Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

পল্লী ভারতের বিকাশ ও রূপান্তরের লক্ষ্যে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রারবান মিশন


দেশের পল্লী অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক রূপান্তর এবং পরিকাঠামোর উন্নয়নে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রারবান মিশন (এসপিএমআরএম) রূপায়িত হতে চলেছে। এজন্য আর্থিক সংস্থান রাখা হয়েছে ৫১৪২ কোটি ৮ লক্ষ টাকার। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ এই কর্মসূচিটি অনুমোদন লাভ করে।

এই মিশনের আওতায় পর্যাপ্ত বিকাশের সম্ভাবনা রয়েছে এ ধরণের একগুচ্ছ গ্রামকে বেছে নিয়ে সার্বিক রূপান্তরের লক্ষ্যে উন্নয়নের কাজ শুরু করা হবে। দেশের সবক’টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেই রূপায়িত হবে এই বিশেষ প্রকল্পটি। অর্থনৈতিক কর্মপ্রচেষ্টার উদ্যোগ, দক্ষতা উন্নয়ন এবং স্থানীয় পর্যায়ে শিল্পোদ্যোগের মাধ্যমে এই গ্রামগুলিকে গড়ে তোলা হবে। গড়ে তোলা হবে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধাও। প্রকল্পটি রূপায়িত হলে বেছে নেওয়া এলাকাগুলিতে গড়ে উঠবে একগুচ্ছ করে ‘স্মার্ট ভিলেজ’।

কেন্দ্রীয় পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রকের ছক অনুযায়ী কোথায় কোথায় এই ‘স্মার্ট ভিলেজ’ গড়ে তোলা হবে তা চিহ্নিত করবে রাজ্যগুলি। সমতল ও উপকূলবর্তী এলাকায় ২৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার জনবসতি রয়েছে এ ধরণের গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে এজন্য বেছে নেওয়া হবে। অন্যদিকে, পার্বত্য ও আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলগুলির ৫ হাজার থেকে ১৫ হাজার লোকবসতিপূর্ণ এলাকাগুলিকে এই প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

এই গ্রামগুলিকে চিহ্নিত করার কাজে পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রক এক বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ার আশ্রয় গ্রহণ করবে যার মধ্যে বিভিন্ন অঞ্চলের ভৌগোলিক, অর্থনৈতিক ও পর্যটন সংক্রান্ত সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হবে। এছাড়াও, ঐ স্থানগুলিতে কোনরকম ধর্মীয় ঐতিহ্য বা তাৎপর্য রয়েছে কিনা এবং পরিবহণ সংক্রান্ত সুযোগ-সুবিধাই বা কিরকম সে সম্পর্কেও খোঁজখবর নেওয়া হবে।

এই মিশনের আওতায় দেশে ৩০০টি গুচ্ছ গ্রাম গড়ে তোলা হবে আগামী তিন বছরের মধ্যে। এই সমস্ত গুচ্ছ গ্রাম গড়ে তুলতে সরকারি অন্যান্য প্রকল্প থেকেও অর্থ যোগানের ব্যবস্থা রাখা হবে।

প্রকল্পের আওতায় প্রস্তাবিত উন্নয়নকে সর্বোচ্চ মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার জন্য ১৪টি বিষয়কে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক কাজকর্মের প্রসারে দক্ষতা উন্নয়ন, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ তথা কৃষি পরিষেবা এবং কৃষি পণ্যের মজুতভাণ্ডার গঠন, ডিজিটাল সাক্ষরতা, পরিচ্ছন্ন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, পাইপলাইনের মাধ্যমে জলের যোগান, কঠিন ও তরল বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা, গ্রামের পথঘাট ও জল নিকাশি ব্যবস্থা, রাস্তায় আলোর ব্যবস্থা, পূর্ণ সাজসরঞ্জাম সহ ভ্রাম্যমান স্বাস্থ্য পরিষেবা, স্কুল ও উচ্চশিক্ষার ব্যাপক প্রসার, বিভিন্ন গ্রামের মধ্যে সংযোগ, নাগরিক পরিষেবা কেন্দ্র, সরকারি পরিবহণ, এলপিজি সংযোগ ইত্যাদি।

এই সমস্ত গুচ্ছ গ্রাম গড়ে তোলার জন্য কর্মপরিকল্পনা রচনার দায়িত্ব দেওয়া হবে রাজ্যগুলিকে। মিশনের কাজ যাতে সুষ্ঠুভাবে রূপায়িত হ্য় তা সম্ভব করে তুলতে রাজ্য ও কেন্দ্র উভয় পর্যায়েই গড়ে তোলা হবে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা।

এই প্রকল্পটি রূপায়িত হলে শহরাঞ্চলের সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে যাবে দেশের বিভিন্ন গ্রাম এলাকায়। এর ফলে, শহরাঞ্চলের ওপর জনসংখ্যার চাপ যেমন অনেকাংশে হ্রাস করা যাবে, অন্যদিকে তেমনই দেশের পল্লী অঞ্চল রূপান্তরের মধ্য দিয়ে পাবে এক নতুন রূপ ও অবয়ব।

PG/SKD/DM/S