Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

‘প্রগতি’র মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর ২২তম বৈঠক : পর্যালোচনা করলেন গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো প্রকল্পরূপায়ণের অগ্রগতি


সক্রিয় প্রশাসন এবং পরিচালনের লক্ষ্যে আইসিটি-ভিত্তিক ‘প্রগতি’র মঞ্চেআলোচনা ও মতবিনিময়ের লক্ষ্যে মিলিত হলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁরনেতৃত্বেই অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা ও মতবিনিময় পর্ব। ‘প্রগতি’র মঞ্চে এটি ছিলপ্রধানমন্ত্রীর ২২তম বৈঠক।

এর আগে ‘প্রগতি’র মঞ্চে অনুষ্ঠিত প্রথম ২১টি বৈঠকে ৮ লক্ষ ৯৪ হাজার কোটিটাকা ব্যয়ে যে ১৯০টি প্রকল্প নির্মাণের কাজ চলছে, তার অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছেনপ্রধানমন্ত্রী। ১৭টি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে জনসাধারণের ক্ষোভ ও অভিযোগ নিরসনে যেসমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তাও তিনি খতিয়ে দেখেছেন ঐ বৈঠকগুলিতে।

‘প্রগতি’র মঞ্চে অনুষ্ঠিত ২২তম বৈঠকে ব্যাঙ্কগুলির কাজকর্ম সম্পর্কে সাধারণমানুষের ক্ষোভ ও অভিযোগের নিষ্পত্তিতে যে সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তাবিশেষভাবে পর্যালোচনা করেন তিনি। আর্থিক পরিষেবা দপ্তরের সচিবকে তিনি নির্দেশ দেন,জন ধন অ্যাকাউন্ট গ্রহীতাদের হাতে যে রুপে ডেবিট কার্ড তুলে দেওয়া হয়েছে, তারব্যবহার কিভাবে আরও বৃদ্ধি করা যায় তা খতিয়ে দেখার জন্য। এই ধরণের অ্যাকাউন্টগুলিরসঙ্গে বিমা সম্পর্কিত যে সুযোগ-সুবিধাগুলি যুক্ত রয়েছে, তা কিভাবে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদেরকাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে, সে সম্পর্কে আলোচনাকালে অবহিত করা হয় প্রধানমন্ত্রীকে।

রেল, সড়ক, বিদ্যুৎ, কয়লা এবং গ্যাস পাইপ লাইন সহ ৯টি বিশেষ বিশেষ পরিকাঠামোপ্রকল্পের কাজও এদিন খতিয়ে দেখেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক,পশ্চিমবঙ্গ, মণিপুর, মিজোরাম, কেরল, তামিলনাডু, ছত্তিশগড়, ঝাড়খন্ড এবং দিল্লি’তেবর্তমানে এই প্রকল্পগুলি রূপায়িত হচ্ছে। ভারত-মায়ানমার মৈত্রী সেতুর বিষয়টিও‘প্রগতি’র মঞ্চে পর্যালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। এই সমস্ত প্রকল্প নির্মাণে মোটব্যয়ের মাত্রা ৩৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

জাতীয় হেরিটেজ শহরগুলির বিকাশ এবং ‘হৃদয়’ ও ‘সুগম্য ভারত অভিযান’-এরকাজকর্ম কিভাবে চলছে, সে সম্পর্কেও খোঁজখবর নেন প্রধানমন্ত্রী। শেষের দুটিকর্মসূচি রূপায়িত হচ্ছে দিব্যাঙ্গজনদের জন্য।

শ্রী মোদী বলেন, বর্তমানে সরকারি দপ্তরগুলি অনেক ক্ষেত্রেই সরকারিবৈদ্যুতিন বিপণন ব্যবস্থার সুযোগ গ্রহণ করেছে। তবে, দেশের ১০টি রাজ্য এই ব্যবস্থায়সর্বাপেক্ষা বেশি আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর মতে,সরকারি বৈদ্যুতিন বিপণন ব্যবস্থায় একদিকে যেমন পণ্য সংগ্রহের মাত্রা বিশেষভাবেবৃদ্ধি পায়, অন্যদিকে তেমনই সার্বিক ব্যবস্থায় স্বচ্ছতাও বজায় থাকে। এছাড়াও,স্থানীয় তথা আঞ্চলিক পর্যায়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের কাজকেও তা নানাভাবে উৎসাহিত করে।বিপণন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে যাতে কোনও রকম ফাঁকফোকর বা ত্রুটি না থাকে, তা নিশ্চিতকরতে সম্ভাব্য সকল রকম ব্যবস্থা গ্রহণের তিনি নির্দেশ দেন বিভিন্ন রাজ্যেরমুখ্যসচিবদের।

জিএসটি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, দেশের বাণিজ্য প্রতিনিধিরা যখনজিএসটি’কে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়েছেন এবং এই নতুন কর ব্যবস্থার প্রতি ইতিবাচকদৃষ্টিভঙ্গী গ্রহণ করেছেন, তখন একই সঙ্গে তাঁদের উচিৎ জিএসটি সম্পর্কেও যাবতীয়সমস্যার যাতে দ্রুত সমাধান নিশ্চিত করা যায়, সে ব্যাপারেও উদ্যোগী হওয়া। ক্ষুদ্রব্যবসায়ীরা যাতে এই সুযোগ গ্রহণের উদ্দেশে আরও বেশি করে এগিয়ে আসতে পারেন, সেজন্যরাজ্যস্তরে প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে যথোপযুক্ত করে গড়ে তোলার জন্য তিনি আহ্বান জানানরাজ্যের মুখ্যসচিবদের উদ্দেশ্যে। প্রধানমন্ত্রী বিশেষ জোর দিয়ে বলেন যে, বাণিজ্যিকসুযোগ-সুবিধা লাভের জন্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেরও অবশ্যই জিএসটি নেটওয়ার্কে নথিভুক্তহতে হবে। সাধারণ মানুষ এবং বাণিজ্য প্রতিনিধি উভয়েই কেন্দ্রীয় সরকারের এই বৈপ্লবিকসিদ্ধান্তের ফলে উপকৃত হবেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেনের মাত্রা বৃদ্ধি করার জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টাচালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, সমাজে নগদ টাকায়লেনদেনের মাত্রা ক্রমশঃ কমিয়ে আনা প্রয়োজন।

PG /SKD/ SB