Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ নীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন : পরিকাঠামো ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির ওপর বিশেষ গুরুত্ব

প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ নীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন : পরিকাঠামো ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির ওপর বিশেষ গুরুত্ব


দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং পরিকাঠামোর প্রসারের দিকে লক্ষ্য রেখে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ নীতিটিতে আজ ব্যাপক পরিবর্তননিয়ে আসা হল। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ নীতিকে আরও উদার করে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। গত বছর নভেম্বরে ঘোষিত এ সম্পর্কিত ব্যাপক পরিবর্তনের পর এটিই হল দ্বিতীয় বড় ধরনের সংস্কার। এখন থেকে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিদেশি বিনিয়োগের বিষয়টিতে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে অনুমোদন দেওয়া হবে। এই ব্যাপক পরিবর্তনের ফলে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভারত তার অর্থনীতিকে বিশ্বের কাছে আরও উদার ও উন্মুক্ত করে দিল।

গত দু’বছরে প্রতিরক্ষা, নির্মাণ শিল্প, বিমা, পেনশন ক্ষেত্র, বেতার সম্প্রচার, চা, কফি, রাবার, এলাচ, পাম ও অলিভেরচাষ, খুচরো ব্যবসা, উৎপাদন শিল্প, অংশীদারিত্বের কারবার, অসামরিক বিমান পরিবহণ, উপগ্রহ ব্যবস্থা সহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ সংক্রান্ত নীতিটিতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সরকার গৃহীত এই সমস্ত পদক্ষেপের ফলে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৫৫.৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এর আগে, ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৩৬.০৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর ফলে, অনুভূত হয় যে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ নীতিকে আরও সরল ও উদার করে তোলা হলে বিদেশি বিনিয়োগের মাত্রা দেশে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার রেটিং অনুযায়ী ভারত এখন বিশ্বে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পছন্দের এক নম্বর তালিকায়।

এই পরিস্থিতিতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ নীতিতে বেশ কিছু বড় ধরনের সংস্কার সম্ভব করে তোলার উদ্যোগ গ্রহণে সচেষ্ট হয় কেন্দ্রীয় সরকার। এরই ফলশ্রুতিতে আজকের এই সরকারি সিদ্ধান্ত।

প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসার ফলে ভারতে প্রস্তুত ও উৎপাদিত খাদ্যসামগ্রীর বাণিজ্যে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগকে অনুমোদন দেওয়া হবে। অন্যদিকে, প্রতিরক্ষা সাজসরঞ্জাম উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের মাত্রাকে বর্তমানের ৪৯ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। আবার, বেতার সম্প্রচার ও পরিষেবার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগকে অনুমোদন দেওয়া হবে ১০০ শতাংশ স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে। ওষুধ উৎপাদন, অসামরিক পরিবহণ এবং বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থাগুলিতেও বিদেশি বিনিয়োগের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে নীতিতে এই পরিবর্তন আনার ফলে। প্রতিরক্ষা, দূরসঞ্চার, বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা এবং তথ্য ও সম্প্রচার সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে শাখা কার্যালয়, বাণিজ্যিক যোগাযোগ কেন্দ্র কিংবা প্রকল্প কার্যালয় স্থাপনের ক্ষেত্রেও বিদেশি বিনিয়োগের বিষয়টিকে উদার করে তোলা হয়েছে। নতুন ব্যবস্থায় লাভবান হবে পশুপালন এবং খুচরো ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রগুলিও।

PG/SKD/DM/S