নয়াদিল্লি, ২৪ আগস্ট ২০২২
পাঞ্জাবের রাজ্যপাল শ্রী বানোয়ারি লাল পুরোহিতজি, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভগবন্ত মানজি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী ডা. জিতেন্দ্র সিং-জি, সংসদে আমার সহকর্মী শ্রী মণীষ তিওয়ারিজি, সমস্ত চিকিৎসক, গবেষক, প্যারা-মেডিক কর্মী, অন্যান্য কর্মী এবং আমার বোন ও ভাইয়েরা যাঁরা পাঞ্জাবের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে এসেছেন।
স্বাধীনতার অমৃতকালে দেশ এক নতুন সঙ্কল্প নিয়ে এগিয়ে চলেছে। দেশের স্বাস্থ্যক্ষেত্রের উন্নতির প্রতিফলন আজকের এই অনুষ্ঠান। পাঞ্জাব, হরিয়ানা এমনকি জম্মু-কাশ্মীরের জনসাধারণও হোমি ভাবা ক্যান্সার হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার-এর সুবিধা পাবেন। আজ আমি এই অঞ্চলের প্রতি অন্য একটি কারণে আমার কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। পাঞ্জাব হল স্বাধীনতা সংগ্রামী, বিপ্লবী এবং দেশভক্ত মানুষের পবিত্র ভূমি। পাঞ্জাব তার এই ঐতিহ্য ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অভিযানের সময়েও বজায় রেখেছে। আজ ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অভিযানকে সফল করে তোলার জন্য আমি পাঞ্জাবের জনসাধারণ বিশেষ করে, যুব সম্প্রদায়কে আমার ধন্যবাদ জানাই।
বন্ধুগণ,
দিন কয়েক আগে আমরা লালকেল্লা থেকে শপথ নিয়েছিলাম যে আমাদের দেশকে উন্নত ভারত হিসেবে গড়ে তুলব। ভারতকে উন্নত করতে হলে এ দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়ন ঘটানোও সমান গুরুত্বপূর্ণ। যখন ভারতের মানুষ আধুনিক হাসপাতাল পাবেন এবং চিকিৎসা করানোর ভালো সুবিধা পাবেন তখন তাঁরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন আর সঠিক কাজে তাঁদের ক্ষমতা ব্যবহার করবেন। এর মধ্য দিয়ে তাঁদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাবে। আজ দেশ হোমি ভাবা ক্যান্সার হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার-এর মতো একটি আধুনিক হাসপাতাল পেয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের টাটা মেমোরিয়াল সেন্টার এই অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দেশ ও বিদেশের ক্যান্সার আক্রান্ত মানুষ এই কেন্দ্রের পরিষেবা পাবেন। ভারত সরকার দেশজুড়ে ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য অত্যাধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। আমি শুনলাম, টাটা মেমোরিয়াল সেন্টার এখন প্রতি বছর দেড় লক্ষ নতুন ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসা করতে পারে, ক্যান্সার আক্রান্তদের জন্য যা অত্যন্ত স্বস্তির বিষয়। আমার মনে আছে, হিমাচল প্রদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষেরা ক্যান্সার সহ বিভিন্ন জটিল চিকিৎসার জন্য আগে চণ্ডীগড়ে পিজিআই-তে আসতেন। পিজিআই-তে খুব ভিড় হত। সেখানে রোগী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হতেন। কিন্তু এখন হিমাচল প্রদেশের বিলাসপুরে এইমস তৈরি হয়েছে। সেখানে ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য বিশাল পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। যাঁরা বিলাসপুরের কাছে থাকেন তাঁরা সেখানে যাবেন আর যাঁরা মোহালির কাছে থাকেন তাঁরা এখানে আসবেন।
বন্ধুগণ,
দীর্ঘদিন ধরে দেশে এমন একটি চিকিৎসা পরিকাঠামোর প্রয়োজন ছিল যেখানে দরিদ্রতম মানুষের চিকিৎসা করতে কোনো সমস্যা হবে না। দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্যের যত্ন, তাঁদের বিভিন্ন অসুখ থেকে রক্ষা করা এবং যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে সবথেকে ভালো চিকিৎসা যাতে তাঁরা পান সেরকম একটি স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রয়োজন। ভালো স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর অর্থ এই নয় শুধু চারটি দেওয়াল গড়ে তোলা। যে কোনো দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা তখনই উন্নত হয় যখন প্রত্যেক ধাপে ভালো চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া যায়। আর তাই গত আট বছর ধরে দেশজুড়ে সর্বাঙ্গীণ স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত ৭-৮ বছর ধরে দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য যে কাজ হয়েছে তা তার আগের ৭০ বছরেও হয়নি। আজ স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর জন্য শুধুমাত্র একটি বা দুটি বিষয়ে একসাথে কাজ করা হচ্ছে না, বরং বলা ভালো, দরিদ্রতম মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য ছয়টি বিষয় নিয়ে কাজ চলছে। প্রথম যে বিষয়টি নিয়ে কাজ হচ্ছে তা হল প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলা। দ্বিতীয় পর্যায়ে গ্রামাঞ্চলে ছোট এবং আধুনিক হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে। তৃতীয় পর্বে শহরগুলিতে মেডিকেল কলেজ এবং স্বাস্থ্য গবেষণার জন্য বড় বড় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে। চতুর্থ পর্বে চিকিৎসক এবং প্যারা-মেডিক কর্মীর সংখ্যা বাড়াতে হবে। পঞ্চম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল রোগীরা যাতে কম পয়সায় ওষুধ এবং বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জামের সুযোগ পান তা নিশ্চিত করতে হবে। আর ষষ্ঠ বিষয়টি হল প্রযুক্তির মাধ্যমে রোগীদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা। আজ এই ছয়টি ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারি কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে।
বন্ধুগণ,
আমরা সবসময়ই বলে আসি, রোগ প্রতিরোধই সবথেকে ভালো উপায়। এই ভাবনা নিয়ে দেশের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। দিনকয়েক আগে একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে ‘জল জীবন মিশন’-এর কারণে দেশজুড়ে জলবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বিপুল পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। অর্থাৎ, আমরা যখন রোগ প্রতিরোধ নিয়ে কাজ করব, তখন রোগের সংখ্যাও হ্রাস পাবে। আগেকার সরকারগুলি এই ভাবনা নিয়ে কাজ করেনি। কিন্তু আজ আমাদের সরকার বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করে তুলছে যাতে রোগ-ব্যাধি থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়। দেশে যোগ এবং আয়ুষ চিকিৎসার বিষয়ে অভূতপূর্ব সচেতনতা গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। বিশ্বজুড়ে যোগ-এর বিষয়ে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। দেশের যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ‘ফিট ইন্ডিয়া কর্মসূচি’ ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে। বিভিন্ন অসুখ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ সহায়ক হয়েছে। ‘পোষণ অভিযান’ এবং ‘জল জীবন মিশন’ অপুষ্টির মতো সমস্যাকে দূর করতে সাহায্য করছে। আমাদের মা ও বোনেদের কাছে রান্নার গ্যাসের সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার ফলে আমরা তাঁদের ধোঁয়ার জন্য বিভিন্ন অসুখ এবং ক্যান্সারের থেকে রক্ষা করতে পারছি।
বন্ধুগণ,
যদি আমাদের গ্রামগুলিতে ভালো হাসপাতাল এবং রোগ পরীক্ষা কেন্দ্রের ব্যবস্থা যদি থাকে, তাহলে কি অসুখ হয়েছে তা সহজেই শনাক্ত করা যায়। আমাদের সরকার এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। গ্রামাঞ্চলে অত্যাধুনিক স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার দেড় লক্ষের বেশি স্বাস্থ্য ও সুস্থতা কেন্দ্র গড়ে তুলছে। এর মধ্যে ১ লক্ষ ২৫ হাজারের মতো স্বাস্থ্য ও সুস্থতা কেন্দ্র পরিষেবা শুরু করায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত। পাঞ্জাবে ইতিমধ্যেই তিন হাজার স্বাস্থ্য ও সুস্থতা কেন্দ্র কাজ করছে। দেশজুড়ে এইসব কেন্দ্র থেকে প্রায় ২২ কোটি মানুষের ক্যান্সার আছে কিনা, সে সংক্রান্ত পরীক্ষানিরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে ৬০ লক্ষ পরীক্ষানিরীক্ষা তো পাঞ্জাবেই হয়েছে। যদি প্রাথমিক স্তরে কেউ ক্যান্সার আক্রান্ত কিনা তা শনাক্ত করা যায়, তাহলে অনেক প্রাণ বাঁচে।
বন্ধুগণ,
একবার অসুখ শনাক্ত হলে সেই অসুখের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের প্রয়োজন, যেখানে জটিল অসুখের যথাযথ চিকিৎসা হয়। এই ভাবনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার দেশের প্রত্যেকটি জেলায় অন্তত একটি মেডিকেল কলেজ খোলার উদ্যোগ নিয়েছে। ‘আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মিশন’-এর আওতায় জেলাস্তরে আধুনিক স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য ৬৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। একটা সময় ছিল যখন দেশে মাত্র সাতটি এইমস ছিল। আজ এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ২১ হয়েছে। পাঞ্জাবের ভাতিন্ডায় এইমস থেকে মানুষ ভালো পরিষেবা পাচ্ছেন। যদি শুধুমাত্র ক্যান্সার হাসপাতালের কথাই বলি তাহলে বলতে হয়, দেশের প্রত্যেক প্রান্তে ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। পাঞ্জাবে এটি একটি বড় কেন্দ্র তৈরি হল। হরিয়ানার ঝর্ঝর-এ ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা হয়েছে। যদি পূর্ব ভারতের দিকে তাকাই তাহলে দেখব, বারাণসী এখন ক্যান্সার চিকিৎসার একটি বড় কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। কলকাতায় ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট-এর দ্বিতীয় ক্যাম্পাসটি থেকেও পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। দিনকয়েক আগে আসামের ডিব্রুগড় থেকে সাতটি নতুন ক্যান্সার হাসপাতাল উদ্বোধন করার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। দেশজুড়ে ৪০টি ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য আমাদের সরকার অনুমোদন দিয়েছিল, তার মধ্যে অনেকগুলি হাসপাতাল থেকেই চিকিৎসা পরিষেবা শুরু হয়েছে।
বন্ধুগণ,
একটি হাসপাতাল নির্মাণ যতটা গুরুত্বপূর্ণ, সমান গুরুত্বপূর্ণ হল সেই হাসপাতালে ভালো চিকিৎসক এবং প্যারা-মেডিক কর্মী থাকা। এই বিষয়টিকে এখন বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ২০১৪ সালের আগে দেশে ৪০০টিরও কম মেডিকেল কলেজ ছিল। অর্থাৎ, ৭০ বছর সময়কালে দেশে ৪০০-র কম মেডিকেল কলেজ! অথচ গত আট বছরে ২০০টির বেশি নতুন মেডিকেল কলেজ গড়ে তোলা হয়েছে। মেডিকেল কলেজের সংখ্যা বৃদ্ধি মানে ডাক্তারি পড়ার আসন বৃদ্ধি। অর্থাৎ, ডাক্তারি পড়ুয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সংখ্যাও বাড়ছে এবং স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। আমাদের সরকার ৫ লক্ষ আয়ুষ চিকিৎসককে অ্যালোপ্যাথ চিকিৎসা করার সুযোগ দিয়েছে। এর ফলে দেশে চিকিৎসক এবং রোগীর সংখ্যার অনুপাতে উন্নতি হয়েছে।
বন্ধুগণ,
আজ এখানে যাঁরা উপস্থিত তাঁরা প্রত্যেকেই অত্যন্ত সাধারণ পরিবারের মানুষ। আমরা জানি জটিল অসুখের চিকিৎসা করানোর সময় গরীব মানুষদের তাঁদের ভিটে-মাটি পর্যন্ত বিক্রি করতে হয়। তাই, আমাদের সরকার কম পয়সায় চিকিৎসা এবং ওষুধ পাওয়ার ওপর সমান গুরুত্ব দিয়েছে। ‘আয়ুষ্মমান ভারত’ প্রকল্পে দরিদ্র মানুষেরা ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনা পয়সায় চিকিৎসা করাতে পারেন। এ পর্যন্ত সাড়ে তিন কোটি রোগী এই প্রকল্পের মাধ্যমে চিকিৎসার সুযোগ পেয়েছেন যার জন্য তাঁদের একটি পয়সাও খরচ করতে হয়নি। এর মধ্যে বহু ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীও আছেন। আজ যদি ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্প না থাকত তাহলে দরিদ্র মানুষদের নিজের পকেট থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে হত। আপনাদের মতো পরিবারের এই প্রকল্পের কারণে ৪০ হাজার কোটি টাকা বেঁচে গেছে। শুধু তাই নয়, পাঞ্জাব সহ দেশজুড়ে জন ঔষধি কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। এখান থেকে ক্যান্সারের ওষুধও সস্তায় পাওয়া যায়। বর্তমানে ৫০০-র বেশি ক্যান্সারের ওষুধের দাম কমানো হয়েছে প্রায় ৯০ শতাংশ। অর্থাৎ, যে ওষুধের দাম ছিল ১০০ টাকা এখন তা জন ঔষধি কেন্দ্র থেকে ১০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। গড়পরতা হিসেবে রোগীদের প্রতি বছর প্রায় হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। দেশজুড়ে প্রায় ৯ হাজার জন ঔষধি কেন্দ্র থেকে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মানুষরা স্বল্প মূল্যে ওষুধ পাওয়ায় তাঁরা বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন।
ভাই ও বোনেরা,
সরকারের সর্বাঙ্গীণ স্বাস্থ্য পরিষেবার অভিযানে আধুনিক প্রযুক্তি নতুন মাত্রা এনেছে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে এই প্রথম আধুনিক প্রযুক্তিকে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ে সহজেই যাতে উন্নতমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়া যায় তা নিশ্চিত করতে ‘আয়ুষ্মান ভারত ডিজিটাল স্বাস্থ্য মিশন’-এর সূচনা হয়েছে। আজ টেলি-মেডিসিন এবং টেলি-যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে পরামর্শ দেওয়ার সুযোগ তৈরি হওয়ায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও শহরের চিকিৎসকদের কাছ থেকে সহজেই বিভিন্ন পরামর্শ পাচ্ছেন। ইতোমধ্যে ‘সঞ্জীবনী’ অ্যাপ ব্যবহার করে কোটি কোটি মানুষ উপকৃত হয়েছেন। আজ দেশে ফাইভ-জি পরিষেবার সূচনা হয়েছে। এর ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্য পরিষেবায় যুগান্তকারী পরিবর্তন হবে। গ্রামের দরিদ্র পরিবারের অসুস্থ মানুষদের বারবার বড় বড় হাসপাতালে যেতে হবে না, তাঁদের সময়ও বাঁচবে।
বন্ধুগণ,
এই প্রসঙ্গে আমি ক্যান্সার আক্রান্ত প্রত্যেককে এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের একটি কথা বলতে চাই। আপনাদের উদ্বেগের বিষয়টি আমি বুঝতে পারছি কিন্তু, ক্যান্সারের বিরুদ্ধে তো লড়তে হবে। তার জন্য ভয় পেলে চলবে না। ক্যান্সারের চিকিৎসা সম্ভব। বহু মানুষ আছেন যাঁরা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই জিতে আনন্দের সঙ্গে বেঁচে আছেন। এই লড়াইয়ে আপনাদের যা যা প্রয়োজন কেন্দ্রীয় সরকার তা দেবে। এই হাসপাতালে যুক্ত সকলের কাছে আমার একটি বিশেষ অনুরোধ আছে। ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা এই রোগের কারণে বিমর্ষ হয়ে থাকেন। আমাদের তাঁদের সাহায্য করতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে আমাদের খোলা মনে চিন্তা করতে হবে কারণ, প্রগতিশীল সমাজের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ভাবনাচিন্তায় পরিবর্তন আনা। তাহলেই এই সমস্যার যথাযথ সমাধান হবে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে যুক্ত আমার সহকর্মীদের কাছে আরও একটি অনুরোধ রাখব যে আপনারা গ্রামাঞ্চলে এইসব সমস্যার সমাধানের জন্য শিবিরের আয়োজন করুন। দেশজুড়ে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইকে শক্তিশালী করতে হলে আমাদের ‘সবকা প্রয়াস’ ভাবনায় এগোতে হবে। পাঞ্জাব এবং হিমাচল প্রদেশের মানুষের এই উদ্দেশে এই বিশাল উপহারটি উৎসর্গ করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা জানাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ!
প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি হিন্দিতে দিয়েছেন
PG/CB/DM
Speaking at inauguration of Homi Bhabha Cancer Hospital & Research Centre in Mohali, Punjab. https://t.co/llZovhQM5S
— Narendra Modi (@narendramodi) August 24, 2022
भारत को विकसित बनाने के लिए उसकी स्वास्थ्य सेवाओं का भी विकसित होना उतना ही जरूरी है।
— PMO India (@PMOIndia) August 24, 2022
जब भारत के लोगों को इलाज के लिए आधुनिक अस्पताल मिलेंगे, आधुनिक सुविधाएं मिलेंगीं, तो वो और जल्दी स्वस्थ होंगे, उनकी ऊर्जा सही दिशा में लगेगी: PM @narendramodi
अच्छे हेल्थकेयर सिस्टम का मतलब सिर्फ चार दीवारें बनाना नहीं होता।
— PMO India (@PMOIndia) August 24, 2022
किसी भी देश का हेल्थकेयर सिस्टम तभी मजबूत होता है, जब वो हर तरह से समाधान दे, कदम-कदम पर उसका साथ दे।
इसलिए बीते आठ वर्षों में देश में होलिस्टिक हेल्थकेयर को सर्वोच्च प्राथमिकताओं में रखा गया है: PM @narendramodi
आज एक नहीं, दो नहीं, छह मोर्चों पर एक साथ काम करके देश की स्वास्थ्य सुविधाओं को सुधारा जा रहा है।
— PMO India (@PMOIndia) August 24, 2022
पहला मोर्चा है, प्रिवेंटिव हेल्थकेयर को बढ़ावा देने का।
दूसरा मोर्चा है, गांव-गांव में छोटे और आधुनिक अस्पताल खोलने का: PM
आज एक नहीं, दो नहीं, छह मोर्चों पर एक साथ काम करके देश की स्वास्थ्य सुविधाओं को सुधारा जा रहा है।
— PMO India (@PMOIndia) August 24, 2022
पहला मोर्चा है, प्रिवेंटिव हेल्थकेयर को बढ़ावा देने का।
दूसरा मोर्चा है, गांव-गांव में छोटे और आधुनिक अस्पताल खोलने का: PM
तीसरा मोर्चा है- शहरों में मेडिकल कॉलेज और मेडिकल रीसर्च वाले बड़े संस्थान खोलने का
— PMO India (@PMOIndia) August 24, 2022
चौथा मोर्चा है- देशभर में डॉक्टरों और पैरामेडिकल स्टाफ की संख्या बढ़ाने का: PM @narendramodi
अस्पताल बनाना जितना ज़रूरी है, उतना ही ज़रूरी पर्याप्त संख्या में अच्छे डॉक्टरों का होना, दूसरे पैरामेडिक्स का उपलब्ध होना भी है।
— PMO India (@PMOIndia) August 24, 2022
इसके लिए भी आज देश में मिशन मोड पर काम किया जा रहा है: PM
अस्पताल बनाना जितना ज़रूरी है, उतना ही ज़रूरी पर्याप्त संख्या में अच्छे डॉक्टरों का होना, दूसरे पैरामेडिक्स का उपलब्ध होना भी है।
— PMO India (@PMOIndia) August 24, 2022
इसके लिए भी आज देश में मिशन मोड पर काम किया जा रहा है: PM
हेल्थ सेक्टर में आधुनिक टेक्नॉलॉजी का भी पहली बार इतनी बड़ी स्केल पर समावेश किया जा रहा है।
— PMO India (@PMOIndia) August 24, 2022
आयुष्मान भारत डिजिटल हेल्थ मिशन ये सुनिश्चित कर रहा है कि हर मरीज़ को क्वालिटी स्वास्थ्य सुविधाएं मिले, समय पर मिलें, उसे कम से कम परेशानी हो: PM @narendramodi
कैंसर के कारण जो depression की स्थितियां बनती हैं, उनसे लड़ने में भी हमें मरीज़ों की, परिवारों की मदद करनी है।
— PMO India (@PMOIndia) August 24, 2022
एक प्रोग्रेसिव समाज के तौर पर ये हमारी भी जिम्मेदारी है कि हम मेंटल हेल्थ को लेकर अपनी सोच में बदलाव और खुलापन लाएं। तभी इस समस्या का सही समाधान निकलेगा: PM
Glimpses from Mohali, which is now home to a modern cancer care hospital. pic.twitter.com/4yzxgWozeh
— Narendra Modi (@narendramodi) August 24, 2022
Know how the health sector has been transformed in the last 8 years... pic.twitter.com/qfNSFmrZYp
— Narendra Modi (@narendramodi) August 24, 2022
बीमारी से बचाव ही सबसे अच्छा इलाज होता है। pic.twitter.com/L08g8LUom1
— Narendra Modi (@narendramodi) August 24, 2022
The last 8 years have seen:
— Narendra Modi (@narendramodi) August 24, 2022
More medical colleges.
More hospitals.
Increase in doctors, paramedics. pic.twitter.com/8siULFC22M
India's strides in tech will have a great impact on the health sector. pic.twitter.com/cShVgR2fsX
— Narendra Modi (@narendramodi) August 24, 2022
मोहाली के होमी भाभा कैंसर अस्पताल के साथ ही स्वास्थ्य सेवा से जुड़े अपने सभी साथियों से मेरा एक विशेष आग्रह है… pic.twitter.com/FiGrDxGoys
— Narendra Modi (@narendramodi) August 24, 2022
ਜਾਣੋ ਪਿਛਲੇ 8 ਵਰ੍ਹਿਆਂ ਵਿੱਚ ਸਿਹਤ ਖੇਤਰ 'ਚ ਕਿਵੇਂ ਬਦਲਾਅ ਆਇਆ ਹੈ... pic.twitter.com/0CFvnJSrzM
— Narendra Modi (@narendramodi) August 24, 2022
ਪਿਛਲੇ 8 ਵਰ੍ਹਿਆਂ ਵਿੱਚ ਦੇਖਿਆ ਗਿਆ ਹੈ:
— Narendra Modi (@narendramodi) August 24, 2022
ਵਧੇਰੇ ਮੈਡੀਕਲ ਕਾਲਜ।
ਵਧੇਰੇ ਹਸਪਤਾਲ।
ਡਾਕਟਰਾਂ, ਪੈਰਾ-ਮੈਡਿਕਸ ਵਿੱਚ ਵਾਧਾ। pic.twitter.com/isPCv82LJf
ਮੋਹਾਲੀ ਦੀਆਂ ਝਲਕੀਆਂ, ਜੋ ਹੁਣ ਆਧੁਨਿਕ ਕੈਂਸਰ ਕੇਅਰ ਹਸਪਤਾਲ ਦਾ ਘਰ ਹੈ। pic.twitter.com/2Z2qu80Hvo
— Narendra Modi (@narendramodi) August 24, 2022