যান। ইসরোর বিজ্ঞানীরা হলেন এই তৃতীয় শ্রেণীর মানুষ। অভিষ্ট লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত তাঁরা কাজ বন্ধও করেননা, ক্লান্তও হননা। চন্দ্রযান-২ মিশনে যদিও আমরা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছি, কিন্তু ইসরোর বিজ্ঞানীরা লক্ষ্যে পৌঁছানো না পর্যন্ত থামবেনও না। চন্দ্রবিজয় নিশ্চিতভাবে হবে। চাঁদের কক্ষপথে অর্বিটারকে সফলভাবে বসানো গেছে, যা একটি ঐতিহাসিক সাফল্য।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুম্বাইয়ের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছে। এরমধ্যে দেড় লক্ষ কোটি টাকা মুম্বাই মেট্রো প্রকল্পের জন্য ইতিমধ্যেই বিনিয়োগ করা হয়েছে। তিনি বলেন, নতুন নতুন মেট্রো লাইন, মেট্রো ভবন এবং মেট্রো স্টেশনে নানা সুযোগ-সুবিধা চালু করার মাধ্যমে মুম্বাইয়ের বাসিন্দাদের জীবনযাপন আরও সহজ হবে।
ভারত ৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের সমতুল অর্থনীতিতে এগোচ্ছে। আমাদের শহরগুলিও ২১ শতকের উপযোগী হয়ে উঠতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো এবং যোগাযোগ ব্যবস্হা, উৎপাদন ক্ষমতা, বিকাশশীল শহরগুলির ক্ষেত্রে প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন।
যোগাযোগ ব্যবস্হার উন্নয়নের জন্য সরকার সমন্বিত পরিবহন ব্যবস্হার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। এইজন্য একটি ভিশন ডকুমেন্ট প্রকাশ করা হয়, যেখানে মুম্বাইয়ের লোকাল ট্রেন, বাস পরিষেবার মতো বিভিন্ন রকমের পরিবহন সবথেকে ভাল ব্যবহার নিয়ে পরিকল্পনা করা হয়েছে। মুম্বাই মেট্রোর জন্য একটি মাস্টার প্ল্যানও তৈরি করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেট্রো প্রকল্পে ১০ হাজার ইঞ্জিনিয়ার এবং ৪০ হাজার দক্ষ ও অদক্ষ কর্মী প্রয়োজন হবে। তিনি বলেন, দিনকয়েক আগেও কয়েকটি মাত্র শহরে মেট্রো পরিষেবা ছিল। আর আজ ২৭টি শহরে এই পরিষেবার সূচনা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্রুত উন্নয়নের লক্ষ্যে ভারতের পরিকাঠামোর বিকাশ আরও ব্যাপকভাবে হওয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, প্রথম ১০০ দিনে সরকার নানা ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে রয়েছে- জল জীবন মিশন, প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি যোজনা, তিন তালাক বিল এবং শিশুদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত আইন। প্রত্যেকের দায়িত্ব-কর্তব্যের বিষয়ে সচেতন করার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সুরাজ্য’ প্রতিটি ভারতীয়ের দায়িত্ব। তিনি প্রস্তাব দেন জলাশয়ের দূষণ রোধে গণেশ প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় প্লাস্টিক এবং বর্জ্য পদার্থ যেন জলে না দেওয়া হয়। তিনি মিঠি নদী সহ অন্যান্য জলাশয়গুলিকে প্লাস্টিক মুক্ত করার আহ্বান জানান যা গোটা দেশের কাছে আদর্শ হিসেবে বিবেচিত হবে।
CG/CB/NS
Enhancing ‘Ease of Living’ for the people of Mumbai.
— Narendra Modi (@narendramodi) September 7, 2019
Work has begun on developmental projects worth over Rs. 20,000 crore for the city. This includes better metro connectivity, boosting infrastructure in metro stations, linking BKC with Eastern Express Highway and more. pic.twitter.com/ZZ6blu1N2e
Improving comfort and connectivity for Mumbai.
— Narendra Modi (@narendramodi) September 7, 2019
Delighted to inaugurate a state-of-the-art metro coach, which is also a wonderful example of @makeinindia. pic.twitter.com/Dsqe6lmaYy